নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমি তন্ময় জাবের। সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা ধর্মী লেখা এবং গল্প লিখতে ভালোবাসি। আমার ব্লগ পাতায় একবার ঢুঁ মারার আমন্ত্রণ রইলো।

তন্ময় জাবের

লেখি, চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহী, গল্প শোনাই, বুদ্ধি বিক্রি করে বেড়াই, অন্তর্মুখী, বিজ্ঞান এবং মহাকাশ পছন্দ করি, তথ্যভিত্তিক চিত্র নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। গবেষণা ধর্মী লেখা এবং কাজ বানাতে পছন্দ করি। সব কিছুতে বিভ্রান্ত হতে পছন্দ করি, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। যুক্তি পছন্দ করি, যুক্তি আমি মেনে নেই। আমার স্মৃতিশক্তি কম, তবে কল্পনা শক্তি ভালো। আমার একটি গুণ আছে, যে কারোর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে এবং ছবি দেখো আমি কিছু একটা লিখে ফেলতে পারি কল্পনা করে, এছাড়া তেমন কোন মুগ্ধতা আমার ভেতর নেই।

তন্ময় জাবের › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচ্ছেদের পরেও ভালোবাসা থেকে যায়। তন্ময় জাবের

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

বিচ্ছেদের পরেও ভালোবাসা থেকে যায়, যদি অভিমানে বিচ্ছেদ হয়৷ যেটা রাগ এবং তাড়াহুড়োর মাথায় হয়, অথচ ভালোবাসা থেকে যায়।
কখনো ঠান্ডা মাথার মিউচুয়াল বিচ্ছেদের পরেও ভালোবাসা থাকতে পারে। দু'জন দু'জন কে ভালোবাসে ঠিকই, আমার কম্প্রোমাইজ ও করতে চান না। তখন হয় এটা।

কখনো বিচ্ছেদের পরে শূন্যতা অনুভব থেকেও ভালোবাসা তৈরি হতে পারে। যেটা একসাথে থেকে হয়না। মোদ্দা কথা, ভালোবাসা যে কোন সময়ে অবস্থায় হতে পারে। এরসাথে ডিভোর্সের সম্পর্ক নেই।
আমি ভালোবাসি, কিন্তু আমাদের ভেতরে অনেক গুলো মতের অমিল আছে এবং আমি এটা কখনো বদলাতে পারবো না। যেমন, আমি ভালোবাসি, তবে আমি স্বার্থপর ও। বা আমি অন্তর্মুখী, আমি কারোর সাথে মিশবো না একা একা থাকবো। ভালোবাসা, আকর্ষণ ফুরালেই ডিভোর্স হয়না। ভালোবাসা থাকার পরেও বিচ্ছেদ হয়।
বিয়ে বলতে আমরা যেটা বুঝি তা হলো একসাথে থাকার একটি ঘোষণা, অফিশিয়াল এবং ফাইনাল লিখিত সিদ্ধান্ত, শারিরীক সম্পর্ক এবং প্রজনন ঘঠানোর একটি নিয়মানুবর্তিতা।

তবে, সত্যি ব্যাপার হলো। একটি দম্পতি বিয়ের সর্বোচ্চ ৩ বছর তার সঙ্গীর প্রতি শারিরীক আকর্ষণ বোধ করেন, সবার বেলায় একরকম নাও হতে। এরপরের বাকি পুরোটা জীবন তারা একসাথে থাকেন শুধুমাত্র কম্প্রোমাইজ, মানসিক ভালোবাসার জন্য।
এ কারনে একটি সম্পর্ক কখনো শুধুমাত্র আকর্ষণ বোধের জন্য টিকে থাকেনা।

আমার মতে, বিয়ে একটি স্রেফ সামাজিক ব্যবসা। আমার মনে হয়না ভালোবাসা, শারিরীক বা মানুষিক সম্পর্ক এসবের জন্য একটি শর্তের, আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন আছে। আমি এটা বলতাম না যদি হঠাৎ ভালোবাসা ফুরালে, বিয়ের পরে কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব না হলে, হঠাৎ অন্য কাউকে পছন্দ হলে এটাকে একপ্রকার অপরাধ, ঠকানোর পর্যায়ে না নেওয়া হতো এবং যদি মিউচুয়ালি সমাধানের সুযোগ থাকতো।

ভালোবাসা, সম্পর্কের জন্য যখন একটি শর্ত আরোপ করা হয় তখন ব্যপারটা বেশ কঠিন হয়ে পরে। দুটো মানুষ বাকি জীবন একসাথেই কাটাবেন কিনা এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত, এটা হুট করে নেবার মতন সিদ্ধান্ত না।
স্বাধীন মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য এটা বেশ অযৌক্তিক। মানুষের সামাজিকতা উন্নত করতে গিয়ে আমরা বেশ কঠিন করে ফেলেছি। ভালোবাসা ব্যাপারটা হরমোনগত। হরমোনের প্রভাবে, ভালোবাসা বাড়ে, কমে। হরমোনের প্রভাবে ভালোবাসা বদলায়। এটাকে আমরা ন্যায় অন্যায় দিয়ে বিচার করতে পারিনা বরং এটি জীবের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

যখন ই আমরা এটাকে বেশ কঠিন করে ফেলি, তখনি আমাদের জীবন জটিল হতে আরম্ভ করে। জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
সমাজ খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ইন্ডিয়া অনেক এগিয়েছে। আমাদের সমাজ ও বদলাবে। আমরা জীবের কিছু শরীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য কে উন্নত সামাজিকতা তৈরি করতে গিয়ে উলটো জটিল এবং কঠিন করছি।
একটি আদর্শ বিচ্ছেদ হলো বিচ্ছেদের আগের জীবন কে সম্পূর্ণভাবে ভুলে যাওয়া৷ এটা কঠিন, তবে আরম্ভ করলে সহজ। সম্পূর্ণ রূপে ভুলে যাওয়া মানে, সমস্ত স্মৃতি ভুলে যাওয়া৷ এবং, এ দু'জন মানুষ তাদের দু'জনের পরর্বতী জীবনে একে ওপরে কখনো ইন্টারফেয়ার না হওয়া।

আপনারা ভুলে যাওয়া বলতে কি বোঝেন?
আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনে আমাদের স্মৃতি গুলো জমাট বাধে। আপনি নতুন কোন স্মৃতি তৈরি না করলে পুরনো নিউরনের কোষ গুলো নিষিক্ত হবেনা। এই ভুলতে পারা না পারাও কিন্তু কোষগঠনের ব্যাপার।
মোদ্দা কথা, ভোলা সম্ভব না৷ ট্রান্সফরমেশন করে ফেলা বা অন্য কিছুতে রূপান্তর করে ফেলা সম্ভব।
অপূর্ণতা মেটানোর মতন কাউকে তখনই পাবেন, যখন আপনি তাকে ভুলতে রাজি হবেন এবং সেখানে অন্য আরেকজনকে যায়গা দিতে চাইবেন।

- তন্ময় জাবের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.