![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নদীর মত বয়ে চলা--এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দিগন্ত দেখা হয় না। কিন্তু উৎস পিছু টানে। ফিরে যেতে পারি না। একবার যার চলন শুরু হয়েছে সে যে আর ফিরে যেতে পারে না। এইতো নদীর নিয়ম।
১৯৯২ সালের কথা। তখন স্কুলে পড়ি
চায়নিজ খাওয়া একটা ভাবের বিষয়। ঢাকা শহরে খুব বেশী চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ছিল না। একদিন সকাল বেলা বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। চায়নিজের প্রসংগ এলো। আমাদের মাঝে অনেকেই চায়নিজ খাইনি জীবনে। কথা রইলো সেদিনই চায়নিজ খেতে যাব। স্কুলের ছাত্র—তাই নিজেদের পকেটে বেশী টাকা থাকার কথা না। আর চায়নিজ অনেক দামী খাবার আমাদের কাছে। ওই সময় চাইলেই আমরা টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারতাম না। তাই বলা হলো যেভাবেই হউক বাসায় ম্যানেজ করে টাকা নিয়ে আসব যে যত পারি।
বিকেল বেলা গোড়ান টেম্পু ষ্ট্যান্ডের সামনে সবাই কথামতো হাজির হলেও পলাশ আসতে পারেনি। অনেক্ষন অপেক্ষা করেও যখন আসছিল না তখন পলাশের বাসায় গেলাম। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। তাই যেতেই হলো। গিয়ে দেখি পলাশ মন খারাপ করে বসে আছে। কারন সে কোন টাকা জোগাড় করতে পারেনি। তাই লজ্জায় যেতে চাইছে না। আমরা জোড় করে ধরে নিয়ে বের হলাম।
কোথায় যাওয়া যায়!! পরে সবার কথামতো ক্যান্টন চায়নিজ রেস্টুরেন্ট যাওয়ার জন্য রিক্সায় উঠলাম। ক্যন্টন মৌচাক থেকে মগবাজার যেতে রাস্তার ডানে ছিল। এখন আছে কিনা জানা নেই।
গিয়ে বসে আছি। মেন্যু নিয়ে ওয়েটার এলো। কোন খাবার কেমন তেমন ভাল জানি না প্রায় সবাই। ওদেরকে বললাম সবাই খায় এমন খাবার পছন্দ করে দিতে। যাক শেষ পর্যন্ত থাই স্যুপ, অন্থন ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, ফ্রায়েড রাইস অর্ডার দিলাম।
থাই স্যপ মুখে দিয়েই হাসান টয়লেটের দিকে ছুটল। আমার অবশ্য তেমন খারাপ লাগেনি।
তবে ভাল যে লেগেছিল তাও না। কিন্তু অন্থন ফ্রাই খাওয়ার পরে এতোই ভাল লেগেছিল যে দ্বিতীয় বার অর্ডার দিতে হয়েছিল। চিকেন ফ্রাই আর রাইসও খুব ভাল লেগেছিল। এখনো মুখে লেগে আছে!!!
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ওখান থেকে বেড়িয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভিতরে গেলাম আঁখিকে দেখতে।
আঁখি কে মনে প্রশ্ন আসছেতো। আরে না যা ভাবছেন তা না।
আমাদের এক বন্ধুর বাসা পুলিশ লাইনের ভিতরে। তাদের বাসায় হরিন পালত। হরিনের একটা বাচ্চা হয়েছে। আমার বন্ধুটি নাম দিয়েছে আঁখি। আঁখি নামের একটা মেয়েকে তার ভাল লাগতো। কিন্তু কথা বলার সাহস হতো না। তাই হরিনের নাম রেখে তার সাথে কথা বলতো।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ধইন্যা
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: এই বার আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। পরীক্ষা চলছে, এইচ, এস, সি পরীক্ষা। ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা তেমন ভালো হয়নি। কী করি? এক বন্ধু বললো, দোস্ত নির্ঘাত ফেল মারবো।
আমি বললামঃ দুইটা মিলিয়ে পাস হবে না?
