নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই সব হতভাগ্য অফিসারেরা..............।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৯



-Bloody fool! Bloody cxxx of a constipated owl! Iv' dug this pond so that you could learn in peace! How long would you take to learn swimming?



-Sir, just a couple of days more.



নতুন কাটা পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছে এনায়েত। এখনো লেফটেন্যান্ট, সাঁতার না জানার জন্যে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

আলহাকু মুত্তা-কাছুর।

হাত্তা ঝুর-তুমুল মাক্বাবির

কাল্লা সাওফাতা’ লামুন

ছুম্মা কাল্লা সাওফাতা’ লামুন

কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইলমাল ইয়াক্বীন

লাতারা উন্নাল জাহীম।

ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াক্বীন

ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াও-মায়িজিন আনিন নাঈম।



.......



-স্যার আজ সেহরীতে কি মেনু?



আপ্যায়নে অভ্যস্ত ও আনন্দত আমি একটু ভরকে গেলাম! বলে কই! সেহেরী!



-বদ্দার হাটের গরুর মাংস, লতি চিংড়ি।



..................



-এনায়েত তোমাকে না বলেছি পারফিউম দেবে না পান্জাবীতে, জুম্মার সময়, এ্যালকোহল আছে, আতর দাও।



আকর্ন বিসৃত হাসি দিয়ে এনায়েত:

-সরি স্যার।



লম্বা, একহারা, হলিউডের কাউবয় ছবির নায়কের মত চেহারার এনায়েতের একটা বিরল গুণ-সত্যকে জন সমক্ষে সত্য বলা।









-এই হাসো কেন?..



হাত্তা ঝুর-তুমুল মাক্বাবির........







ফিরে এলাম ১৯৮৭র হালিশহর থেকে ২০১০এর ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে।



-ওই চ্যারাগের বাপ! ওয়ার্নিং অর্ডার রেডি করছিস?



- স্যার, আর পাঁচ মিনিট( আমার জেষ্ঠ আত্মজের বয়স ২ মাস, তার পরদাদার বাবার নামে নাম দেয়া-চ্যারাগ আলী মৃধা, নাম দিয়েছেন ক্যাপটেন শাকিল।



১৯৮৪র মাঝামাঝি সময়, স্থান: বটেশ্বর, সিলেট।



-শোন্ তোর দুই নম্বর বেড রুমটা যে বুক হয়ে গেছে তা আমি জানি, চ্যারাগের সাথে আমি আর শিপু থাকতে পারবো না?



-স্যার পারবেন, শুধু আমি আপনাদের মেহমানদারী করার সময় পাবো না।



- বড় মেহমানদার আইছেন! কালকে আসতেছি।



-You are welcome sir, along with bhabi.



-ফর্মালিটি চো.....ইস না।



১১ই নভেম্বর, ১৯৮৬, হালিশহর, চিটাগাং। প্রথম গোলন্দাজ পূনর্মিলনীর প্রাক্কালে।



-তুই সৈয়দপুরে আসছিস সপ্তাহের ওপর, আমি জানিনা! ক্লাস শেষ হলেই আমার বাসায় সোজা, শিপুরে বলছি আবাবিল (অতি ছোট পাখি সে সময়ে জাল দিয়ে ধরে জ্যান্ত বিক্রি করতো স্থানীয়েরা) রানতে।



-স্যার, গতকালের ক্লাস টেস্টে ফেল মারছি, সি আই (চিফ ইনসট্রাকটর) কর্নেল আফতাব (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার , অবসরপ্রাপ্ত, ইউসেপ, বাংলদেশের প্রধান নির্বাহী) কাঁচা খেয়ে ফালাবে, কালকের ইমপ্রুভমেন্টে যদি না পাশ করি।



- ক্ষ্যাতাপুরি তোর টেস্টের, দুপুরে বাসায় না পাইলে খবর আছে।



কনকনে শীতের জানুয়ারী, ১৯৯১, সৈয়দপুর।



-স্লামালেকুম স্যার! মহাখালিতে আপনের নতুন দোকানে গেছিলাম। নন্দনের মত মাছের ডিসপ্লে করেন না ক্যান?



- পাগলা, ওগুলার কত দাম জানোস? আমরা পোষাইতে পারি না।



-স্যার, এমনিতেই ফর্মানিন দ্যান না, সারাদিন এই গরমে মাছগুলা সব নষ্ট হয়ে যাবে।



-আচ্ছা দেখি। তুই তো এখনো আমার সাথে দ্যাখা করলি না।



-সরি স্যার, নতুন অফিসটা সামলায়া আসবো।



জুন/জুলাই, ২০০৮, কড়াইল, ঢাকা।



কাল্লা সাওফাতা’ লামুন

ছুম্মা কাল্লা সাওফাতা’ লামুন....












-ভাইস্যার, ফটিক ছড়ি যাচ্ছি, ফটিকছটিক(ফটিকছড়ির ক্ষীর) আনলে কি দেবেন?



-আন্ডা দিব।



-ঠিকাছে, তাহলে আনবো না।



-আইনোনা, এনশাদ ইকবাল ইবনে আমিন কেমন আছে?



-আপনে আমার ছোট ভাইয়ের পুরা নাম ছাড়া কখনো ডাকেন না কেন?



-ইকবাল তো টাকায় চারটা পাওয়া যায়, কোন ইকবালের কথা বলতেছি বুঝবা ক্যামনে?



দোহাজারী, গোলাবষর্যন রেন্জ, ১৯৮৮-৯০।



-ভাবী যে জলতরংগ বাজায় কখনো বলো নাই তো।



অতি সলজ্জ হেসে ...........

-এটা আবার বলার কিছু হ'ল?



