![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ, কেউ না
টোকন ঠাকুর
মাঝেমধ্যে মনে হয়, অামি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বহে বেড়াচ্ছি চূড়ান্ত সেনসিটিভিটি। প্রমাণ হিসেবে উদাহরণ হচ্ছে, ঘরে প্রজাপতি ঢুকলেও অামার ঘুম ভেঙে যায়। প্রজাপতিকে শত্রু মনে হয়। রিখটার স্কেল কেঁপে-কেঁপে যায়। কারণ, প্রজাপতি তো শুধু ঘুমই ভাঙে না, ভাঙে একটা গল্প। গল্পটা নীল। অনেকটা অাকাশ। অাকাশে বিকেলের রোদ। সেই রোদও যাই যাই করে। গ্রীষ্মকালেও অামি 'হেমন্ত হেমন্ত' মনে করে দেখতে পাই, রোদের সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছে জীবনানন্দ দাশের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি। 'ধূসর' লেখা থাকলেও হলুদ নদীর রঙ লেগে অাছে। সেই হলুদ নদীকে এঁকে ক্যানভাস ভরেনি শর্ষে-শীতের মাঠ? মাঠের ওপরের অাকাশকে মনে হয়নি মাঠের অাকাশ? ছাদের অাকাশের নিচে শুয়ে-ঘুমিয়ে অামি মাঠের অাকাশের নিচে হাঁটছিলাম। প্রজাপতি গল্পটা ভেঙে দিল। স্বপ্নটা ভেঙে দিল। প্রজাপতি অামার শত্রু। অার তাতেই মনে হয়, প্রজাপতির প্রতিপক্ষ, অামি কেউ।
মাঝেমধ্যে মনে হয়, অামি মনে হয় কেউ না। মরা পিঁপড়ের লাশের মতোই অামি গুরুত্বহীন। 'গুরুত্ব' শব্দটাই অামাকে চিনতে পারে না। অামাকে ছাড়াই এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনীতি, সামাজিক প্রগতি, শিল্পকলার নবনব তরঙ্গ, কবিতালাপ। হঠাৎ মনে হয়, অামি অাজগর অালী, অামাদের গ্রামের নাম বসন্তপুর। সবাই জানে, অামার বউ চলে গেছে। বাড়ি থেকে বেরোলেই লোকে তাকিয়ে থাকে। লজ্জা লাগে। সেই লজ্জা মাথায় করে ঘরে ফিরে অাসি। মরা পিঁপড়ের লাশের মতো শুয়ে শুয়ে ভাবি, অামি কেউ না। লেখক কিম্বা পাঠকও না। সম্পাদকও না। অামি বসন্তপুরের অাজগর অালী। সবাই জানে, অামার বউ চলে গেছে। বউ অামাকে অন্তরঙ্গের এক অভিযোগে বলে গেছে, 'শিউলি নাইওরে এসে মাসের পর মাস সোয়ামি ছাড়া কেন পড়ে থাকে, বুঝিনে অামি?'
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো লেগেছে
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
আমিনুল ই. লিটন বলেছেন: ভলো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
নিলু বলেছেন: ভালই লাগলো , লিখতে থাকুন