নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
অযোধ্যার বাবরী মসজিদ কেইসঃ সেই ১৮৮৫ সালে থেকে যার শুরু।
বাবরী মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান মিলে জমির পরিমান প্রায় ৬.৮ একর । যার মালিকানার দাবীতে আছে, নির্মোহ আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, আর স্বয়ং রামের হয়ে তার একজন পূজারী।
এই বাবরী মসজিদের জমির মালিকানা নিয়ে করা চারটি সিভিল মামলার উপর ভিত্তি করে ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদের জমিকে তিন গ্রুপের মাঝে ভাগা করার রায় দেয়।
এই চারটি মামলা হলোঃ
মামলা ১ঃ ১৯৪৯ সালে হিন্দুরা মসজিদের ভিতর রামের মূর্তি স্থাপন করে পুজা করার অনুমতি চেয়ে ১৯৫০ সালে গোপাল সিং বিশারদ প্রথম মামলা করে। এরপর থেকে এই মসজিদে মুসলমানেরা নামাজ পড়া বন্ধ করে দেয় কিন্তু মসজিদ থেকে মূর্তি অপসারন করা হয় নাই।
অর্থাৎ, ১৯৫০ সাল থেকে বাবরী মসজিদ ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত মুসলমানেরা এই মসজিদে আর কখনও নামাজ পড়ে নাই বা পড়ার অনুমতি পায় নাই। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে মাঝে মঝে হিন্দু পুরহিতেরা মসজিদে ঢুকে রামের মূর্তিকে পুজা করে আসছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে শহরের মিউনিসিপাল বোর্ড, আর মামলাটি ঝুলে থাকে বহুদিন।
্মামলা ২ঃ ১৯৫৯ সালে 'নির্মোহ আখড়া' মসজিদের পুরা মালিকানা দায়ের করে মামলা করে। এর আগে নির্মোহ আখড়ার মহান্ত রঘুবির দাস ১৮৮৫ সালে এখানে মসজিদের পাশে মন্দির বানানোর অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিল, কিন্তু তাতে তাদের দাবী নাকচ করে দেয়া হয়েছিল।
মামলা ৩ঃ ১৯৬১ সালে মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড পুরা প্রপার্টির মালিকানা দাবী করে মসজিদ থেকে মূর্তি সরিয়ে ফেলার আর মসজিদের কাস্টোডিয়ানশিপ ওয়াকফ বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করার দাবী নিয়ে মামলা করে। কোন রায় ছাড়া সেই মামলাও ঝুলে থাকে।
এরপরের মামলাটি হলো
৪ঃ ১৯৮৯ সালে হিন্দু দেবতা রামের পক্ষ হয়ে আর রামের জন্ম স্থানের পক্ষ হয়ে পুরা জায়গার মালিকানা দাবী করে মামলা দায়ের করে হিন্দু আরাধক জি এস বিশারদ।
এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৯২ সালে উগ্রপন্থি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হিন্দুরা ১৬শ শতাব্দীতে নির্মিত বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে ফেলে, এই মসজিদ ধ্বংসের জন্য আলটিমেটলি যেই ৬৮ জনকে দায়ী করা হয় তারা সকলেই বিজেপি আর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা আর সদস্য। এই ডেমলিশানকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ব্যাপি হিন্দু মুসলমানদের দাঙ্গা চলে যাতে নিহত হয় প্রায় ২০০০ মানুষ, যাদের প্রায় সকলেই ছিল মুসলমান।
কিন্তু এই চার মামলাকে এক সাথে করে এলাহাবাদের হাইকোর্ট ২০১০ সালে রায় প্রদান করে। হাইকোর্টের যে তিনজন বিচারপতি এই মামলার রায় দেন তাদের একজন ছিলেন মুসলমান, আর বাকি দুইজন হিন্দু।
২০১০ সালে এই তিন বিচারপতির ২ঃ১ রায়ে পুরো জায়গার ১/৩ অংশ দেয়া হয় রাম মন্দিরের জন্য, ১/৩ অংশ দেয়া হয় ওয়াকফ বোর্ডকে, আর শেষ ১/৩ দেয়া হয় নির্মোহ আখড়াকে। অর্থাৎ মামলাকারীরা সবাই সমান সমান ভাগ পেয়ে যায়।
এরপর মামলাটি চলে যায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে, যার শুনানি শেষ হয়েছে আর রায় বের হবে আজ শনিবার। ভারতে এই মামলার রায় নিয়ে প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।
আজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ বেঞ্চের বিচারকগন ভারতের অযোধ্যাতে যে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটি নিয়ে বহু বছর ধরে সংঘাত, সেখানে একটি হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষেই রায় দিয়েছে।
এর পাশাপাশি মুসলিমদের মসজিদ বানানোর জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে অযোধ্যাতেই অন্য কোনও 'বিকল্প' স্থান।
বলা হয়েছে, মসজিদ বানানোর জন্য অযোধ্যারই কোনও উল্লেখযোগ্য স্থানে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে হবে।
এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: মামলা মোকাদ্দমা আমি খুবই অপছন্দ করি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
ঊণকৌটী বলেছেন: মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। বিতর্কিত জমির মালিকানা পেল রাম জন্মভূমি ন্যাস। কিন্তু, আপাতত বিতর্কিত ওই জমির তত্ত্বাবধান করবে একটি ট্রাস্ট। এক নজরে দেখা যাক রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের সেরা সাত পর্যবেক্ষণ।
১. আদালতের এই রায় সর্বসম্মত। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতির সম্মতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কোনও বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেননি।
২. কারও আস্থা বা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তটি শুধুমাত্র জমি আইনের উপর ভর করে নেওয়া হয়েছে।
৩. রায় ঘোষণার আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মূলত ৪ জন দাবিদার ছিল। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রাম জন্মভূমি ন্যাস, নির্মোহী আখড়া। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এদিন শিয়া ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দেয়। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড কোনও জমির মালিকানা পাবে না। নির্মোহী আখড়া সেবায়েত নয়, ওই জমিতে তাঁদের কোনও অধিকার নেই।
৪. ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার নিন্দা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ১৯৪৯ সালে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠারও নিন্দা করা হয়েছে।
৫. রায়ে রামলালাকে একজন দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রামলালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসকে। রামলালাকেই বিতর্কিত ২.৭ একর এবং সরকার অধিকৃত ৬৭ একর জমি দেওয়া হবে।
৬. আপাতত সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করা হবে। এই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হবে রাম মন্দির।
৭. সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প হিসেবে ৫ একর জমি দেওয়া হবে। অযোধ্যার কোনও জায়গায় এই পাঁচ একর জমি দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে ঠিক করবে কোথায় জমি পাবে মুসলিমরা।
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: একটি উগ্রপন্থী সরকারের সরকারের কাছে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায়না।ইতিহাস ধ্বংসের প্রতিবাদ না করে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের আশা করেন ?
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: জমি যেই পাক আমার দৃষ্ট অন্যদিকে। একটা ঐতিহাসিক স্থাপনা যারা ভাঙলো, ধর্মীয় উগ্রতা ছড়িয়ে হাজার হাজার লোক মারলো তাদের ব্যাপারে কি ফায়সালা হয় সেদিকে।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ফকিরের কাছে কি ভিক্ষা চাইতে পারেন।
.........................................................................
তেমনি উগ্রবাদী শিব সেনা সমর্থিত বিজেপি সরকারের কাছে
আর কি আশা করেন ???
