নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কপিরাইট কী?
মৌলিক সৃষ্টিকর্মের মালিকানা বা সত্ত্বাধিকারী নিশ্চিত করাই হচ্ছে কপিরাইট।
সাহিত্য বা যেকোনো লেখা, শিল্পকর্ম, সংগীত, চলচ্চিত্র, স্থাপত্য, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, লেকচার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, নকশা অর্থাৎ যা কিছু মৌলিকভাবে তৈরি করা হবে, সবকিছুই কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কপিরাইট থাকলে বিনা অনুমতিতে সেগুলো ব্যবহার, পুনর্মুদ্রণ, অনুবাদ, প্রকাশ ইত্যাদি করা হলে এই আইনের আওতায় শাস্তি ও জরিমানা হতে পারে।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য বাংলাদেশে আইন রয়েছে। এই আইনকে বলা হয় গ্রন্থ স্বত্ব আইন বা কপিরাইট আইন।
অন্যান্য অনেক সম্পদের মত এই সম্পদ রক্ষায় লেখকদের রয়েছে অধিকার। প্রকাশকরা যেহেতু বই প্রকাশের বিরাট কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করে সেহেতু এই সম্পদের উপর তাদেরও অধিকার রয়েছে।
প্রতিটি লেখকেরই উচিৎ তার বইটি কপিরাইট নিবন্ধন করে নেওয়া। প্রকাশিত বই এবং অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির কপিরাইট নিবন্ধন করা যায়। লেখক যতদিন বাঁচবে ততদিন সে তার কপিরাইট অধিকার ভোগ করতে পারবে। কেও যদি তার বই বা পাণ্ডুলিপি অবৈধ ভাবে অথবা অনুমতি ছাড়া ছাপায় তবে তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে র মাধ্যমে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারবে। লেখকের মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত লেখকের উত্তরাধিকাররা কপিরাইট অধিকার ভোগ করতে পারবে। ৬০ বছর পর কপিরাইটের অধিকার সাধারণ জনগণ ভোগ করতে পারবে।
কপিরাইট নিবন্ধন করার পদ্ধতি
যারা যারা তাদের বই কপিরাইট নিবন্ধন করতে চান তারা শেরে বাংলা নগরের কপিরাইট কার্যালয় থেকে তাদের গ্রন্থটি কপিরাইট করে নিতে পারবেন। নিচে কপিরাইট করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হল-
১. কপিরাইট কার্যালয় থেকে একটি আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।
২.যে বিষয়টি কপিরাইট করতে চান তার বিস্তারিত বিবরণ, স্বত্ব কার নামে হবে, শর্ত সমূহ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে আবেদনপত্রটি পুরন করুন ।
৩. কপিরাইট অফিসে আবেদনপত্রটির তিনটি কপি জমা দিন ।
৪. পাণ্ডুলিপি বা বই এর দুটি কপি করে জমা দিন ।
৫. ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে একটি ফি দিতে হবে। কি কপিরাইট নিবন্ধন করছেন তার উপর ভিত্তি করে ফি একেক রকম হবে।
৬. হস্তান্তর সূত্রে মালিকানার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হস্তান্তর দলিল দাখিল করতে হবে।
৭. পাণ্ডুলিপি বা বই নিয়ে কোন মামলা-মোকদ্দমা বিচারাধীন নেই এবং এর তথ্য নির্ভুল এ মর্মে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা জমা দিতে হবে।
৮. কেউ যদি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল করতে চান, সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওকালতনামা দাখিল করতে হবে।
৯. কপি রাইট আইন অনুসারে বই জাতীয় গ্রন্থাগারে জমা দিতে হবে। আইনে প্রত্যেক প্রকাশককে তাঁর প্রকাশিত প্রতিটি বই এক কপি করে জাতীয় গ্রন্থাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বই প্রকাশের তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা জমা দিতে হবে, অন্যথায় প্রতিটি বইয়ের জন্য দিতে হবে এক হাজার টাকা জরিমানা।
অনুমতি ছাড়া বই নকল করলে কি করবেন?
লেখকের অনুমতি ছাড়া বই নকল করে বাজারে প্রকাশ করা মারাত্মক অপরাধ। এক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে সরা সরি প্রতিকার চাওয়া যাবে। জেলা জজ আদালতে ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা যাবে। এমনকি দায়রা আদালতে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা যায়।
কপিরাইট লঙ্ঘনের শাস্তি
ফৌজদারি মামলা হলে শাস্তি হিসেবে কপিরাইট ভঙ্গকারীর সর্বোচ্চ চার বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই নকল বই জব্দ করার ক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১
নজসু বলেছেন:
তথ্যবহুল।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানিলাম।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০১
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি কপিরাইট করা যায় এটা জানতাম না। ধন্যবাদ, পোস্টের জন্য।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।