![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাদের সাথে কখনও আশরাফ সিদ্দিকীকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছি কি?
আমার একটু একটু মনে আসছে পরিচয় করানো হয়েছিল। তবে তা বেশ ক’বছর আগে। আশরাফ সিদ্দিকী সে সময় বাংলাদেশ টেলিভিশন এর রামপুরা কেন্দ্রে সাদা পাঞ্জাবী পরে ঘোরাঘুরি করত। সব সময় যে তার পরনে সাদা পাঞ্জাবী থাকত তা নয়। মাঝে মাঝে ফতুয়া থাকত। কুমিল্লার খাদি কাপড়ের ফতুয়া। বছর দশেক আগে যখন ফতুয়া আমাদের জাতীয় ফ্যাশনে রূপ নেয় নাই তখনও খাদি মোটা কাপড়ের ফতুয়া দেখে যে কারও আর্থিক অবস্থা অনুমান করে নেওয়া যেত। আপনাদের অনুমান নির্ভুল। ভদ্রলোকের আর্থিক অবস্থা তখন টেনেটুনে চলার মত। বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম ফন্দি-ফিকির করে তিনি চলছেন তো চলছেন। একটা চাকুরি অবশ্য পেয়েছিলেন ও টেলিভিশন ভবনেই। প্রকল্পের চাকুরি। প্রকল্পটা ছিল সরকারী । অনেক আশা ছিল প্রকল্পটা সরকারী হবে। সে আশায় মাস ছয়েক তারা বিনাবেতনে কাজও করেছেন। কিন্তু হয় নাই।
দু’মেয়াদে পাঁচ বছর করে দশ বছর প্রকল্পটা চলার পর দুম করে ওটা বন্ধ হয়ে গেল। তবুও আশাবাদী মনের কারনে মাস ছয়েক বিনা বেতনে তিনি চাকুরি করেন। কেউ তাকে আসতে বলে না। তবুও তিনি আসেন। টিভির কর্তারা তাকে আসতে নিষেধ করতে পারে না। হাজার হোক মানুষটা এতদিন তাদের সাথেই বসেছে। কাজ করেছে।
বেশ ক’মাস এভাবে টেনেটুনে চলার পর আশরাফ সিদ্দিকী একটা কাজ পেলেন। কাজটা বেসরকারী। ঠিক বেসরকারী নয়। ব্যবসা। সরকারী টেলিভিশনে তখন হঠাৎ করেই প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। আশরাফ সিদ্দিকী এ প্যাকেজ প্রোগ্রামের দালালীতে জড়িয়ে পড়লেন। দালালী তিনি আগে থেকেই করছেন। কখনও বিজ্ঞাপনের, কখনও কোরাস গানের পেছনের সারিতে দাঁড়ানোর সুযোগ করিয়ে দেবার কথা বলে কিছু খসানো। আমার সাথে তার প্রথম পরিচয় কোরাস গানের ব্যাপারটাতে। গুনে গুনে কড়-কড়ে পাঁচশ টাকা নিয়েছিলেন আমার থেকে। তারপর কিভাবে কিভাবে জানি আমিও মানুষটার সাথে জড়িয়ে গেলাম। সাক্ষী হলাম ইতিহাসের। প্যাকেজ প্রোগ্রাম কেনা-বেচার দালালীর সাথে যুক্ত একজন দালালের দালাল থেকে দেশের প্রধান এ্যাড ফার্মের মালিক, তারপর টিভি চ্যানেলের এবং সবশেষে নানা সামাজিক কাজে জড়িয়ে , তা প্রচার করে দেশের বিবেক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম।
আশরাফ সিদ্দিকীর পরিচয়ের এ জায়গায় একটু বিরতি নেই। আমার শ্যালক হাবু এসেছে। তাকে অর্থনীতির ভাষায় সেবা কাকে বলে তা বুঝিয়ে দিতে হবে। সদ্য ক্লাশ নাইনের ছাত্র। গিন্নীর কড়া হুকুম কোন কিছু না বুঝলে তার ভাইটি যেন আমার থেকে পাই পাই করে পড়া বুঝে নেয়। অর্থনীতির ভাষায় সেবা কাকে বলে এটা তো অতি সহজ জিনিষ। কিন্তু হাবু বুঝে না। আরে ভাই প্রচলিত যে সেবার বিনিময়ে অর্থ পাওয়া যায় তাই তো অর্থনীতির ভাষায় সেবা। যেমন আমার-আপনার অসুখ হলে মায়েরা সেবা করে। বিনিময়ে কি কোন টাকা পান? না। আর নার্সরা? তারা পায়। কাজেই প্রথমটাকে অর্থনীতিতে সেবা বলে না। দ্বিতীয়টাকে বলে। এই সহজ জিনিষ কি বুঝাতে হয় ?
