নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট বেলায় মা বলত তুই একটা খাম্বা তোরে দিয়া কিছুই হবে না।

টোকাই রাজা

ঘুমন্ত মানুষ গুলো যদি জেগে উঠে বলতো - আমি আছি

টোকাই রাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি না জেনে, না বুঝে, না শুনে, না পড়ে মুসলমান!!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

বছরখানেক আগের কথা। আমি একটা রেস্টুরেন্ট থেকে চা পান করে বের হয়ে একটা পানের দোকানের সামনে যাই সিগারেট নিতে। সিগারেটটা ধরিয়ে কেবল একটা টান দিয়েছি, ঠিক সে সময় একজন ব্যক্তি এসে আমাকে বেশ রাগাম্বিত হয়ে বললেন,
-’আপনি আপনার মোচের জন্য কত টাকা পান?’ আমি কথাটা শুনে, অবাক হয়ে ঐ ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাকে এভাবে অবাক হয়ে চেয়ে থাকতে দেখে আবার তিনি বললেন,
-’বললেন না, আপনি আপনার মোচের জন্য কত টাকা পান?’ এবার আমি নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,
-’আমি আপনার কথাটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনি কি আমাকে বিষয়টা ভাল করে বুঝিয়ে দেবেন?’ তিনি বললেন,
-’সরকারের কাছ থেকে আপনি মোচের ভাতা নেন না?’ আমি বললাম,
-’এটা কোন অফিস থেকে প্রদান করা হয়, একটু অনুগ্রহ করে বলবেন? তাহলে আমি অনেক উপকৃত হবো। কারণ আমি বর্তমানে ভীষন অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছি। ভাতাটা পেলে হয়তো কিছুটা আমার জন্য সুবিধা হতো।’
-’আমি আপনাকে খুব ভাল করে চিনি। আপনি একজন মুসলমানের সন্তান হয়ে, এত বড় বড় মোচ রেখেছেন, এটা কি ঠিক করেছেন? জানেন না মোচের পানি হারাম?’ কথাটা আমার কানে পৌঁছাতেই মনে মনে বললাম, ’আজ তুমি মরেছো। ভাল লোকের পাল্লায় তুমি পড়েছো।’ ঠোঁটের কোনে একটু মুচকি হাসি এনে বললাম,
-’মোচের পানি হারাম, এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? একটু বলবেন?’
-’কেন আপনি জানেন না, এটা হাদিসের কথা।’
-’কোন হাদিসের কত নম্বর হাদিস বলতে পারেন?’
-’না, তা আমি জানি না।’
-’তাহলে এটা পেলেন কোথায়?’
-’কেন হুজুরেরা ওয়াজে বলেন। এই বিষয়ের উপর একজন হুজুরের সিডিও আছে।’
-’হুজুর বললো, সেটা শুনে আপনি আমাকে বলতে আসলেন? আপনি হাদিস পড়েন নি কোন? আপনি জানেন, কোরআনের প্রথম শব্দটা কি ছিল?’
-’কি?’
-’ইকরা। ইকরা শব্দের অর্থ কি জানেন?’
-’না।’
-’ইকরা শব্দের অর্থ হলো ’পড়’। অর্থাৎ আল্লাহ শুধু নবীকে পড়তে বলেন নি, সবাইকেই পড়তে বলেছেন। না পড়লে যে আল্লাহকে চেনা বা জানা যাবে না।
আর আল্লাহকে না চিনলে যে আল্লাহর সব আদেশ নিষেধ সঠিকভাবে জানতে পারবেন না। না জেনে কাউকে কিছু বলাটাও কিন্তু এক প্রকার পাপ। এটা বুঝেন?’
-’তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, হুজুর মিথ্যা বলেছেন?’
-’এটা আপনিই ভাল বলতে পারবেন। এতদিন হুজুরের ওয়াজ শুনেছেন। এবার আমার ওয়াজ শুনবেন?’
-’বলেন।’
-’আচ্ছা, হারাম মানে তো নিষেধ বা বাতিল?’
-’হ্যাঁ।’
-’মানুষের জন্য নিষেধ বা বাতিল কে করতে পারে, এটা কি বলতে পারেন?’
-’আল্লাহ ও আল্লাহর নবী (সঃ)।’
-’না, আপনি সম্পূর্ণটা ঠিক বলেন নি। মানুষের জন্য কোন কিছু নিষেধ বা বাতিল একমাত্র আল্লাহই করতে পারেন। আল্লাহর নবী হলো সেই বাতিল বা নিষেধের বার্তাটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেন মাত্র। নবীর কোন এক্তিয়ার নেই কোন কিছু নিষেধ করা। আর যেহেতু আপনি বলেছেন এটা হাদিসে আছে, সেহেতু মোচের পানি হারাম এটা ঠিক না। আপনি কি বলতে পারবেন, মোচের পানি হারাম এটা কোরআনে কোথাও লিখা আছে?’
