নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট বেলায় মা বলত তুই একটা খাম্বা তোরে দিয়া কিছুই হবে না।

টোকাই রাজা

ঘুমন্ত মানুষ গুলো যদি জেগে উঠে বলতো - আমি আছি

টোকাই রাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের প্রলয়ংকরী ১০ ভূমিকম্প ও অন্যান্য :(( :((

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

যদিও এর আগে অনেক জ্ঞানী গুনী লেখক/ব্লগার ভুমিকম্প সর্ম্পকে অনেক সুন্দর, তথ্যমুলক ও সতকর্তামুলক পোস্ট করেছেন। তাদের প্রেরনাই আমার এই পোস্ট।
ভূমিকম্পের ভয় নতুন কিছু নয়। বিশ্বে এর আগেও বহুবার প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প আঘাত হেনে কেড়ে নিয়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবন।
অস্ট্রেলিয়ান জিয়োগ্রাফিক অবলম্বনে আসুন জেনে নিন পৃথিবীর প্রলয়ংকরী ১০টি ভূমিকম্পের খবর।


১। ভালদিবিয়া, চিলি
১৯৬০ সালের ২২ মে চিলির ভালদিবিয়া রিখটার স্কেলে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ যাবতকাল পর্যন্ত রেকর্ড করা এটিই সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ১ হাজার ৬৫৫ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হন। ভূমিকম্পে চিলিতে ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০ লাখ লোক বাস্তুহারা হন। পরবর্তীতে দেশটির সরকার তখন রীতিমতো পরিকল্পনা করে তাদের দেশের বিল্ডিং নিয়ম মেনে ভূমিকম্প সহনীয়ভাবে তৈরি করতে শুরু করে। পরে ২০১৪ সালে চিলিতে আবার যখন ৮.২ মাত্রার একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন সেদেশে মানুষ মারা যায় মাত্র ছয়জন! ক্ষক্ষতির পরিমানও হয় খুব কম। নিয়ম মেনে বিল্ডিং তৈরি করলে যে কী লাভ হয়, চিলির এই ভুমিকম্পই তার একটি চমৎকার উদাহরণ।



২। প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ড, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র
১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ডে ৯ দশমিক ২ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই ভূমিকম্পের আঘাতের ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। ফলে সেই সুনামিতে নিহত হন প্রায় ১২৮ জন। সেই ভূমিকম্পে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।



৩। সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
৯ দশমিক ১ মাত্রার এ ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ জন নিহত হন। প্রাণহানির দিক থেকে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অভিশপ্ত ভূমিকম্প ছিল। ২৬ মার্চ ২০০৪ সালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার ১৪টি দেশে ১৭ লাখ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



৪। সেন্দাই, জাপান
২০১১ সালে ১১ই মার্চ জাপানের পূর্ব উপকূল তোহুকুতে এক ভয়াবহ ভুমিকম্প হয় । সেই ভুৃমিকম্পের নাম দেওয়া হয় ‘গ্রেট ইস্ট জাপান আর্থকোয়াক’। সেই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯। ভূমিকম্পের পর সংঘটিত হয় ভয়ংকর সুনামি। ওই সুনামির ১৩৩ ফুট উঁচু ঢেউ ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় বিপুল সম্পদের। এতে আক্রান্ত হয় জাপানের পারমাণবিক চুল্লিও এবং ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এত অনেক শিশু বাচ্চাও প্রান হারায়। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ধরা হয় এটিকে।



৫। কামচাটকা, রাশিয়া
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর রাশিয়ার কামচাচকায় ৯ মাত্রার একটি ভুমিকম্প হয় ওই ভূমিকম্পের ফলে রাশিয়ান হাওয়াইয়ান দ্বীপ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়। তবে সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল, ওই ভূমিকম্পে কারও প্রাণহানি হয়নি।



৬। বায়ো-বায়ো, চিলি
ঘুরেফিরে আবার সেই চিলি। ২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভুমিকম্প হয়। এ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫২১ জন নিহত হন। এছাড়া ৫৬ জন নিখোঁজ ও ১২ হাজার মানুষ আহত হন। আট লাখেরও বেশি মানুষ বাড়ি-ছাড়া ও ১৮ লাখের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর চিলি সরকারের ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়, যা আর্থিক ক্ষতির দিক থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড।



