![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমন্ত মানুষ গুলো যদি জেগে উঠে বলতো - আমি আছি
সালটা ১৮৫১। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সর্বপ্রথম ‘বর্ণপরিচয়’ নামক গ্রন্থের মাধ্যমে বাংলা বানানের রূপরেখা প্রদান করেন।
১৯১৩ সালে নোবেল জয়ের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বানানঘটিত জটিলতা এড়ানোর জন্য ‘তদ্ভব’ অর্থাৎ ‘সংস্কৃত হতে উদ্ভব’ শব্দগুলোকে আলাদাভাবে সূচিত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
১৯৩৬ সালে প্রকাশিত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বানানের নিয়ম গ্রন্থে বাংলা বানান নিয়ে বেশ কিছু কাজ করা হয়। বাঙাল মুল্লুকে এ নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে। সেই বানানরীতিকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত NCTB (ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সবুক বোর্ড) অনুসরণ করে এসেছে।
’৪৭-এর দেশভাগের পর বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা করার জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার কিছু কৌশলের আশ্রয় নেয়। ১৯৫১ সালে কৌশলে আরবি হরফের বাংলা লেখা চাপিয়ে দিতে চায়। অর্থাৎ সরাসরি সরকারি পরিপত্র জারি না করে কৌশলে সরকারি অফিসারদের মাধ্যমে গণমাধ্যমে চিঠি পাঠায়। কারণ সরাসরি সরকারি পরিপত্র জারি করলে বাংলায় এর ফলাফল হতো ভয়াবহ। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের ১ম খণ্ডের ২১৪-১৬ নং পৃষ্ঠায় সেরকম একটি প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাপ্তাহিক ‘নও বাহার’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে দেখা যেতে পারেঃ
এখানে দেখা যাচ্ছে দুর্নীতি দমন বিভাগের ডি,আই,জি (যুগ্ম সচিব) জনাব আবুল হাসনাৎ পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি প্রতি পত্রিকা থেকে ৩-৪ জন্য কম্পোজিটর চেয়েছেন, যাদেরকে নতুন ভাবে আরবি হরফে বাংলা কম্পোজ করা শেখানো হবে।
জবাবে নও বাহার পত্রিকা তাঁদের রম্য সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করে,
“পূর্ব-পাক গভর্নমেন্টের নিকট আমাদের আরজ, জনাব আবুল হাসনাৎ সাহেবকে পুলিসের ডি,আই,জি পদ হইতে অপসারণ করিয়া ভাষা সংস্কার ও গণশিক্ষার ডি, আই, জি পদে নিযুক্ত করুন। তাঁহার স্বাভাবিক প্রতিভা যখন এইদিকেই রহিয়াছে, তখন তাঁহাকে কেন ডি,আই,জি পদের গুরুদায়িত্ব দিয়া আটক রাখা হয়? ইহার ফলে তাঁহার নিজের সরকারি কাজও তিনি ভালোভাবে করিতে পারেন না। তবে গভমেন্টের পলিসি যদি এমন হয় যে, এক পদে থাকিয়া অন্য পদের কাজ যিনি যত করিতে পারিবেন, তিনি ততোই সুযোগ্য কর্মচারি বলিয়া বিবেচিত হইবেন, তাহা হইলে আমাদের আর কোন আপত্তির কারণ রহিবে না। তখন শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর হইবেন এমন ব্যক্তি, যিনি লেখাপড়া জানেন না। শিক্ষা বিভাগের সেক্রেটারির কাজ হইবে নাটক লেখা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাজ হইবে সাহিত্য ও কাব্য লইয়া রসালাপ করা, ইনকামট্যাক্স অফিসারের কাজ হইবে মাসিক পত্র বাহির করা, আর পুলিসের কাজ হইবে ভাষা সংস্কার করা। সেই রূপ পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্টের কাজ হইবে কোন কিছু পাবলিশ না করা। এরূপ হইলে আমাদের কিছুই বলিবার নাই।“
