নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে কিছু লিখলে দু দিন পর পর এসে ইডিট করে পরিবর্তন করতে হয়। একজন জীবিত ব্যাক্তির সম্পর্কে স্থায়ী কিছু লেখা যায় না কারন সব কিছুই পরিবর্তনশীল তাই আমার সম্পর্কে এখন লেখার মত কিছু নেই।

তেীহিদুল ইসলাম শওকত

অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির অংশ সৌরমন্ডলের অধীন পৃথিবী নামক গ্রহের স্থানীয় প্রাণী।

তেীহিদুল ইসলাম শওকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুদেশ ভারতের ট্রানজিটনামা!

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

ঘটনা-১ঃ


বাংলাদেশ নেপালে জল বিদ্যুৎতে ইনভেস্ট করতে চায় কারণ সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কম। আর নেপাল যেহেতু বাংলাদেশের খুব কাছে(সব চেয়ে কাছের সীমান্ত ২৫ কিলো ) তাই সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে ভারত হয়ে ট্রানজিট দিয়ে নিয়ে আসলেও তেমন বেশি খরচ পড়বে না সব ফি দিয়েও। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল এত কম টাকার বিদ্যুৎ বন্ধুদেশ(!) বাংলাদেশ ব্যাবহার করুক সেটা একজন শুভাকাঙ্ক্ষী দেশ হিসেবে ভারত চায়নি। ভারত জানিয়ে দিলো ট্রানজিট এরিয়া তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিকেন নেকে(!) এখান দিয়ে খাম্বা বসিয়ে তার টানলেও নাকি অনেক নিরাপত্তা ঘাটতি দিবে। রোড কিংবা ট্রেন ট্রানজিটতো দুর কি বাত ।

তারমানে কি শুভাকাঙ্ক্ষী ভারত আপনাকে বিদ্যুৎ ছাড়া রাখবে?
নু... নু.. নু তাহলেও আপনি ভুল ভাবছেন!
ভারত আসলে বাংলাছবির ভিলেনের মত এত পাষাণ বা পাষাণী না । ভারত তার একটা প্রদেশ ঝাড়খান্ডে আদিবাসীদের প্রচুর উন্নায়নের শর্বি কলা দেখিয়ে উচ্ছেদ করে সেখানে আপনাদের জন্য আদানিকে দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে নেয়। এবং সেই বিদ্যুৎ যেহেতু ভারত থেকে আসবে তাই প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ঘি(থুক্কু!) কয়লা দিয়ে বানিয়ে প্রিমিয়াম দামে বিক্রি করলো আপনাদের কাছে। এই বিদ্যুৎ বিক্রি করে আদানিও খুশি ভারত সরকার ও খুশি এবং বাংলাদেশের সহ-সভাপতিরাও খুশি(!)। বাইদা ওয়ে, এক চুক্তিতে এত পক্ষ খুশি এইটা পৃথিবীতেও বিরল ঘটনাও বটে। (সূত্রঃ ডেইলি স্টার : https://shorturl.at/1RNfu )

ঘটনা-২ঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে ভারতের পণ্য খালাস হয়ে সেই পণ্যর একটি রুট যাবে বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনী হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর আগরতলা । আরেকটি রুট কথা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে ভারতের মিজোরামে । বাইদা ওয়ে ট্রানজিট ফি কত পাবে বাংলাদেশ সেটা ইদের পর জানিয়ে দেয়া হবে । যদিও চট্টগ্রাম বন্দর এমনিতেই খুব ব্যাস্ত বন্দর আমাদের নিজ দেশের পণ্যই খালাস করতে অনেক সময় লেগে যায়। বন্ধু দেশের পণ্য আসলে কার গুলো আগে খালাস হবে বা বন্দরের নিরাপত্তা কীভাবে বিধান হবে সাধারন জনগণের জানা নেই। কারণ বড় বিপদ রাসেল বাইপার নিয়ে জনগণ চিন্তা করে কুল পায় না এই সব হাবিজাবি বিষয় নিয়ে ভাবার টাইম না।