সাভার, ১৯৮৮-১৯৯০।



-এনশাদ, বসে থাকলে খাবার পাবেনা, লোক কিন্তু বেশী আসছে অনেক, চল খাবার নিয়ে নেই।



-চলেন স্যার, আসলে এই আর মাস খানেক, তারপরেই তো আপনেদের দলে।



ওফা পিকনিক, সাভার সামরিক দুগ্ধ খামার, ডিসেম্বর'০৮/জানুয়ারী'০৯



-কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইলমাল ইয়াক্বীন

লাতারা উন্নাল জাহীম।








-আপনারা চলে যান, বাবু আমার কাছে থাকবে।



-তোমার কোলে যদি হিসু করে দেয়?



-কিছু হবেনা, খত বাচ্চা এরকম হিসু করেছে। আপনারা যানতো।



আমি আর আমার স্ত্রী আমাদের ছোট ছোট ছেলে ( ১বছর, ৪ বছর) হায়দারের কাছে রেখে জিওসি, ৯ম পদাতিক ডিভিশন, সাভারের বাসায় গেলাম, নিয়ম রক্ষার্থে, ঈদের দিনে।



আমার ছোট ছেলে সেই যে হায়দারের চওড়া কোল চিনলো....



ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াক্বীন











ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াও-মায়িজিন আনিন নাঈম।



হায়রে, সেই আমি আর সেই জিওসি, মেজর জেনারেল নুরুদ্দিন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সেই হুমায়ুন হায়দারের কবরে?

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

যেমন বলে বংগবন্ধু হত্যাযজ্ঞের এক খল নায়কের পুত্র বলেছিলেন যে তার আব্বা জানতেন না বংগ বন্ধুকে হত্যা করা হবে।



যেমন লেফট্যান্যান্ট রফিক ফাঁসীতে ঝুলবার, লেফটেন্যান্ট মোসলেহ যাবজ্জীবনে যাবার তিন মাস বাইশ দিন আগে , বলেছিল ..., যে তাদেরকে বলা হয়েছিল জেনারেল জিয়াকে সার্কিট হাউজ থেকে ই বি আর সি (ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টাল সেন্টার)তে নিয়ে আসতে"



তেমনি এবারেও ফারুক, রশীদ, রফিক, নওয়াজিশ, জামিল হোসেনদের

মত সোনা মিয়া, চাঁন মিয়া, সূরুজ মিয়াদের ফাঁসী হয়ে যাবে অন্তরালে থেকে যাবে ওরা..ওরা যে ইশ্বরের মত ক্ষমতাশালী।



....................................................................... আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?



গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?



তার আগের দশ বছরে এভাবে কতজন মরেছে?



আসুন, একটু হিসাব কষি।





আল হাকুমুৎ তাকাসুরু............................................







শুধু এই ছবিটি ডেইলি স্টার থেকে নেয়া।



গত বছর আমরা এসময় কে কি ভেবেছিলাম একটু ফিরে তাকিয়ে দেখি:

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, আর কত নমনীয় হবেন? ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৪

বিডিআর বিদ্রোহ এবং কিছু প্রশ্ন: ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৩৪

মন্তব্য ১৪৭ টি রেটিং +৩৩/-৪

মন্তব্য (১৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৬

রুবাইয়্যাত বলেছেন: গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?

১,৭০০ এর কিছু উপরে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৭

অপ্রয়োজন বলেছেন: গলায় কি জানি একটা আটকে যাচ্ছে বার বার ... চোখে কি জানি পড়লো ...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: গতকাল রাত নটা থেকে পোষ্টকরার চেষ্টা করছিলাম। পারিনি। চোখের জলে ভেসে গেছে কতবার কি বোর্ড। জীবন দিয়ে কি পেল এরা। বীরের মৃত্যুও এদের কপালে ছিলনা।

কর্নেল গুলজার আমার পরিচিত ছিলনা। কিণ্তু বলুন এই চোদ্দ কোটির দেশে আরেকটা গুলজার দাঁড় করাতে যে জংগীদেরকে, সে সময়ের ভয়াবহ সন্ত্রাসীদের ঘাড়ে ধরে ফাঁসীর মন্চে নিয়ে গিয়েছিল।

কেন তাঁর পোস্টিং হ'ল সে সময়ে সেখানে?

কেন তার চোখ তুলে ফেলা হল?

মৃত দেহের পরিধয়ধেয় কেন খুলে ফেলা হ;ল?

কেন শিপু ভাবীকে সারাদিন ধরে অবর্ননীয় অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হল?

কোন সম্মানের মৃত্য এটা?

এর কোন বিচার নেই, হয়না........।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৮

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: ফাল্গুনের ফুটন্ত গোলাপের ঘ্রান
তোমাদের লাশের গন্ধে ম্লান
নিরন্তর যে শরীরে দেশ সেবা করেছো
সেখানেই তোমার রক্ত ঝড়ালো;
এদেশের সুর্যসন্তান ক্ষমা করো আমাদের ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: এদেশের সুর্যসন্তান ক্ষমা করো আমাদের
এদেশের সুর্যসন্তান ক্ষমা করো আমাদের ।
এদেশের সুর্যসন্তান ক্ষমা করো আমাদের ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৯

খোশনবীশ বলেছেন: বেনিফিশিয়ারি কারা তা কখনোই কেউ বলতে পারবেনা, জানলেও না। সামনে আরো অনেক কিছু ঘটবার বাকি আছে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: সেদিন গুলোর আশংকায়...............।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১১

সহজপাঁচালি বলেছেন: বিডিয়ারদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।



