![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনিক - অর্থ "যোদ্ধা" জীবনযুদ্ধে এখনো লড়ছি, লড়ে যাবো. . . . .
প্রথমেই একটা সত্যি গল্প বলি। কলেজে আমার এক বন্ধু ছিলো। তার নাম ধরে নিচ্ছি "আবির"। ফর্সা, মাঝারি উচ্চতা,লাজুক স্বভাবের বন্ধুটা বরাবরই কম কথা বলতো।
আমাদের কলেজটা উত্তরায় আর আবিরের বাসা মগবাজার হওয়ায়, ওকে প্রতিদিন কলেজ শেষে বাসে করে বাড়ি ফিরতে হতো। প্রতিদিন একই সময়ে বাসে যাতায়াত করতে গিয়ে "মিলন" নামের এক ভাইয়ার সাথে তার পরিচয় হয়, প্রথমে দুই একদিন পাশাপাশি বসা - তারপর কথা - এইভাবেই পরিচয়।
কয়েকদিনেই এমন হলো যে ভাইয়া প্রতিদিন তার জন্য বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকেন, একসাথে বাড়ি ফেরা আর গল্প, দেশ-রাজনীতি-কলেজ হয়ে সবশেষে পার্সোনাল ব্যাপারগুলোতে এসে থামতো। মাঝে মাঝে ভাইয়া নাকি "তোমাকে আজ সুন্দর দেখাচ্ছে", "শেভ না করলেই বেশি ভালো লাগে" টাইপ কথাও বলতেন। একদিন নাকি ভাইয়া পাশে বসা অবস্থায় ঘুমের মধ্যে আবিরের উরুতে হাত রাখে (বন্ধু আমার বড়ই লাজুক, সে উরু বলতে কি বুঝাইসে বুইঝা লন)। আবির তখনো কিছু মনে করেনাই।
এর দু একদিন পর ভাইয়া আবিরকে বাসায় আসতে বলেন, বললেন, কোনো উপলক্ষ নাই, এমনিতেই পার্টি। আকারে ইঙ্গিতে বুঝালেন সেখানে তার মানসিকতার বন্ধু-বান্ধব আসবেন, সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া আর "ফুর্তি" হবে। কি টাইপ ফুর্তি- জিজ্ঞেস করতেই ভাইয়া বুঝান যে তারা একটু ভিন্ন রকম ফুর্তি করেন, তিনি আর তার বন্ধুরা নিজেদের শারীরিক আনন্দ দেন, আবিরকে তাদের ভালো লাগসে, আবিরের কোন ব্যাথা লাগবে না ইত্যাদি ইত্যাদি. . . . . . . . . . . . . . .
বন্ধু আমার এমন ভয় পাইসিলো যে ঢাকায় নিজস্ব বাসা থাকতেও উত্তরায় আমাদের হোস্টেলে এসে উঠলো। এর পর থেকে ঐ কোম্পানির কোনো বাসেই সে আর উঠেনাই।
এই ঘটনা নিয়া আমরা ওরে সেই পচানি দিতাম। এখনো মনে পড়লে হাসি পায়
***এখন আসি সিরিয়াস কথায়***
আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি, তাদের নববর্ষ নেই। সারাদিনের কাজ আর ক্লাস শেষে ফেসবুকে যখন বৈশাখী সাজে বন্ধুদের ফটো আর মঙ্গল শোভাযাত্রার ফটোগুলো দেখছিলাম, পেছন থেকে তোলা একটা ফটোতে চোখ আটকে গেল।
দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো - প্রথমে আমি ভেবেছিলাম কোনো সংস্থা থেকে আয়োজিত কিছু একটা হবে। বর্ণনা পড়ে যা বুঝলাম এরাই সেই "রূপবান"। এ সম্পর্কিত বেশ কিছু পোস্ট দেখলাম বিভিন্ন ব্লগে, ফেসবুকে। দেখলাম অনেকেই ব্যাপারটা পজিটিভলি নিয়েছেন, "এইতো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে" কিংবা "বাঙ্গালি মানসিকতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি" টাইপ কমেন্ট দেখলাম, সেগুলোতে লাইকের সংখাও কম না।
আমি বিশ্বাস করি, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সবারই আছে, কিন্তু আপনি যা বলছেন- সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, আপনার কমেন্ট করার আগে সেটাও ভাবা জরুরী।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণঃ
শুধু ইসলাম কেন, কোন ধর্মই সমকামিতাকে বৈধতা দেয় নাই। এ সম্পর্কিত কোনো কিছু জানতে চাইলে গুগল করেন, অনেক কিছু পাবেন। এবার দেখেন "আল ফাতিহা ফাউন্ডেশান"
ইংরেজি পড়তে আলসেমি লাগলে, সংক্ষেপে বলি, এটা একটা "মুসলিম" সংগঠন যারা মনে করে ইসলামে গে বা লেসবিয়ান বৈধ
কি? কনফিউসড হয়ে গেলেন ??