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
বুবলা বলেছেন: অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। বিতর্কিত জমির মালিকানা পেল রাম জন্মভূমি ন্যাস। কিন্তু, আপাতত বিতর্কিত ওই জমির তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি ট্রাস্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায়দানের সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) রিপোর্টের উপর। যারা প্রমাণ দেখিয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে দেবদেবীর অস্তিত্ব ছিল।
১৯৭৬-৭৭ সালে এএসআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল বিবি লালের সঙ্গে প্রথমবার এই জমির খননে অংশ নিয়েছিলেন এএসআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর কেকে মহম্মদ। সেই দলে একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন মহম্মদই। তিনিই জানান, এই জমিতে মন্দির ছিল, তা প্রমাণিত। এরপর ২০০৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চের নির্দেশে দ্বিতীয়বার খননকার্য হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তীকালে সেই সময় রাডার (গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার) ব্যবহার করে চলে গবেষণা। সেখান থেকে আবিষ্কৃত সব জিনিসের ভিডিও করে রাখা হয়। প্রথম খননের মতো এবারও এই জমিতে মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণ হয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত মোট সাতটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন কেকে মহম্মদ। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সাতটি প্রমাণ।
১. স্তম্ভ, ভীত এবং কলসি:
আমরা ভিতরে ঢুকে দেখি মসজিদের ১২টি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতকের মন্দিরগুলির ভীতে পূর্ণ কলস বা কলসি দেখা যেত। এগুলি আসলে ‘ঘড়া’র স্থাপত্য। যেখান থেকে গাছপালা বেরিয়ে থাকত। হিন্দু মতে সেটি ছিল সম্বৃদ্ধির প্রতীক। এটি অষ্ট মঙ্গল চিহ্ন হিসেবেও পরিচিত ছিল। বাবরি মসজিদের ভিতরও এই ধরনের বস্তু দেখা গিয়েছিল। দেবদেবীর খুঁজে না পাওয়া গেলেও অষ্ট মঙ্গল চিহ্ন ছিল। অর্থাৎ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকেই যে স্তম্ভ তৈরি, তা প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।
২. টেরাকোটা ভাস্কর্য:
একাধিক টেরাকোটা ভাস্কর্য সেখানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যদি এটি শুধুই মসজিদ হত, সেক্ষেত্রে কখনওই মানুষ বা জন্তুর বর্ণনা সেখানে থাকত না। কারণ ইসলাম মতে তা ‘হারাম’। অর্থাৎ সেখানে মন্দির ছিল। কিন্তু বিবি লাল এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরেননি। কারণ আমাদের খননের লক্ষ্য ছিল সেই এলাকার সংস্কৃতিক ক্রম বোঝা।
৩. আরও স্তম্ভের সন্ধান:
দ্বিতীয় খননে পঞ্চাশটিরও বেশি স্তম্ভের ভীত পাওয়া গিয়েছিল। মোট ১৭টি সারিতে এই স্তম্ভ পাওয়া গিয়েছিল। এই কাঠামোই প্রমাণ করে দ্বাদশ শতকে বাবরি মসজিদের নিচে মন্দির ছিল।
৪. মন্দির প্রণালী:
মন্দির প্রণালীও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। দেবদেবীর স্নানের জন্য যে জল ব্যবহৃত হয় তা এই প্রণালীর মধ্যে দিয়েই বয়ে যায়। কুমিরের মুখের মতো এই প্রণালী মকর প্রণালী হিসেবেও পরিচিত। কুমির হল গঙ্গার প্রতীক। গর্ভ গৃহে প্রবেশের আগে একপ্রান্তে এক মহিলা কুমিরের উপর দাঁড়িয়ে থাকে এবং অন্যদিকে আরেক মহিলাকে কচ্ছপের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। অর্থাৎ গঙ্গা-যমুনা বা সরস্বতীতে স্নান করে তবেই ঈশ্বরের গৃহে আপনি প্রবেশ করেন। হিন্দু মতে এই স্নানেই পাপ ধুয়ে যায়। এই মকর প্রণালীও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
৫. মন্দির কলস ও শিখারা:
মন্দিরের উপর কলসের ঠিক নিচে যে স্থাপত্য থাকে, তা অমলকা নামে পরিচিত। উত্তর ভারতের মন্দিরে এর নিচে গ্রীবা ও শিখারার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই স্থান থেকেও তেমনই শিখারা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
৬. আরও টেরাকোটার জিনিস:
২৬৩টি টেরাকোটা দেবদেবীর পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলার শরীরের কাঠামোও পাওয়া গিয়েছে। এটি শুধু মসজিদ হলে এসমস্ত বস্তু পাওয়া সম্ভব হত না।
৭. বিষ্ণু হরি শীলা ফলক:
এসব ছাড়াও বিষ্ণু হরি শীলা ফলক লিপিও জমির দুই জায়গা থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। মসজিদ ধ্বংসের পর খননকাজে তা উঠে আসে। এখান থেকে পাওয়া তথ্যদিতে প্রমাণিত এখানে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির ছিল। যিনি বালিকে বধ করেছিলেন।