![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এদেশটাকে বড্ড ভালবাসি....... বেশি ভালবাসি এদেশের মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষকে....
অজ্ঞান পার্টিঃ ঢাকা শহরে প্রায় ২৯ টি স্পটে আনুমানিক ৪১ টি গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারী সদস্যও রয়েছে।
সাধারণত ৪ টা ক্যাটাগরিতে অজ্ঞান পার্টির লোকজন সক্রিয় থাকেঃ
১। দুরপাল্লার গাড়িতে হালুয়া/হারবাল ওষুধ খাওয়ানো
২। গাড়িতে ডাব, পানি, জুস, বা তরল খাবার খাওয়ানো
৩। লঞ্চে খাবার/বিস্কুট/ খাওয়ানো
৪। খাবার খাইয়ে গাড়ি/ ছিনতাই
অজ্ঞান পার্টির কাজ করার পদ্ধতিঃ
> এরা কাজ করে সঙ্গবদ্ধ হয়ে, প্রতিটা টাইমে (অপারেশনের সাংকেতিক নাম) ৩-১৫ জন সদস্য থাকে।
> প্রথমে টার্গেট করা হয় যিনি টার্গেট করেন তাকে মাষ্টার বলা হয়। এরপর টিমের সবাই টার্গেটের সাথে গাড়িতে ওঠে।
> একজন টার্গেটের পাশের সিটে বসে, একজন পেছনের সিটে, একজন অন্য পাশের সিটে থাকে।
> একজন হকার (ডাক্তার) গাড়িতে উঠে গাছ গাছড়ার গুনাবলি বলে বই বিক্রি করে।
> এবার ফ্রি হালুয়া খাওয়াবে, অন্য যাত্রীদের ভালো হালুয়া খাওয়াবে।
> পাশের সিটের অন্যান্য যাত্রী(বয়ান বাজ) উৎসাহ দিয়ে টার্গেটকে হালুয়া খাওয়াবে।
> অজ্ঞান হওয়ার পর পাশের যাত্রী (ক্যালরী ম্যান) টাকা সংগ্রহ করবে।
> এরপর সবাই সুযোগ বুঝে নেমে পড়বে।
অজ্ঞান হলে তাৎক্ষনিক করনীয়ঃ-
> পেট পরিষ্কার করতে হবে, বমি করাতে হবে যেকোন ভাবে (তেতুল বা টক জাতীয় কিছু খাইয়ে)
> যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা।
সতর্কতা:
>> যাত্রা পথে অপরিচিত কারো সাথে সুসম্পর্ক না করা
>> যাত্রা বিরতিতে একই গাড়ির সহযাত্রির সাথে কিছু না খাওয়া
>> যাত্রা পথে বাস/গাড়িতে কিছু না খাওয়া
>> হকারদের কাছ থেকে কিছু না খাওয়া (বই বিক্রি / হালুয়া বিক্রি হকার)
>> লঞ্চে নিজের খাবার, পানির বোতল সাবধান রাখা।
>> বিভিন্ন মহিলা/ নারী থেকে সাবধান থাকা।
>> ১০০ চোর ১ ক্রে। চোরের বুদ্ধি খোরে খোরে।
সরকাররের কাছে আবেদনঃ
> ঘুমের ওষুধ চিকিৎসাপত্র ছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
> ক্ষতিকর ঘুমের ওষুধ (....১,২) সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ করা ।
> পুলিশ প্রশাসন আরো কঠোর ও তৎপর হওয়া।
>আইনি ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে সহজে জামিনে রের হওয়া রোধ করা।
> দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
সুত্র: অজ্ঞান পার্টির নেতা বাদশা ভাইয়ের জবান বন্দি।
ওয়েভ: অজ্ঞান পার্টির নেতা বাদশা ভাই
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
বাংলার ঈগল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০৮
মনিরুল হাসান বলেছেন: ভালো পোস্ট। যারা পড়বে তাদের আগাম অভিজ্ঞতা হবে, বাসে-ট্রেনে কোথাও যাবার সময় জিনিসগুলো সতর্কতা হিসেবে মাথায় থাকবে।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
হেডস্যার বলেছেন:
পত্রিকায় ও দেখলাম অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বাড়াছে....এখন দ্বিগুন সাবধান হইয়া গেলাম।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
বাংলার ঈগল বলেছেন: অবশ্যই সাবধান হবেন এবং কোনক্রমেই যাত্রাপথে কিছু খাওয়া যাবে না।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটা গুরুত্বপুর্ন তথ্য বাদ পরেছে।
কাউকে হালুয়া খাওয়ানো এত সহজ না।
এরা এখন যাত্রির পেছনে বা পাসে বসে ম্যাচবক্সে রাখা ছোট ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঘাড়ে ধুতরা বিষ ইঞ্জেক্ট করে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫০
বাংলার ঈগল বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেওয়ার জন্য।
আপনার মম্তব্যগুলো সবসময় একটু বেশি বোঝা টাইপের নেগেটিভ। কাউকে হালুয়া খাওয়ানে এত সহজ না কিভাবে বুঝলেন? তাহলে যারা বিপদে পড়ে তারা কিভাবে খায়?
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ !
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
বাংলার ঈগল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
সোহানী বলেছেন: আরো ভয়াবহ ভাবে আক্রমন করে তারা।
কয়দিন আগে চিটাগাং এর এসি সোহাগ গাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা বের করার পর দেখা গেল, ভদ্রলোক কিছুই খায় নাই ইভেন ডাবের পানিও না। কিন্তু অজ্ঞান পার্টির লোক লোকটির সিটের পকেটে রাখা পানির বোতলে ধুতরা বিষ ইঞ্জেক্ট করে। নিজের পানি তো লোকটি খাবেই............. অত্:পর সাবধান তো হতেই হবে তবে তা বহুগুনে.....................
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
প্রতিটা টাইমে (অপারেশনের সাংকেতিক নাম)
যিনি টার্গেট করেন তাকে মাষ্টার বলা হয়
একজন হকার (ডাক্তার)
পাশের সিটের অন্যান্য যাত্রী(বয়ান বাজ)
পাশের যাত্রী (ক্যালরী ম্যান) টাকা সংগ্রহ করে
ধন্যবাদ ভাই, জানলাম......
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ ।