নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খুঁটিনাটি তথ্য

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭




ঘটনার স্হান, তারিখ ও সময়ঃ
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকাল ৫টা ৪০ মিনিট।

ঘটনায় হতাহতঃ

তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত প্রায় ৩০০ জন।
মামলা দায়েরঃ
গ্রেনেড হামলার ঘটনার পরদিন ২২ আগস্ট মতিঝিল থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১২০/বি, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ২০১, ১১৮, ১১৯, ২১২, ৩৩০, ২১৮, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯৭(৮)২০০৪। এ মামলাটির প্রথমে তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে। অবশ্য এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী আরও দুটি মামলা করেছিলেন। পরে এসব মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনঃ


২০০৪ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এক মাস ১০ দিনের মাথায় ওই বছরের ২ অক্টোবর কমিশন সরকারের কাছে ১৬২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে ইঙ্গিত করে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল। অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছিল ভাড়া করা দুর্বৃত্তদের মাধ্যমে। এসব লোক প্রধানত একটি সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের মধ্য থেকে নেওয়া হয়, যাদের সমাবেশে ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়ার মতো ভালো জ্ঞান ছিল। যদিও ওই প্রতিবেদনে বিদেশি শক্তি বলতে কোনো দেশের নাম বলা হয়নি।

চার্জসিট/ অভিযোগ পত্রঃ

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৯ ই জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ওই বছরই মামলা দু’টির কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালত-১-এ স্থানান্তর করা হয়। এ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ২৯/১১ (হত্যা) ও ৩০/১১ (বিস্ফোরক) মামলা দু’টির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

অধিকতর তদন্তের আবেদন ও সম্পূরক চার্জশীটঃ


২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা ১২ আগস্ট মঞ্জুর করেন। এর পর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দস্বাক্ষরিত চার্জশিটটি দাখিল করেন এসআই গোলাম মাওলা। তদন্ত শেষে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২০১১ সালের ২ জুলাই। তাতে তিনি তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন ।
তাহলে মোট আসামি হলেন ৫২ জন। যথাঃ ১. মুফতি আবদুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম ওরফে আব্দুল মান্নান (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ২. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি ৩. শরিফ শাহেদুল আলম বিপুল (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ৪. মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর ৫. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল ৬. মো. জাহাঙ্গীর আলম ৭. হাফেজ মাওলানা আবু তাহের ৮. শাহাদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল ৯. হোসাইন আহম্মেদ তামিম ১০. আব্দুস সালাম পিন্টু ১১. মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ১২. আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক ১৩. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ১৪. মো. উজ্জল ওরফে রতন ১৫. হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া ১৬. মো. লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭. মেজর জেনারেল (অবঃ) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ১৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আব্দুর রহিম ১৯. আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ২০. মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম ২১. মো. আব্দুল মাজেদ ভাট ২২. আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ২৩. মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে পীর সাহেব ২৪. মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির ২৫. মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, ২৬. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি মো: আশরাফুল হুদা ২৭. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি শহুদুল হক ২৮. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী ২৯. রুহুল আমীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (অবঃ) ৩০. আব্দুর রশিদ অবসরপ্রাপ্ত এএসপি ৩১. মুন্সী আতিকুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত এএসপি ৩২. লে.কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক ৩৩. মাওলানা মো.তাজউদ্দিন ৩৪. মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন ৩৫. আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন ৩৬.মো. খলিল ৩৭. জাহাঙ্গীর আলম বদর ৩৮. মো.ইকবাল ৩৯. আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার ৪০. লিটন ওরফে মাওলানা লিটন ৪১. তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া ৪২. হারিছ চৌধুরী ৪৩. কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ৪৪. হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ ৪৫. লে.কর্নেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ৪৬. মেজর জেনারেল এ,টি,এম, আমিন (এলপি আর) ৪৭. মুফতি শফিকুর রহমান ৪৮. মুফতি আব্দুল হাই ৪৯. রাতুল আহাম্মদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু ৫০. ডিআইজি, খান সাঈদ হাসান ৫১. পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান খান ৫২. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ কমিশনার।
এদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি মো: আশরাফুল হুদা, অবসরপ্রাপ্ত আই,জি,পি শহুদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (অবঃ), আব্দুর রশিদ অবসরপ্রাপ্ত এএসপি , মুন্সী আতিকুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত এএসপি, লে.কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক. লে.কর্নেল (অবঃ)সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার , মেজর জেনারেল এ,টি,এম, আমিন (এলপি আর), ডিআইজি, খান সাঈদ হাসান ও পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান খানসহ এ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২১ আগস্টের একই ঘটনায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে (সংশোধনী-২০০২) অভিযোগ আনা হয়নি।

