নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ মামুনূর রশীদ

সৈয়দ মামুনূর রশীদ

কাঙাল মানুষ, কাঙাল মন / আগা-গোড়া কাঙালী জীবন/ দুঃখ করি না, দুঃখ দিই না/ জোৎস্নার দিঘীতে স্নান দিয়ে/ সুখে ভাসতে চাই।

সৈয়দ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশব্যাপি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে তবুও তাতে জনগণের আগ্রহ নেই!

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

কোচিং সেন্টর বন্ধ হয়েছে। তবুও তালি বাজছে না কোথাও। জনগণ তালি বাজায় না, অভিভাবদেরও আগ্রহ নাই এ বিষয়ে। পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি অপরিহার্য সৃষ্টি হলো কোচিং সেন্টার। কোচিং সেন্টার প্রচলিত এই শিক্ষাব্যবস্থার একটি বাই-প্রোডাক্ট মাত্র। অপ্রয়োজনে কিংবা অকারণে কিছুই সৃষ্টি হয় না। ডিমান্ড আছে বলেই সাপ্লাই এসেছে। কোচিং সেন্টার বন্ধ হলে গৃহশিক্ষকদের মাধ্যমে তা চলবে। আমাদের দেশে এ মুর্খ শিক্ষাব্যবস্থা যতদিন থাকবে কোচিং সেন্টার সংস্কৃতি ততদিন থাকবে। হোক না সেটি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শুধুমাত্র জ্ঞান-শহরের নাম, জনসংখ্যা, আয়তন ইত্যাদি মুখস্থ করতে শেখানো হয়, শিক্ষার্থীদের সেই শহর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় না। দেশের মন্ত্রীরা ছাড়া কে না জানে যে, জিপিএ অর্জনের যুদ্ধ, ভর্তিযুদ্ধ ইত্যাদি কারণে অভিভাবকেরা কোচিং সেন্টারের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, শখ করে নয়। একটি শিশু/ শিক্ষার্থী অংকশাস্ত্রে অনেক ভাল, ৮০% মার্কস পায়, কিন্ত্র ছেলেটি চিত্রাংকন পারে না, প্রায়ই ফেল করে বা একটি শিশু / শিক্ষার্থী সাহিত্যে মজা পায় বেশী, ৮০% মার্কস ধরে, অংক তার ভাল লাগে না। আমাদের দেশে শৈশবকালের শিক্ষাব্যবস্থায় দেখা যায়; কোন শিক্ষার্থী কোন বিশেষ বিষয়ে খুব ভাল নাম্বার পেলেও অন্য বিষয়ে কম নাম্বার পাওয়াতে তাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয় অথবা তার জিপিএ কমিয়ে দেয়া হয়। একজন শিশু বা ছাত্র সব বিষয়ে পারদর্শী হবে এমন ভাবনা কি অবান্তর বা জাতিয় মুর্খতা নয়? বিশেষ বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে বা জিপিও কমিয়ে তার মেধার বিচার কী যথার্থভাবে করা হয়? এটি কি একটি মারাত্মক অন্যায় নয়? এভাবে কি আমরা হাজার হাজার মেধা ধ্বংস করচছ না প্রতিনিয়ত? কোন একটি বিষয়ে সর্বোচ্চ মেধাধারি হয়েও যখন একটি শিশু বা শিক্ষার্থী ফেল কিংবা জিপিএ যুদ্ধে হেরে যায় তখন কি তার আর কোন ভবিষ্যত থাকে? উচ্চতর ক্লাসে প্রমোশন, ভর্তি কিছুইতো তার ভাগ্যে জুটবে না আর। এটি কি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বড়ধরণের গলদ নয়? অথচ একইদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় দেখা যায় অনেক আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি। দশটি বিষয়ের যা কয়টা পাশ করতে পারো, করো! অকৃতকার্য বিষয়গুলো ধীরে ধীরে দাও এবং পাশ করো। চমৎকার এক পরীক্ষা পদ্ধতি। একসাথে সব বিষয়ে সমানভাবে পাশ করার পরীক্ষা পদ্ধতি আর যাই হোক সুস্থ শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না বরং বলা যায় এটি একটি লটারি পদ্ধতি বা জুয়াড়ি পদ্ধতি। বিশ্বাস করুন আর নাইবা করুন অভিভাবকেরা বাধ্য হয়েই সন্তানদের ভবিষ্যত ভেবে সব বিষয়ে জিপিএ ধরে রাখতে বাচ্চাদের কোচিং-এ নিয়ে যায়, শখ করে নয়। আমি অবাক হয়ে যায় বাংলাদেশের মন্ত্রীদের মাথায় কি কখনো কোন ভাবনা কাজ করে না? প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় কোচিং বন্ধ করে ফলাফল কী আসবে? বরং পরীক্ষানির্ভর এ শিক্ষাব্যবস্থায় সব শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্টে দেখা যাবে একটি বড়ধরণের দুর্যোগ । ভর্তি কোচিংগুলোকেও মহিমান্বিত করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকার যদি প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক শিশু শিক্ষার্থীদের তার আবাসনের এক কিলোমিটারের যে কোন স্কুলে (ইংলিশ স্কুল ব্যতিত) / কলেজে ভর্তি করার বাধ্যবাধকতা রাখতো তাহলে প্রতিটি স্কুল সবধরণের ছাত্র-ছাত্রী পেতো। এবার আসুন স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থায়। প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্ধারিত করতে হবে এবং ওই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পারদর্শীতা/ ফলাফল সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কর্ম-মুল্যায়নের ইতিবাচক দিক হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা জানি ইংরেজি জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বাংলা মাধ্যমে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদেরও ভাল ইংরেজি জানা আবশ্যক। এক্ষেত্রে আমি মনে করি ব্রিটিশ কাউন্সিল বা ইংলিশ ইন এ্যাকশন জাতিয় বিভিন্ন এনজিওদের সাথে নিয়ে একটি বিশেষ কারিকুলাম ডেভলাপ করে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে সপ্তাহে একদিন বা মাসে একদিন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাশের ব্যবস্থা নেয়া যায়। আমার বিশ্বাস ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চেয়ে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে বেশী পারদর্শী হয়ে উঠবে। কারণ বাংলা দিয়ে ই্ংরেজি বুঝতে ওরা যে সক্ষমতা/ শক্তি পাবে উল্টোরা তা পাবে না। অর্থাৎ বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা্ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশী জ্ঞান আয়ত্ব করতে সক্ষম হবে। সবচেয়ে বড়কথা হলো সবার আগে প্রতিটি স্কুলে দক্ষ শিক্ষকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমরা সচরাচর দেখি বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা শিক্ষার্থীরা স্কুলে পায় ইংরেজ-পরিবেশ আর বাসায় পায় বাংলা, দুটোই মিলে ওরা একধরণের জড়াখিচুড়ি, আনস্মার্ট হয়ে বেড়ে উঠে। এক্ষেত্রে বাংলা মাধ্যমে অধ্যয়রত শিক্ষার্থীরা স্মার্ট এবং অধিক জ্ঞান নিয়ে বেড়ে উটঅর সুযোগ বেশী। বাংলা মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ই্ংরেজি শেখার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হলে চাকুরী বা উচ্চশিক্ষার বাজারে তারাই অগ্রগামি হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশের স্কুলগুলো মনিটরিং এর দায়িত্বে নিয়োজিত সকল টিও / এটিও অফিসগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রূপান্তর করতে হবে। এখন দেখা যায় এসব টিও/এটিও অফিসগুলোতে অযোগ্য লোকজনের আধিপত্য। আমরা সচরাচর শিক্ষকদের অযোগ্যতা নিয়ে কথা বলি সবসময় কিন্তু কখনো কি শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে কখনো কথা বলেছি? স্কুল মাস্টারদের সততা নিয়ে কথা বলি কিন্তু তাদের পরিচালনাকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের সততা নিয়ে কথা তুলেছি? সবাই জানে শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন অফিস / দপ্তর, শিক্ষাবোর্ড, মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। অথচ দেখুন দুদক নাকি এসব শিক্ষা অফিস বাদ দিয়ে, ঘুষখোর কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে, পাসপোর্ট অফিসের মতো দুর্নীতির দরিয়া বাদ দিয়ে দুর্নীতি খুঁজতে যায় প্রাইমারি স্কুলে। কতবড় আহাম্মক! কতবড় ভুয়া শো-ডাউন প্রত্যাশী।! আমাদের শিক্ষকদের নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। শুধুমাত্র একবার প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দেয়া নয়, প্রতিমাসে তাদের জন্য রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এখন দেখা যায় বাংলাদেশের শিক্ষকেরাতো যাই হোক কিছুটা আছে কিন্তু তাদের পরিচালনা করার জন্য রাখা টিও/এটিওদের মধ্যে হাতেগুনা কিছু ছাড়া বাকিরা সবাই পুরোপুরি মুর্খের পর্যায়ে। ওরা শিক্ষকদের কী শেখাবে! প্রতিটি টিও/এটিও অফিসে দক্ষ প্রশিক্ষক কাম সুপাভাইজার নিয়োগ করতে হবে। ডিমওয়ালা হাঁসের মতো টিও/এটিওগুলোকে দ্রুত অপসারণও জরুরী। আমাদের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে গেছেন। তিনি মুল সমস্যায় হাত না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কিছু কাজ করেছেন। প্রতিটি স্তরে পরীক্ষাকে এমন গুরুতর ব্যবস্থা বানিয়েছেন অভিভাবক/শিক্ষার্থীরা সর্বস্ব হারিয়েও প্রশ্নপত্র কিনতে উৎসাহিত হয়েছেন। নাহিদ সাহেব শুধুমাত্র পরীক্ষাপাশটাকে শিক্ষার্থীদের জীবনের ব্রত বানিয়ে ছেড়েছেন। এখনও একই ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। মিঃ নাহিদ কখনো দেশের বড় বড় শিক্ষাবিদদের কথা কানে তুলতেন না, এমনকি ড. জাফর ইবালের মতো মেধাবি শিক্ষাবিদের কথা / পরামর্শও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতেন। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রি দীপুমনি'র কাজকর্ম নিয়ে অতীতে বহু সমালোচনা রয়েছে। তিনি কাজের চেয়ে কথা বেশী এবং সুন্দর করে বলেন। আশা করছি এ মেয়াদে তিনি তার দুর্নাম গুছাবেন। আরো একটি জরুরী বিষয় হলো; প্রতিটি স্কুলে বিষয় ভিত্তিক পারদর্শী শিক্ষক গড়ে তুলতে সবচেয়ে বড় বাধা হলো যত্রতত্র যখন-তখন বদলি। ঘুষখোর শিক্ষা কর্মকর্তারা এ কাজটি ব্যবসা পদ্ধতিতে করে থাকেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান / স্কুলগুলো কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, সুতরাং শিক্ষকদের পাইকারি হারে বদলি করার কী অর্থ থাকতে পারে আমার মাথায় আসে না। বরং এ বদলি সংক্রান্ত ইসু্ নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। একজন শিক্ষক যদি শিক্ষা অফিসে দুর্নীতির শিকার হন তাহলে তিনি শিক্ষার্থীদের সততার পাঠ কিভাবে দিতে পারেন! শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আরো একটি কলংকিত অধ্যায়। একজন শিক্ষক বিশেষ প্রয়োজনে বদলি চাইতে পারেন। প্রয়োজন ছাড়া অবৈধ অর্থ রোজগারের মতলব নিযে শিক্ষা অফিসগুলোর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করা জরুরী। মন্ত্রী পরিষদ ভেবেছিলেন কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে সারাদেশ থেকে এমন গণতালি পাবেন যাতে তারা ভাসতে পারেন হাওয়ায়। এতো মাথামোটা ভাবনা! একটি বিষয় উল্লেখ না করলে নয়, এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন, তারা কখনো বিভিন্ন শিক্ষাবিদগগণের দেয়া কোন পরামর্শ মানতে রাজি হয় নাই, বরং ক্ষেপে গেছেন বারবার। একজন শিক্ষামন্ত্রীকে অবশ্যই নানা মত নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং উদার ও গবেষণাধর্মী মনোভাব থাকতে হবে। যদিও আমাদের অধিকাংশ শিক্ষামন্ত্রীরা ছিলেন ধান্দাবাজ! সবশেষে বলতে চায় বাংলাদেশে বহু জ্ঞানী-গুণী শিক্ষাবিদ রয়েছেন, অনুগ্রহপূর্বক তাদের কথা শুনুন, তাদের সাথে বসুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। বিদেশে পড়ালেখা করিয়ে শুধুমাত্র আপনাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করলে চলবে না, এদেশ আমাদের, আমাদেরও আছে অধিকার। কোচিং বন্ধ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আমাদেরকে বিপদের মাঝে ফেলে দিবেন না, জরুরী পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করুন। অপ্রেয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো তুলে দিন। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে প্রশ্ন নয় বেশী বেশী উত্তর দেয়ার ব্যবস্থা করুন। তাদের শৈশবে পাশ-ফেল চাপিয়ে দিয়ে কাঁচা মনে নিজেদের ননসেন্স ভাবতে শেখাবেন না প্লিজ! শিক্ষা ক্ষেত্রে শো-ডাউন বন্ধ করুন, যেটি নাহিদ সাহেব বেশী করতেন। আপনি যে কোন সময় যে কোন বাসায় বেড়াতে যান দেখবেন এবং শুনবেন বাচ্চাদের আগামিকাল পরীক্ষা। কারণে অকারণে, প্রয়োজন-অপ্রয়েজনে নানাবিধ পরীক্ষায় বাচ্চাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে তাদের আনন্দময় শৈশব। ছোটবেলায় বাচ্চারা প্রশ্ন করতে ভালবাসে। এখন পরিস্থিতি হয়েছে উল্টো! বাচ্চাদের নানান প্রশ্নে জর্জরিত করে তাদের ভাবতে বাধ্য করা হচ্ছে তুমি পার না, তুমি ননসেন্স! কতবড় মুর্খ জাতি আমরা! সবকিছুর উর্দ্ধে জরুরীভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার বা রিফর্ম জরুরী, পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন আরো বেশী জরুরী। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নির্ভর হয়ে পড়ছে। জ্ঞানার্জন নয়, জুয়াড়িদের মতো যে কোন উপায়ে জিপিএ ধরার ধান্দায় মত্ত থাকছে। উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের সাথে কথা বলে জেনেছি তারা প্রতিটি শিশুর শৈশবকালে শিক্ষা ব্যবস্থা রেখেছেন একেবারে খেলাধুলায় ভরপুর! পরীক্ষার লেশমাত্র নেই, পাস-ফেল এর লেশ মাত্র নেই! এসব শিশু আনন্দে শৈশব কাটিয়ে যখন এডাল্ট হয় তখন তারা শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে ঠিক করে ভবিষতের জন্য কে কি শিক্ষা নিবে।

