![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আড়াই বছর বয়স থেকেই লিবিয়াতে পড়ে আছি - প্রথমে মিসুরাতা, এরপর সিরত, এরপর আইএসের দখল থেকে বেরিয়ে ত্রিপলীতে। জীবন তিন জায়গাতেই সমান বৈচিত্রহীন। যেখানে মনের কথাগুলো খুলে বলার মতো কোন মানুষ নেই। তাই মাঝে মাঝে ছুটে আসি ইন্টারনেটে। নিজের না বলা কথাগুলো বলার জন্য অথবা অন্যের বলা কথাগুলো শোনার জন্য।
আগামীকাল (শুক্রবার) ঈদ। ঈদে কি করব? করার আসলে তেমন কিছুই নেই। সকালে ঈদগাহে যাব। সেখান থেকে হয়তো বাসায় ফিরতেও পারি অথবা সরাসরি শামীম-শাওনদের বাসায়ও চলে যেতে পারি - বলা যায় না কি করব। সিরতে এখন আমার সমবয়সী বলতে এই দুই জনই আছে। কাজেই ঈদে বেড়াতে গেলে শুধু ওদের বাসায়ই যাওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রতিবেশী তিন-চারটা বাংলাদেশী বাসা এবং লিবিয়ানদের বাসায়ও যাব।
আর যদি ঘরে থাকি, তাহলে ফুল সাউন্ড দিয়ে গান শুনব এবং মিস্টার বিন অভিনীত জনি ইংলিশ ফিল্মটা দেখব। সিডিটা কিনেছি কিন্তু এখনও দেখা হয়নি। গত বছর ঈদের দিন দেখেছিলাম ট্রয় 2000 এবং টাইটানিক। এবছর স্পার্টা দেখব ভেবেছিলাম কিন্তু পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে জনি ইংলিশই কিনে আনলাম।
আগে যখন আমাদের ডিশ ছিল না, তখন ঈদের দিন আরবী চ্যানেলগুলোতে (বিশেষতঃ MBC, ART) সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান দিত - সেগুলো দেখেই সময় কেটে যেত। (আরবীয়দের ইসলাম প্রচারের যুগের এবং প্রাক-ইসলামিক যুগের পটভূমিতে নির্মিত নাটকগুলো খুব দারুণ হয়।) কিন্তু এখন ডিশ কেনার ফলে শুধুমাত্র বাংলা চ্যানেলগুলোই দেখা হয় (আরবী হেড লাগাই নি) - আর বাংলাদেশে তো ঈদের অনুষ্ঠান শুরু হবে আরো দুই দিন পরে। কাজেই টিভি দেখার চান্স নেই।
অন্যান্যবার তো এখানকার ঈদের দুই দিন পরে অর্থাত বাংলাদেশের ঈদের সময় কিছু অনুষ্ঠান দেখা হতো - এবার বোধহয় তাও হবে না। কারণ ঈদের দুদিন পরই জরুরী কাজে ত্রিপলীতে যেতে হতে পারে। কাজেই এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের চেয়ে আমার এবারের ঈদ সম্ভবত আরো বোরিং হবে।
আমার ঈদ যেরকমই হোক, আশা করছি আপনাদের ঈদ ভালোই কাটবে।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:২২
হমপগ্র বলেছেন: ত্বোহা ভাই খোবজা খান আপনি?
"সাম্বা" নামের ওয়েফার কি এখনো আছে?
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৩
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: আমরা শুধু দুইবার খারুফ (দুম্বা) কুরবানি দিয়েছি আর সববার ছাগলই দেই। খারুফে শাহাম (চর্বি) বেশি।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৭
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: লিবিয়ার অন্য সবজায়গায় সম্ভবত মসজিদে মসজিদেই ঈদের নামায হয়, তবে সিরতে ঈদগাহে হয়।
এখানে প্রতিটা শহরে একটা করে নিচের দিকে গোল উপরের দিকে পাহাড়ের চূড়ার মতো একধরনের ভবন আছে, যেখানে সাধারণত মোতামারা (মিটিং) হয়, একে মুতাবা' বলে, জানেন নিশ্চয়ই। সিরতে মুতাবা'য়ার সামনের খোলা জায়গাটা অনেক বড়। গাদ্দাফী আউয়াল সেপ্টেম্বরে লিবিয়াতে আসলে সাধারণত এখানেই জনসভায় ভাষণ দেয়। এটাই হচ্ছে সিরতের ঈদগাহ।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ঈদ মোবারক
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৫২
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মোবারক। আপনি কোথায় থাকেন? সেখানে কবে ঈদ? লিবিয়াতে তো আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:২২
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঈদ মোবারক আপনাকে।
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৯:০৮
অজানা অচেনা বলেছেন: ঈদ মুবারাক। আপনার ঈদ ব্যাতিক্রমী হোক এই কামনা করছি।
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:১৮
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: ধন্যবাদ@অজানা অচেনা। ঈদ হল - কিন্তু মোটেই ব্যাতিক্রমী হয় নি। বরাবরের মতোই ...
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:১৫
হমপগ্র বলেছেন: আপনি এতো লিবিয়া লিবিয়া করেন, আর আমার খালি লিবিয়ার কথা মনে পরে যায়।
আমি খুব মিস করি লিবিয়াকে। ওখানে আমরা দুম্বা কুরবানি করতাম, এইটা খুব মনে পরে। আর ঈদে, বেঙ্গাসির সবচেয়ে বড় মসজিদে যেতাম।