নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
রিট শব্দটির অর্থ হলো আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত বিধান বা আদেশ। কারো মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে আমাদের সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ তা বলবৎ করতে পারে এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর করতে পারে।
হাইকোর্ট বিভাগের এই এখতিয়ার কে রিট জারীর এখতিয়ার বলে। অর্থাৎ রিট শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগ জারী করতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ উল্লেখিত মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকারবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করা যায় এবং হাইকোর্ট বিভাগ ১০২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য কতিপয় আদেশ নির্দেশ জারী করতে পারে, যাকে রিট বলে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার অধিকার, সমাবেশের অধিকার, সংগঠনের অধিকার, চিস্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা, পেশা বা বৃত্তির অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার, গ্রেফতার বা আটক সর্ম্পকে রক্ষাকবচ ইত্যাদি অধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্র এ অধিকারগুলো লংঘন করে, কোনো ব্যাক্তি করে না ।
যদিও ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মৌলিক অধিকার বলবৎ করণের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে সুপ্রীমকোর্টের আন্তরিক ও ইতিবাক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি”-এর অর্থে ব্যপকতা এসেছে অর্থাৎ রিট মামলা দায়েরের যোগ্যতার পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
অনুচ্ছেদ ১০২ এ দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি কেবল নিজে সংক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলেই রিট করতে পারে (২)(ক)(অ)-(আ) এবং যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে হাইকোর্টের নিকট আবেদন করতে পারবেন অনুচ্ছেদ (২)(খ)(অ)-(আ) অনুযায়ি ।
যেহেতু রাষ্ট্রই মেীলিক অধিকার লংঘন করে তাই শুধুমাত্র রাষ্ট্র কিংবা রাষ্টীয় কোনো সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে রিট করা যায়।
হাইকোর্ট এই রিট বিষয়ে অবারিত ক্ষমতা ব্যাবহার করতে পারে অর্থাৎ বিষয় বিবেচনা করে যেকোনো আদেশ দিতে পারে কোনো কিছুই আদালতকে বারিত করে না ।
এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো বেসরকারি কোনো সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারির বিরুদ্ধে রিট করা যায় না অর্থাৎ প্রাইভেট সংস্থা যদি মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে তাহলে তা হবে অপরাধ, তখন রিট মামলা করা যায় না। মামলা করতে হবে দেওয়ানী আদালতে।
পাঁচ ধরনের রিট আছে-
বন্দী প্রদর্শন রিট: কোনো ব্যক্তিকে সরকার বা অন্য কেউ আটক করলে কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা জানার জন্য বন্দীকে আদালতে হাজির করার যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাই বন্দী প্রদর্শন রিট।
পরমাদেশ বা হুকুমজারি রিট: কোনো অধ:স্তন আদালত, ট্রাইব্যুনাল, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি তার আইনগত দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করে কিংবা ব্যর্থ হয় তাহলে উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত আইনগত দায়িত্ব পালন করতে উক্ত আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে বাধ্য করে তাকে হুকুমজারী রিট বা পরমাদেশ বলে।
নিষেধাজ্ঞামূলক রিট: কোনো অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কোনো কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা ব্যক্তি তার এখতিয়ার বর্হিভূত কাজ করতে উদ্দ্যত হয়েছে কিংবা ন্যায় নীতি ভঙ্গ করতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে ঐ কাজ করা থেকে বিরত রাখেন তাকে নিষেধাজ্ঞামূলক রিট বলে। নিষেধাজ্ঞামূলক রিটকে বিচার বিভাগীয় রিটও বলা হয়।
উৎপ্রেষণ রিট: দুটি উদ্দেশ্যে উচ্চতর আদালত উৎপ্রেষণ রিট জারী করতে পারে- ক) অধ:স্তন কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক কৃত ক্ষমতা বহির্ভূত কাজকে বাতিল বা নাকচ করে দেয়া। খ) অধ:স্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানীর জন্য উচ্চতর আদালত নিজেই গ্রহণ করে এ রিট জারী করতে পারে।
কারণ দর্শাও রিট: কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো সরকারি পদ দাবী করে, যে পদের যোগ্যতা তার নাই অথবা অবৈধভাবে যদি কোনো সরকারি পদ দখল করে বসে থাকে, তাহলে উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে তার পদ দখলের বা দাবীর কারণ দর্শাও নির্দেশ দিয়ে থাকে তাকে কারণ দর্শাও রীট বলে।
অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ মামলা দু’টিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
** আইনজীবির সাথে যোগাযোগঃ-
উচ্চ আদালতে মামলার জন্য কোন আইনজীবির কাজে যেতে হবে সে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে যে কোন আইনজীবির কাছেই যাওয়া যেতে পারে। তবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজীবির হাতে ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অভিজ্ঞ এবং সুপরিচিত আইনজীবি ছাড়া যে মামলা জেতা যাবে না, তা কিন্তু নয়। তুলনামূলকভাবে নবীন কিন্তু দক্ষ আইনজীবিও কম খরচে মামলা জিতিয়ে দিতে পারেন।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: জানছি। নতুন নতুন অজানা বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানলাম । দরকার হলে প্রয়োগ করবো।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিট মানে আমি যা বুঝি
কেউ যদি মনে করে প্রচলিত আদালতে সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বা সময় নেই। তখন সে রিট মামলা করে।