নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেকের মামলা সংক্রান্তে খুঁটিনাটি তথ্য

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩

চেক হারিয়ে যাওয়া, চেক ডিজঅনার হওয়া এবং চেক নিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীর আইনি করণীয় সমূহঃ

চেক হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে করণীয় ঃ
চেক হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ব্যাংকের মাধ্যমে চেক স্টপ করাতে হয়। হারানো / চুরি হওয়া চেক উদ্ধারের জন্য মামলা করা যায়।


চেক ডিজঅনার হলে করণীয় :
চেকে উল্লিখিত অংকের টাকা একাউন্টে না থাকলে ব্যাংকের পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব হয় না এবং চেক প্রত্যাখ্যান করা হয় যা চেক ডিজঅনার হওয়া নামে পরিচিত। একাউন্টধারী অন্য কাউকে চেক লিখে দিলেন এবং সেটি ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত হলো তবে সেটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন- ১৮৮১ এর বিধান মোতাবেক।

চেক নিয়ে প্রতারিত যা করবেন :
পাওনাদারের নিকট হতে যদি চেকের মাধ্যমে প্রতারিত হন, তাহলে চাইলেই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এই অপরাধের বিচারের জন্য হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন- ১৮৮১ মোতাবেক মামলা গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে মামলা করার কিছু শর্ত রয়েছে।

এক. চেকটি ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাস সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ক্যাশ করার জন্য জমা দিতে হবে।

দুই. চেক ডিজঅনার হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে একাউন্টধারীকে চেক ডিজঅনার হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে চেকে উল্লিখিত অংকের টাকা প্রদানের দাবি জানাতে হয়। আর ত্রিশ দিনের মধ্যে দাবি না জানালে সেটি আইনের দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হয় না।

তিন. সরাসরি প্রাপক বরাবর অথবা তার সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা কিংবা বাংলাদেশে তার ব্যবসায়িক ঠিকানা বরাবর প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের ব্যবস্থাসহ রেজিস্টার্ড ডাকে নোটিশ পাঠাতে হয়। এছাড়া যদি সম্ভব না হয়,অন্তত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে নোটিশটি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হয়। কোনোভাবেই নোটিশ প্রেরণ না করে সরাসরি মামলা করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হলে এই আইনের ১৩৮ ধারার পাশাপাশি ১৪০ ধারা উল্লেখ করে মামলা করতে হবে।

মামলার প্রক্রিয়া
এ ধরনের অভিযোগ নালিশি মামলা বা সিআর মামলা হিসেবে মহানগর এলাকা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অথবা মহানগরের বাইরে হলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করতে হবে। চেকটি যে ব্যাংকে ডিজঅনার হয়েছে, সেই ব্যাংকের এলাকা যে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সেই আদালতে করতে হবে।


চেক ডিজঅনার অপরাধের শাস্তি
চেক ডিজঅনার অপরাধের শাস্তি হচ্ছে, এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিন গুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।

চেক নিয়ে প্রতারিত হয়ে যথাসময়ে মামলা করতে না পারলে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করতে না পারলে দণ্ডবিধির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারা অনুসারে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা যায়।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.