তবে গিন্নী তাড়াহুড়ো করে হাবুকে দোকানে পাঠানোয় আপনাদের কাছে আবার আশরাফ সিদ্দিকীর কথা বলা যায়। আপনারা হয়ত ভাবছেন আমি একজন খারাপ মানুষের কথা বলছি। তিনি মানুষটা ভাল না এটা সত্য। কিন্তু তাই বলে তিনি খারাপ না। মানুষ সুযোগ নিতে চায়। তিনি সে সুযোগের ব্যবস্থা করেছেন। তারা সুযোগ ভোগ করেছেন। তিনিও তার কিছুটা ভোগ করতে পেরেছেন। মিউচুয়াল বেনিফিট। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি এখন একজন সফল মানুষ। প্রায় সব সফল মানুষের মতই তার অতীতের কালো অধ্যায়গুলো এখন চাপা পড়ে গেছে। তিনি যেভাবে চান, তার অতীতও এখন ঠিক সেভাবেই লেখা হয়। বলা হয়। আমরা যারা তার অতীতের সাথে পরিচিত তারা হাজার চিৎকার করলেও তা পাল্টাবে না। তার মত হাজার হাজার মানুষ এখনও রামপুরায়, কাওরান বাজারে ঘোরাঘুরি করে। মিউচুয়াল বেনিফিটের চূড়ায় তার অবস্থানের দিকে তাকায় আর নিজেকে সে অবস্থানে দেখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আরও শক্তভাবে প্রতিযোগীতায় দাঁত বসায়।
না। আশরাফ সিদ্দিকীর জীবন কাহিনী কিংবা কোন কঠিন জীবন দর্শন প্রচার করার জন্য আপনাদের তার কথা বলা হচ্ছে না। তিনি একটা সমস্যায় পড়েছেন। সে সমস্যার সমাধান করার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ঈদের দিন সকালে নামায পড়ে সবে বাসায় ফিরেছি এমন সময় তার ফোন। এইবেলায় চুপিচুপি বলে রাখি তার বদৌলতে মিউচুয়াল বেনিফিট এর মাধ্যমে আমারও আয়-উপার্জন খারাপ না। তাই তার ফোন অগ্রাহ্য করা হুমায়ুন আহমেদের নতুন বইয়ের পান্ডুলিপি ফেরৎ দেবার মতই বোকামী। ফোনটা কানে লাগিয়ে বলি, আশরাফ ভাই, ঈদ মোবারক।
চাকুরি না করার এই এক সুবিধা। বড় বড় মানুষদের অনায়াসেই ভাই-ব্রাদার বলা যায়। আজ যদি আমি আশরাফ ভাইয়ের কোম্পানীতে চাকুরি করতাম তাহলে কি এমন অবলীলায় ভাই বলতে পারতাম? সে যাক ঈদ মোবারকটা উত্তর না দিয়ে খালি বলেন, দুপুরে বাসায় আসিস। একটু সমস্যায় পড়ছি।
আশরাফ ভাইয়ের ঈদের দিন বাসায় থাকার কথা না। উনার ফটোসেশন আছে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে, হাত মিলিয়ে ঈদের কুশল বিনিময়ের ব্যাপার আছে। উনাকে কি কখনও ঈদের দিন বাসায় পেয়েছি? মনে করতে পারছি না। প্রথম জীবনে ধান্ধার আশায় ঈদের দিনটাকে কাজে লাগাতেন। এমন দিনে যে কোন স্থানে এন্ট্রি সহজ। দ্বিতীয় জীবনে অন্যদের ধান্ধার আশাকে পূরন করার জন্য তাকে এন্ট্রি দিতে হয়। নিশ্চয়ই ভাল মতই সমস্যায় পড়েছেন। নয়ত কি বাসায় থাকেন?
