![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অর্থনীতির উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন। এখনো বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস, উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্র বেশি জরুরি। তবে এরকম বিশ্বাসীদের সংখ্যা কমছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের (আইআরআই) একটি জরিপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জরিপ তত্ত্বাবধানে আরো ছিল গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারস।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ২ হাজার ৫৫০ জনের উপর জরিপটি করা হয়।
জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্র বেশি জরুরী। যদিও জুন মাসে এই হার ছিল ৬৮ শতাংশ, কিন্তু তা কমে এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫১ শতাংশে।
অন্যদিকে গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়ন বেশি জরুরি বলে যারা মনে করে, তাদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২৭ শতাংশ থেকে এই হার বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, গণতন্ত্রে সমস্যা থাকলেও, অন্য যেকোনো ধরণের সরকারের চেয়ে তা ভালো।
তবে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার বলে মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ।
আইআরআই জরিপ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বলে বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস
৬৮ শতাংশ মানুষ এটি মনে করেন, তবে ২৩ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, তার কোনো দরকার নেই।
জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশী মনে করেন, শিক্ষা, যোগাযোগ, অর্থনীতির উন্নয়নের কারণে দেশ ঠিক পথেই রয়েছে। তবে ৩২ শতাংশের মতে, বাংলাদেশ ভুল পথে হাঁটছে, কারণ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। ২০১৩ সালে ৬২ শতাংশ মানুষ মনে করতো, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে।
আইআরআই বলছে, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী। তাদের নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সক্ষমতা আরো বাড়বে। তবে দুর্নীতি এখনো একটি বড় সমস্যা এবং সরকার সেটি মোকাবেলায় যথেষ্ট চেষ্টা করছে না বলেই তাদের ধারণা।
আইআরআই এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ড্রেক লুইটেন বলছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে অর্থনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বোঝা যাচ্ছে, যদিও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে সবক্ষেত্রেই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে।’
বিশ্বের অনেক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ ও গবেষণা করে আইআরআই।
বাংলাদেশেও ২০০৮ সাল থেকে জরিপ পরিচালনা করে আসছে সংস্থাটি।- বিবিসি
©somewhere in net ltd.