অপরাধী অনুসন্ধান করে উপযুক্ত বিচার করা হোক।

বিচারের নামে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।


আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।













আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩০

ত্রিশোনকু বলেছেন: প্রথমে আর্মি অফিসারদের বিডিআর মারলো।

এখন বিডিআরের ওপর খড়্গ।

ফলে দক্ষ, সফল, সুশৃংখল বাহিনী এখন বৃহন্নলা ।

আমাদের নাগরিকেরা এখন বিএসএফের প্রাকটিসের ছাঁদমারি।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৭

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: মতের অনেক অমিল থাকলেও আপনার পুস্টের একনিষ্ট পাঠক আমি ।অনুভুতিহীন করে দিলেন আবারও।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪২

ত্রিশোনকু বলেছেন: "I disagree with what you say, but I'll defend to the death your right to say it." —Voltaire on Freedom

-আমার হৃদয়ের সম্মান আপনাকে।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২২

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: আসল অপরাধীর বিচার কখনো হবে বলে মনে হয় না আমাদের দেশে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: গত উনচল্লিশ বছরে যখন হয়নি তখন হওয়ার কোন যুক্তি যুক্ত কারন এখন তো দেখিনা।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩০

গরীবের কথা বলেছেন: আপনার লেখাগুলো মনে নাড়া দিয়ে গেল। বাসা থেকে হাজার হাজার কিমি দূরে বসা এই আমি কেন যেন ভাবছি - আজকে বাসায় ফোন করা দরকার...

২০০১ এ বাবা বল্ল - দুইজন গিয়ে কি করবি। একজন তো গেছেই...

২০০৯-এ এই সময়ে অন্য জায়গায় থাকা সত্ত্বেও আমার বড় ভাইটার জন্য মায়ের কি যে মন খারাপ... আমাকে জিজ্ঞেস করে, যদি ও এভাবে চলে যায়? জবাব আমার জানা নেই...

ক্যাডেট কলেজের হাজারো পাংগা খেয়ে বেড়ে উঠা জীবন আমার। গল্পে শোনা বিএমএ তো সেই তুলনায় সাক্ষাৎ দোজখ। একেকটা অফিসার যে কত কষ্টে গড়ে উঠে, তা যদি দেশের মানুষ বুঝতো...

---
আর আমাদের চরম বন্ধুপ্রতীম দেশের গুলিতে গত বছর কতজন মারা গেছে তার স্টাটিসটিক্স আছে ব্লগার মৌনতার এই পোস্টের ২ নম্বর কমেন্টেঃ Click This Link

ভালো থাকুন লেখক...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫১

ত্রিশোনকু বলেছেন: চুয়াত্তরে যারা আমাদের একমুঠো চাল দিয়ে সাহায্য করেনি,

'৯৫তে এক শিখ ব্যাবসায়ীকে যারা সর্বশান্ত করেছে শুধু মাত্র এক ৪০ ফিট কনটেইনার টি সার্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানী করার জন্যে,

এইতো সেদিন রহিম আফরোজের রপ্তানীকৃত ব্যাটারির ওপর যারা এ্যান্টি ডাম্পি ট্যাক্স বসিয়েছে,

তারা অবশ্যি বন্ধুপতীম।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৭

অপ্রয়োজন বলেছেন: আমার বয়স তখন ৩-৪ হবে, আমার বাবা মা একদিন আমাকে বাসায় না পেয়ে অনেক খুজাখুজি শুরু করেছিলেন, পাওয়া গিয়েছিলো এদের একজনের মেসের রুমে (বাসার পাশেই অফিসার্স মেস ছিলো)। সবাইকে বলতাম আমরা তিন ভাই, সবচেয়ে বড় উনি।

এই অফিসারদের আরেকজন আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির খবরটা নিজেই ফোন করে দিয়েছিলেন, বলা যেতে পারে উনার জন্যই আমি অনেকটা আমার পজিশনে আসার সুযোগ পেয়েছি।


বেশ কয়েকজনকেই আমি পার্সোনালি চিনতাম ...


অনুভুতিটা কেমন তা প্রকাশ করার মত কোনো ভাষা মনে হয় সৃস্টি হয়নি কখনো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: অনুভুতিটা কেমন তা প্রকাশ করার মত কোনো ভাষা মনে হয় সৃস্টি হয়নি কখনো।

-কিছু কিছু ভাব প্রকাশ আসলেই অত্যন্ত কষ্টের, বিড়ম্বার। অন্তথ তাডের নামগুলো বলে একটু হালকা হন। একা একা বয়ে বেড়ান বড় কষ্টের।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪৯

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই অনুভূতি ভাষাহীন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: তাড়া করে ফেরে যে-সব সময়, সবখানে।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৭

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: আসল অপরাধীর বিচার কখনো হবে বলে মনে হয় না আমাদের দেশে। ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪৪
লেখক বলেছেন: গত উনচল্লিশ বছরে যখন হয়নি তখন হওয়ার কোন যুক্তি যুক্ত কারন এখন তো দেখিনা।


আপনার পোস্টে বিতর্কে যেতে ভয় লাগে।কারণ জ্ঞানের স্বল্পতা।


যুক্তিযুক্ত কারণ না দেখার কারনটা কি জানতে পারি?