নতুন ভাবে অভিযুক্তদের মধ্যে স্থান পান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ উল্লেখযোগ্য।


এতে জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় ইতোমধ্যেই কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে ৩৮ জন উভয় মামলায়ই আসামি। এর মধ্যে এখন হত্যা মামলায় ৪৯ জন ও বিষ্ফোরক আইনের মামলায় ৩৮ জন আসামি।


অভিযোগ গঠনঃ

প্রথম অভিযোগপত্রের আলোকে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। সম্পূরক অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার পর অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১২ সালের ১৮ মার্চ।

সাক্ষ্যগ্রহণ তথা বিচার শুরু :


২০১২ সালের ৯ জুলাই।

সাক্ষ্য শেষ :


মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয় ২০১৭ সালের ৩০ মে।

সাক্ষী সংখ্যা :

এ মামলার মোট ৫ শ’ ১১ জন সাক্ষী। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। অপরদিকে আসামীপক্ষ ২০ জন সাফাই সাক্ষ্য দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা করেছে।

যুক্তিতর্ক শুরু :


২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করে টানা ২৫ কার্যদিবস ফ্যাক্টস-এর আলোকে যুক্তিতর্ক পেশ করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর টানা ৮৭ কার্যদিবস আসামীপক্ষ ফ্যাক্টস্ এর আলোকে যুক্তিতর্ক পেশ করেছে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষ আইনি পয়েন্টে যুক্তিতর্ক পেশ করেছে। যুক্তিতর্ক টানা ১১৯ কার্যদিবস শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার পর্যায়ে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়েছে মোট ২৯ কার্যদিবস আর আসামিপক্ষ নিয়েছে মোট ৯০ কার্যদিবস।

জবানবন্দি :


মামলার সাক্ষীদের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন-আবু হেনা মো. ইউসুফ, অতিরিক্ত আই,জি,পি এস.এম মিজানুর রহমান , মেজর জেনারেল সাদেক হাসান রুমি, লে. কমান্ডার মিজানুর রহমান, মেজর (অবঃ) মো. আতিকুর রহমান, নাহিদ লায়লা কাকন, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ , আইজিপি আব্দুল আজিজ সরকার, মেজর (অবঃ) সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, লে: কর্নেল আফজাল নাছির ভূইয়া, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মনোয়ারা সুলতানা।
আসামিদের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে ১৩ আসামির ১৪টি। তারা হলেন-১. মুফতি আবদুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম ওরফে আব্দুল মান্নান (অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর ২টি জবানবন্দি) ২. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি ৩. শরিফ শাহেদুল আলম বিপুল (অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর) ৪. মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর ৫. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল ৬. মো.জাহাঙ্গীর আলম ৭.মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ৮.আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক ৯. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ১০. মো. উজ্জল ওরফে রতন ১১. মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম ১২. মো. আব্দুল মাজেদ ভাট ১৩. আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ।
আসামি গ্রেপ্তার ও পলাতক :
২১ আগস্টের ঘটনায় পৃথক মামলায় মোট আসামীর সংখ্যা ৫২ জন। এর মধ্যে ৩ জন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৩ আসামি হলেন- জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল।
এখন ৪৯ আসামির বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে এখনো ১৮ জন পলাতক। এখন ৩১ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এরমধ্যে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্যের দিন পর্যন্ত ৮ আসামি জামিনে ছিলেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা হলেন-বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