এরপর ভাষা আন্দোলন। ফলাফল হিসবে বাংলা একাডেমির জন্ম ১৯৫৫ সালে। উনারা গবেষণাধর্মী কাজ করলেও সঠিক বানানের ব্যাপারে শুরুতে ততটা শক্তিশালীভাবে নজর দেন নাই।
১৯৯১ সালে কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে ‘কী লিখবেন, কেন লিখবেন’ নামক বানানের নিয়মকানুন বের হয়। ফলে আমাদের বাংলা একাডেমির উপরে চাপ সৃষ্ট হয়। ১৯৯২ সালে আমাদের বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রবর্তন করে। বিষয়টি বাস্তবায়ন বেশ জটিল। উনাদের নিজেদের ক্ষেত্রেও। গতবছর সংসদে আইন করে ‘বাংলা একাডেমী’-র নাম ‘বাংলা একাডেমি’ করা হয়েছে। অর্থাৎ ‘ঈ’-কারকে চেঞ্জ করতে পুরো আইনটাই চেঞ্জ করতে হয়েছে।
১৯৯৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ‘বাংলা আকাদেমি’ চালু করে। উল্লেখ্য, গ্রিসে D-কে ‘দ’ উচ্চারণ করা হয়। ভারতীয়রা ওটাকেই পরিমিত হিসেবে নিয়েছে।
আমাদের দেশের প্রথম আলো গং ২০০৬ সালে থেকে বানানের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভাষারীতি অনুসরণ করে ‘প্রথমা প্রকাশনী’ পরিচালনা করছে। যেমন সংবিধানে ‘সুপ্রীম কোর্ট’ দু’টি পৃথক শব্দ। আর প্রথমা প্রকাশন লেখে ‘সুপ্রিমকোর্ট’। একটি শব্দ। বানানেও চেঞ্জ। তবে দেখার কেউ নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্ট নিজেই ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন মানে না। এই আইন অনুযায়ী প্রায় সকল সরকারি কার্য বাংলায় করার কথা। কিন্তু উচ্চ আদালতে এখনো ইংরেজিতে মামলা পরিচালনা করা হয়। জানামতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি মামলার রায় বাংলায় লেখা হয়েছে। বাদবাকি সব ইংলিশে।
আগেই বলেছি, ২০১৩ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বানানের ক্ষেত্রে সরকার বাংলা একাডেমিকে অনুসরণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে NCTB (ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সবুক বোর্ড) কিছুটা ক্ষুদ্ধ। কারণ ১৯৪৪ সালের শিক্ষা বোর্ডের বানানরীতি পরিবর্তন করে এখন তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।
ধ্বনি তথা উচ্চারণের লিখিত রূপ থেকে বর্ণের তথা বানানের উৎপত্তি হলেও, পরবর্তী সময়ে উচ্চারণের উপরেও বানানের প্রভাব দেখা যায়। যেমন আরবিভাষীদের বর্ণমালায় ‘প’ না থাকার কারণে উনারা সম্ভবত ‘পাকিস্তান’ বলতে পারেন না। ‘ফাকিস্তান’ জাতীয় কিছু একটা বলেন।
মুঘলদের সাথে উপমহাদেশে এসেছিল ফার্সি ভাষা। আমাদের ব্যাকরণে স্থান নিয়ে নিয়েছে। তবে সরকারও কিছু সূক্ষ্ম চাল চালা শুরু করেছে। দাপ্তরিক কাগজপত্রে ‘বেসরকারি’ না লিখে ‘অসরকারি’ লেখার চেষ্টা করছে। ‘বে’ ফারসি উপসর্গ। সরকার মনে করছে এভাবে সাম্প্রদায়িকতা থেকে উত্তরণ লাভ করা সম্ভব। কারা সরকারকে এইসব তুঘলকি বুদ্ধি দিচ্ছে, তা জনতার কাছে উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।
উর্দুকে বলা হতো ‘ল্যাঙ্গুয়েজ অব দা ক্যাম্প’ বা ছাউনির ভাষা। কারণ বহু জায়গা থেকে মোঘল সামরিক বাহিনীতে যুদ্ধের প্রয়োজনে লোকজন এসেছিল। উনাদের কোন সাধারণ ভাষা ছিল না। তাই সেই যুদ্ধের ছাউনিতেই বহু ভাষা মিশে উর্দু ভাষার জন্ম। এর সাথে হিন্দির মিল রয়েছে। কারণ হিন্দি থেকেও অনেক শব্দ উর্দুতে এসেছে।
