![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখি, চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহী, গল্প শোনাই, বুদ্ধি বিক্রি করে বেড়াই, অন্তর্মুখী, বিজ্ঞান এবং মহাকাশ পছন্দ করি, তথ্যভিত্তিক চিত্র নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। গবেষণা ধর্মী লেখা এবং কাজ বানাতে পছন্দ করি। সব কিছুতে বিভ্রান্ত হতে পছন্দ করি, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। যুক্তি পছন্দ করি, যুক্তি আমি মেনে নেই। আমার স্মৃতিশক্তি কম, তবে কল্পনা শক্তি ভালো। আমার একটি গুণ আছে, যে কারোর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে এবং ছবি দেখো আমি কিছু একটা লিখে ফেলতে পারি কল্পনা করে, এছাড়া তেমন কোন মুগ্ধতা আমার ভেতর নেই।
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি থেকে জীবনের তিনটি অন্যতম সত্য লিখছি। জীবনের অন্যতম তিনটি সত্য হলো,
একা টিকে থাকতে শেখা।
যে কোন পরিস্থিতি মেনে নিতে শেখা।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা এবং কখন থামতে হবে সেটা আয়ত্ত করা।
একা টিকে থাকতে শেখা:
জীবনের অন্যতম একটি সত্য হলো, পুরো জীবনের কোন একটি মুহূর্তে এসে হলেও একা চলতে হবে। এ কারনে একা টিকে থাকতে শেখা এবং নিজের কাজ নিজে করতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। কাছের মানুষজন ও একটি নির্দিষ্ট সময় নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবেন, এবং আপনাকে তখন লড়াই করে একা টিকে থাকতে হবে। এ কারনে, জীবনের অন্যতম একটি সত্য হলো নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া এবং একা থাকতে শেখা।
যে কোন পরিস্থিতি মেনে নিতে শেখা:
জীবনের অন্যতম আরেকটি সত্য হলো, বিভিন্ন প্রতিকূল এবং অনুকূল শিকার হওয়া। এ কারনে প্রতিকূল এবং অনুকূল সহ যে কোন পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে শেখা। জীবনে অনেকবার বাধাবিপত্তি আসবে, বিপদ আসবে, ভুল হবে। ভুল নেই এরকম সুস্থ মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে শূন্যের কোঠায়। কারো জীবন একদম নিখুঁত হলে তিনি একদম জড়োসড়ো এবং ইচ্ছে স্বপ্নহীন। এ কারনে জীবনে বারবার প্রতিকূল মুহূর্ত আসা স্বাভাবিক।
অনেকবার এরকম হবে, একদম গোছানো কোন ব্যাপার সম্পূর্ণ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। অথবা, খুব বিব্রতভাবে সবাই ভুল বুঝবেন। কিংবা ঘটনার প্রেক্ষাপট না জেনে সবাই বিচার করে বসবেন। কখনোকখনো, খুব কাছের কোন সম্পর্ক ভেঙে যাবে, কখনোকখনো এক ভুল বারবার হতে থাকবে না চাওয়ার পরেও! কখনোকখনো, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আপনার সাইকোলজি বুঝতে ব্যর্থ হবে।
জীবনে এর চেয়েও ভয়ংকর ভয়ংকর বাজে সময় আসবে। কোন ভুলের কারনে জীবনের কিছু বছর পিছিয়ে যেতে পারে। কোন ভুলের জন্য সবাই দুরে চলে যেতে পারে, কখনো চৌদ্দ শিকের জানালায় পৃথিবী দেখা হওয়া উঠতে পারে। আর কখনোকখনো, আরো বাজেও হতে পারে।
তবে, পরম সত্য হলো এর ভেতরে টিকে থাকাটাই জীবন। আমরা সবাই এভাবেই টিকে থাকি, আছি। জীবন এর ভেতরই সুন্দর। জীবনের প্রতিটি ভালো এবং বাজে মুহূর্ত নতুন নতুন একেকটি অভিজ্ঞতা।
স্বরচিত একটি কবিতার শেষ কিছু পঙক্তি ভাবলে জীবন খুব সহজ মনে হয় আমার।
"হে স্থীয় আত্মা,
স্থীয় ভাগ্যকে মানিয়া লও।
বরং ভাবো,
যাহা হয়নি তাহাই বরং ভুল।
আর যা হইয়াছে,
তাহাই বরং সঠিক।
হে বিদ্বিগ্ন আত্না,
চলমান বিপদগ্রস্ত ঘটনা হইতে শিক্ষা লও।
মানুষ ভুল করে,
আবারো ভুল করে, বারংবার ভুল করে।
অতঃপর সেখান হইতে শিক্ষা গ্রহণ করে,
ইহাই মানুষের পরম জীবক চক্র।
হে আত্মা,
তুমিও কি মানুষ নও…?"
উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা এবং কখন থামতে হবে সেটা আয়ত্ত করা:
শেষ সত্যটি হলো, উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা এবং থামতে শেখা। বেঁচে থাকার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য প্রচণ্ড শ্রম মানুষকে সফল করে তোলে। লোকেরা উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখতে ভয় তান, তারা কুয়াতে জন্মে বাকি জীবন কুয়াতেই কাটান এবং সমুদ্রে যাবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেননা। কিন্তু তারা ভাবেননা কুয়ার ব্যাঙ এবং মানুষের ভেতরকার পার্থক্যটা।
লোকেরা উচ্চাকাঙ্ক্ষা করেছেন বলেই মানবসভ্যতা এত উন্নত হয়েছে এবং যোগাযোগব্যবস্থার এত জটিল জটিল উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। লোকেরা উচ্চাকাঙ্ক্ষা করেছেন বলেই পৃথিবী জয় করে চাঁদে অবতরণ সম্ভব হয়েছে, মঙ্গল পারিয়ে মার্স সম্ভব হতে চলেছে। এ কারনে জীবনের অন্যতম একটি সত্য হলো, উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা এবং সেটার জন্য শ্রম দেওয়া।
উচ্চাকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কখন থামতে হবে সেটা শেখা। যে কোন কাজে, পদক্ষেপে কখন থামতে হবে, "না" বলতে শিখতে হবে সেটা জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের একটি পর্যায়ে এসে না বলা শিখতে হবে। জানতে হবে কখন এখানে আপনার থামাটা গুরুডৃবপর। প্রথমপ্রথম অনেকবার ভুল হবে, ঠকতে হবে। পূর্বের এই অভিজ্ঞতা থেকেই পরেরবার জানতে হবে, জীবনের কোনকোন মুহূর্তে আপনার থেমে যাওয়াটা, চুপ হওয়াটা, ভাবতে বন্ধ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনের বেশ কিছু অধ্যায় ভুলতে শিখতে হবে। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ, আর কোনটা নয় সেটা জানতে হবে। গুরুত্বপূর্ণের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেকরকম। হতে পারে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নিজের জীবনের জন্য, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য। সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে। কোন মানুষটি আপনার থেকে না শব্দটি শোনার প্রাপ্যতা রাখেন, সেটা আয়ত্ত করতে হবে।
না শব্দটি বলতে না শিখলে জীবনের একটি মুহূর্তে বিষণ্ণতা অনুভব হবে। জীবন কে অর্থহীন মনে হবে। সমস্ত মানুষকে একধারায় মাপতে ইচ্ছছে হবে। এ কারনে জীবনের অন্যতম একটি সত্য হলো উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা এবং কখন থামতে হবে এবং না বলতে হবে সেটা আয়ত্ত করা।
- তন্ময় জাবের
©somewhere in net ltd.