দুপুর করে উনার ফ্ল্যাটে হাজির হই। ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে কি ঈদ হয়? আমাদের পাড়ার এ বাড়ী -ও বাড়ীর মত আপ্যায়ন হয়? আমি জানি, হয় না। এরা সবাই এক একটা আলাদা জগৎ। এক জগৎ অন্য জগৎ এ পর্দাপন করে না। যে যার নিজস্ব বলয়ে সার্বভৌম স্বাধীনতায় বসবাস করে। আশরাফ ভাইয়ের ঘরের দরজায় দেখি বেশ অনেক জোড়া জুতো। নিশ্চয়ই আত্মীয় এসেছেন।
ভেতরে ঢুকে দেখি অনুমান সত্য। আশরাফ ভাইয়ের বড় ভাই এসেছেন। এনাদের মা আশরাফ ভাইয়ের সাথেই থাকেন। অন্যরা আশরাফ ভাইয়ের মত এতটা উঠতে পারেন নাই। যেমন এই বড় ভাইটি। ইনি এক সরকারী কলেজের বাংলার অধ্যাপক। বেতন যা পান তাতে মনে হয় মধ্যবিত্তের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কেটে যায়। চাইকি মাকে সাথেও রাখতে পারেন। কিন্তু এনাদের মা এ বাসা ছেড়ে যান না । ক’বছর আগে এ বাসাতেই আশরাফ ভাইয়ের বাবার মৃত্যু হয়। স্বামী মারা যাবার পর উনি বাইরে বেরুনোটা বলতে গেলে এক রকম বন্ধই করে দিয়েছেন।
বিশাল ফ্ল্যাট। বিশাল ফ্ল্যাটের বর্ননা দিয়ে আপনাদের ভারাক্রান্ত করব না। বরং সরাসরি আশরাফ সিদ্দিকীর কাছেই চলে যাই। বাসার ভেতরই ছোট একটা অফিস রুম বানিয়েছেন তিনি। ওখানেই বসে ছিলেন। এ বাসায় আমার অবাধ যাতায়ত। ভাবীর সাথে দেখা করে আশরাফ ভাইয়ের রুমের দিকে যেতেই পড়ে উনাদের মায়ের রুম। আমি খালাম্মাই বলি। খালাম্মাকে সালাম দেবার জন্য রুম ঢুকে দেখি তার বড় ছেলে উপস্থিত। মাকে জড়িয়ে রেখেছেন এক হাতে। আমাকে খেয়াল করেন নাই। না চাইতেও মা -ছেলের কিছুটা আলাপ কানে চলে আসে।
কতদিন তোমার হাতের নারকেল কুঁচানো সেমাইয়ের জর্দ্দা খাই না মা।
খাবি?
নাহ। এ সময়ে তোমাকে আবার রান্নাঘরে ঢুকিয়ে আর কষ্ট দেব না। আজ চল না আমার বাসায়। কাল না হয় আবার চলে আসবে।
মা নিরুত্তর। চোখ দুটো বিষন্ন হয়ে আসে। কিছু বলে না। আমার উপর চোখে পড়ে তার। বিষন্ন চোখ দুটো হেসে উঠে। আসিফ যে। কখন এলি?
এইত খালাম্মা- বলে কদমবুসি করি।
কিছু মুখে দিয়েছিস?
এখনও দেই নাই। একেবারে দেব। দুপুরে খাব এখানে। ভাইয়া ভাল আছেন?
আশরাফ ভাইয়ের বড় ভাই এগিয়ে এসে কোলাকুলি করে। হ্যান্ডশেক করে। দু’চারটা কথা বলেন। আমি উত্তর দেই। মানুষটার নাম মনে আসছে না। সে চেষ্টা করতে করতে আশরাফ ভাইয়ের রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ি। রুমে আশরাফ ভাই একাই। বিশাল চেয়ারটাতে হেলান দিয়ে টিভির পর্দার দিকে তাকিয়ে আছেন। অনুষ্ঠান চলছে। টেবিলে নানা খাবার। কোনটাই তেমন একটা মুখে তুলেননি। আমার উপর নজরটা বুলিয়ে আবার টিভি পর্দার দিকে তাকালেন। কিছু বলেন না। আমিও চুপচাপ বসে থাকি। উনার যখন সময় হবে তখন উনিই মুখ খুলবেন এবং খুললেনও।
আচ্ছা আশরাফ এবার আমি কতটা শাড়ি দিয়েছি যাকাতে জানিস?