২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩০

ত্রিশোনকু বলেছেন: আসে আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হ'ল যেহেতু আগের সবগুলো ঘটনায় শুধু সামনের সারির লোকেরা ধরা পরেছিল কি্তু এদের মদদদাতা পরিকল্পনাকারীও ষড়যন্ত্রকারীদের টিকিটিও ধরা যায় নি, তাই এবারো তার সম্ভাবনা দেখছিনা আমি।

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৩

কামরুল৯৯ বলেছেন: কি বলবোরে ভাই কন।এক গুলজারের জন্যইতো কান্নতে কান্নতে শেষ বাকীদের কথা কি কমু ।আর আজকে দেহি প্রধানমন্তীর সময় নাই কবরে এদের ফুল দেওয়ার এইরকম মানুষরে গন ধর্ষন করা উচিত

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: ঘটনার দায় সিংহভাগই সরকারের, এটা দায়বদ্ধতা প্রসুত।

তাদের ব্যার্থতার মুখোমুখী হওয়ার মত, ব্যার্থতা স্বীকার করার মত সৎ সাহস নেই।

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১৪

গরীবের কথা বলেছেন:

লেখকঃ আপনি আমার মুরুব্বীতুল্য, অনেক অভিজ্ঞ আর জ্ঞানী। তাই বিনয়ের সাথে সূরা তাকাসুর এর (কাছাকাছি যায় এমন) বাংলা উচ্চারণটা দিলাম, সাথে আমার প্রিয় এক ক্বারীর তেলাওয়াত। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আলহাকু মুত্তা-কাছুর।
হাত্তা ঝুর-তুমুল মাক্বাবির
কাল্লা সাওফাতা’ লামুন
ছুম্মা কাল্লা সাওফাতা’ লামুন
কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইলমাল ইয়াক্বীন
লাতারা উন্নাল জাহীম।
ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াক্বীন
ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াও-মায়িজিন আনিন নাঈম।

তেলাওয়াতঃ Click This Link

শুভকামনা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫২

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমি এখনই ঠিক করে দিচ্ছি, অনেক ধন্যবাদ।

আমাকে একটা সাইট দেবেন যেখান ইংরেজী
Shakir (English)
yusufali (English)
Pickthal (English)
Al-Hilali (English),
এবং বাংলা অনুবাদ সাথে উচ্চরণ পাওয়া যাবে বাংলায়

ইংরেজী থেকে করতে গিয়ে এ দশা করেছি।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২২

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: তেমনি এবারেও ফারুক, রশীদ, রফিক, নওয়াজিশ, জামিল হোসেনদের
মত সোনা মিয়া, চাঁন মিয়া, সূরুজ মিয়াদের ফাঁসী হয়ে যাবে অন্তরালে থেকে যাবে ওরা..ওরা যে ইশ্বরের মত ক্ষমতাশালী।

....................................................................... আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?"

- এতো কিছু বোঝার পরও যদি বার বার ফাঁদে পা দেন আপনারা, দোষ বেনিফিশিয়ারীদের দিয়ে লাভ নেই। সম্পূর্ণ আনপ্রফেশনাল একটা বাহিনী পুষছে এদেশের জনগণ তাদের ট্যক্সের পয়সায়।

বিডিআর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের থেকে আমার চোখে বেশী ধরা পড়ে সেইসব চৌকষ অফিসারদের চরম নেগলিজেন্স। দেখি না কি হয় টাইপের মানসিকতা নিয়ে এরা বাহিনী চালায়। এদের যত বাগাড়ম্বর শুধূ সাধারণ নিরস্ত্র জনগণের উপর।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: তো কিছু বোঝার পরও যদি বার বার ফাঁদে পা দেন আপনারা, দোষ বেনিফিশিয়ারীদের দিয়ে লাভ নেই। সম্পূর্ণ আনপ্রফেশনাল একটা বাহিনী পুষছে এদেশের জনগণ তাদের ট্যক্সের পয়সায়।

বিডিআর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের থেকে আমার চোখে বেশী ধরা পড়ে সেইসব চৌকষ অফিসারদের চরম নেগলিজেন্স। দেখি না কি হয় টাইপের মানসিকতা নিয়ে এরা বাহিনী চালায়।

- আপনি আমার পয়েন্টাই ধরতে পারেন নি। স্যাবোটাজের একটা ধরন হচ্ছে যা করনীয় ইচ্ছে করে তা না করা (willful omission )।
NSI, DGFI, ASU (Army Security Unit), FIU (Field Intelligence Unit), FS (BDR Intelligence) কেউই ব্যাপারটা জানতো না-এ সম্ভব নয়।

সাধারণ নিরস্ত্র জনগণের উপর। বাগাড়ম্বরের জন্যে তো আর মৃত্যুদন্ড দেয়া যায় না।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২৩

একজন আমি বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম স্যার
এ পর্যন্ত আপনার ব্লগে মন্তব্য করিনি। শুধু পড়ে গিয়েছি। আজ মন্তব্য করলাম শুধুমাত্র সালাম দেয়ার জন্য স্যার। বলার মত কিছু নাই....সালাম স্যার

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩০

ত্রিশোনকু বলেছেন: দুই চাঁটগাইয়ার মধ্যে যেমন শুদ্ধ নদীয়া শান্তিপুরী ভাষা কষ্ট কল্পিত তেমনি দুই সেন সদ্যসের মধ্যে ঘনঘন স্যার না বলাটা অপ্রচলিত।

আশা করি বুঝেছেন।

কারন ভাগ্যহত, অসহায় বসা হাঁসের (Sitting Duck)মৃত্যু নিয়ে যে কৌতুক সেটা সবসময়ই মনুষত্বের বাইরে চলে যায়-সটায়ার করতে বুদ্ধির প্রয়োজন হয়।

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এ বেদনা প্রকাশে কোন ভাষা নেই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩০

ত্রিশোনকু বলেছেন: না নেই।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৬

মেটালিফেরাস বলেছেন: ভাইজান এত আবেগী হইলে ক্যামনে চলবো? কেবল অফিসারগো কথাই কইলেন! চাষার বাচ্চা জওয়ানগো কথা কিছু দেহি কইলেন না? ঐ দিন ২২ জনের পর আরও ৭০ জন মরেছে। তাগো লাইগ্যা একটু দোয়াও তো পড়লেন না!

