নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছু যেন হয় কোনো কিছু যেন হয় না

তৃণনিয়োগী

আমার প্রকাশিত গ্রন্থাবলী: উপন্যাস: ১। প্রান্তিকী (বাংলাদেশের সমকামীদের জীবনাচারভিত্তিক) ২। গ্রাস ('৯১ সালের স্লাইক্লোনোত্তর মহেশখালী দ্বীপে কর্মরত এনজিও কর্মীদের জীবনাচার ও সেখানকার অধিবাসীদের চালচিত্র) ৩। ত্রিমাত্রিকী (একটি দরিদ্র পরিবারের তিন নারীর জীবনালেখ্য) ৪। ক্যাম্পাসকাব্য (৮০'র দশকে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক উপন্যাস) ৫। ছায়াপথ (দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জনৈক ইঞ্জিনিয়ারের জীবনাচার) ৬। অ্যাকোরিয়ামের মীনকন্যা (প্রবাসীর স্ত্রীর জীবনাচার) ৭। মরণোত্তর স্যালুট (হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার জীবনাচার) ৮। ঘূর্ণিবায়ু ও ধূসর কাবিন (হিন্দু-মুসলিম যুবক-যুবতীর প্রেম ও দ্বন্দ্ব) ৯। তৈলাক্তবাঁশবাহী শাখামৃগ (প্রকল্পভিত্তিক চাকরিজীবীদের জীবনাচার ২০১২ সালের বইমেলায় পাওয়া যাবে) ১০। অরণি (মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত এক পাগলির রাজাকারের প্রতি প্রতিবাদ, ২০১২ সালের বইমেলায় পাওয়া যাবে) ১১। খোলা দুয়ারি (বাঙালি লেজবিয়ানদের জীবনাচার, ২০১২ সালের বইমেলা পাওয়া যাবে) গল্পগ্রন্থ ১। ঝড়সন্ধ্যা ২। বুনোঅন্ধকার ৩। প্রেমের গল্প ৪। শিকল হরিণ কবিতা ১। প্রেমের কবিতা ২। অনুযোগ অভিযোগ ৩। একরোখা কিশোরী উপন্যাস ১। তিন্নির পথ খোঁজা ২। এবং পারুল ৩। ছয় কিশোরী ও তিন রাজাকার কিশোর উপন্যাস ১। ওরা কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ২। রাজুদের বাড়ি আসার পর ৩। ছোট মামা শিশুতোষ ১। এক শিয়ালের কাণ্ড ২। কুকুরের শহর দেখা ৩। কাতু-কুতু ৪। কাকের ছানার রং বদল ৫। ছড়া পড়ি রং করি ৬। শব্দ শেখা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ১। প্রশিক্ষণ পরিচিতি (তৃতীয় সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ) ২। ফ্যাসিলিটেশন পরিচিতি (দ্বিতীয় সংস্করণ) ৩। প্রশিক্ষণ সহায়ক পরিবেশ ৪। পিআরএ/পিএলএ ৫। Focus Group Discussion in Training Needs Assessment and Evaluation ৬। The use of Logical Framework in Training:

তৃণনিয়োগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিধানের কথা: মোজাম্মেল হক নিয়োগী

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৭

চৈনিক ভাষায় প্রবাদ আছে, “যিনি পাঁচ হাজার শব্দ জানেন তিনি পণ্ডিত”। জ্ঞান পিপাসুদের জন্য অভিধান একটি অপরিহার্য পুস্তক। হাতের কাছে একাধিক অভিধান থাকা একটি জৌলুসের ব্যাপারও বটে। বিদ্যাচর্চার সাথে অভিধানের যে একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এর কারণ ব্যাখ্যা করা বাহুল্য বলেই মনে হচ্ছে। কেননা বই পড়তে গেলে অথবা বিদ্যাচর্চা করতে গেলে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন রকম শিল্প শৈলী লেখার আবির্ভার ঘটবে, বিভিন্ন লেখক তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, ধ্যান-ধারণা, চিা চেতনার বিকাশ ঘটাবেন, ফলে বিভিন্ন নতুন নতুন শব্দের সমাবেশ ঘটাবেন। আর এই নতুন শব্দের উৎপত্তি, বিকাশ ও অর্থ জানতে হলে অভিধান ছাড়া আর সহায়ক গ্রন্থ কী হতে পারে?



ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে (জ্ঞানেন্দ্র মোহন দাসের ভাষায়) অভিধান হলো অভি (সম্যক) ধা (ধারণ বা পোষণ করা), অন (বি) - যাতে অর্থ সম্যকরূপে ধৃত হয় অথবা (ণ - অন অর্থাৎ যদ্দারা অর্থের সম্যক প্রকাশ পায়)। Welster-G Dictionary বলতে বুঝিয়েছেন, “a reference book containing word use alphabetically arranged along with information about their forms, pronunciation, functions, etymologies, meanings and syntactical and idiomatic uses.”



লেখকদের লেখার মধ্যে নতুন নতুন ভাবধারা ও বৈশিষ্ট্য ঢেলে সাজানো এবং লেখাকে শিল্প সম্মত উপায়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে কিংবা চিন্তা থাকে। শিল্পমানের কিংবা ক্লাসিক্যাল লেখার জন্য লেখকগণ সাধারণভাবে প্রচলিত শব্দের বাইরে এমন কি অনেক সময় বিদেশী বা আঞ্চলিক শব্দেরও ব্যবহার করে থাকেন যা অনেক পাঠকের অজানা থাকে। এই সব শব্দ ব্যবহার করে লেখকগণ যে পান্ডিত্য দেখান তা কিন্তু নয়। বরং লেখার সাবলীলতা, সময়োপযোগিতা, অবস্থার প্রাসঙ্গিকতা, বিষয়বস্তুর গুরুত্ব ও যথার্থতা বিচারে প্রকৃত উৎকর্ষের জন্য প্রচলিত শব্দের বাইরে লেখকগণ অনেক শব্দ ব্যবহার করেন, যা করা জরুরি--না হলে লেখা কোনো একটা স্থানে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে বাআটকে যাবে। এ জন্য পাঠকদের যেমন বিষয়বস্তু বুঝে নেওয়ার জন্য শব্দার্থ জানা প্রয়োজন ঠিক তেমনি লেখকদেরও যথাস্থানে ঠিক শব্দটি বাছাই করার সময় এর উৎপত্তি, তাৎপর্য ও অর্থ জানা অত্যাবশ্যক বিষয়। এ ব্যাপারে লেখকদের সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। না হয় পাঠক শ্রেণী লেখককে ছেড়ে দিলেও বিচক্ষণ সমালোচক মহলের চোখ ফাঁকি দেওয়া কিন্তু সম্ভব হবে বরং তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য লেখদের যেমন অভিধান হাতের কাছে থাকা দরকার ঠিক তেমটি পাঠকদেরও থাকা দরকার।



আজকাল ‘অভিধান’ শব্দটির ব্যবহার কতটুকু আছে তা বলা কঠিন। অভিধানকে আমরা সবাই ডিকশনারী বলেই চালিয়ে যাই তা যে ভাষাই রচিত হোক না কেন। এই অভিধান বা ডিকশনারী যাই বলি না কেন এর বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছুতে অনেক আত্মত্যাগী মানুষের কম কাঠ কয়লা পোড়াতে হয়নি। যাদের অবদানে অভিধানের বর্তমান সুবিন্যস্ত আকার দেখতে পাচ্ছি তাদের ইতিহাস খুঁজলে অনেক মনীষীর নাম চলে আসে।