এই সম্পর্কে কুরআন-হাদিস কি বলেছে, দেখতে চাইলে এইখানে দেখেন
আশা করি আপনার কনফিউশান দূর হবে
আর অন্য ধর্মগুলো যে সব সাপোর্ট করেন না, এটা গুগল করেই জানতে পারবেন তবে বাইবেলের অরজিনিয়াল ভারশানে সমকামীতা সম্পর্কে কিছু নাই।
এবার চলুন ভিন্ন দৃষ্টিকোণে দেখিঃ
প্রকৃতি কি এসব মেনে নিয়েছে ?? সৃষ্টিকর্তা বলুন, আর প্রকৃতিই বলুন, কেউই এটা সমর্থন করেনা। করলে সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হতোনা। আর যদি সমর্থন করতই, তাহলে এদের নিয়ে "নারী" বা "পুরুষের" মতো স্বাতন্ত্র্য একটা শাখা প্রকৃতি নিজেই তৈরি করে রাখতো।
বিকলাঙ্গ বলতে আপনি কি বুঝেন?? যার শরীরের কোন অঙ্গ স্বাভাবিক না। আপনি কি জানেন,অধিকাংশ গে বা লেসবিয়ানের সাথে শারীরিকভাবে আপনার কোন অমিলই নেই ?? আর আমরা বাংলায় যাদের "হিজড়া" বলি- মূলত, তারা আলাদা কোনোকিছু না - শারীরিক বিকলাঙ্গতার উদাহরন মাত্র।
তাহলে এইসব কোথা থেকে এলো??
কিছু জায়গায় পড়ে আমি যা বুঝলাম, অনেকগুলো বিষয়ই এর পেছনে দায়ী। জেনেটিক কোডিং, বিকৃত মানসিক বিকাশ এবং প্রবণতা > এগুলোকে দায়ী করা যায়।
Medical Science একসময় সমকামিতাকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবেই চিহ্নিত করত। কিছু সমকামিবান্ধব লোকজনের লেখায় পড়লাম আধুনিক বিজ্ঞানে কিছু প্রমান এসেছে যে সমকামিতা বিষয়টি জেনেটিক কোডিং এর কারনে হয়। (কোনো রেফারেন্স নাই, ইভেন কমেন্টে চাওয়ার পরও দিতে পারেন নাই উনি) যেমন, একটি সফটয়্যারকে যে ভাবে কোডিং করা হবে সেভাবেই এটা কাজ করবে। তেমনি একটি মানুষের জিন কে যে ভাবে কোডিং বা DNA replication করা হয় সে সেরকমই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। এখানে মানুষের কোন হাত নেই। কিন্তু এইরকম কেস বাস্তবে খুবই নগণ্য।
তর্কের খাতিরে ধরলাম জিন-ই দায়ী। তাইলে আসেন একটু কম্পেয়ার করি। আমাদের সবার মাঝেই কিন্তু অনেক খারাপ প্রবণতা আছে, অনেকেই গাঁজা-হেরোইন সহ নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ, আত্মহত্যার প্রবণতা, এমনকি খুনের প্রবণতাও দেখা যায়। একইভাবে সমকামিতার প্রবনতা জন্মগতভাবে কিছু মানুষের মাঝে আছে বলেই এর প্রতি সমর্থন দেয়ার কোন যুক্তি আছে কি ?? আর আপনার জিনে একটা ব্যাপার থাকলেও যে সেটা প্রকাশ পাবে, এমন কোনো কথা নাই।
এবার আসি মানসিক বিকাশ নিয়ে। বাই-বর্ন যারা বিকলাঙ্গ (হিজড়া) হয়ে জন্মায় না, এদের পরবর্তীতে "তৃতীয় লিঙ্গ" হয়ে ওঠার মূল কারণ, পরিবেশ। কেমন করে বাপ-মার সাথে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর মানসিকতা এমন হতে পারে ?? হাহা !! গল্পের মিলন ভাইয়ের কথা মনে আছে ?? সমাজে এরকম মিলন ভাই হাজার হাজার আছে, ঐ মিলন ভাই কারো ভাই, কারো মামা, কারো চাচু - কিন্তু কামক্ষুধা মেটানোর সময় এদের মানবিকতা টাইপের সব ইন্দ্রিয় যে বন্ধ হয়ে যায়। Child Abuse এর যতো
