![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]
সম্পত্তি ক্রয় করার পর নানান জটিলতা দেখা দেয় তবে যে জটিলতাটা বেশী দেখা যাচ্ছে তা হলো আমমোক্তারমূলে সম্পত্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ কেউ কোন একটা সম্পত্তি আইনানুগভাবে বিক্রি করার জন্য যখন তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে পাওয়ার অব এটর্নী প্রদান করে তখন পাওয়ার গ্রহিতার নিকট হইতে সম্পত্তিটির দলিল বুঝে পাওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে জটিলতা সামনে চলে আসে। যেমন, কিছুদিন পর দেখা যায় পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা যিনি দিয়েছেন তিনি তা অস্বীকার করেন, কিংবা দেখা যায় তিনি ক্ষমতা দিয়ে আবার তিনিই অন্যত্র হস্তান্তর করে দিয়েছেন। কিংবা ওয়ারিশান সম্পত্তিটি নিয়ে জটিলতা, হিস্যা নিয়ে জটিলতা, ডেভেলপার আর ভূমি মালিকের মধ্যে সম্পাদিত আমমোক্তারনামায় জটিলতা, কোন ওয়ারিশ পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা অস্বীকার করছেন কিংবা কম বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে ভূমি মালিকের মধ্যে সম্পাদিত পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা নিয়ে জটিলতা লেগেই থাকে। আর গ্রামগঞ্জে প্রতারকরা পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা দিয়ে সু-কৌশলে প্রতারণা করে থাকে।
সাধারণত যিনি পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা দেন তিনি তা বাতিল ব্যাতিত উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবতার নানান বেড়াজাল আর দুর্নীতির কারণে প্রতারকরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে এমনটি করে থাকে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেকক্ষেত্রে বুঝতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এমন প্রতারণা থেকে বাঁচতে করণীয় কী?
প্রথম করণীয় হলো পাওয়ার অব এটর্নী /আমমোক্তারনামা মূলে কেউ সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হবে এবং শুধু লিখিত মতামত না বরং স্ব-উদ্যোগে কিংবা তল্লাশীকারক দ্বারা রেজিষ্ট্রি অফিসে এই সংক্রান্তে তল্লঅসী করাতে হবে (গতাণুগতিক/দায়সারা নয়, টাকা বেশী গেলেও প্রফেশনাল ওয়েতে করা ভালো)।
মনে রাখবেন, সম্পত্তি ক্রয়ের পূর্বে আপনার অসাবধানতা বশত আপনি মামলা মোকদ্দমার সম্মুখীন হতে পারেন। হারাতে পারেন আপনার কষ্টার্জিত আয়ে কেনা মূল্যবান সম্পত্তি। তাই সম্পত্তি ক্রয়ের পূর্বে ভেবে দেখুন, আপনি মামলা কিনবেন, নাকি সম্পত্তি কিনবেন। কারণ বিজ্ঞ আদালতের বেশির ভাগ মামলা জমা-জমি সংক্রান্ত। কোটি টাকার সম্পত্তি অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে ক্রয় করা বা ক্রয়ের আগে সামান্য সময় ও বাড়তি টাকা খরচের অনিহার কারণে হাতছাড়া হয়ে যায়।
[email protected]
Lawyer M T ULLAH
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। জানলাম।