অনেকের মতে বিশ্বের প্রথম অভিধান হল প্রথম শতাব্দিতে চীন দেশে রচিত Shuo Wen। অষ্টম শতাব্দিতে আরব দেশে একটি বৃহৎ অভিধান সঙ্কলিত হয়। রোমান সাম্রাজ্যের শেষ দিকে বেশ ক‘টি লাতিন অভিধান লেখা হয়। বলা যায় ইংরেজি ভাষায় প্রথম অভিধান Richard Huloet-এর Alecedarium, ১৯৫২ সালে। কিন্তু ইংরেজিতে সম্পূর্ণ ডিকশনারি প্রণেতার সম্মান লাভ করেন Dr. Samuel Johson huvi Dictionary of the English Language (১৯৫৫)। শব্দ নির্বাচন ও সঠিক অর্থ নিরুপণে বৈশিষ্ট্য যদিও লেখকের ব্যক্তিগত রুচি ও প্রবণতা কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎকট হয়ে উঠেছে। যেমন: Oats-এর সংজ্ঞা, A grain which in England is generally given to hornses, but in Scotland supports the people.” ইংরেজিতে অজস্র অভিধান রচিত হলেও সর্বশ্রেষ্ঠ অভিধান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে Oxford Dictionary যার সম্পাদনায় ছিলেন C.T. Onions । এই অভিধানের প্রথম খণ্ড বের হয় ১৯৮৪ সালে। শেষ খণ্ড বের হয় ১৯৮২ সালে। এতে চার লক্ষের বেশি শব্দ, ১৮ লক্ষের বেশি প্রয়োগ বাক্য ছিল। বিভিন্ন রূপে এই অভিধানের বেশ কটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। Flower and Flower সম্পাদিত Concise Oxford Dictionary ১৯৪৮ সালে এবং 1948 সালে এবং A. S. Hornby Oxford Advanced Learner’s Dictionary ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয় আজ বিশ্ব সমাদৃত গ্রন্থ।



১৯০১ সালে প্রকাশিত Chamber’s Twentieth Century Dictionary I ও বি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম শব্দকোষ হল নির্ঘণ্ট যা মাত্র নির্বাচিত বৈদিক শব্দের তালিকামাত্র। সংস্কৃত প্রথম যথার্থ শব্দকোষের মর্যাদা পায় অমর সিংহের সাম লিঙ্গানুশাসন যা অমর কোষ নামে খ্যাত।

বাংলায় প্রথম অভিধান লিখেছেন পর্তুগীজ পাদরি মনো এল দা যাঁর Vocabulary em idoma Bengalla Portuguez ১৭৪৩ সালে লিসবন থেকে বাংলা ভাষায় রোমান হরফে মুদ্রিত হয়। আড়াইশ বছর আগে বিদেশির হাতে দেশীয় অভিধানের সূচনা হয় তখনই। আনজনের Vocabulary Bangalese and English ১৭৪৩ সালে। আনজনের ১৭৯৩ সালে বাংলা অক্ষরে ছাপা হয়। প্রাচীনতম অভিধান। উলিয়াম কেরির ত্রিশ বছরের সাধনায় ১৮১৫ সালে ইংরেজি বাংলা অভিধান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এরপরে যাঁকে স্মরণ করতে হয় তিনি হলেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গীয় ‌শব্দকোষ দুখণ্ডে রচিত এই অভিধানের জন্য আটত্রিশ বছরের শ্রমে, নিষ্ঠায় ও সাধনার ফলে গড়ে ওঠে বিদ্যাকোষ।



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৩৯ বাংলা সনে বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরেছেন। এই গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন শ্রী সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় ১৩৭২ বাংলা সনে। এই গ্রন্থটি ১৩৪০ সালে ুদ্র ুদ্র খন্ডে এই অভিধানের ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু হয় এবং ১৩৫৩ সালে ১০৫ খন্ডে এর মুদ্রণ পরিসমাপ্ত হয়। একজন বরণ্যে ছড়াকার একদিন বলেছিলেন যে, সিরাজগঞ্জের হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতের লেখা ছিল অত্যন্ত সুন্দর এবং তাঁর এই অভিধান লেখার কিছু অংশ দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিমোহিত হয়ে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যান এবং ঠাকুর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাঁর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি রবীন্দ্র সাহিত্যকর্মের প্রাসঙ্গিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন।