ঘটনা-৩ঃ বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি বর্ডার থেকে মেঘালয়ের তুরা অঞ্চল পর্যন্ত আরেকটি রেল ট্রানজিট ভারত দাবি করে বসে আছে । এই ট্রানজিট রুট হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এলিপ্যান্ট নেকের উপর রেল ট্রানজিট। যেটা দিয়ে নির্বিগ্নে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের দুই অঞ্চলে ট্রেন আসা যাওয়া করবে।তাদের দাবি মোতাবেক এই রুটে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে রুট ছিল তাই এটাকে আবার একটিভ করা তাদের দুই অঞ্চলের(ভারতের) মানুষের দাবি (সূত্রঃ আনন্দবাজার : https://shorturl.at/yNXFk )

এত কিছু পিয় বনডুর জন্য করার পর ও যখন ভারত আমাদেরকে বলে বসে "ইউর পারফর্ম হোয়াট হ্যাপ্নিং " তখন মন চায় মেজাজ খারাপ করে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে লাইনে দাঁড়াইয়া ভারতের ভিসা নিয়া সিক্কিম ঘুরে এসে তাদের কে বলি "ওয়াট ডু ইউ মিন?"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

নতুন বলেছেন: কারণ বড় বিপদ রাসেল বাইপার নিয়ে জনগণ চিন্তা করে কুল পায় না এই সব হাবিজাবি বিষয় নিয়ে ভাবার টাইম না।

দেশের এমন ছোট ছোট সিদ্ধাতের সময়

বোট ক্লাব, কুত্তা বিরিয়ানি, কয়লার চালান না আসা, রাসেল ভাইপার, ঢোলকলমির পোকা, মিলটন জোমাদ্দার, লাখ টাকার ছাগলের মতন অনেক বড় বড় জিনিস ভাইরাল হবে।

এই বড় বড় জিনিস নিয়ে যখন জাতী ব্যস্ত থাকবে তখন সরকার ট্রান্সিটের মতন ছোট্ট জিনিস গুলি হালাল করে ফেলবে...

২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখার বিষয়বস্তু নিয়ে আমি বেশ পরিচিত। বিষয়গুলো নিয়ে অনেকদিন ধরেই লিখার চিন্তা করছিলাম, আপনি উল্লেখ করাতে বেশ ভালোই হলো। এগুলো নিয়ে খুব বেশী বাংলাদেশী ভাবে বলে মনে হয় না। ভারত থেকে বাংলাদেশ খুব বেশী কিছু কোনদিনও পাবে না তবে বাংলাদেশকে দিতে হবে আরো অনেক কিছু। এগুলো নিয়ে ভাববার লোক কম, সবাই একরকম লুটে-পুটে নিজের পকেট ভরা নিয়ে ব্যস্ত। ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: ---

**বন্ধুদেশ ভারতের ট্রানজিটনামা**

বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক সবসময়ই জটিল এবং বহুমুখী। কিছু বিষয় পর্যালোচনা করা যাক:

**ঘটনা-১: বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ট্রানজিট সমস্যা**

বাংলাদেশের নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ এবং ভারতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা স্বাভাবিকভাবেই যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু ভারতের "চিকেন নেক" অঞ্চল দিয়ে ট্রানজিটে নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ। একই সময়ে, ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রিমিয়াম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য আদর্শ সমাধান না হলেও তা বর্তমান বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

**ঘটনা-২: চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে ভারতের পণ্য পরিবহন**

ভারতের পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার এবং বাংলাদেশের চিকেন নেক হয়ে ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে মিজোরামে রুট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যস্ততা ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো সাধারণ জনগণের উদ্বেগের কারণ। যদিও ট্রানজিট ফি সম্পর্কে ইদের পর জানানো হবে, তবুও বাংলাদেশের নিজস্ব বন্দরের চাপ এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো অগ্রাধিকারে থাকা উচিত।

**ঘটনা-৩: হিলি বর্ডার থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত রেল ট্রানজিট**

ভারতের দাবিকৃত রেল ট্রানজিট রুটটি বাংলাদেশের এলিফ্যান্ট নেকের ওপর দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যদিও এই রুটটি স্বাধীনতার পূর্বে কার্যকর ছিল, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে।

বন্ধুদেশ ভারতের এতকিছুর পরেও যখন বাংলাদেশের পারফর্মেন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন বাংলাদেশীদের মেজাজ খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। হয়তো সিকিম ভ্রমণ শেষে ভারতে ফিরে গিয়ে বলতে হবে, "ওয়াট ডু ইউ মিন?"

(সূত্রঃ [ডেইলি স্টার](https://shorturl.at/1RNfu), [আনন্দবাজার](https://shorturl.at/yNXFk))

---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.