নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির অংশ সৌরমন্ডলের অধীন পৃথিবী নামক গ্রহের স্থানীয় প্রাণী।
মনে হচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময় শেষের দিকে। গত এক সপ্তাহে বিদ্রোহীরা এত দ্রুত গতিতে এগিয়েছে যাকিনা অবিশ্বাস্য। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে বিদ্রোহীরা। এই বিদ্রোহীরা আবার বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত।
তার মধ্য হায়াত আল শাম যারা কিনা ইসলামি খেলাফত চায়।
আরেক গ্রুপ তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মি এরা আবার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চায়।
এদের বাহিরে আরেকটা গ্রুপ সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স যারা অলরেডি সিরিয়ার অর্ধেকের মত দখল করে আছে গত ৫-৬ বছর আর পুরো অঞ্চল আবার তেল সমৃদ্ধ এবং এরা আবার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ও কুর্দি জাতি গোষ্ঠী।
অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়া, ইরান এবং হেজ বুল্লাহর সমর্থন নিয়ে এত দিন টিকে আছে ২০১১ সালে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগ সুন্নি আরব। অন্য দিকে বাশার আল আসাদ শিয়া আরব এবং বাশার পরিবার সিরিয়ায় প্রায় ৪০ বছরের অধিক সিরিয়া স্বৈরশাসন চালিয়ে আসছে।
যদিও ২০১১ সালে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে একেবারে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বাশার আল আসাদ ২০১৬-১৭ সালের দিকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলি। আর এর ক্রেডিট ছিল রাশিয়া, ইরান ও হিজবু ল্লাহর। যারা অস্ত্র ও জনবল নিয়ে বাশার আল আসাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
আসাদের বর্তমানে জয়ের অবস্থা থেকে একেবারে আবারো পরাজয়ের কিনারায় চলে আসার পেছনে কিছু বাটারফ্লাই ইফেক্ট কাজ করছে।
গত কিছু দিনে ইস্রাইলের এর সাথে হিজবুল্লাহ ও ইরানের যুদ্ধের কারনে তাদের জনবল সিরিয়া থেকে সরাতে হয়েছে এবং ইজ্রালের হামলায় হিজবু ল্লাহ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া এবং ইরান নিজের সিকিউরিটি নিয়ে বেশী ব্যাস্ত থাকা এবং সর্বোপরি রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাস্ত থাকায় বাশার কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায়।
কিন্তু এত কিছুর মাঝেও বিদ্রোহীরা এতদুর আসতে পারতো না যদি না তুর্কি থেকে গ্রিন সিগনাল না পেত। কারণ এই বিদ্রোহীদের বড় অংশই তুর্কি ব্যাকড এবং তুর্কি প্রশক্ষিত। যদিও এখানে বাশার আল আসাদও তার মিত্রদেরও দোষ ছিল কারন তুর্কী বার বার বলার পরও আসাদ বিদ্রোহীদের সাথে বসতে চায় নাই এবং সুন্নি আরবদের সিরিয়া পুনর্বাসন নিয়ে আগ্রহী ছিলও না। কারন এই সুন্নি আরবের বড় অংশই আবার তুর্কিতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত। এবং শরণার্থীদের কারনে তুর্কী অর্থনীতি অলরেডি টালমাটাল।
যাইহোক এই সিরিয়া যুদ্ধ আসলে যারা ক্লোজলি ফলো করবে তাইলে হের মাথা নষ্ট হইতে বাধ্য কারন এখানে পুরো বিশ্বের পরাশক্তি আঞ্চলিক শক্তি ননস্টেট শক্তি সব জড়িত। দেখা যাক বাশার আল আসাদের ভাগ্য কি ঘটে । অবস্থানদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাশারের ভাগ্য এখন আংকারায় ।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিবরণ ভালো হয়েছে।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:১৯
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
রাশিয়া কিংবা ইরানের এয়ারফোর্ষ বাশারে পক্ষে না'এলে, বাশারের বাহিনী পালিয়ে যাবে, আত্মসমর্পন করবে।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১১
কামাল১৮ বলেছেন: রাশিয়ার একটি এয়ারবেস আছে আর সেই সাথে আছে চোট একটা নেভালবেস।তারা আসাদকে রক্ষা করবে।রাজধানির পতন সহসা হবে না।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩
রাসেল বলেছেন: বর্তমানে, যুদ্ধ একটি ব্যবসা।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আসাদ পর্ব শেষ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাসার আল আসাদ নিপাত যাক, সাধারণ মানুষ মুক্তি পাক।