হতাশ হইয়েন না, আটক জওয়ান যে কয়ডা আছে সবটির ফাঁসী হইব ইনশাআল্লাহ।

মৃত্যুর পরও দেহি আপনেগো যথেষ্ট পরিমান সন্মান দেওয়া হয় নাই বইলা আপসুস করতেছেন! ১৫ লাখ টাকা, বাড়ি, জমি! আর কত ?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১০

ত্রিশোনকু বলেছেন: মৃত্যুর পরও দেহি আপনেগো যথেষ্ট পরিমান সন্মান দেওয়া হয় নাই বইলা আপসুস করতেছেন! ১৫ লাখ টাকা, বাড়ি, জমি! আর কত

-আপসোস করছি তাদের সংগের জন্যে।যা ১৫ লাখ জমি কেন এ পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের বিনিময়েও পাওয়া যাবে না। তাই আমার পোষ্টে জমি আর টাকার কথা আসে নি। যারা যেখানে উঠিয়েছে সেখানে যান।

তেমনি এবারেও ফারুক, রশীদ, রফিক, নওয়াজিশ, জামিল হোসেনদের
মত সোনা মিয়া, চাঁন মিয়া, সূরুজ মিয়াদের ফাঁসী হয়ে যাবে অন্তরালে থেকে যাবে ওরা..ওরা যে ইশ্বরের মত ক্ষমতাশালী।

....................................................................... আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?

গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?

তার আগের দশ বছরে এভাবে কতজন মরেছে?

আসুন, একটু হিসাব কষি।


ওপরের আন্ডার লাইন করা লেখাগুলোই ছিল আমার বক্তব্য আপনি তা এড়িয়ে গেছেন/বোঝেন নি বা ইচ্ছা করে বুঝতে চান নি, যদি শেষেরটিই কারন হয়ে থাকে তা' এখানে কেউ নেতি বাচক পোষ্ট আপনাকে দিয়ে লেখাচ্ছে নয় তো আপনি অন্য কারো একাধিক নিকের একটি। লাগতে আসেন ভাল কথা, তবে আসলে পি মুন্সির মত করে আসেন, বিরক্তি কেউই ভালবাসেনা।

আর হ্যা, কয়েকবার পরে তারপর লিখতে আসবেন।

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৭

নষ্ট ছেলে বলেছেন: এই ক্ষতি পূরণ হবার না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১১

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমরা যে তা বুঝিনা।

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৭

অলস ছেলে বলেছেন: হতভাগ্য বাংলাদেশ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১১

ত্রিশোনকু বলেছেন: আসলেই।

২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৪২

লুৎফুল কাদের বলেছেন: কিছু বলার মত ভাষা আমার জানা নেই. সত্যিকারের বিচার কোনদিন ও হবেনা সেটা আমরা সবাই জানি. সত্যিকারের বিচার হলে অনেক রাঘব বোআলের গলায় রশি ঝুলবে.

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১২

ত্রিশোনকু বলেছেন: সত্যিকারের বিচার হলে অনেক রাঘব বোআলের গলায় রশি ঝুলবে. কে ঝোলাবে?

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৫০

গরীবের কথা বলেছেন:

১৩ নং কমেন্টের রিপ্লাইয়ের সূত্র ধরে বলছি -

একটা মাত্র সাইটে এতকিছু আছে, এমন সাইট এখনো পাই নি।

Shakir-pickthal-yousufali: Click This Link
(শাকির এর অনুবাদটার গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে উইকিপিডিয়াতে দেখলাম প্রশ্ন করা আছে, দেখতে পারেন - Click This Link )
বাংলা উচ্চারণ পাইনি, english transliteration: Click This Linktransliteration/
( আমি হলে যেটা করতাম তা হল এইখানে [ http://alafasy.tripod.com/ ] তেলাওয়াত শুনে লিখা )

ইউসুফ আলীর বাংলা অনুবাদ (কে করেছে আমি জানি না)- Click This Link

----
নিচের সাইট গুলোতে আরবী কোরআন আছে, তাই এগুলো ভিজিট করবার আগে পবিত্রতা অর্জন করার নির্দেশ আছেঃ

বাংলায় মা'রেফুল কুরআনঃ http://quraanshareef.org/tafseer/index.php
অসাধারণ একটা সাইটঃ Click This Link
এরাবিক-টু-ইংলিশ ওয়ার্ড-বাই-ওয়ার্ডঃ Click This Link

ভালো থাকুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৪৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: একটা মাত্র সাইটে এতকিছু আছে, এমন সাইট এখনো পাই নি।

-পেলে অবশ্যই জানাবেন।

বাংলাটা ছিলনা। আরবীতে অঘা হওয়ায় আরবী উচ্চারন ধরতে অসুবিধা হয়।

আপনাকে কষ্ট করার জন্যে অত্যন্ত ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪০

ত্রিশোনকু বলেছেন: গরীবের কথা,

আপনি আমার কি যে উপকার করলেন তা ভাবতেও পারবেন না এ দুটো লিংক দিয়েঃ
Recitation by Sheikh Mishary Rashed Alafasy
আমাদের পবিত্র কোরআন


আপনাকে অন্তরের কৃতজ্ঞতা, যাচ্ঞা পূরণকারী আপনার গভীরতম আশাটি মিটিয়ে দিক।

২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৩৪

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: :(:(:(

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৪৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৩৯

সাজিদ বলেছেন: এক পরিচিত সাবের আর্মি অফিসার বলেছিল এর পিছনে অনেকে জড়িত। আর এবার হয়ত অনেকেরই ড্রাইভার সহ নাই হয়ে যেতে পারে। তবে এবার দুই দলই যাবে। আমার কেন জানি মনে হয় এই জন্যই দুই যুবরাজ দেশের বাহিরে আছে।

