নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্ল্যাকঅাউট (মনে নেই) সিনোপসিস

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৭

ব্ল্যাকঅাউট (মনে নেই)
৯৭ মিনিট
সিনোপসিস

বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী শহর ঢাকার দুই যুবক, তারা বন্ধু। নগরীর এক চিলতে চিলেকোঠার ছাদের ভাড়াটে তারা। উন্মাতাল তাদের সময়, লাগামহীন তাদের স্বপ্ন। প্রচন্ড অস্থির এই যৌবন অপচয়ের গোলকধাঁধা শেষপর্যন্ত অমীমাংসিত হয়ে থাকে মাদল ও রাফির জীবনে। একটা তেজি ঘোড়া, ঘোড়াটি ছুটে আসে হ্রেষা ছড়িয়ে। একটি চরিত্র রাফি, সে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে। অন্য চরিত্র, মাদল, সে চিলেকোঠার ছাদে শুয়ে-বসে আসমানদারি করে। প্রেমে বা জীবনে ছ্যাকা খাওয়া চরিত্র সে, ঝিম মেরে বসে থাকে। চিলেকোঠা থেকে তাকে কখনো নামতে দেখা না গেলেও স্মৃতির ভেতর দিয়ে তাকে দেখা যায়, সে একটি মাঠের মধ্যে ফুল-অাচ্ছাদিত নারীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। রাফি, তরুণ অার্টিস্ট, ছবি আঁকে। মাদল কবি, কিন্তু সে মনে করে কবিতা তাকে ছেড়ে গেছে। রাফি প্রেমে উচাটন, টলমল, শাই শাই; মাদল প্রেমে বিষাদগ্রস্ত। তবু তারা একসঙ্গে থাকে, রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে তারা নিজেদের গল্প করে। তাদের স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ-উড়নচন্ডি মন-যৌন অবদমনের গল্পই 'ব্ল্যাকঅাউট'। অার্ট-কালচারের ভেতর দিয়ে তারা যত মানবিক মুক্তির কথাই প্রকাশ করুক না কেন, ব্যক্তিগত জীবনযাপনের প্রশ্নে তারা নিঃসঙ্গ, তারা কোথাও একটা নিয়মের কাছে বন্দি। স্ট্যাবলিস্টমেন্টের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তাদের টিকে থাকাই এক সংগ্রাম। ফলে, যৌ্বন অাছে, প্রেমাকাঙ্খা অাছে, কিন্তু প্রেম নেই, যৌবনের যথার্থ ব্যবহার নেই। প্রত্যেক দর্শক যেমন নিজে ঠিক নিজের মতোন, ব্ল্যাকআউটের প্রধান দুই চরিত্র রাফি ও মাদল, তারাও দুজন তাদেরই মতোন। এটা তাদের জীবনযাপনের ব্যাপার। জীবন-বাস্তবতার ব্যাপার। প্রধান খাদ্য ভাত ঠিকঠাক খাওয়া হোক অার না হোক, বিরতিহীন সিগ্রেট-গাঁজা ও কমবেশি মদ্যপান ঠিকই চলতে থাকে, এই জীবনে। বোরিং বাস্তবতার এই জীবন তারা উপভোগ করে, অাবার এই বোরিং বাস্তবতা থেকে তারা মুক্তিও চায়। কিন্তু মুক্তি মেলে না। কবিতা-ছবি-ভাস্কর্য-গান অার প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা জীবনও যে কতখানি মানবিকভাবে অপূর্ণ, তার ছবি ধরা হয়েছে 'ব্ল্যাকঅাউট'এ। যেন কোনো অর্থই নেই, এ তারুণ্যের, এরকম নৈরাশ্যের মাঝেও ছবির ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে স্বপ্ন দেখার মতো আনন্দ খেলা করে। সিরিয়াসলি ঠাট্টা-মশকরাও যে-জীবনের অংশ, রাফি ও মাদলের জীবনে সেই সিরিয়াস-ঠাট্টা খেলা করে। সময়ের সঙ্গে বোঝাপড়া অার যেন শেষই হতে চায় না। স্মৃতিগ্রস্থ মাদল মনে করতে পারে এক অাবছা নারীর মুখ, বহুদিন সে লোনলি। রাফির প্রেমিকা মিটির সঙ্গেও সম্পর্কটা ঠিকঠাক হয়ে ওঠে না, ভেঙেই যায়। ফলে, দুজন লোনলি যুবকই এই গল্পের মূল চরিত্র। যদিও, গল্পহীনতাই 'ব্ল্যাকঅাউট' এর অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য। দেখা যাবে, তরুণ অার্টিস্ট রাফি ও তরুণ কবি মাদলের জীবনের গল্প অার এগুচ্ছে না।

রাতে বিছানায় শুয়ে গল্প করতে করতে তাদের গল্প একসময় ফুরিয়ে যায়। গল্প আর মনে পড়ে না। রাফি ও মাদল জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে পড়ে কিংবা ঘুমোবার ভান করে থাকে অন্ধকার বিছানায়। এবং শেষপর্যন্ত সেই বিছানার অন্ধকার থেকে ভেসে অাসে একটি পুং কুকুর ও স্ত্রী কুকুরের কামার্ত গোঙানি। তখন, আকাশে ধবল পূর্ণিমা, নিচে পৃথিবীর চরাচর। চন্দ্রালোকিত অাকাশে ওড়াউড়ি করে এক বিষণ্ণ ঈগল। ঈগলের ডানায় ঢাকা পড়ে চাঁদ। সুতরাং তৃতীয় বিশ্বের সেই টগবগে ঘোড়া ক্লান্ত হয়ে ফেরে আস্তাবলে, হৃেষাধ্বনিহীন।

বুঝতে পরি না, কী কী মনে অাছে? কী কী মনে নেই? কী মনে নেই, তাও তো মনে পড়ে না। অামরা শুনতে পাব একটি গান, 'সময়, সবুজ ডাইনি/ পৃথিবীর উপকণ্ঠে থাকো/ নাবিকের হাড় দিয়ে/ সন্ধ্যার উঠোনে তুমি/ ভাঙা জাহাজের ছবি অাঁকো...।'

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

হাইপারসনিক বলেছেন: অদ্ভুত সেই ব্ল্যাকআউট!মনে হচ্ছে এর একটি চরিত্র আপনার নিজের...
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.