তারপর শুরু হয় বিষয়ভিত্তিক গভীর এবং বাস্তবসম্মত পড়াশুনা। আমাদের দেশে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনা শেষ করে ঠিক করতে বসে সে কোন পেশায় যাবে! আর উন্নত বিশ্বে আনন্দময় শৈশব কাটিয়ে পড়ালেখা শুরুর আগে ঠিক করে সে কোন পেশায় যাবে-পার্থক্য এখানে। আমরা পেশা ঠিক করি পড়াশুনা শেষ করে আর ওরা ঠিক করছে পড়াশুনা শুরুর আগে। সুতরায় ওরা যে যেই পেশায় যাক না কেন তারা পেশাভিত্তিক পড়াশুনা করেই যাচ্ছে আর আমরা যাচ্ছি শিক্ষানবিশ হিসেবে। ওদের শিশুদের হাবিজাবি শতশত পরীক্ষা না দিয়ে উন্নত জাতি গড়ছে আর আমরা আমাদের শিশুদের হাজার হাজার পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে চোরের জাতি তৈরি করছি। শিক্ষা ব্যবস্থার এই দুর্গতি কে মেটাবে? সবাইতো ব্যাংক বিমা নিয়ে ব্যস্ত! এ গুরুদায়িত্ব কে নিবে হাতে? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি এ দায়িত্ব নেয়ার যোগ্য নয়? নাকি ইচ্ছে নেই? আমরা সবাই জানি যথার্থ শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া কোন জাতির মুক্তি নেই। কারণ একমাত্র যথার্থ শিক্ষা ব্যবস্থাই গড়তে পারে আগামি সভ্য, সমৃদ্ধ , মানবিক বাংলাদেশ।

