![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখি, চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহী, গল্প শোনাই, বুদ্ধি বিক্রি করে বেড়াই, অন্তর্মুখী, বিজ্ঞান এবং মহাকাশ পছন্দ করি, তথ্যভিত্তিক চিত্র নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। গবেষণা ধর্মী লেখা এবং কাজ বানাতে পছন্দ করি। সব কিছুতে বিভ্রান্ত হতে পছন্দ করি, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। যুক্তি পছন্দ করি, যুক্তি আমি মেনে নেই। আমার স্মৃতিশক্তি কম, তবে কল্পনা শক্তি ভালো। আমার একটি গুণ আছে, যে কারোর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে এবং ছবি দেখো আমি কিছু একটা লিখে ফেলতে পারি কল্পনা করে, এছাড়া তেমন কোন মুগ্ধতা আমার ভেতর নেই।
রাতের শুরুর দিকে বেশ কড়া তুষারপাত হলো। হেলসিঙ্কি এখন তুলোর মতন সাদা বরফে ঢাকা পরে আছে।
ফিনল্যান্ডের হ্রদ গুলো বরফে জমাট বেধে গিয়েছে। আমি বসবার ঘরের ফায়ারপ্লেসে বেশ কিছু কয়লা দিয়ে ওটা চালিয়ে দিলাম। ফায়ারপ্লেসের উষ্মতায় নরম গদিতে শরীর এলিয়ে তুষারপাত দেখতে দেখতে আলসেমি ধরে আসলো, মোটা চাদর টা টেনে গায়ে এলিয়ে দিলাম।
এমন সময়ে দরজার ঠিক নিচ থেকে একটি গুবরে পোকা ঠাণ্ডায় কাপতে কাপতে রুমে ঢুকলো। রুমে ঢুকেই ফায়ারপ্লেসের কাছাকাছি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গুটিসুটি মেরে বসলো। আমি পট থেকে গরম এক চামচ সুপ এগিয়ে দিলাম, গুবরে পোকা বেশ আয়েশ করে পুরোটা সুপ খেলো। এরপরে একটু গা ছেড়ে আরাম করে বসলো।
সম্ভবত স্বস্তির নিশ্বাস ও ফেললো, ছোট পোকা দেখে আমি শুনতে পাইনি। মাথার শুড় গুলো ঘষে ঘষে মানুষের মতন করে কয়েকবার ধন্যবাদ ও জানালো, তবে ভাষা টা আঁচ করে উঠতে পারিনি।
হঠাৎ খেয়াল হলো, মোটা কাপড় দেওয়া হয়নি গুবরে পোকা টাকে। এপাশ ওপাশ খুঁজেও ওর আকৃতির গরম কাপড় পেলাম না। অগত্যা আমার টা ভাগাভাগি করে নিলাম। গুবরে পোকা আমার নরম গদির ছোট্ট একটি অংশ দখল করে শুয়ে পরলো। একটু পরে বেশ শব্দ করে গভীর ঘুমের নাক ডাকতে আরম্ভ করলো।
আমি মনেমনে শান্ত হলাম, আজ রাতটা অন্তত ফিনল্যান্ডের এই অচেনা বরফের শহর, হেলসিঙ্কি তে একা একা কাটাতে হবেনা আমাকে। একজন বন্ধু অন্তত পাওয়া গেলো।
বরফের শহর।
লেখা -তন্ময় জাবের
©somewhere in net ltd.