হু। দেড়শ।
তারাবীতে মসজিদে কত টাকা দিয়েছি জানিস?
নাহ। কত?
বিশ হাজার। কয়টা নতুন এড বানিয়েছি?
তিনটে?
নাহ। তিনটে পারি নাই। মোবাইল কোম্পানীর জন্য আইডিয়াটা পাই নাই। ওটা নামাতে পারলাম না। তা ঈদে কয়টা হাসির নাটক নামাচ্ছি?
শেষ পর্যন্ত জানতাম নয়টা।
শেষ পর্যন্ত এগারটা। তোর ভাবী-বাচ্চা আর আত্মীয়-স্বজন সবার জন্য কত টাকার বাজার করেছি বলতে পারিস?
আমি চুপ। এগুলো আসলে ঠিক প্রশ্ন না। সফল মানুষদের মাঝে মাঝে দার্শনিকদের ভূতে ধরে। ইনাকে আজকে ধরেছে। তাই আপনমনে নিজেই নিজের সাথে কথা বলছেন। তাই নিজেই আবার উত্তর দিলেন, সাড়ে তিন লাখ টাকার। সবাইকে বোনাস দিয়েছি। গিফট দিয়েছি। ফকির খাইয়েছি। কোন কিছুই বাদ দেই নাই। তারপরও এমন হচ্ছে কেন রে?
কি হচ্ছে?
এই যে কোন আনন্দ পাচ্ছি না। আগে নতুন জামা পড়তে কি খুশিটাই না লাগত। এখন লাগে না। কত ঘুরতে ইচ্ছা করত। এখন গেলে বিরক্তি লাগে। কত কি খেতে ইচ্ছ করত। এখন রুচি পাই না। কোন কিছুতেই কোন মজা পাই না কেন? আনন্দ আসে না কেন? কাজে থাকি বলি এমনটা হয় ভেবে এবার তো বাসাতেই সারাটা দিন। কই কোন আনন্দ তো পাচ্ছি না? বয়স বাড়লে কি ঈদের কোন আনন্দ নাই?
এ প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আমি উপযুক্ত কেউ না। তবুও বলি, দূর! এইগুলো কোন কথা হল। কোথাও ঘুরে আসেন। দেখবেন ভাল লাগবে। আরেক কাজ করতে পারেন। বড় ভাইয়ের মত আপনিও খালাম্মাকে জড়িয়ে ধরে কোন পছন্দের খাবারের আবদার করেন। উনাকে তো দেখলাম সে সময় বড় আনন্দে ছিলেন।
তাই নাকি? কি খেতে চাইল?
সেমাইয়ের জর্দ্দা ।
আশরাফ ভাই আবার চুপ করে গেলেন। কি জানি ভাবতে লাগলেন। একটু পর কাগজ নিয়ে কি জানি লিখতে লাগলেন। কিছুক্ষন বসে থেকে উঠে পড়ি। বোনের বাসায় যাব। এখানে সারাদিন কাটালে হবে না। খাবার খেয়ে বেরুবার সময় ভাবী সেমাইয়ের জর্দ্দা এনে দিয়ে বললেন, এটা খাও। তোমার খালাম্মা করেছে।
সেমাইয়ের জর্দ্দা জিনিষটা যে আমার বড় পছন্দের তা নয়। কিন্তু সেমাইটা মুখে দিতেই বয়স্ক পুত্র বৃদ্ধ মাকে যেভাবে জড়িয়ে আবদার করছে তা মনে পড়ে। অকারনেই মনটা খুশি হয়ে উঠে।
এ খুশিটা কয়দিন পরপরই ফেরৎ আসে আজকাল। মোবাইল অপারেটরের নতুন একটা হিট বিজ্ঞাপন এসেছে। হুবহু সেই একই দৃশ্য। বয়স্ক পুত্রর বৃদ্ধ মায়ের আবদার। সেমাই খাবার আবদার। আশরাফ ভাই আসলেই একটা জিনিয়াস। আমি বললাম আর উনি কি অসাধারন একটা বিজ্ঞাপন করে ফেললেন ও কথা থেকে। তাই তো এ মূহুর্তে বিজ্ঞাপনটা দেখে উনার কথা আপনাদের শোনাতে বসেছিলাম। তা আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন আশরাফ সিদ্দিকীর সমস্যার কি কোন সমাধান হয়েছে? মানে উনি কি ঈদের দিনে আবার আনন্দ পাওয়া শুরু করেছেন?