তবে ‘৪৭-এর দেশভাগের পর অবস্থা বদলে গেল। হিন্দি ভাষা প্রবলভাবে শব্দ নেয়া শুরু করলো সংস্কৃত থেকে। আর উর্দু ভাষা শব্দ নেয়া শুরু করলো আরবি-ফার্সি থেকে।
ভাষার ব্যবহার বড় বিচিত্র। কোলন আর বিসর্গ এক নয়। কোলনে শুধু ডট থাকে ( : ) আর বিসর্গের মাঝে থাকে শূণ্যস্থান (ঃ)। দু’টোর অর্থ আলাদা। প্রথমটা ব্যাখ্যা বুঝায়। আর দ্বিতীয়টা উহ্য ‘র’ বা ‘স’-কে প্রকাশ করে।
ভাষা সবসময় ব্যকরণকে মানে না। ব্যবহারের সাথে সাথেই তা পরিবর্তিত হয়। যেমন, সন্ধির নিয়মানুযায়ী শব্দটা ‘এতৎদ্বারা’ কিংবা ‘এতদদ্বারা’ কিংবা ‘এতদ্দ্বারা’ হবার কথা। কিন্তু ব্যবহারের কারণে আজ তা ‘এতদ্বারা’-য় পরিণত হয়েছে এবং এভাবেই ব্যকরণে স্থান পেয়েছে।
এগুলো বললে শেষ হবে না।
কার্য (বিশেষ্য)+অর্থ=কার্যার্থ যেমন সঠিক,
তেমনই জ্ঞাত (বিশেষণ)+অর্থ=জ্ঞানার্থ হবার কথা ছিল। হয়ে গেছে ‘জ্ঞাতার্থ’।
এটা ঠিক নয়। কিন্তু কিছুই করার নাই। এখন এটাই প্রতিষ্ঠিত।
‘প্রেক্ষিতে’ বলে কিছু নাই, শব্দটা ‘পরিপ্রেক্ষিতে’
সঠিক বানান ‘পূর্বোল্লিখিত’
লক্ষ্য->Aim বা Purpose –কে বুঝায়
লক্ষ-> সংখ্যা বা Observation। এটা বাংলা একাডেমির কথা। কারণ ওখানের নিয়মানুযায়ী ‘লক্ষ করা’ একটি যৌগিক ক্রিয়াপদ। অবশ্য Observation বুঝাতে অনেকে ‘লক্ষ্য’ শব্দটাকেই ব্যবহার করেন।
‘পরবর্তীতে’->ভুল
‘পরবর্তী সময়ে’->সঠিক
আবার অনেকে একটা নিজস্ব বানানরীতি প্রচলন করতে চান। যেমন ‘লাল গোলাপী’ শফিক রেহমান ‘গ্রিক’ না লিখে লিখতেন ‘গৃক’।
আবার ভারতীয় ‘পরিবর্তন’ নামক পত্রিকাটি First শব্দটিকে বাংলায় ‘ফারসট’ হিসেবে লিখে। অর্থাৎ সকল হসন্ত বাদ।
অপ্রচলিত শব্দেরও শেষ নেই। ‘নাচিজ’ শব্দটার মানে যে অপদার্থ, সেই কথাটাই বা আমরা কয় জন জানি?
মূল উচ্চারণ থেকে সকল ভাষার বানান অনেক আগেই সরে গেছে। গ্রিসে মূল উচ্চারণ ‘প্লাতো’। ইংরেজিতে হয়ে গেছে প্লেটো। একইভাবে ‘আরিস্তোতল’ হয়ে গেছেন অ্যারিস্টটল।
Town –মূল উচ্চারণ ‘টৌন’, হয়ে গেছে টাউন
Council- মূল উচ্চারণ ‘কৌন্সিল’, হয়ে গেছে কাউন্সিল
Governor- মূল উচ্চারণ ‘গবর্নর’, হয়ে গেছে গভর্নর
Harvard- মূল উচ্চারণ ‘হর্বর্ট’, হয়ে গেছে হার্ভার্ড।
পিনাকি সকল ক্ষেত্রে ভৌল নন
বাংলায় পূরণবাচক শব্দ লেখার রীতিটা দেখা যাকঃ
একাদশ-> ১১শ
দ্বাদশ-> ১২শ
বিশের পরে হলে ‘তম’ যেমন ২২ তম।
তবে তারিখবাচক শব্দ লেখার রীতিটা ইংলিশের মতোঃ
‘১ বৈশাখ’ কিংবা ‘১ লা বৈশাখ’- যেটাই লিখুন না কেন,
পড়ার সময় কিন্তু আপনাকে ‘পহেলা বৈশাখ’-ই পড়তে হবে
খ্রি: -> ভুল (দু’টি ডট হবে না)
খ্রি. -> সঠিক (একটি ডট)
রঙ এবং রং-> দুইটাই সঠিক
তবে কিছু কিছু শব্দ ট্রেডমার্ক শব্দ হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি কিংবা ‘বাংলা’ শব্দটি। এগুলো সংবিধানসিদ্ধ। অবশ্য অনেক পণ্ডিতই উৎপত্তিগত বিচার-বিবেচনায় ‘বাঙলাদেশ’ কিংবা ‘বাঙলা’ শব্দদ্বয় ব্যবহার করেন। মিরপুরে ‘বাঙলা কলেজ’ নামক একটি কলেজও আছে। তবে ট্রেডমার্ক শব্দগুলো এভাবে ব্যবহার করা উচিৎ কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে।
কিছু কিছু শব্দ ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর সাম্প্রদায়িক রূপ ধারণ করেছে। যেমন ‘জল’ ও ‘পানি’। কিংবা ‘চাচি’ ও ‘কাকিমা’। উভয়ের অর্থ এক। কিন্তু ব্যবহারের ফলাফল ভিন্ন।