-’না। আমি শুনেছি এটা নাকি হাদিসেই লিখা আছে।’ এরপর তাকে সহি হাদিসের ভুলত্রুটিগুলো নিয়ে অনেক হাদিসের বরাত দিয়ে আলোচনা করলাম এবং বোঝালাম যে,
-’সব সহি হাদিস সঠিক না। আর হারাম হালালের কথা হলে তাতো হাদিসের মধ্যে থাকার কথা না। আল্লাহ কোরআনের মধ্যে সব হারাম হালালের কথা উলে­খ করেছেন। আর নবীকে (সঃ) আল্লাহ শুধু তার বাণী মানুষের কাছে অনুশীলনের মাধ্যমে পৌঁছানোর জন্য বলেছেন। এজন্য আল্লাহ বলেছেন ’আল্লাহ এবং আল্লাহর নবীর তাবেদারী করতে।’ এর অর্থ এই নয় যে নবী নিজেই আল্লাহর ভুমিকায় নিজেকে দাঁড় করাবেন। যদি তা করতেন তাহলে তিনি নিজেই নিজেকে কুফরির মধ্যে ফেলতেন। নবী এটা কখনই করতে পারেন না। তাই তিনি হাদিসে আল্লাহর হুকুম হিসাবে কোন হারাম হালাল এর নির্দেশনা দিতে পারেন না। যাহোক আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি একজন মুমেন ব্যক্তি। আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে মানুষ চলাফেরা কর“ক সেটা আপনি মনে প্রাণে চান। আচ্ছা আপনাকে এখন আমি জিজ্ঞাসা করি, কোরআনে যে সব হারাম হালালের কথা উলে­খ আছে যেমন, মিথ্য কথা বলা যাবে না, অন্যায় করা যাবে না, দুর্নীতি করা যাবে না, অন্যের হক আত্মসাৎ করা যাবে না, সকলের হক সঠিক ভাবে আদায় করতে হবে ইত্যাদি। যেমন একটি মিথ্যা কথা দিয়ে একজনের জীবন নেয়া যায় বা অন্যের সম্পত্তি ছিনিয়ে নেয়া যায় বা যে কোন একজন সমাজে অপমানিত করা যায় ইত্যাদি। মিথ্যা কথা বলা, অন্যায় করা, দুর্নীতি করা, হক ছিনিয়ে নেয়া ইত্যাদি হারাম এবং এই কাজগুলো দিয়ে অন্যের প্রতি জুলুম করা হয়, যা কোরআনে উলে­খ করা আছে। আপনি কি কখনও ঐ হারাম প্রসঙ্গে কারও নিকট প্রাতিবাদ করেছেন?’
-’না।’
-’অথচ যে হারামের কথা কোরআনে বলা নেই, যে হারাম দ্বারা অন্যের কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই, যদি কোন ক্ষতি হয় তা আমার নিজেরই ক্ষতি হতে পারে, সেই হারামকে আপনার কাছে এত রড় আকারে হারাম বলে মনে হলো যে, প্রতিবাদের সুরে আমাকে প্রতিবাদ করতে ছুটে আসলেন এবং এই হারাম কাজ করেছি বলে আপনি আমার বংশ শুদ্ধ মুসলমান ছিল কি না সেই প্রশ্নও তুলে বসলেন। আসলে এটা আপনার দোষ না। এটা হলো আপনি যে একজন ধর্মান্ধ ধার্মিক, এটা তার পরিচয়। মন খারাপ করবেন না। সত্যিকার অর্থে কি, আমাদের মুসলমাদের এটাই আসল চরিত্র এবং পরিচিতি। আমরা না জেনে, না বুঝে, না শুনে, না পড়ে মুসলমান। তাই নিজের ভুল না দেখে অন্যের ভুল দেখে বেড়াই। আর এজন্যই আমার মোচগুলো এত বড় বড় রেখেছি, যাতে আমার মোচ দেখে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমিও আপনাদেরকে আমার মোচের পানি খেয়ে আপনাদের অজ্ঞতাগুলোকে আঘাত করতে পারি, যাতে আপনারা আপনাদের ধর্মন্ধতা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন।’ আমার কথাগুলো শুনে লোকটি আমাকে সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলেন। এরপর বিকেলে যখন তার সাথে দেখা হলো, অনেক দূর থেকে আমাকে সালাম জানিয়ে কাছে এলেন। এখনও তার সাথে মাঝে মাঝেই দেখা হয়, কথা হয়, তবে সে আমার কাছ এলে, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করতেই এখন মজা পান বেশী।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মোচ আগের মতো আছে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

টোকাই রাজা বলেছেন: না চুলকায় তাই একটু ছেঁটেছি!