৭। ইকুয়েডর
১৯০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ইকুয়েডরে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ইকুয়েডর ও কলাম্বিয়ায় প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়। ওই সুনামির ঢেউ আঁছড়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিসকো উপকূল থেকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি জাপান পর্যন্তও।



৮। র‌্যাট আইল্যান্ডস, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র
১৯৬৫ সালের ২ এপ্রিল আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। সুনামিতে আলাস্কার শেমিয়া দ্বীপে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচুতে ঢেউ আঁছড়ে পড়ে। আমচিতকা দ্বীপে বন্যারও সৃষ্টি হয়। কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।



৯। সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সেই ইন্দোনেশিয়ার, সুমাত্রায় ভয়ানক ভুমিকম্প হয়। ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১ হাজার ৩১৩ জন নিহত হন। আহত হয় ৪০০ জনের বেশি।

১০। আসাম, ভারত ও তিব্বত, চীন
১৯৫০ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের আসামে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। ভারতের আসামে হলেও এই ভুমিকম্প বিধ্বংসী আঘাত হানে পার্শ্ববতী চীনে। এই ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ভূমিধস হয়। চীনের তিব্বতের পূর্বাঞ্চলে নিহত হন ৭৮০ জন। আসামে বহু মানুষের প্রাণহানির আশংকা করা হলেও শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আসুন এবার জেনে নিন ভুমিকম্পের ইতিহাস, কারন ও উৎপত্তিঃ-

ভূমিকম্পঃ- ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীরনের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হটাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষনিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষনস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরে। ভূমিকম্প সাধারনত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক/দু-মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দূর্বল হয়, তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালি ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্র :
পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখান থেকে ভূকম্প-তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। এই কেন্দ্র থেকে কম্পন ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের মাধ্যমে সব দিকে ছরিয়ে পড়ে। শিলার পীড়ন-ক্ষমতা সহ্যসীমার বাহিরে চলে গেলে শিলায় ফাটল ধরে ও শক্তির মুক্তি ঘটে। তাই প্রায়শই ভূমিকম্পের কেন্দ্র চ্যুতিরেখা অংশে অবস্থান করে। সাধারনত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিমি.-র মধ্যে এই কেন্দ্র অবস্থান করে। তবে ৭০০ কিমি. গভীরে গুরুমণ্ডল (Mantle) থেকেও ভূ-কম্পন উত্থিত হতে পারে।

ভূমিকম্পের কারণ :
সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে। (১) ভূপৃষ্ঠজনিত (২) আগ্নেয়গিরিজনিত (৩) শিলাচ্যুতিজনিত।
১। ভূপৃষ্ঠজনিত :
আমাদের ভূ -পৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেট এর সমন্বয়ে গঠিত ।এই প্লেট গুলো একটি আরেকটির থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটল দ্বারা ।এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূ-অভ্যন্তরের সকল গলিত পদার্থ । কোন প্রাকৃতিক কারনে এই গলিত পদার্থগুলোর স্থান চ্যুতি ঘটলে প্লেটগুলোরও কিছুটা স্থান চ্যুতি ঘটে। এ কারনে একটি প্লেটের কোন অংশ অপর প্লেটের তলায় ঢুকে যায় যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনই ভূমিকম্প রূপে আমাদের নিকট আবির্ভূত হয়।

২। আগ্নেয়গিরিজনিত :
কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ও গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হবার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে।

৩। শিলাচ্যুতিজনিত :
কখনো কখনো পাহাড় কিংবা উচু স্থান থেকে বৃহৎ পরিসরে শিলাচ্যুতিজনিত কারনে ভূমিকম্প হতে পারে।

