![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাস থ্রী কিংবা ফোর এ পড়ি। তখনও দেশী আর চীনা রূপকথা বড়জোর তিন গোয়েন্দার সাথে পরিচয় হয়েছে। এক ঈদের ২-১ দিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে একটা ঈদ উপহার দিল। উপহারটা ছিল একটা বই। বইটার নাম ছিল "নীল হাতি"। প্রথমে একটু বিরক্তই হলাম। এ আবার কেমন বই। পাতায় পাতায় ছবি নাই, রাজা-রানী নাই, এবই পড়ে কোন মজা আছে নাকি? তারপরেও পড়বোনা পড়বোনা করে শেষ করে ফেললাম বইটা। একবার না, দুইবার না....অনেক অনেক বার। আজব তো, রাজা-রানী ছাড়া, রঙীন রঙীন ছবি ছাড়াও এত সুন্দর বই কেউ লিখতে পারে? কে লিখতে পারে এত সুন্দর মজার মজার গল্প?
এরপর একে একে পড়ে গেলাম একি কান্ড, নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ, বোতল ভুত ইত্যাদি অনেক অনেক মজার বই যার নাম বলে হয়ত শেষ করা যাবে না। যতই প্রশংসা করিনা কেন, এসব মজার মজার বইয়ের লেখকের প্রশংসা করে হয়ত কখনই শেষ করা যাবে না।
একটু বড় হয়ে খেয়াল করলাম এই লেখক শুধু ছোটদের বই-ই নয় বরং ছোট-বড় সব অঙ্গনেই তার জাদুর ছড়ি বিছিয়ে রেখেছেন। অদ্ভূত তার লেখনী, পাঠককে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার অসাধারন এক ক্ষমতা আছে তাঁর। ছোট গল্প, রোমান্টিক গল্প, ভয়ের গল্প এমনকি অনুবাদ গল্পও এমন ভাবে পাঠকদের সামনে উপস্থিত করেন, যেন তার লেখনীর প্রত্যেকটা লাইন পাঠকদের চোখের সামনে বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। উনি যেন একসাথে লেখক এবং জাদুকর। জাদুর মায়া সবসময় বিছিয়ে রাখেন পাঠকদের মনের ভিতরে।
শুধু কি বইয়ের জগৎ? "বহুব্রীহি" নাটকের মতো আর কোন নাটক কি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পাঠককে এত হাসির খোরাক দিয়েছে? বাংলাদেশের কোন মানুষ কি অন্য কোন নাটক দেখে "কোথাও কেউ নেই" নাটকের বাকের ভাইয়ের ফাঁসির সময় এত কেঁদেছে? এইসব দিনরাত্রি, অয়োময় নাটক দেখে মানুষ যতটা অবেগে আপ্লুত হয়েছে সেরকম কি আর কোন নাটক দেখে আর কখনও হয়েছে?
সিনেমা জগতেও কিন্ত তিনি একেবারেই পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের সিনামার নাম শুনলে যখন দেশের শিক্ষিত শ্রেণী না কুঁচকায় তখনই তাঁর লেখা কাহিনী সম্বল করে যখন কোন সিনামা বের হয়, দেশের শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষ তখন লাইনে দাড়ায়ে পড়ে একটা টিকিটের আশায়।
ওইযে একটা কথা আগেই বলেছি, "আপনার যতই প্রশংসা করি না কেন সেটা অনেক কম করা হবে। আপনি আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও, যখন কোন তরুন হলুদ পান্জাবী পড়ে গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে হেঁটে যাবে, যখনই কোন আধিভৌতিক ঘটনায় গা ছমছম করবে, যখনই কোন বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু বোকাবোকা চেহারার মেধাবী কোন তরুনকে চোখে পড়বে তখনই সেই হিমু, মিসির আলী এবং শুভ্রর মাঝে আপনিও সারাজীবন বেঁচে থাকবেন আমাদর মনের মাঝে।"
ইতি- আপনার এক গুণমুগ্ধ পাঠক।
২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৫
টিনটিন` বলেছেন: একমত। হিমু, মিসির আলী এবং শুভ্রর মাঝে তাঁর নামও থেকে যাবে আমাদের মনের পাতায়।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: valo laglo. Humayun ahmed beche thakben tar sristir moddho diye.
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩২
টিনটিন` বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কি করে ভুলবো তাঁকে !!!!!!
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩১
টিনটিন` বলেছেন: ভোলা অসম্ভব।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৮
শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
বাংলা গদ্য সহজ - সুন্দর করার অসামান্য কৃতিত্ব হুমায়ূন আহমেদের।
লেখকের প্রতি ভালোবাসা... তার লিখার প্রতি ভালোবাসা।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৯
টিনটিন` বলেছেন: তুলনাহীন ছিলেন এবং থাকবেন। এই জায়গা কেউ কোনদিনও দখল করতে পারবে না।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৩১
ফারিয়া বলেছেন: কেউ কেউ মৃত্যুপ পরপরই হারিয়ে যান, উনি ব্যাতিক্রম!