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেই ৫০% বাংগালী বর্ণমালা পড়ার সুযোগ পায়নি, তারা কি কি পড়ছেন?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

টোকাই রাজা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অধিকাংশ বাঙ্গালী না পড়ে না বোঝেই লাফায়!

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: আপনার সিগারেট খাওয়া নিয়ে উনি কোন ফতোয়া না দিয়ে আপনার মোচের পেছনে লাগলো কেন?
আর আপনি, লোকটা যদি সিগারেট খাওয়া নিয়ে আপত্তি করত, তাহলেও কি কোরআন হাদিসের রেফারেন্স চাইতেন?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

টোকাই রাজা বলেছেন: অবশ্যই না!

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আর এজন্যই আমার মোচগুলো এত বড় বড় রেখেছি, যাতে আমার মোচ দেখে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমিও আপনাদেরকে আমার মোচের পানি খেয়ে আপনাদের অজ্ঞতাগুলোকে আঘাত করতে পারি, যাতে আপনারা আপনাদের ধর্মন্ধতা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন।’ আমার কথাগুলো শুনে লোকটি আমাকে সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলেন। এরপর বিকেলে যখন তার সাথে দেখা হলো, অনেক দূর থেকে আমাকে সালাম জানিয়ে কাছে এলেন। এখনও তার সাথে মাঝে মাঝেই দেখা হয়, কথা হয়, তবে সে আমার কাছ এলে, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করতেই এখন মজা পান বেশী।

হুম, আপনার ভিতরে বুজুর্গিপনা দেখতে পেলুম, আপনি মোচ ভিজিয়ে পানি খেয়ে মানুষ কে শিক্ষাতে চান, ভালো কথা, এটা কোন তরিকায় আছে অর্থাৎ কোরআন হাদিসে এভাবে মানুষ কে শিক্ষা দেওয়ার কথা সমর্থন করে কিনা। আপনার মোচ ভিজিয়ে পানি খেতে খুব শখ তাহলে সেলুন ঘরে গিয়েই খেতে পারেন।
একটা কথা মনে রাখবেন;
মোচ ভিজিয়ে পানি খেলে ওসুখের সম্ভাবনা আছে। কারণ, গোঁফে বাতাস দ্বারা প্রবাহিত রোগ জীবানু এসে বাসা বাঁধতে পারে।
এবং,
একজন ধর্মান্ধ লোক আপনাকে সালাম দিয়ে চলে গেল। বাহ্ , সুন্দর কথা বলেছেন ত’। যে ব্যক্তি ধর্মান্ধ সে আপনার এই হ য ব র ল দুর্বল মার্কা কথা বার্তায় সালাম দিয়ে চলে যাবে, অবাক করে বৈকি!

আর,
সর্বশেষ আপনি ইসলামের মৌলিক বিষয় কে পাশ কাটিয়ে অহেতুক বিষয় নিয়ে পড়ে আছেন। এটা আপনার ব্যর্থতা।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

আলগা কপাল বলেছেন: গোঁফ বড় রাখার বিরোধিতা করছি। এটা হারাম না হলেও ক্ষতিকারক। এ বিষয়ে শাহাদাত ভাই যথার্থ মন্তব্য করছেন। আর সিগারেট আপনি কোরানের কোন আয়াত অনুযায়ী খান?

