![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্ল্যাকঅাউট...সময়, সবুজ ডাইনি
অাট বছর অাগে অামি 'ব্ল্যাকঅাউট' জার্নি করেছিলাম। হাতেনাতে সেটিই হচ্ছে অামার ফিকশন নির্মাণ যাত্রা শুরু। অনেক বন্ধু-প্রিয়জন-স্বজনের মিলিত প্রয়াস অামার প্রথম ছবি 'ব্ল্যাকঅাউট'এর হয়ে ওঠা। সিনেমা ব্যাপারটাই এমন, নির্মাতা নামের একজন উন্মাদ এখানে মুখ্য, তার উন্মাদনা বা চিন্তা ফলিত হবে অনেক মানুষের ভেতর দিয়ে। ব্ল্যাকঅাউট'য়েও তাই হয়েছিল। হুমায়ুন, ধ্রুব এষ, কফিল অাহমেদ, রাহুল অানন্দ, তানভীর হাসান, তিনা, সামির অাহমেদ, রাজীব অাশরাফ, মাজহার রনি, রেজা ঘটক, জন রোমেল, রিচার্ড রোজারিও, অাব্দুল হালিম চঞ্চল, মিলটন মোললা,বর্ষা বিভাবরী, চিন্ময় দেবর্ষিসহ প্রায় ৮১ জন মানুষ যুক্ত এই ছবিতে। কিন্তু অামার অনাপোষী মনোভাবের কারণেই, অামি বাদে দুনিয়ার 'যে-কোনো অন্য' মানুষের অাপত্তিতে ছবি কাটাছেড়ায় অামি রাজী হতে পারিনি সেদিন, তা চাইওনি। ফলে, প্রথম সন্তান এখন পর্যন্ত সামাজিক হতে পারল না, রিলিজ করতে পারলাম না। ফলে, 'ব্ল্যাকঅাউট' ঢাকার অার্ট-কালচারের প্রশ্নবিদ্ধ লাভচাইল্ড রক্তাক্ত 'যিশু' হয়েই থাকল। নগদ 'পুঁজি' শুকিয়ে একদিন খড়কুটো হয়ে গেল। হতে পারে, সেই খড়কুটো ঠোঁটে করে নিয়েই পাখিরা বাসা বানিয়ে থাকে, বানাচ্ছে। হা হা হা ( ইয়ার্কির হাসি)
মনে পড়ে, ২০০৬ সালের পুরোটা সময় কী পরিশ্রমে, উদ্দীপনায় কেটেছে অামার, অামাদের, ব্ল্যাকঅাউট টিমের। অাসলে 'ব্ল্যাকঅাউট'কে অামি ব্যবসা বা বিনোদনের জায়গা থেকে দেখতে চাইনি। এ ছবির নেপথ্যে কাজ করেছে শুধু 'লাভ এন্ড পেইন'। কেউ দেখে পছন্দ করবে কী করবে না, তা তখন পাত্তা দেওয়া বা-না দেওয়ার অামার সময় কোথায়। বরং অারো কী করে নিজের ভাবনাকে অাঁকা যায়, তা করতেই অামার সময় কাটছিল। তাই কয়েকবছর আমি ঘুমোতে পারলাম না, যন্ত্রণায়। যন্ত্রণায়। ভীষণ যন্ত্রণায়। অামি জানি। অামি জানি। অামি জানি। সঙ্গের, কাছের মানুষদের তো যন্ত্রণা দিয়ে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু অামি তো হারিয়ে যেতে পারি না। পালিয়ে যেতে পারি না। পুড়িয়ে যেতে পারি, নিজেকে, সেই অাঁচে পোড়ে কাছের মানুষেরাও। কী করব?