সবচেয়ে অবাক লাগছে এই বিষয়ে তদন্ত করছে আব্দুল কাহার আকন্দ। ইনিতো রিটায়ার করেছিলেন যদ্দুর জানি। আওয়ামিলিগের নমিনেশনও চেয়েছিল মনে হয়। উনি বলছেন এর পিছনে একমাত্র কারন ছিল অপারেশন ডালভাত। পিন্টু আর তোরাব আলি নিজেরা জড়িত। এরা দুজন দুই দলের এবং তারা ব্যাক্তিগতভাবে জড়িত। এর পিছনে দলের কোন ভুমিকা নাই। এর থেকে বড় মিথ্যাচার মনে হয়না বাংলাদেশের আরকোনো তদন্ত নিয়ে হয়েছে। অপারেশ ডালভাতের সাথে আর্মি অফিসারদের অনেকেই জড়িত ছিল না।

যাই হোক অনেকের নাম এসেছে। তারা বর্তমান ক্ষমতার শির্ষে যারা আছেন তাদের খুব কাছের মানুষ। এই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতে এর থেকে খারাপ ঘটনা ঘটবে এটাই স্বভাবিক। এখন অনেকে রাজনৈতিক রং দেবার চেষ্টা করছেন। সময়ের সাথে আমরা আরও অনেক কিছুই জানতে পারবো। তবে কোন নেতা যদি দেশপ্রেমিক হন তাহলে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে পারতো না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১১

ত্রিশোনকু বলেছেন: উনি বলছেন এর পিছনে একমাত্র কারন ছিল অপারেশন ডালভাত। পিন্টু আর তোরাব আলি নিজেরা জড়িত। এরা দুজন দুই দলের এবং তারা ব্যাক্তিগতভাবে জড়িত। এর পিছনে দলের কোন ভুমিকা নাই।

-রাশেদ খান মেনন যখন কলিজায় গুলি খায় তার গাড়িতে তখন সাকা ছিল।

Politics makes strange bed fellows

-Lt. Gen. Ziaur Rahman, 26 March, 1981 at a Dinner at Officer’s Club (Now Kurmitola Golf Club), Dhaka Cantt, while asked by the freedom fighter officers as to why he made Shah Aziz the Prime Minister, Bangladesh.


২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৮

আমি বীরবল বলেছেন: ক্ষমতার মসনদে লুকিয়ে থাকা আসল অপরাধী অনুসন্ধান করে উপযুক্ত বিচার করা হোক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১২

ত্রিশোনকু বলেছেন: কখনোই সম্ভব হয়নি আজ পর্যন্ত।

২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫০

নতুন রাজা বলেছেন: বিচার চাই...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: আকাশের চাঁদ চাইলেও হয়তো পেতে পারেন।

২৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৩

নাজনীন১ বলেছেন: শুধু আশংকিত হই, এটা কি সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আঘাত নয়? আর যদি না হয়, তবে আর কিসে হবে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪০

ত্রিশোনকু বলেছেন: শুধু আশংকিত হই, এটা কি সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আঘাত নয়
-স্বার্থের ওপর এটা যে আঘাত সে সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই।

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২১

সমুদ্রের তীরে বলেছেন: হে আল্লাহ,তুমি রহমানুর রহিম, গফুরুর রহিম, তুমিতো আমাদের জানা-অজানা, দৃশ্য-অদৃশ্য,অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত সবই জানো,এই ক্ষুদ্র ভূ-খন্ডের গরীব-অসহায় মানুষগুলো তোমার কৃপায় এখনো পর্যন্ত তাদের স্বাধীন ভূ-খন্ডে বেচে আছে। খোদা তোমার কাছে কোনো কিছু চাইনা, শুধু ১৫কোটি মানুষের ৩০ কোটি হাত তুলে একটা জিনিস ভিক্ষা চাইতেছি, তুমি আমাদেরকে শুধু একবার,শুধুই একবার একটা জিনিস ভিক্ষা দাও-
"এদেশের সব রাজনৈতিক নেতা-পাতি নেতা,তেনা সবাইকে তুমি একসাথে তুলে নাও, তাহলে রাব্বুল আলামিন, ইনশাল্লাহ আমরা বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাড়াতে পারব।খোদা তুমি আমাদের শুধু এই একটি দোয়ায় কবুল করো। আমিন।"

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: "এদেশের সব রাজনৈতিক নেতা-পাতি নেতা,তেনা সবাইকে তুমি একসাথে তুলে নাও, তাহলে রাব্বুল আলামিন, ইনশাল্লাহ আমরা বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাড়াতে পারব।খোদা তুমি আমাদের শুধু এই একটি দোয়ায় কবুল করো।"

-আমিন।

২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৫

চিন্তিত তাপস পাল বলেছেন: ক্যামেরাম্যানরে উত্তম ঝাজা ।


কিছু মনে কইরেন্না লেখক ভাইজান। আপনেগো প্যাটার্নটা খুবই পরিচিত। এই বাংলার সবথেকে বড় ক্ষতিটা করে এই আপনেগো প্যাটার্নের লোকজন। ডিটেইলে কিছু কইলামনা।

মৃত মানুষের প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধা আছে বইলা মাইনাস দাগাইলামনা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২১

পারভেজ বলেছেন: এমন ঘটনার আর কোন সুযোগ যেন ভবিষ্যতে তৈরী না হয়।
চলে যাওয়া সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমিন।

৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২২

কখনও মানব কখনও দানব বলেছেন: মৃত মানুষের প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধা আছে বইলা মাইনাস দাগাইলামনা। তয় আপনের পোস্টরে একচোখা কইয়া গেলাম। আপনের পিছলামি ভাল ঠেকল না। সাজিদ কি কইল আর আপনে কি উত্তর দিলেন?