আরেকটা কথা। সহিহ হাদিস অবশ্যই সঠিক। যেগুলো জাল বা বানোয়াট হাদিস অথবা যাতে সন্দেহ আছে এমন হাদিসকে সহিহ হাদিস বলা হয় না।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: কোরআনে অনেক কিছুই ডাইরেক্ট লিখা নাই। কিন্তু এটা তো সার্বজনীন স্বীকৃত যে, যা কিছু মানবের জন্য অকল্যাণকর তাই হারাম। নাকি কারো দ্বিমত আছে? একজন ধর্ম্মান্ধ লোককে দুই চারটি কথা শুনিয়ে দিলেই মোচের পানি খাওয়া হালাল হয়না্ ।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টের ভাবার্থ ঠিক আছে, মুসলিম জাতি পড়াশোনা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে অনেক বছর হয়। কোরআন বুঝার চেয়ে কোন সো-কল্ড নামকরা হুজুর কি বলেছে সেটাকেই আমরা অন্ধভাবে ফলো করি। কিন্তু আপনার মেনশন করা উদাহরণটা পোস্টটাকে হালকা করে ফেলেছে; জার্মের ব্যাপারটা এমনিতেই বোঝার কথা- এটার জন্য কোরআন হাদীসের রেফারেন্স টানারও দরকার নেই।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: আমরা কতটুকু দাড়ি-মোচ রাখব সে বিষয়ে রাসূল (সা.) তাঁর হাদিসের মধ্যে এরশাদ করেছেন , মোচ কাটা বা ছাঁটার জন্য আর দাড়ি লম্বা করার জন্য। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বলেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিপরীত কর, দাড়ি বাড়াও এবং গোফ ছোট কর। [সহিহ বুখারী, ৯ম খন্ড, পোশাক অধ্যায়, হাদিস-৫৪৭৩] এছাড়া আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য একটি হাদিসে বলেছেন, ‘দাড়ি ছেড়ে



দাও, দাড়ি বাড়াও, দাড়ি লম্বা কর। পক্ষান্তরে দাড়ি ছাঁটাই করার কোন প্রমান নেই, একটি ছাড়া। সেটি হল- আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হজের মৌসুমে দাড়ি মুট করে ধরে নিচের অতিরিক্ত অংশটুকু কেটে ফেলতেন। [সহিহ বুখারী, ৯ম খন্ড, পোশাক অধ্যায়, হাদিস-৫৪৭২] অন্যান্য ধর্মের মানুষ যেভাবে মোচ খুব লম্বা বা বড় করে রাখেন, সেভাবে রাখলে তাঁদের প্রতি রাসূল (সা.)-এর হাদিস, ‘মান তাশাব্বাহা বি কাউমিন ফাহুয়া মিনহুম,’ অর্থাৎ যে অন্যদের অনুসরণ করে কোনো কাজ করবে, সে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। অতএব, অন্যান্য ধর্মে গোঁফ ছেড়ে দেওয়া আর দাড়ি না রাখার যে প্রবণতা, মুসলমানদের করতে হবে তার বিপরীত। অর্থাৎ দাড়ি লম্বা করে রাখা আর মোচ বা গোঁফ ছেঁটে ছোট করে রাখা। সুতরাং মোচ রাখাটা হারাম নয়, কিন্তু কেটে ছোট রাখতে হবে

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: আমরা কতটুকু দাড়ি-মোচ রাখব সে বিষয়ে রাসূল (সা.) তাঁর হাদিসের মধ্যে এরশাদ করেছেন , মোচ কাটা বা ছাঁটার জন্য আর দাড়ি লম্বা করার জন্য। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বলেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিপরীত কর, দাড়ি বাড়াও এবং গোফ ছোট কর। [সহিহ বুখারী, ৯ম খন্ড, পোশাক অধ্যায়, হাদিস-৫৪৭৩] এছাড়া আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য একটি হাদিসে বলেছেন, ‘দাড়ি ছেড়ে



দাও, দাড়ি বাড়াও, দাড়ি লম্বা কর। পক্ষান্তরে দাড়ি ছাঁটাই করার কোন প্রমান নেই, একটি ছাড়া। সেটি হল- আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হজের মৌসুমে দাড়ি মুট করে ধরে নিচের অতিরিক্ত অংশটুকু কেটে ফেলতেন। [সহিহ বুখারী, ৯ম খন্ড, পোশাক অধ্যায়, হাদিস-৫৪৭২] অন্যান্য ধর্মের মানুষ যেভাবে মোচ খুব লম্বা বা বড় করে রাখেন, সেভাবে রাখলে তাঁদের প্রতি রাসূল (সা.)-এর হাদিস, ‘মান তাশাব্বাহা বি কাউমিন ফাহুয়া মিনহুম,’ অর্থাৎ যে অন্যদের অনুসরণ করে কোনো কাজ করবে, সে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। অতএব, অন্যান্য ধর্মে গোঁফ ছেড়ে দেওয়া আর দাড়ি না রাখার যে প্রবণতা, মুসলমানদের করতে হবে তার বিপরীত। অর্থাৎ দাড়ি লম্বা করে রাখা আর মোচ বা গোঁফ ছেঁটে ছোট করে রাখা। সুতরাং মোচ রাখাটা হারাম নয়, কিন্তু কেটে ছোট রাখতে হবে

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

টুনটুনি০৪ বলেছেন: -------------------------

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার মোচের ছবি দেখাও!!!!!!!!!!!!!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

টোকাই রাজা বলেছেন: Coming Soon B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.