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৩
টিনটিন` বলেছেন: তার লেখা কখনও হারিয়ে যাবেনা।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ স্যার দীর্ঘজীবি হোক।
২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১১
টিনটিন` বলেছেন: মানুষের হৃদয়ে।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১৬
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: আমি পারবো না
২৫ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৫
টিনটিন` বলেছেন: আমিও পারবো না। অনেকেই পারবেনা।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০১
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: উনাকে কখনো ভুলা যাবেনা।অন্তত প্রতিটি বই মেলাতেই বুঝবেন তিনি কতোটা জনপ্রিয় লেখক ছিলেন।
২৫ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮
টিনটিন` বলেছেন: বুঝবো আর কি ভাই, অলরেডী বুঝতে পারছি। নতুন হিমু বা মিসির আলী ছাড়া কি কখনও বই মেলা কল্পনাও করতে পেরেছি? বইমেলা এখন আমার কাছে পানসে ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২১
আরজু পনি বলেছেন:
২৬ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫২
টিনটিন` বলেছেন:
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ স্মরনে অন্যতম সেরা লেখা। অন্তত যে লেখাটিকে স্টিকি করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক ভালমানের লেখা এটি।
প্রিয় হুমায়ন আহমেদ, জানি আপনি চলে গেছেন সেই না ফেরার দেশে। যেখান থেকে কাউকে ফেরানো যায় না। মধ্যবিত্ত জীবনের যে চিত্র আপনার গল্প গুলোতে উঠে আসত, তাতে গল্পগুলোকে নিজের জীবনের গল্প বলেই মনে হত। আমরা সাধারন মানুষ, আমাদের এত ক্ষমতা নেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছের বিরুদ্ধ চারন করি কিংবা আপনাকে ছিনিয়ে আনি মৃত্যুর থাবা থেকে। আমরা বরং আপনাকে হৃদয়ে ধারন করতে চাই। আমাদের হৃদয়ে আপনি আজীবন বেঁচে থাকুন হিমু, মিসির আলি কিংবা শুভ্র হয়ে।
৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৪
টিনটিন` বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
যতদিন বাংলায় সত্যিকারের পাঠক থাকবে ততদিন হুমায়ুন আহমেদের লেখাও চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩৭
ৈহমনতী বলেছেন: যাই বলি না কেন কম বলা হবে।উনার লেখা প্রথম পড়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। বোতল ভুত।আমি বেশিরভাগ সময়ই রুপকথার বই পড়তাম।আমার এখনও ভাবতে অবাক লাগে এত এত বইয়ের ভিড়ে এই বইটার নাম আমার কিভাবে মনে আছে!!! একজন লেখকের সার্থকতা বোধহয় এই জায়গাতেই। এত গভীরভাবে মনে দাগ কেটে বসতে পারাটা সহজ কোন বিষয় নয়।
আমি উনার সব বই পড়িনি। সত্যি কথা বলতে গেলে,আমি আর সবার মত এত বড় ফ্যান ও নই। কিন্তু উনার যেই শক্তিশালী লেখনি ক্ষমতা ছিল,সেটা অস্বীকার করার দুঃসাহস আমার নেই।উনাকে হাজার সালাম।একজন লেখক এক মুহূর্তে কিভাবে আশেপাশের পরিবেশ পালটে দিতে পারে!! সেটা উনার লেখা যে না পড়েছে সে বুঝবে না। অয়ময়,বহুব্রিহি,আজ রবিবার,কোথাও কেউ নেই.........সুচিটা আরও অনেক বড়। হিসেবের খাতায় দাগ টেনে কিছু বলতে গেলে উনাকেই ছোট করা হবে।সেটা তো সম্ভব নয়।কালজয়ী এই লেখাগুলো আগামী প্রজন্মকেও আপ্লুত করবে।
আমরা একদিক থেকে ভাগ্যবান যে,উনার লেখা আমাদের উপর কেমন প্রভাব ফেলেছে সেটা নিজ চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের।বাকের ভাইয়ের ফাঁসী বন্ধের দাবীতে রাস্তায় মিছিল!!!!! কয়জন লেখকের পক্ষে সম্ভব এরকম বাস্তবিকভাবে গল্পের কোন চরিত্রকে আমাদের সামনে দাড়া করানর!!!!!
শুধু একটা কথাই বলব,
হাজার বছরে এইরকম লেখক একবারই জন্মায়।উনি বেঁচে থাকবেন আজীবন আমাদের ভালবাসায়......
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩
টিনটিন` বলেছেন: এটা দিয়ে পুরো একটা সুন্দর পোষ্ট দেওয়া যায়। অসাধারন লিখেছেন। আপনার কমেন্টে কইষ্যা প্লাস।
১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৬
ৈহমনতী বলেছেন: আপনেরে কইষ্যা ধইন্না।
তাইলে এইটা আপনের লেখায় যোগ কইরা দিয়েন.।হেহেহেহে :!> :#>
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৮
টিনটিন` বলেছেন: সেভাবে দিলে তো এখন কেউ পড়বে না। তারপরেও আপনি বললে আমার দিতে কোন আপত্তি নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৭
আমার মন বলেছেন: উনার প্রশংসা করার ভাষা নেই। যা সৃষ্টি করে গিয়েছেন তা একটি জাতির জন্য মহা মূল্যবান সম্পদ। হারিয়ে গেলেও হৃদয় থেকে মুছে যাবে না তার নাম।