নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারুণ্য ও রাজনৈতিক বিনিয়োগ

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০

“কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শের অনুসারী হওয়ার অর্থই হলো মুক্তচিন্তার ধারাকে সেই মতাদর্শের বাঁধা ধরা সীমার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা”। তাই মুক্ত চিন্তার পূর্বশর্ত হলো “মতাদর্শ থেকে মুক্তি”( Free from a certain poitical ideology) । এমন বিষয়টি আজকাল ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শিক্ষিত, সম্ভাবনাময়ী, সচেতন দাবিদার তরুণ সমাজের মাঝে। এর মূলত কারণ সূত্রায়িত আবদ্ধ মতাদর্শ (closed formulated ideology) এর অবর্তমানে কিংবা এটাকে কাজে লাগিয়ে মতান্ধতা, গোঁড়ামি ও চাটুকারিতামূলক রাজনীতির বিকাশ ঘটা।

হ্যাঁ, সামাজিক বাস্তবতায় সূত্রায়িত মতাদর্শ কিংবা শুধুমাত্র থিওরী দিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়,চলেও না এবং অতি চর্চাও বেশী হয়ে যায়। এ দুইয়ের টানাটানিতে কিংবা সঠিক রাজনীতির চর্চার অনুপস্হিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজনীতির আসন দখল করে আছে সুবিধাবাদী শ্রেণী। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে দল মত নির্বিশেষে আমার চোখে তা সমান হারে ধরা পড়ে। এর ফেলে সামাজিক অরাজকতা কিংবা উন্নয়ন কিংবা মানুষের অধিকারের বিঘ্নতা তো ঘটছেই তার সাথে বড় আতঙ্ক হলো সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চিন্তার পথে এরা বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এদের নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংকট থাকে কিংবা তারা নিজেরাও আস্হা রাখতে পারে কিংবা শুধুমাত্র গোড়ামির কারণে মেনে নিতে চায় না।

এটা নিজ দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে প্রথমে প্রয়োগ হয় পরবর্তীতে বৃহৎ আকারে বিকশিত হয়। সময়ান্তে হয়তো নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। তাই আপনি হয়তো সাময়িক সুবিধা লাভের কথা বিবেচনা করে যখন এমন রাজনীতিকে প্রশয় দিবেন তা এক সময় হিতে বিপরীতও হতে পারে। এ কারণে আপনি যে রাজনীতিই করেন না কেন, রাজনীতির একটা আদর্শ থাকা চাই। এ আদর্শই হতে হবে আপনার মূল প্রেরণা, শক্তি। আপনার আদর্শ শুধুমাত্র বিরোধী মতাদর্শ কিংবা বিরোধী মতামতকে অগ্রাহ্য করার না হয়ে নিজের রাজনৈতিক আদর্শের চর্চার জন্য হলে নিজের রাজনীতিক ভিত্তির খুঁটি ধরে রাখার জন্য হলে তা চিরস্হায়ী হয়। ইতিহাস এমনি শিক্ষা দেয়।

তাই এখন তরুণ সমাজের রাজনীতিক চর্চা বলি আর রাজনৈতিক বিনিয়োগ বলি এটা বুঝা উচিত। কারণ , দিনশেষে আপনাকে রাজনীতিই করতে হবে। অন্যদিকে ‘মতাদর্শ বিহীনতার’ মতবাদই এ ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে আরেকটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ। এ যেন মতাদর্শ নিয়ে লুকোচুরি খেলার ব্যর্থ প্রয়াস। বাস্তবে ইহা কোন সমাধান নয় বরং পথযাত্রা কে দীর্ঘায়িত করে।তাই এমন চর্চা অর্থহীন বাস্তবে। তবে হ্যাঁ, এটা পজিটিভ যদি আপনি নির্দির্ষ্ট শ্রেণী কিংবা আদর্শের উপর প্রভাব রাখতে পারেন। কিন্তু তাও দিন দিন সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। সর্বোপরি , রাজনীতি চর্চা একটি শিল্প। এটাকে লালল করা বড় জরুরী। মতাদর্শকে ভয় নয়, ভিন্ন মতকে অবহেলা নয় বরং নিজ রাজনৈতিক আদর্শে বিনিয়োগটা অর্থাৎ (SUSTAINABLE INVESTMENT IN POLITICS) বড় জরুরী। আর এ বিনিয়োগের সবচেয়ে রড় মাধ্যম আপনি নিজেই। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী ও লেখক
[email protected]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: কিছুই তো বুঝলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.