ঃ জানি না, মনটা খুব খারাপ। কী যে করি।
ঃ হুম, আমারও ভালো হয়নই। ছোট প্রশ্ন কমন পড়েনি।
ঃ চল দোস্ত, চাইনিজ এ যেয়ে স্যূপ খাই। মন যদি ভালো হয়। (আগেই বলে রাখি, এই বন্ধু স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো এবং খাওয়ার ব্যাপারে বেশ নাম ডাক আছে।)
ঃ চল।
এই বার পকেটে কত আছে, এইটা তো জানি, খুব বেশি নাই। তাই সামান্য কিছু খাবো। সামান্য মানে, সবচেয়ে কম দামীটা আর কী। আমরা গেলাম, রাজধানী সুপার মার্কেট এর সাথে যে চাইনীজ রেস্টুরেন্ট আছে সেই টাতে। মেন্যূ এলো। আমরা দেখলাম, পকেটের টাকা দিয়ে কেবল স্যূপটাই খাওয়া যায়। (আর একটু বলা দরকার, এর আগে আমরা কেউ চাইনীজ রেস্টুরেন্ট এ অর্ডার দিয়ে খাইনি।) তো সবচেয়ে কমদামী (এক প্লেট ৮০ টাকা সময়ঃ ১৯৯৭ সাল) ডিম স্যূপ অর্ডার দিলাম ২ টা। বেয়ারা বললো, স্যার আগে একটা দেই, শেষ করতে পারলে আরেকটা অর্ডার দিয়েন।
বললাম, বেশ।
সেই একটা স্যূপই আমরা দুই জনে শেষ করতে পারিনা। কি কষ্ট করে যে শেষ করেছি! আগে জানলে কী আর কমদামী স্যূপ এর অর্ডার দেই? কিন্তু ততক্ষণে কেল্লাফতে। শুধু স্যূপ খেয়ে বাসায় ফিরলাম।
আপনার লেখার শিরোনাম দেখে মনে পড়ে গেল সেই দিনের স্মৃতি। কিন্তু সেই বন্ধুটির নাম মনে নেই, তবে চেহারা এখনো মনে আছে। নিশ্চয়ই অনেক বদলে গেছে। হঠাৎ দেখা হলেও চিনতে পারবো না। স্মৃতি কেবলি বেদনার।
ভালো থাকুন। হ্যাপী ব্লগিং।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এতো বড় মন্তব্য করার জন্য।
হে হে হে আমাদেরো এমন ব্যাপার ছিল---পকেটে টাকা থাকলেও না থাকলেও মোহম্মদপুর বিহারী'র ওখানে চিকেন স্যুপ খেতে যেতাম। মাত্র ৭ টাকা ছিল---ভাল লাগত।
আমারো এমন হয়েছে--যখন লিখছিলাম, স্মরন করার চেষ্টা করছিলাম।।আমরা কতজন বন্ধু ছিলাম--কোনাভাবেই মনে করতে পারলাম না। স্মৃতি মাঝে মাঝে বেদনার বটেই।
আশা করছি সেইসব দিন বদলে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল নিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বা হবেন।
শুভকামনা
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
কালোপরী বলেছেন: canton এখনও আছে আমার বাসার গলির মুখে
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: তাই নাকি?? বেশ ভালতো।
পরের বার দেশে গেলে আমার ছেলেকে নিয়ে যাব---ছেলে যদিও এখনো খেতে শিখেনি--বা বলতে পারেন বাইরে খাওয়ার মতো সময় হয়নি।
অনেক ধন্যবাদ তথ্যের জন্য।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০
পরোবাশি২০১৩ বলেছেন: Now listen to mine! Only Chinese Restaurant in Dacca then was Chou Chin Chow in Gulistan Building 2nd floor. They used to serve frogs???
Guess the years?......................................................................................................................................................................................................................................................................................early 1960s!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আরে আপনার সময় কালের ঢাকার কথাতো চিন্তাই করতে পারি না।
আমাদের জন্মের অনেক অনেক বছর আগের কথা।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক ভাল লাগল।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫
কাকঁন বলেছেন: চায়নিজ রেস্টুরেন্ট মানে মনে হয় সাপ সাপ
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৫
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: পরোবাশি২০১৩ বলেছেন: Now listen to mine! Only Chinese Restaurant in Dacca then was Chou Chin Chow in Gulistan Building 2nd floor. They used to serve frogs??
আসলেই চায়নিজ নিয়ে আমাদের ধারনা ছিল ওখানে বুঝি সাপ/ব্যাং খেতে দেয়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি কেমন আছেন??
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১
নাঈম আহমেদ বলেছেন: ভাইরে ১ বছর ধরে চীনে আছি যা খাই সবই চাইনিজ
...প্রতিবেলা চাইনিজ
আর ভাল্লাগেনা
আগে নিজে রান্না করতাম এখান অভ্যাস হয়ে গেছে... সময়ও পাইনা
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৯
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: হুম আসলেই একি রকম খাবার সবসময় ভালা লাগার কথাও না।
আমি ২ বার চায়নাতে গিয়েছিলাম। একবার ২০০৮ এ সাংহাই তে আর একবার ২০০৯ এ বেইজিং এ। চায়না বেশ ভাল লেগেছিল। সাংহাই এর খাবার বেশী ভাল ছিল। তবে আমাদের গাইড ছিল তাই ভাষাগত সমস্যা হয় নাই আর খেয়েছিও দামী খাবার। তাই হয়তঃ।
আপনি কোন শহরে থাকেন?? খুব পরিচিত না হলে অবশ্য নাম বললে চিনব মনে মনে হয় না।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চাইনিজ খাবার ভালা পাই
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩১
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি অবশ্য চপস্টিক বেশ ভালভাবেই ব্যাবহার করতে পারি।
কোরিয়াতে অনেক বছর আছি--না পেরে উপায় আছে বলুন।
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫২
নাঈম আহমেদ বলেছেন: আমি শিয়ামেন থাকি... শিয়ামেন ইউনিভার্সিটি তে পড়াশুনা করছি
Click This Link
Click This Link
ফেবুতে আমাদের পেজ
http://www.facebook.com/bdstudentscn
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবারো।
আপনার ছবি ব্লগ আগে দেখেছি এবং আমার ল্যাবের চায়নিজ ছাত্রকে দেখিয়েছি। আপনার ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর।
ভাল থাকবেন--শুভকামনা।
ফেবুতে এড করে নিবনে।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ++++++++
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপূর্ন ভাই
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬
েবনিটগ বলেছেন: সে সময় আপনি কত বড় ( বা ছোট ) ছিলেন?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আমি কত বড় বা ছোট ছিলাম এটা জানার দরকার পড়ল কেন ভাই?
বলেছিতো স্কুলে পড়ি। সেটা ক্লাস ৬ থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত যে কোনটা হতে পারে।
যাই হউক আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি।
১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: চাইনিজ খাইতে মন্চায়।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
Click This Link
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: চায়নিজ খেয়ে নেন---আমারও খাইতে মন চায়।
ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
মদন বলেছেন: +