নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশও গত দুই দশক ধরে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় এসইজোন ( Special Economic Zone) ব্যাপক গুরুত্ব লাভ করে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ২০০৮ সালে সর্ব প্রথম এসই-জোন করার উদ্যোগ নেয় সুবর্ণচরে(১)। ২৪০০ ও ২০০০ একর ভূমিতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসি (International Finance Corporation -IFC) ও আইডিএ (International Development Association-IDA) এর মাধ্যমে সমীক্ষাও চালানো হয়। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা, ভূমির প্রকৃতি ও অধিগ্রহণ, আদালতে মামলা প্রভূতি কারণে সকল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও রিপোর্টটি নেতিবাচক হয়ে যায় (২)। ২০০৮ সালে এ প্রক্রিয়ার আলোকে সুবর্ণচরে এস-ই-জোন ( Special Economic Zone) এর বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম- নোয়াখালী সরাসরি রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে রেল ও মহাসড়কে এক ঘন্টার দূরত্বে যাতায়াত করা যেত। তাছাড়া এস-ই-জোন ( Special Economic Zone) এর কারণে অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম- সন্দ্বীপ ক্রস ডেমের পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ নিলে পুরো অঞ্চলটি বাংলাদেশের সমান আর একটা সিঙ্গাপুরে রূপ নিতে পারতো(৩)। তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নোয়াখালী সীমান্তে প্রতি বছর ১০ বর্গ কিলোমিটার চর জাগছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি, বেসরকারি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) ও বিদেশি—চার ধরনের ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন নিয়ে কাজ চলছে বিগত কয়েক বছর ধরে । সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের চিন্তা ভাবনার শুরুতেই সম্ভাব্য অঞ্চল হিসেবে সুবর্ণচরের নাম ছিল অগ্রভাগে। কৃষি প্রধান সুবর্ণচরে পর্যাপ্ত খাস জমি, জেলা শহর ও রাজধানীর সাথে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিকটবর্তী সোনাপুর এলাকা অবধি বিদ্যমান গ্যাস ও ট্রেন লাইন, নদীর নৈকট্য সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার যথোপযুক্ত এলাকা এটি।
শুরুর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে সুবর্ণচরের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হলেও তা থমকে যাওয়ার সত্যিই দুঃখজনক । সরকারি খাস জমি তে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখল করে পুকুর খননের মাধ্যমে মাছ চাষ করে আসছে। এ জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে সংশ্লিষ্টরা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করেন। রিট নিস্পত্তি না হওয়া অবধি জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ আছে। অবৈধভাবে দখলদারদের হস্তক্ষেপ দূর করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে সুুবর্ণচরবাসীর সাথে সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে সচেষ্ট ভূমিকা নেওয়া জরুরী।
পাদটীকাঃঃ
১। তথ্য পাওয়া যায় BEPZA এর সাবেক মহা-ব্যবস্হাপক এ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সাহেবের কলাম থেকে। উনার কলামটির লিংক হলো - Click This Link
২। নেতিবাচক রিপোর্টের কারণ সম্পর্কে নোয়াখালীর (২০১৫ সালের) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ০২/১১/২০১৫ সালে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে "নিজেরা করি" সহ ৮ টি এনজিও মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট দায়ের করেন। রীট নং ৫১৯৪/২০০৮। এতে ৩ টি উপজেলার ৮-১০ টি মৌজার বিশাল এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে সুবর্ণচরের ১২ হাজার একর খাস জমি অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই ভূমির উপর আদালতে স্হিতি অবস্থা জারি রয়েছে। এছাড়া সুবর্ণচরে অবস্হিত কয়েকটি মৎস্য খামার মালিক মহামান্য হাইকোর্টে ৬ টি রীট দায়ের করেন। ফলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রতিষ্ঠার বিষয়টি শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে।
৩। এ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সাহেবের কলাম থেকে ।
* মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
[email protected]
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সুবর্ণচর নোয়াখালীর দক্ষিণের উপজেলা।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সূবর্ন চরের লোকসংখ্যা কত?
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আনুমানিক ৪.৫ লক্ষ।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাগরের সাথে লাগানো? সাগরের সাথে লাগানো হলে, শিল্পের জন্য ফ্রেশ-পানি কোথা থেকে আসবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুবর্ণচর নোয়াখালীর কোন অংশে: ইহা কি সোনাগাজীতে, বংগোপসাগরের মোহনায়, নাকি ফেনী নদীর তীরে, নাকি অন্য কোথায়ও?