কিছু কিছু শব্দের সাথে ইতিহাস জড়িত। যেমন এরশাদ সরকারের আমলে Dacca বানানটি বদলে Dhaka করায় আমরা ইতিহাস থেকে সরে এসেছি। ঢক্কা বা ঢাকের শব্দ, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাথে ছিল Dacca-র নামের সম্পর্ক। এরশাদের হাতে এই নামবদলটাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ Bogra কিংবা Comilla-কে কিন্তু উচ্চারণের যুক্তি দেখিয়ে তিনি Bogura কিংবা Kumilla করেন নাই। উপমহাদেশে ধর্ম একটি ভয়ানক শক্তিশালী রাজনৈতিক হাতিয়ার।
অজ্ঞাত লাশ-> ভুল
অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ-> সঠিক
Columnist-> উচ্চারণ কলামনিস্ট হবে, কলামিস্ট নয়
সনদপত্র-> ভুল
সনদ-> সঠিক
বাহ্যিক-> ভুল
বাহ্য-> সঠিক
সুস্বাগত-> ভুল
স্বাগত-> সঠিক
বাংলা ভাষায় সাহিত্যিকদের মধ্যে বর্তমানে বানানকে চেঞ্জ করার ৪টি ট্রেন্ড চলছেঃ
১) ‘স’-কে সরিয়ে ‘ছ’-কে ফেরত আনা। যেমন গোসলকে সরিয়ে গোছলকে ফিরিয়ে আনা।
২) উচ্চারণ মোতাবেক বানান করা। কোরেছি, কোনো।
৩) নতুন শব্দবন্ধ সৃষ্টি করা। যুদ্ধবন্দনা।
৪) ‘ঢ়’-জাতীয় অক্ষর, যেগুলো ভাষাকে প্রগাঢ় করার জন্য ঈশ্বরচন্দ্র সৃষ্টি করেছিলেন, সেগুলোকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দেয়া। বানানে ক্রমশ দীর্ঘ ‘ঈ’ ছেড়ে হ্রস্ব ‘ই’-তে ফিরে আসা। অর্থাৎ লেখাকে সহজ করা। সরকারি, অভাবি।
আগে ভাষা, পরে ব্যাকরণ। তাই কোন একদিন হয়তো এভাবে বানান পরিবর্তিত হয়ে যাবে, তবে সেটা করার আগে মূল বানানটা জানতে হবে। নিয়ম না জানতে সার্থকভাবে নিয়ম ভাঙা যায় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সংগ্রহ বিভিন্ন ভাষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট, Wikipedia থেকে। যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। আর এই পোস্টটা বানানরীতি নিয়ে। অর্থাৎ ভাষার ‘লেখ্য রূপ’ নিয়ে। আজকাল অনেক আরজে ভাইয়া/আপুরাই ‘উলালা উলালা’ ভাষায় কথা বলেন। সেগুলো ভাষার ‘কথ্য রূপ’। সেগুলো এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় নয়।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
টোকাই রাজা বলেছেন: বঙ্গ থেকে বাঙলা যদি হয়, উৎপত্তিগত দিক থেকেও বাঙলা' শব্দ শুদ্ধ । আর উচ্চারনও বাঙলা শুদ্ধ । সরকার ভাষার ব্যাপারে সদয় নয়। সহমত
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পদ্মপলাশনীলউৎপললোচনা
-উপরের শব্দটি কি ঠিকভাবে লিখতে পেরেছি?
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
টোকাই রাজা বলেছেন: মনে হয়?
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
টোকাই রাজা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
আহা রুবন বলেছেন: ... আগে মূল বানানটা জানতে হবে। নিয়ম না জানলে সার্থকভাবে নিয়ম ভাঙা যায় না।
মেয়ে না দেখেই অমন মেয়ে পছন্দ নয় বলা...
দরকারি পোষ্ট।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
টোকাই রাজা বলেছেন: আগে মূল বানানটা জানতে হবে। নিয়ম না জানলে সার্থকভাবে নিয়ম ভাঙা যায় না। সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৬
রোমেনা বলেছেন: বানানরিতি নিয়ে আপনার চিন্তাকে স্বাগত। চমৎকার আলোচনা। ইকটু বলে, সংসদে ্যামন একাডেমি বানান ঠি করেছে, বাঙলা' ঠিক করা দরকার। বঙ্গ থেকে বাঙলা যদি হয়, উৎপত্তিগত দিক থেকেও বাঙলা' শব্দ শুদ্ধ । আর উচ্চারনও বাঙলা শুদ্ধ । সরকার ভাষার ব্যাপারে সদয় নয়। ধন্যবাদ।