"রাশেদ খান মেনন যখন কলিজায় গুলি খায় তার গাড়িতে তখন সাকা ছিল।" সাজিদের কমেন্টের সাথে এইডা ক্যামনে যায়?

তার থিকা যদি কইতেন যে কুনো মৃত্যু বেদনাদায়ক তাও মানাইত। আপনের আইডোলজি বুঝতার্সি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: মৃত মানুষের প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধা আছে বইলা মাইনাস দাগাইলামনা।[/sb
-ধন্যবাদ।

"রাশেদ খান মেনন যখন কলিজায় গুলি খায় তার গাড়িতে তখন সাকা ছিল।" সাজিদের কমেন্টের সাথে এইডা ক্যামনে যায়?

-নীচে সাজিদের মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

৩১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৪৮

সাজিদ বলেছেন: @কমকদা, ত্রিশনকু আংকেল বলতে চাইছিলেন সম্ভবত যে আপাতদৃষ্টিতে রাজনৈতিকদের মধ্যে শত্রুতা দেখা গেলেও তাদের অনেকের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আর বিডিআর ঘটনা শুধু ডাল ভাত নিয়ে গন্ডগোল যে নয় এটা সবাই বিশ্বাস করলেও তদন্তে কেন বের হচ্ছে না সেটা সময়ই বলে দিবে। এর পিছনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা ছিল। প্রত্যেক ঘটনার পিছনে কিছু ক্ষমতাধর থাকে। বিডিআরএর ডিএডি, তোরাব আলি অথবা পিন্টুদেরকে সেই মানের লিডার মনে হয় না আমার কাছে।

৩২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০৬

ইব্রাহীম আহমেদ বলেছেন: সেদিন সূরা আত-তীনের আয়াত মনে পড়ছিল বার বার - … ‘নিশ্চয় আমি মানুষকে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি । এরপর তাকে নামিয়ে দিয়েছি সর্বনিম্ন স্তরে ।’

আমার আর কিছুই বলার নেই ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১০

ত্রিশোনকু বলেছেন: নিশ্চয় আমি মানুষকে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি । এরপর তাকে নামিয়ে দিয়েছি সর্বনিম্ন স্তরে ।’


-কুরআন খোলা মন নিয়ে পড়তে বসলেই অনেক বার্তা পাওয়া যায়, কেন যে আমাদের গ্রহন যন্ত্র তা সংগ্রহের বাইরে রাখে তা ঐ ই ঐশী বাণী প্রেরকই বুঝবেন ভাল।

৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২০

জাতি জানতে চায় বলেছেন: আসলে সেনা অফিসারদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে হলে তাদের চিন্তা-ভাবনা জানাটা জরুরী! সন্দেহ নাই যে আপনে যাদের কথা বললেন তারা তুলনামূলক সৎ, এর প্রমাণ তারা বিডিআরে ছিলেন! যতদূর জানি বিগত কয়েকবছর ধরে সেনাবাহিনীর সৎ অফিসার গুলোকে বিডিআরে পাঠানো হত, যাতে বিডিআরের নৈতিক সমস্যা গুলো দূর হয়! তার উপর এসব সেনা অফিসারদের অনেকেরই লবিং এতটা ভাল নয় (যে কারনেই হোক) বলেই বিডিআরে পাঠানো হত! নিহত অফিসারদের আল্লাহ মঙ্গল করুক!

কিছু সুবিধাবাদী ও সুযোগ-সন্ধানী সেনা অফিসারদের কারনে মাঝে মধ্যেই সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে! আবার এসব রাজনৈতিক দলের পরোক্ষ হস্তক্ষেপেই যে সেনাবাহিনীতে বিপর্যয় নামিয়ে আনা হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না! অপারেশন ডাল-ভাতের কারনে বা অবহেলিত বিডিআরের কারনে সেনাবাহিনীকে এরকম ক্ষতির স্বীকার হতে হয়েছে তা একমাত্র বেনিফিশিয়ারদের পক্ষেই বলা সম্ভব! কেউ নিশ্চয় বিডিআরের ভিতরে অন্যায্য দাবী গুলো প্রবেশ করিয়েছিলো! কেউ নিশ্চয় এধরনে হত্যাযজ্ঞের পর পার পাইয়ে দেয়ার পথ দেখিয়েছিলো! সন্দেহ নাই যে সেনা ইন্টালিজ্যান্স বা অফিসারদের ব্যর্থতা এই ক্ষতিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলো! কিন্তু তারপরও আশা করছি লোক দেখানো সরকারী তদন্ত রিপোর্ট ছিড়ে প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ খুলে যাবে!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমার পক্ষে সংগতভাবেই যা সম্ভব নয় (নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করা) তা আপনি অতি সংক্ষেপে সম্ভব করেছেন।

আপনাকে সে জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আসলে একেবারেই আবেগ প্রসুত একটা পোষ্ট এটা। বেনিফিসিয়ারীর ব্যাপারে লেখার কোন ইচ্ছে আমার ছিলনা। কিন্ত আমার স্মৃতিতে যদ্দুর আমি যেতে পারি, তাতে এমন কোন সময় আনতে পারিনা যখন এ হারে বাংলাদেশী নিধন হয়েছে বি এস এফ দ্বারা। বরং মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান যখন ডিজি ছিলেন তখন কোন এক ঘটনার জের ধরে তিনি বি এস এফকে এমন শিক্ষাই দিয়েছিলেন যে তারপর অনেক দিন পর্যন্ত বি এস এফের কোন তৎপরতাই দেখা যায়নি সীমান্তে। পাকিস্তান আমলে ক্যাপ্টেন তোফায়েল লক্ষ্মীপুর সীমান্তে বিএসএফকে দিয়েছিল চরম শিক্ষা। আমাদের নীচু ক্লাসের পাঠ্য "মরন যাহার চরন সেবক" নামে একটি পাঠ্যে সে বীর গাঁথা পড়েছি।

আমার জীবনে এই প্রথম বি এস এফ কে বি ডি আর/ই পি আরের চেয়ে বেশী সাহসী এবং বেশী কর্ম তৎপর মনে হচ্ছে।

৩৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬

সুবিদ্ বলেছেন: এমন কত কত ঘটনা মনে পড়ে যায়.........