বর্তমান বিচারকঃ

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন

পিপিঃ

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান

মোট কার্যদিবসঃ


বিচার কার্যক্রম অনুষ্টিত হয়েছে মোট ১৪৫৪ কার্যদিবসে।
কারাগারে রয়েছেন ৩১ জন। বাকি ১৮ জন হলেন, মাওলানা তাজউদ্দিন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, ব্যবসায়ী মো.হানিফ, মহিবুল মুত্তাকীন, আনিসুল মুরসালিন, মুফতি শফিকুর রহামন, রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু, জাহাঙ্গির আলম বদর, মো. খলিল, মো.ইকবাল, মাওলানা লিটন ও মুফতি আবদুল হাই।সাবেক সেনা কর্মকর্তা এটিএম আমিন ও সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান খান ও খান সাঈদ হাসান।

আলোচিত জজ মিয়া
ভয়াবহ এ হামলা মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে ২০০৫ সালের ৯ জুন জজ মিয়াকে আটক করা হয়। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে নেওয়া হয় সেনবাগ থানায়।
পরবর্তীতে সিআইডি পুলিশের হেফাজতে থাকার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। পরে তদন্তে আসে ‘জজ মিয়ার বিষয়টি পুলিশের সাজানো নাটক।’
এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ২০০৮ সালে জজ মিয়াকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনা দায়ক
..............................................................
যথাযথ বিচার ও রায় দেওয়া হউক

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৫৩

রাফা বলেছেন: একজন ছিচকে চোরকে আসামী সাঝিয়ে যে নাটকের মাধ্যমে পুরো ঘটণা পরিচালিত করেছিলো তৎকালিন সরকার শুধু এই ঘটণার জন্যই তাদের আরো একবার বিচার করা যায়।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই লেখাটিও পড়ুন

যেভাবে গ্রেনেড হামলা, মুল হোতা যারা

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল লেখা মনোযোগ সহকারে পড়লাম, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

গন বলেছেন: শুধু জজ মিয়ার বিষয়কে আমরা নাটক বলছি।অথচ মুফতি হান্নানকে দিয়ে নাটক করা হয়েছে কিনা? সেটা কেউ বলছে না। খালেদা জিয়াকে আর তার পরিবারকে বিতর্কিত করার জন্য বা ধংস করার জন্য কি না করছে এই সরকার? ১২০ দিন রিমান্ডে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলিয়েছে এই সরকার। মিথ্যা সাক্ষ্যর উপর আজ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন রায় দেওয়া ঠিক হবে না। ক্ষমতায় থেকে কেউ জংগি ভাড়া করে অন্য দলের প্রধানকে হত্যা করতে যাবে কেন? ক্ষমতায় থেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে কে বেনিফিসিয়ারী হয়? কেন তারেক জিয়া এইভাবে হত্যাকান্ডের ইন্ধন দিবেন? তাছাড়া মুফতি হান্নান তো গোপালগঞ্জের মানুষ। যার স্টেটম্যান্টের উপর একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের শাস্তির কথা বলছেন। তাকে কেন বাচিঁয়ে না রেখে তাড়াতাড়ি ফাসি দিয়ে দিলেন? জজ মিয়া যেমন প্রকাশ্য আজ বলে তাকে দিয়ে নাটক করা হয়েছিল। মুফতি হান্নানকে বাচিঁয়ে না রেখে আমরা কিভাবে বুঝব তাকে দিয়ে সরকার তারেক রহমানের বলান নি?