ঘটনা আমরা পেপারে পড়ি, বাস্তবে ঘটে তার অনেক গুন বেশি। আর যে শিশু ছোট থেকেই এভাবে বেড়ে উঠবে, সে বড় হয়ে "রূপবান" ম্যাগাজিন পড়বে, এটাই স্বাভাবিক !!
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃ সমকামিতা যদি শুধুমাত্র শারিরিক বিকলাঙ্গতা বা মানসিক অসুস্থতা হয় তাহলে যে বিশ্বব্যাপী সমকামীদের সংখ্যা এতো বেশি কেন ??
সিমপ্লি চিন্তা করেন, পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ নেশা করে, সিগারেটও একটা নেশা কিন্তু এইসব ছোটোখাটো নেশা বাদ দিলেও ড্রাগ অ্যাডিক্তেড মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এখন যদি আমি বলি, "এতো মানুষ এইসব করে, সুতরাং নেশা করা যৌক্তিক" - আপনি মেনে নেবেন ?? কু-প্রবিত্তি সবকালেই মানুষের মাঝে ছিলো, সবাই করছে দেখেই যে সেটা সঠিক হবে, এমন কিন্তু কোনো কথা নাই।
শেষমেশ , আমার একটা খোলা প্রশ্ন, যারা সমকামীদের সাপোর্ট করছেন, তাদের কাছেঃ
হ্যাঁ ভাই, তারাও মানুষ। তাদেরও অধিকার আছে ভালবাসার - কিন্তু তাদেরকে সাপোর্ট করার আগে একবার ভেবে দেখেছেন কি, তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে কতোটা সুস্থ?? আজ আপনি হয়তো এদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছেন, কাল যদি আপনার ছেলেকে কোনো "মিলন"ভাই পেছনদিকে ব্যাথা দেয়, মেনে নিতে পারবেন তো ??
এই পোস্ট সম্পর্কে যে কোন ধরনের মতামতের জন্য আমন্ত্রণ রইল, অনেক কিছুরই রেফারেন্স দেয়া নাই, কোনো তথ্যের রেফারেন্সের জন্য কমেন্ট করলেই রেফারেন্স পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি মনে করেন, আমি কোথাও ভুল বলেছি - প্লিজ কমেন্টে জানান
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
নিক-অনিক বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ
কবে যে আলো আসবে সমাজে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উন্মাদনা, স্রেফ উন্মাদ হয়ে গেছে সুশীল হতে হতে !!!!!!!!!!!!!!!!
প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিছুই টিকেনি, টিকবেনা!
সূরা লুতে সমকামী লুত সম্প্রদায়েরে পরিণতি বলা হয়েছে। এখন তারাও যদি অবিশ্বাস করে আরেকটা পরিণতির অপেক্ষায় থাকে। থাকতে দেন-কারন তা দেখার পর আর বিশ্বাসকে বদলানোর সুযোগ পাবেনা। অধোমূখে অধ:পতিত হয়ে থাকবে খুড়কুটোর ন্যায়!