পৌরাণিক কাহিনীতে ভূমিকম্প :
ভূমিকম্প নিয়ে নানা ধরনের লোককাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে...
গ্রিক জাতির ধারণা অনুযায়ী তাবৎ ভূমিকম্পের জন্য দায়ী ভূমিকম্পের দেবতা পোসাইডন। পোসাইডন যখন খারাপ মেজাজে থাকেন, তখন ভূমিতে ত্রিশূল দিয়ে প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করেন। ফলে ভূমিকম্প হয়। মানুষের পাপকাজে রাগন্বিত হয়েও তিনি এরকম করেন বলে প্রচলিত আছে।
পশ্চিম আফ্রিকান সংস্কৃতির কিছু মানুষ মনে করত, জীবন টিকে আছে এক দৈত্যের মাথার মধ্যে। গাছপালা সেই দৈত্যের চুল। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী হচ্ছে পরজীবীর মতো, যারা দৈত্যের ত্বকজুড়ে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে দৈত্যটি মাথা এদিক-ওদিক ঘোরায়। তখনই ভূমিকম্প হয়।
জাপানের লোকজন আবার ভূমিকম্পের সঙ্গে নামাজু নামের মাগুর জাতীয় মাছের সম্পর্ক খুঁজে পায়। তাদের মতে নামাজু কাদার মধ্যে বাস করে। কাশিমা নামের এক দেবতা জাপানকে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা করার জন্য স্বর্গীয় শক্তির মাধ্যমে শক্ত পাথর দিয়ে নামাজুকে চেপে ধরে রাখেন। ফলে নামাজু নড়াচড়ার সুযোগ পায় না। যখন কাশিমা তার পাহারা সরিয়ে নেন তখনই নড়ে ওঠে নামাজু। ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত আছে, পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে চারটি বিশালাকৃতির হাতির ওপর। তারা আবার দাড়িয়ে আছে একটি কচ্ছপের ওপর দাঁড়িয়ে। কচ্ছপটি দাড়িয়ে আছে একটি মহিষের দুই শিংয়ের ওপর। এদের মধ্যে যে কোনো একটি প্রাণীর গা চুলকালে তারা নড়াচড়া করে, ফলে পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়।
নর্স পুরাণে আছে সৌন্দর্যের দেবতা বলডারকে হত্যা করার কারণে দেবতা লকিকে একটি বিষধর সাপ মাথার ওপর দিয়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেই সাপ তার মাথায় ক্রমাগত বিষ ঢেলে চলেছে। তার স্ত্রী সেজিন তাকে বাচানোর জন্য একটি পাত্রে বিষ ভরে রাখছে। পাত্রটি পুর্ণ হয়ে গেলে সে যখন তা খালি করতে যায় তখন ক্রমাগত পড়তে থাকা বিষ থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য লকি নাড়াচাড়া করে ফলে ভূমিকম্প হয়।

তবে এযাবৎকালে যত ভুমিকম্প হয়েছে ১২০২ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায় সেদিন। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাজুড়ে ১২০২ সালে। লোকক্ষয়ের দিক দিয়ে সেই ভূমিকম্পকে আজো ছাড়িয়ে যেতে পারেনি অন্যগুলো। সে ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিল প্রায় ১০ লাখ মানুষ। কেবল মিসরের রাজধানী কায়রোতেই প্রাণহানি ঘটে এক লাখেরও বেশি মানুষের। আর স্থায়িত্বের দিক দিয়ে (দীর্ঘস্থায়ী ভূমিকম্প) বড় ভূমিকম্প হয় ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব হয় এক থেকে দেড় মিনিট। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কাতে সংঘটিত এক ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল পাঁচ মিনিট। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬। লোকক্ষয় কম হলেও তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পরিশেষে বলতে চাই যে, ভূমিকম্প নিয়ে এখনও অনেক অজানা রহস্যে রয়েছে। ভয় পেয়ে সেই রহস্যকে দূরে সরিয়ে না রেখে সবাই মিলে তার রহস্য ভেদ করাটাই আমার কাছে মনে হয় যথার্থপুর্ন। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যাতে সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলে রেখে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে পারি এই কামনায় করি। ভালো থাকুক, ভালো রাখুন, অপরের ভালো কামনা করুন।

তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা: উইকিপিডিয়া, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা, গুগল, সামুর বিভিন্ন লেখকসহ অন্যান্য সাইট যেখান থেকে ছবি ও তথ্য নিয়েছি।
বিঃ দ্রঃ কারো কাছে কোন প্রকার তথ্য থাকলে জানাবেন। দরকারে পোষ্টের সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

আরজু পনি বলেছেন: রাশিয়া আর ভালদিবিয়া, চিলির ভূমিকম্পের খবরে তবুও আশা জাগলো...সচেতন সবপক্ষ থেকে হলে ক্ষতি কমানো সম্ভব ।

কিন্তু অবাক হচ্ছি এতো তথ্য সমৃদ্ধ একটা পোস্ট কারো নজরে পড়লো না !