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছি।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২১শে আগস্টের বোমা হামলা যে বছর হয় তার পরের বছর ৯ জুন বিরিকোট গ্রাম থেকে জজমিয়াকে আটক করা হয়। যারা আটক করেন, আটকের পূর্বে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার বাগানবাড়িতে রাত কাটায়। গ্রেফতারের পর সিআইডি পুলিশ তাকে প্রথম প্রথম স্বীকারোক্তি দিতে বলে যে সেই হামলা চালিয়েছিলো ৫০০০ টাকার বিনিময়ে এবং তাকে এই নির্দেশ দিয়েছিলো সুব্রতবাইন স হ আরো কয়েকজন। যখন সে অস্বীকার করে তখন তাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পায়ের পাতায় পেটানো হয় যে দাগ গুলো এখনো বিদ্যমান। পেটানোর সময়বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, স হকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান পালা করে থাকতেন এবং একজন ম্যজিস্ট্রেট ও আসতেন। মূলত পেটানোর সময় জিজ্ঞাসাবাদের পুরো ব্যাপারটা ম্যাজিস্ট্রেটের ফোনের মধ্যে কাউকে শোনানো হত এবং জজমিয়া স্বীকার করেছে সেটা জানতে হতো। তখন জজমিয়ার মা কিডনি সমস্যায় ভুগতেছিলেন। তাকে টোপ দেয়া হলো যে স্বীকারোক্তি দিলে টাকা নিয়ে বাকী জীবন কোনো সমস্যায় থাকতে হবে না। শোনা যায় সেই টাকার পরিমান ছিলো ৩ হাজার টাকা মাসিক এবং চার দলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতা ছাড়লে ২০০৭ সালে বিএনপি থেকে সিলেক্ট করা ইয়াজুউদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় তখন এই ৩০০০ টাকার সু্ত্র ধরেই জজমিয়ার ঘটনা ফাস হয়।

পরে এই মামলার সাক্ষী হয় পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, স হকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান এবং জজমিয়া নিজে।

ওদিকে ২০০৫ সালের পহেলা অক্টোবর মেরুল বাড্ডা থেকে র‌্যাব বিশেষ অভিযানে মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করে ততকালীন আইজি আব্দুল কাইয়ুম ও স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বাবরে অব হিত করা হয়। বাবর তখন বেশ বিরক্ত হন।

এমনকি টিএফআই সেলে র‌্যাব প্রশ্ন করলো তখন মুফতি হান্নান হাসিনার গ্রেনেড হামলার কথা স্বতঃস্ফুর্তভাবেই বলে, কারন তার মনে ছিলো স হী ইসলামী চেতনা এবং জিহাদী বাইয়াত। সেটাও বাবরকে জানানো হললে। বাবর তখনই সরাসরি নির্দেশ দেয় যে এই জিজ্ঞাসাবাদ সেখানে থামাতে এবং এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ যেনো না নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন সিআইডির বিশেস সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।

ঘটনার টাইম লাইন যদি খেয়াল করি ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় এবং ২০০৫ সালের কিছু আগে ও পরে জজ মিয়া ও মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। জজমিয়া আটক হবার সময় মুফতি হান্নানের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত হবার কথা জেনেছিলো কিন্তু তারা সব জেনে শুনেই ধামাচাপা দেয়। এবং প্রতিটা ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন ততকালীন কর্মকর্তারা।


এমন নিখুত কেস আমার মনে হয় বাংলাদেশের আদালতে কখনো হয়েছিলো বা হবে। প্রতিটা ঘটনার সাক্ষ্য আছে।

আমার মনে হয় এই কেসের রায় নিয়ে লীগের অখুশী হবার কারন আছে সেটা হলো তারেক জিয়ার ফাসী হলো না কেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অসন্তুস্ট।

যারা বিএনপির পক্ষ নিয়ে লীগের জন্য দোয়া করছেন, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং তার চিকিৎসার জন্য এই যে এত আয়োজন এবং তাকে কোন হাসপাতালে নেবে কি না নেবে না তা নিয়ে ফখরুলের পিচকি পুলাপানের মতো আব্দার, আপনাদের কি লজ্জা করে না?
কেউ কি এই প্রশ্নটা দেবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.