![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I who i am...is always me and mythoughts
এখন আর এস এস সি পরক্ষিায় রচনা লিখতে হয় না দেশের যত স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের । রচনা নামক যে সময় আগের দিনে ছাত্র/ছাত্রীদের ব্যয় করতে হতো এখন সেই সময় ব্যয় করে না এ যুগের ছাত্রদের । তাই তাদের পরীক্ষার খাতা ভর্তি করে লেখবার প্রয়োজন নেই, তেমনি নেই হাতের লেখার, আর সেই লেখার আবার সৌন্দর্য !!! নেই তার বালাই । তো সময়রে মুল্য বা নিয়মবনুবর্তিতা রচনা মুখস্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তাও বলার দরকার নেই । তো সময়ের মুল্য কি বোঝার দরকার আছে ? এ তো গেল প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কথা
এবার একটু দেশের শীর্ষস্থানীদের দেখা যাক কি নিয়ে ব্যস্ত সময় ও নিয়মানুবর্তিতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন । আমাদের রাজনীতির অনকেগুলো বিবাদের মধ্যে একটি হচ্ছে কেয়ার টেকার সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যার দায়িত্ব হজ্ছে একটি সুষ্ঠ ও নির্দলীয় নির্বাচন । সরকার এর বক্তব্য হচ্ছে, বর্তমান সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালিন সরকার এর অধীনে নির্বাচন এর ব্যবস্থা করবে, পক্ষবন্তরে বিরোধী দলের এক কথাই তা হচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকার। দুটি পক্ষই বিগত এক বছরের অধীক সময় ধরে একই দাবী নিয়ে বিবাদ করে যাচ্ছে । এই বিবাদ করার জন্য দেশের যত বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ, বিদেশী দুত, সকল দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাগন, চেতনায় উদ্ধূদ্ধ জনগন সহ সকল বার্তাসংস্থা, চ্যানেলসমূহ এক বিষয় নিয়েই দিনের পর দিন, আলোচনা, টক-মিস্টি শো নিয়ে মহাব্যস্ত দিন পার করছে । বিবাদ শুরু দিন থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনও সমাধান হয়নি এ বিবাদের ।
আজ অনেকটা সময় পার হয়ে গেল, হয়তো সমাধান হবে একদিন হয়তো বা এ সমাধান হয়েই আছে ।দেশী বিদেশী সকল মহলে চাপ দুপক্ষর আলোচনা তবু হোক সমাধান । বিবাদটির শুরু হয়েছে বিচারপতি খায়রুল হক কর্তৃক প্রদত্ত রায়। যার গেজেট প্রকাশের পূর্বেই সরকার কর্তৃক স্বপ্রনোদিত সংসদে পাশ । তবে সরকার এ রায় পাশের পর থেকেই একটি কথা বলে যাচ্ছে তা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর মাধ্যমে নির্বাচন । তো দেশের প্রচলিত আইন বহির্ভূত একটি সংজ্ঞা হলো : অন্তর্বর্তীকালীন বলতে সাধারন অর্থে বলা যায় একটি মেয়াদএর শেষে এবং আরেকটি মেয়াদের পূর্ব পর্যন্ত সময়/ক্ষন কে বোঝায়। সরকারী ব্যবস্থায় বলা যায়, একটি সরকারের মেয়াদ শেষে ও আরেকটি সরকারের মেয়াদ এর পূর্ব পর্যন্ত যে সরকার রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সে সরকার তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলা যায় । তো কথারপ্যাচ হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে তত্বাবধায়ক সরকার বলা যতটা যুক্তসিংগত নয় ঠিক ততটা সঠিক যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার । প্রকৃত পক্ষে দুইটি শব্দমালা একই অর্থে সমার্থক নয় বলে দুটির তুলনা বা মিল নেই তেমন । তবে একটি আরেকটির সমার্থক । তবে এই মিলের বিষয়টি যদি দেশের প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে তবে ভিন্ন কথা। তবে আইন দ্বারা পরিশুদ্ধ করার প্রেয়োজনীয়তা রয়েছে ।
এতগুলো কথা উপরে বলতে হলো একটি মুল্যবান গুনাবলীর ধারনা দেবার জন্য তা হলো সময়ের মূল্য ও নিয়মানুবর্তিতা । আমাদের
রাজনীতির সময় পার করছি এরকম কিছু বিষয় নিয়ে যা সমার্থক নয় অথচ একটি আরকেটির সমার্থক নিয়ে যা রাজনীতিবিদ থেকে সকল নেতা আর সেই হতভাগা জাতির অভাগা জনগন যে দিপাত করছে তাকে কি বলা যায় ? আর যে জাতির পথ প্রদর্শকগন সময়ের মূল্য দিয়ে জিতে যাচ্ছে রাজনীতির খেলায়, অর্জন করছেন ক্ষমতার অসীম আসন তাদের নিয়মানুবর্তিতার নিদর্শন বা কতটুকু।
ইতিহাস স্বাক্ষী দিয়েই যাচ্ছে, সময়ের মূল্য ও নিয়মানুবর্তিতা নেই যে জাতীর তাদের পরিনাম অবশ্যই :-
১. স্বাধীন হবার ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
২. অনুন্নয়নশীল অর্থনীতি ও দারিদ্রর দুস্টচক্ত
৩. জনগনের জন্মহার বৃদ্ধি ও নিম্ন মুজুরী
৪. ধনী গরিব বৈষম্য বৃদ্ধি
৫. খাদ্যভাব ও অামদানী নির্ভর খাদ্যব্যবস্থা
৬. শিল্পের অধপতন ও বিনিয়োগ হ্রাস
৭.শিক্ষামান ও রাজনীতির থাবা ।
৮. জাতীয় সম্পদ এর ব্যক্তিস্বার্থ
৯. দুণীর্তিযুক্ত প্রশাসন
১০.বৈদেশীক আগ্রাসন
৪২ বছরের তারতম্য নিয়ে ভাবার মানুষ কোথায় তার আবার ভ্যারিয়েন্স এন্ড ডিফিসিয়েন্সি রিপোর্ট !!!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:০২
বাংলার হাসান বলেছেন: ইতিহাস স্বাক্ষী দিয়েই যাচ্ছে, সময়ের মূল্য ও নিয়মানুবর্তিতা নেই যে জাতীর তাদের পরিনাম অবশ্যই :-