![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাছের প্রাণ আছে, পৃথিবীকে জানালেন জগদীশচন্দ্র বসু, রেডিও উদ্ভাবনীতেও বসু পশ্চিমীয় মার্কোনির অগ্রজ। 'বোস এণ্ড আইনস্টাইন থিয়োরি'র জন্যে সত্যেন বসু বিজ্ঞানে তার অংশগ্রহণকে অনস্বীকার্য করে গেলেন। আমরা মনে রাখতে বাধ্য অতীশ দীপঙ্করের মতো জ্ঞান-পর্যটককে। চর্যাপদের কবিগণ-লালন-মধুসূদন-রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দবাহিত এদেশের কাব্য-সৌন্দর্যের সংগ্রামী ঐতিহ্য আমাদের। যেন বা নদীর ছলাৎছল জলজধারাই আমাদের চিরদিন বহে চলার ভাষা। তবু কত লড়াই, রক্তপাত পাড়ি দিতে হলো আমাদের। নিপীড়ক রাষ্ট্র-কাঠামোর বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে বাংলাভাষাকে গর্বিত রাষ্ট্রভাষা করে তোলাতে আমরা দৃষ্টান্ত পৃথিবীর। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের মালিক হয়েছে বাঙালি। কূটতর্কের ক্ষুদ্রতা অতিক্রম করে দেখতে পারার ক্ষমতায় পৌঁছুলে ও মানবিক দুর্বলতাকে সম্মান করে দেখলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিকভাবেই এদেশের, এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ অবিসংবাদিত লিডার, বাঙালির খুব আপন মানুষ। এবং অস্থিরমতি-অবিবেচক পিতৃঘাতী সন্তানের মতো আমরা যাকে তার পরিবারসহ হত্যা করে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কত বড় অপরিণামদর্শী।
আজ বলব, আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদেরও প্রত্যেকেরই কিছু দায়িত্ব আছে এই দেশ নিয়ে, বাঙালির ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে। রাজনৈতিক স্থিরতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে। কথায় কথায় চা-বিড়ি খেতে খেতে সমালোচনা, কার বিরুদ্ধে? নিজের বিরুদ্ধে কি কিছুই বলা্র নেই আমাদের, প্রত্যেকের, যার যার নিজেকে? মনে রাখা দরকার, দেশ না এগুলে ব্যক্তি তেমন কোথাও পৌঁছুবে না, এগুতে পারবে বা। ফলে, দেশের-দশের-নিজের ও পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থেই এবং বিশ্বসভায় বাঙালি ও বাংলাকে টিকে রাখতেই ধীরে ধীরে ঐক্যে ফিরতে হবে আমাদের, জাতিগত যে ঐক্যের সূচনা হয়েছে যুদ্ধের ভেতর দিয়ে, '৭১ সালে। ফালতু ও গোঁয়ার রাষ্ট্র (!) পাকিস্তানের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ করেছি আমরা এবং শেষপর্যন্ত জয় নিয়েই ঘরে ফিরেছি একটি স্বাধীন পতাকা আকাশে উড়িয়ে দিয়ে...
কী, দায়িত্ব পালন না করে, পরিশ্রমী না হয়ে, খালি তর্ক করেই মরব আমরা?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট দাদা।