শেয়ারে অনেক ধন্যবাদ জানাই, রাজা ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

টোকাই রাজা বলেছেন: হয়ত উনাদের নজর আরো উপরে, টোকাইকে কে পছন্দ করে বলেন।
আর আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় জানেন না, ব্লগে আসার আগে আমার যে কয়জন ব্লগার এর লেখা ভাল লাগত তাদের মধ্যে আপনি একজন।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন তথ্যপূর্ন পোষ্ট!
++++

আজকের ভূমিকম্প: সংক্ষিপ্ত খবর ~ ~ আমাদের সচেতনতায় কি এখনো ঝাকুনি লাগে নি? নাকি মৃত্যুপুরি হবার পরে জাগবে চেতনা!!!?? পোষ্টে এড করে দিয়েছি আপনার লেখাটিও। :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

টোকাই রাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তথ্যবহুল পোষ্ট। +++++

ভূমিকম্প কবলিত বিভিন্ন দেশের চিত্র থেকে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

টোকাই রাজা বলেছেন: ভূমিকম্প কবলিত বিভিন্ন দেশের চিত্র থেকে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই। সহমত
আপনাদের মতো বড় বড় ব্লগারদের পরা পরেই তো আমার ব্লগে আসা। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

মানুষ হতে চাই বলেছেন: নিয়ম মেনে বিল্ডিং তৈরি করলে যে কী লাভ হয়, চিলির এই ভুমিকম্পই তার একটি চমৎকার উদাহরণ। সহমত
তথ্যবহুল পোস্ট।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

টোকাই রাজা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট! এই পোস্টটি কিভাবে যেন চোখ এড়িয়ে গেলো। যাইহোক, আপনার লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হবে। আর লিখতে থাকুন, এখন নতুন ব্লগাররা দারুন ব্লগিং করছেন!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

টোকাই রাজা বলেছেন: ভাই আপনাদের মতো এত এত বড় বড় গুনিমান ব্লগারদের পরা পরেই তো আমার ব্লগে আসা। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন ভাই আপনাদের মত যাতে আমরাও সামুর মান অক্ষুন্ন রাখতি পারি।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২

সেয়ানা বলেছেন: ভালো ও তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো ।

বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরও লোভী মানুষগুলার লোভ কমে না। ডিজাইন করে দিলেও মানুষ নামের এই পশুগুলা হয় বারান্দা বানানোর নামে রাস্তার জায়গা দখল করবে নইলে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশী বুঝা ৩০-৪০ বছরের ঠিকাদারির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তথাকথিত অভিজ্ঞ ঠিকাদারের কথামত রড কম দিবে, পাইলিং ৬০ ফুট করতে বললে করবে ৩০ ফুট! আর সুযোগ পাইলে কমপক্ষে একতলাতো বাড়াবেই না পারলে অন্তত ব্যাচেলর ভাড়া দেয়ার জন্য দুইটা রুম তো বানাবেই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

টোকাই রাজা বলেছেন: তারপরও লোভী মানুষগুলার লোভ কমে না। ডিজাইন করে দিলেও মানুষ নামের এই পশুগুলা হয় বারান্দা বানানোর নামে রাস্তার জায়গা দখল করবে নইলে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশী বুঝা ৩০-৪০ বছরের ঠিকাদারির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তথাকথিত অভিজ্ঞ ঠিকাদারের কথামত রড কম দিবে, পাইলিং ৬০ ফুট করতে বললে করবে ৩০ ফুট! আর সুযোগ পাইলে কমপক্ষে একতলাতো বাড়াবেই না পারলে অন্তত ব্যাচেলর ভাড়া দেয়ার জন্য দুইটা রুম তো বানাবেই। সহমত
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমার জন্য এটা অনেক পাওয়া যে, আমার পোস্টে আপনাদের মত বড় বড় লেখকদের কমেন্টস পাওয়া।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যপক তথ্যবহুল পোষ্ট, তবে মনে একটাই শংকা কখন না আবার এমন ৯ মাত্রা বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে.......শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম ভাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

টোকাই রাজা বলেছেন: হা ভাই ভয়ে আছি, আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুক। আপনাদের মত জ্ঞানীগুনী লোকদের কমেন্টস পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: +++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

টোকাই রাজা বলেছেন: :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.