অাবার ছবি বানাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে 'রাজপুত্তুর', শহীদুল জহিরের গল্প থেকে 'কাঁটা।' 'রাজপুত্তুর' বা 'কাঁটা' মেইনস্ট্রিম সোসাইটির প্রতিপক্ষ নয়, 'ব্ল্যাকঅাউট'এর মতো। 'তরুণ কবি' বা 'তরুণ অার্টিস্ট'এর মতো অ্যাগ্রেসিভ নয়, পর্যাপ্ত সহনশীল। মানুষ দেখবে। দুটোই অনুদানের ছবি। রাষ্ট্রকোষাগারের অর্থ মানেই জনগণের ঘামের লবণ।
তো সেই সময়, মানে ২০০৬-তে, সম্ভবত একটি ফুললেন্থ ছবিতে অর্ণবের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মিউজিকের কাজ 'ব্ল্যাকঅাউট'। দুটো গানও গেয়েছেন এই শিল্পী। একটা সৈয়দ তওফীক রিয়াজের লেখা, 'মুহূর্ত কেন এ-তো বড়, সময় কেন এ-তো ফাঁকা...'। অারেকটি গান, 'সময়, সবুজ ডাইনি...'। 'ব্ল্যাকঅাউট' এখনো অালোতে অাসতে পারেনি বটে, কিন্তু পরবর্তীতে 'মুহূর্ত কেন এ-তো বড়' গানটা অর্ণবের একটা অ্যালবামে মানুষ শুনেছে। শুধু কবি রণজিত দাশের লেখা কবিতা 'সময়, সবুজ ডাইনি' অর্ণবের গাওয়া এক্কেবারে অালাদা ধাঁচের একটা গান হয়ে থাকলেও মানুষের কাছে তা পৌঁছুয়নি। এবছর রণজিত দা'র সঙ্গে অামার প্রথম দেখা হলো ঢাকায়, শিল্পকলা একাডেমিতে, সামনে পেয়ে সে-সব কথা বললামও কবিকে। সত্যি যে, 'সময়, সবুজ ডাইনি...' গানটা মোটেও পপুলার মোটিভের গান নয়, কিন্তু লেখক-অধ্যাপক বখতিয়ার অাহমেদ লিখেছেন, 'প্রায় মানুষের নিওলিথিক স্মৃতির হাহাকারে পরিণত করেছেন যার অনিবার্য অনুভবই হচ্ছে শিহরণ।' এক অসাধারণ গায়কী অর্ণবের।
এই কবিতা অামি কেন অর্ণবকে দিয়ে গাইতে দিয়েছিলাম সেদিন, তা তো চিত্রিত অাছে 'ব্ল্যাকঅাউট'এ। লিরিকটা (রণজিত দাশের কবিতাংশ)--
'সময়, সবুজ ডাইনি
পৃথিবীর উপকণ্ঠে থাকো
নাবিকের হাড় দিয়ে
সন্ধ্যার উঠোনে তুমি
ভাঙা জাহাজের ছবি অাঁকো'
...........................................
(৩.৫৪ মি-এর ট্র্যাক)
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
নীলাবেশ বলেছেন: Why not you release 'ব্ল্যাকঅাউট' on youtube.
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
জামান শেখ বলেছেন: দারুন!
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দুঃখ পেলাম আপনার কথা শুনে । এইরকম অনেক প্রতিভাবান নীরবে হারিয়ে যায় ।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
সুমন কর বলেছেন: প্রশ্ন করা যেতেই পারে, কেন রিলিজ করেন নি?
অাশা করি, ভবিষ্যতের দিনগুলো ভাল হবে।
শুভকামনা রইলো।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বিপ্লব সিরাজী বলেছেন: 'সময়, সবুজ ডাইনি
পৃথিবীর উপকণ্ঠে থাকো
নাবিকের হাড় দিয়ে
সন্ধ্যার উঠোনে তুমি
ভাঙা জাহাজের ছবি অাঁকো'
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।||শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
জেরিফ বলেছেন: 'সময়, সবুজ ডাইনি
পৃথিবীর উপকণ্ঠে থাকো
নাবিকের হাড় দিয়ে
সন্ধ্যার উঠোনে তুমি
ভাঙা জাহাজের ছবি অাঁকো'
জোশ