সে কথার উত্তর আপাতত দিতে পারছি না। ওটা আরেকদিনের জন্য তোলা রইল। কারন হাবুটা আবার ফেরৎ এসেছে। এখন ওকে আবার অর্থনীতির ভাষায় সেবা কাকে বলে বোঝাতে হবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
toysarwar বলেছেন: খুব সম্ভবত প্রাচীর পেরিয়ে জাতীয় কিছু একটা নাম ছিল। মাসুদ রানার চরিত্র দিয়েছিল নোবেল আর সোহানা ছিল বিপাশা হায়াত। প্লাস - মাইনাস দেবার জন্য থ্যাংকু
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: খুব ভাল লাগল গল্পটা, তবে এটা কে গল্প বলা যায় না, বাস্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি কারন আগে ঈদ গুলো কত আনন্দের ছিল এখন ঈদ কিছুই না
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
toysarwar বলেছেন: আমি অবশ্য গল্প বলতেই চেয়েছিলাম। চেষ্টা করেছি। আপনার মানে উতরাতে হয়ত পারি নাই। সময় খরচ করে পড়েছেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৮
কালোপরী বলেছেন: চমৎকার
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
toysarwar বলেছেন: থ্যাংকু।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো !!!!!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
toysarwar বলেছেন: থ্যাংকু।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক পেয়ে গেলে তখন হয়তো আর পাওয়ার আনন্দ থাকে না, কোনকিছুরই আনন্দ থাকে না। তবু ভাল আশরাফ সিদ্দিকী সৃজনশীল কাজ করতে পারছে, সেটাই হয়তো তাঁকে সাময়িক আনন্দ দেয়। অনেকেতো তাও পারে না।
ভাল লাগা রইল আপনার গল্পে।
ঈদের শুভেচ্ছা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
toysarwar বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। একই সাথে রইল ঈদের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ লাগলো! একদম ডুবে গিয়েছিলাম গল্পের বর্ণনায় ।
আশরাফ সিদ্দিকীর মত মানুষদের উত্থানে আমি অখুশি নই । জীবন ভর সংগ্রাম করে কোন একটা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উঠে এসেছে এরা । সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে কিছু ধান্ধাবাজি করলেও নিজের মেধা আর পরিশ্রমের চুড়ান্ত ব্যবহার করেই তারা তা পেরেছেন । বড় ভাইয়ের বৃদ্ধা মায়ের কাছে আবদার দেখেই তিনি আইডিয়াটাকে একটা দারুণ এ্যাডে রুপান্তর করেছেন । সৃষ্টিশীলতা তিনি এখনও ধরে রেখেছেন । যখনই কো আইডিয়া সংকটে পড়েন, তখনই হয়ত তিনি অস্থির হয়ে যান- এটা সব সৃষ্টিশীল মানুষেরই সমস্যা ।
গল্পে পুরানো দিনের কিছু ফ্লেভার পেয়েছি । বিটিভি কে কেন্দ্র করে নানান মানুষের নানা রকম ফন্দিফিকির, প্যাকেজ প্রোগরাম চালুর পর সেটা নিয়ে বানিজ্য- আরো কত কি!
বিটিভি'র প্রথম প্রচারিত প্যাকেজ নাটক কি ছিল মনে আছে ? মনে হয় মাসুদ রানা নিয়ে একটা এক ঘন্টার একটা নাটক, পরিচালনায় ছিলেন শহীদুল ইসলাম ।
গল্পে ভালোলাগা ++