----সৈয়দ মামুনূর রশীদ।

[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সরকার চায় না, আমরা পড়ালেখা করি।
সরকার এটা চাইলে, আরো ভালো বই প্রণয়ন করতো, সরকারি স্কুল কলেজের বেহাল দশা থাকতো না।
আর কোচিং বন্ধ হয়নি, হবেও না। আমি নিজেই কলেজের স্যারদের কাছে পড়ি, আর উদ্ভাসের মতো অ্যাকাডেমিক কোচিং ও আছে বহাল তবিয়তে! শুধু পাবলিক পরীক্ষার সময়, হাকডাক শুনবেন!
কোচিং গুরুত্বপূর্ণ, এক ক্লাসে ১৫০ জন ক্লাস করলে খুব কম শিক্ষার্থী পড়া বোঝে।
আর যেহেতু আমাদের দেশে দরিদ্রের শিক্ষার অধিকার নেই, সেখানে যার অর্থ আছে, তার উচিত, ভালো করে অর্থ খরচ করে, অন্তত কিছু শেখা

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কোচিং বন্ধ হয়নি এখনো।

আমাদের দেশের কি শিক্ষাব্যবস্থা...

ইমেইল মুখস্থ লিখতে হয়...

From: akakajdjaakjj@/gma il.com/ yahoo.co m/hotm ail.com

To:..............

sub

........
.........
........


অথচ বাস্তবে এগুল কি পোলাপান জানে না। যখন মোবাইল গাতে নেয় তখন অবশ্য জেনে ফেলে..

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি ততবেশী উন্নত।
আমরা প্রশ্নফাসের উপর শিক্ষিত তাই আজ আমাদের এই বেহাল দশা।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পাড়া মহল্লায় চিপা চাপা গলিতে বহু কোচিং সেন্টার খোলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.