নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন বা সংশোধন বা যে কোন তথ্যের ভুল সংশোধনের কাজে প্রয়োজন হয় 'এফিডেভিট বা হলফনামা'র।
এফিডেভিট বা হলফনামা যেভাবে সম্পাদন করতে হয়
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে । হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিনি হলফনামাটি করলেন তিনি নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপাঠ করবেন। তখন নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচাই-বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেবেন এবং একটি বিশেষ সরকারি সিল ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবেন। হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিনি রেখে দেবেন।
সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্য্ই সংশোধনের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমানাদি দেখাতে হয় এবং ফটোকপি জমা দিতে হয়।
তবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। অর্থাৎ হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) তা প্রথমে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে এবং নোটারির সত্যায়নটি আবার প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। যাকে বলা হয় কাউন্টার সাইন।
তবে, যে সব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হইতে এফিডেভিট করার বাধ্যতামূলক নিয়ম না থাকলে আপনি আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে নোটারীর মাধ্যমেও করতে পারেন।
এফিডেভিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একজন আইনজীবীর সহযোগিতা নেওয়া উত্তম। এবং এফিডেভিট নোটারীকৃত করার ক্ষেত্রে আইনজীবী কর্তৃক সত্যায়ন ও স্বা্ক্ষরও লাগে।
মনে রাখতে হবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের হলফনামা যাচাই-বাচাই তথা ভেরিফেকেশন হয়। তাই অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করতে হয়।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( বিকাল ৪- রাত ৮ টা)
* ৯০ সেকেন্ডের বেশি কথা বলতে হলে চার্জ প্রযোজ্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি পোস্টই উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমার একটি প্রস্তাবনা ছিলঃ মেয়ে তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। মেয়ের নামে কিছু জমি কিনেছিলেন বাবা। তখনো জন্ম নিবন্ধনের বিষয় ছিল না। ক্লাস নাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় মেয়ে তার নাম পরিবর্তন করে। পিতার নাম একই থাকে। পরবর্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্রও সেই নতুন নামে করা হয়। এই সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন। জমির মালিকের নাম এবং সার্টিফিকেট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে ভিন্ন নামসংক্রান্ত জটিলতা এবং সমাধানে উপায় নিয়ে যদি একটি পোস্ট দিতেন।