১৮৩৪ সালে প্রকাশিত হয় রামকমল সেনের ইংরেজি-বাংলা অভিধান। বলা যায় এদেশে প্রথম একরঙা সচিত্র অভিধান (১৮৮১-৮৭)। বেণী মাধব ভট্টাচার্যের ‘প্রকৃতি ও প্রত্যয়’-র সহিত বৃহৎ সচিত্র বাংলা অভিধান ১৮৮৮ সালে, চারুচন্দ্র গুহ এঁর তিন খন্ডে The Modern Anglo-Bengali Dictionary ১৯১৬ ও বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।



ড. অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত আঞ্চলিক ভাষার অভিধান বেশ সমাদৃত হয়েছে। বাংলায় প্রথম বহুবর্ণী অভিধান Learning Word । ইংরেজি বাংলায় এই রঙিন অভিধান ভারত বর্ষে সমাদৃত। প্রতিটি ইংরেজি শব্দের সঠিক উচ্চারণ একাধিক উপযোগী অর্থ, প্রতি পৃষ্ঠায় অজস্র চার রঙা ছবি এবং বিজ্ঞান পরিভাষাদি শব্দের সন্নিবেশ। পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন। ইংরেজি গ্রন্থের ব্যবহৃত শব্দাবলী এতে থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এর উপযোগিতা অপরিসীম। এই গ্রন্থে জ্ঞানকে আনন্দের সাথে মিলিয়ে দিয়েছে। বইটি সম্পাদনা করেছেন ড. দীলিপ কুমার মিত্র। ভুমিকা লিখেছেন স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।



বাংলা একাডেমী এ যাবৎ বহু অভিধান প্রকাশ করেছে। বাংলা অভিধানের বিভিন্ন রূপ ও আকারে যে যে অভিধান অভিধান-জগতে স্থান করে নিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল বাংলা ভাষার আঞ্চলিক অভিধান। এছাড়া বর্তমানে বাংলা অভিধান অনেকের হাতেই দেখা যায়। এছাড়া বাংলা বানান অভিধান, বাংলা উচ্চারণ অভিধান, ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, বাংলা-ইংরেজি, ইংরেজি-বাংলা অভিধানসহ আরও অনেক অভিধান বাংলা একাডেমী মুদ্রণ করেছে গত কয়েক দশকে। কোনো অভিধান আলোচনা-সমালোচনা এই নিবন্ধে করা হয়নি বলে বাংলা একাডেমীর কোনো অভিধান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হয়নি। তবে আমার মনে হয় অনেক অভিধান ব্যবহারকারীই বাংলা একাডেমীর বানান অভিধান ও ব্যবহারিক বাংলা অভিধান নিয়ে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। আর একটি কথা অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলে নিচ্ছি (যেহেতু আমি বলার মতো কোনো স্থান পাই না বা সে যোগ্যতাও আমার নেই।) বাংলা ভাষা সত্যিই অভিভাবকহীন। যেভাবে পারে সেভাবেই বানান লিখছে এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।



বাজারে এখন অভিধানের কোন অভাব নেই। কত রকমের অভিধান রয়েছে যে গুলো আমাদের চাহিদা পূরণ করছে খুবই সহজে। এই সহজ চাওয়াটি পূর্ণ করার জন্য যে সকল মনীষীরা অকান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে উপায় নেই।



(ভারতীয় একটি ছেঁড়া পত্রিকার অংশবিশেষ হতে ধারণা নিয়ে প্রতিবেদনটি লিখা। পত্রিকাটি ছেঁড়া ছিল বলে নামও জানা যায়নি। ১৯৯২ সালের কলকাতা থেকে একটি বই বাঁধা থেকে ছেঁড়া পত্রিকাটি পাওয়া যায় এবং তার কিছু অংশ থেকে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে। তথ্যসূত্র খুঁজতে গেলে এখন উইকিপিডিয়াতে হয়তো পাওয়া যেতে পারে। তবে এ নিয়ে যদি কেউ তথ্যসূত্র দিয়ে সাহায্য করেন তাহলে একটি পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধ লেখার খায়েস রয়ে গেল।)





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.