নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অামরাও মনে মনে 'রাজপুত্তুর'

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১০

অামরাও মনে মনে 'রাজপুত্তুর'





রাজপুত্তুর-এর কাস্টিং ভাবনা ছিল, ক্যামেরার সামনে প্রথম--এমনদের নিয়েই কাজটা করব। অনেকদিন বাদে ছবি বানাতে বসে সব কিছুকেই নতুন লাগছিল। নতুনদের নিয়ে কাজ করতে গিয়েই একমাস রিহার্সেল করা হয়েছে। দাদুর চরিত্রেও প্রথম কাস্ট ছিলেন অভিনয়ের বাইরের একজন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। অামার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। শ্যুটিংয়ের ৪ দিন অাগে নির্ধারিত হল ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন পুপের দাদু। কবিতা অাবৃত্তিগত কারণে ভাস্বর দা সমধিক পরিচিত মানুষের কাছে, অভিনয়ে তাঁকে ক্বদাচিৎ পাওয়া গেলেও, তাঁকে একবাক্যে 'অভিনেতা' বলা মানুষ কম বলেই মনে হয়। কামালউদ্দিন কবির নাট্য-নির্দেশক বটে, অভিনেতা হিসেবে তাকে কোথাও দেখিনি। এ ছবিতে তিনি পুপের গৃহশিক্ষক কিশোরী চট্টোপাধ্যায়। দইওয়ালা অসীম গোসাই তো সাধু, সাভারে থাকেন, মাঝেমধ্যে ঢাকায় অাসেন। ঝিনেদার বিষয়খালির মানুষ। অ্যাপোলো মানে কাবুলিওয়ালা, অ্যাপোলো অামার বহুবছরের বন্ধু, অ্যাপোলো'ও সাধু।

তারপর ওই লিলিপুট দলের সঙ্গে তো একমাস বকা-ঝকা-কান্না-কাটি-নালিশ-বালিশ-অাদর-অাশ্বাস-বিশ্বাস-অ্যাক্টিং ডেভেল্যপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট নিয়ে প্রতিদিনই কথা...কথার কী অার শেষ অাছে? কথার 'শেষ হলে মজা কোথায়?'

তারপর অামরা শ্যুটিং-এ যাই, গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে, রিমি অাপাদের বাড়িতে। বাড়ির তিনপাশেই বিস্তৃত শালবন। শালবনই 'রাজপুত্তুর' ছবির গল্পের কেন্দ্রীয় পটভূমি। রিমি অাপাকে কে না চেনেন? বর্তমান সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বর তিনি, তারও চেয়ে বড় পরিচয় বোধ করি তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কোলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রজ্ঞাবান-দূরদর্শী নেতা তাজউদ্দিন অাহমদের সন্তান। ঢাকা জেলে বন্দি অবস্থায় যে ৪ নেতাকে জেলের ভেতরেই রাতের অন্ধকারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তাজউদ্দিন অাহমদ তার একজন। এই বাড়িতেই তাজউদ্দিন অাহমদ জন্মগ্রহণ করেছেন। দোতলা বাড়ি, বাড়ির বয়স শতবর্ষ হতে চলল। রিমি অাপার প্রতি টিম-রাজপুত্তুর ভীষণ কৃতজ্ঞ, রাজনীতিবিদ তাজউদ্দিন অাহমদের বাড়িকে 'রাজপুত্তুর'এর প্রধান লোকেশন হিসেবে স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্যে। দরদরিয়া এলাকার মানুষও খুব সহযোগিতাপরায়ণ।

অাসল কথা কি, অনেক মানুষের সহযোগিতা লাগেই, সিনেমা বানাতে গেলে। একটি সিনেমাবান্ধব সমাজ হয়তো এখনো অামাদের প্রতিণ্ঠা হয়নি, তাই বলে কি! একদিন হবে। এটাই জীবন। তাজউদ্দিন অাহমদ কিম্বা রিমি অাপা কিম্বা তাঁর কল্যাণেই দরদরিয়া গ্রামবাসী টিম-রাজপুত্তুর-কে চাহিদা অনুযায়ী সাপোর্ট দিয়েছেন। রিমি অাপাদের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক খোকা ভাই ও তার সহকারি হাসানুল কাকার নামও রাজপুত্তুর' টাইটেলে লেখা হয়েছে।

তবু সব নাম লেখা হয় না, সব ভালোবাসা কৃতজ্ঞতায় শেষ করা যায় না।

সেটা মনে মনেই থেকে যায়। মনের উপরে অার কি! মনের মধ্যেই তো চলে অাসল সিনেমা। সিনেমায় মনে মনে অামরাও তো 'রাজপুত্তুর'। তাই না?



ভালোবাসা, সবার জন্যে--

টোকন ঠাকুর

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.