আমাদের কলেজের এ্যাডজুটেন্ট ছিলেন মেজর আজিজ........তাঁকে বিয়ে করতে দেখলাম, ছেলে হলো--তার মিষ্টি খেলাম.......সেই ছেলেটা গতবার আমাদের রংপুরেই ভর্তি হলো......

আল্লাহ এমন মৃত্যু যেন আর দেখতে না হয়

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: আল্লাহ এমন মৃত্যু যেন আর দেখতে না হয়

-সবচে বড় কথা , আমার হিসেবে এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই এড়ানো যেত।

৩৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৬

স্তব্ধতা' বলেছেন: যারা আমরা আম জনতা, সকল লজ্জা-শোক যেন আমাদেরই।এই সব ঘটনায় আমরা বারবার নত হয়ে যাই আমাদের বিবেকের কাছে।কিন্তু তার ছিটফোটাও ছুঁতে পারেনা আমাদের নেতাদের।খারাপ লাগে যখন দেখি কিছু কুলাঙ্গারের অভাব কখনওই হয়না যারা এই নৃশংসতাগুলিকে সমর্থন করে নিজেদের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত মতাদর্শের মৈথুনের জন্য ।

একটা খবরে দেখলাম, যে সমস্ত বিডিআর এখন আটকাবস্থায় আছে, তাদের পরিবারের ভরণপোষনের খরচ যোগানোই দায় হয়ে পড়েছে।নিয়ম অনুযায়ী ঐ পরিবার গুলো এখন অর্ধেক বেতন পাচ্ছে যা মাত্র সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।এক মাকে শুনলাম তার ছেলেকে বোঝাচ্ছে রাতে ডিম দিয়ে ভাত দেবে, ছেলেটা কয়েক দিন ধরে শুধু ডাল দিয়ে ভাত খাচ্ছে।খুব খারাপ লাগছিলো।বিচার পর্ব হয়তো তাড়াতাড়ি শেষ হবে, কিন্তু যারা আড়ালের তাড়া আড়ালে থেকে শফিউল্লাহদের মতোই রাস্তায় বক্তৃতা দিয়ে যাবে।মাঝখান থেকে মৃত্যুদন্ডে ঝুলবে 'দ্যা এক্টরস' এন্ড 'দ্যা আন্ডার লাইং মেকানিজম বাইন্ড দা অ্যাক্ট উইল কনটিনি'উ ফর এনাদার ব্লাড শেডিং মেসাকার।

বেনিফিসিয়ারীদের কথা বলছিলেন, নীচের ছবিটি দেখুন:





এই লিঙ্কটা দেখুন, শেষের লাইন দু'টো পড়ুন।






০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫৩

ত্রিশোনকু বলেছেন:

ইইউর মন্তব্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করবে
বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, মিশন প্রধানকে তলব
কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাতা সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। রবিবার ঢাকায় ইইউর ডেলিগেশন প্রধান স্টিফেন ফ্রোইনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে শুক্রবার পার্বত্য এলাকায় সহিংসতা নিয়ে ইইউর মন্তব্যকে ভিত্তিহীন ও দুঃখজনক উলেস্নখ করে বলা হয়, সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে বন্ধুদের এ ধরনের মন্তব্য পার্বত্যচুক্তি বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত এবং পার্বত্য এলাকার জনজীবনকে অস্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। এ সময় ইইউকে আরও দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক আচরণের আহ্বান জানানো হয়। পরে সচিব মিজারম্নল কায়েস একটি প্রতিবাদপত্র রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সহিংসতা ও এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগের দু্রত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ। হস্তান্তর করা প্রতিবাদে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে, ইইউ যে বক্তব্য দিয়েছে তা ঘটনা কিংবা তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয়নি। এই অভিযোগের স্বপ েপর্যাপ্ত কোন তথ্য-প্রমাণও নেই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আগের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের শানত্মি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য শানত্মিচুুক্তি করেছিল। গত বছরের জানুয়ারি মাসে বর্তমান সরকার দয়িত্ব গ্রহণের পর আগের করা শানত্মিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাসত্মবায়নে পদপে গ্রহণ করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলা থেকে সেনাছাউনি প্রত্যাহার শুরম্ন হয়, পার্বত্য ভূমি কমিশন কার্যক্রম শুরম্ন করে এবং পার্বত্য স্থানীয় প্রশাসন শক্তিশালী হয়। সরকার পার্বত্য জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে হতদরিদ্র ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ল্যে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। এতে বলা হয়, গত ১৯ ও ২০ ফেব্রম্নয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত ঘটনায় মামলা দায়ের ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ৰিত ঘটনায় তিগ্রসত্মদের সরকারী উদ্যোগে বাড়িঘর নিমর্াণ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শানত্মি প্রতিষ্ঠা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর জানমাল রায় সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরম্নদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে। প্রতিবাদে বলা হয়, সরকার বন্ধুদের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রত্যাশা করে। সরকার পার্বত্য শানত্মিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাসত্মবায়নে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে ভিত্তিহীন কোন বিবৃতি এই প্রক্রিয়া বাসত্মবায়নের জন্য সহায়ক নয়, বরং এ ধরনের ঘটনা পার্বত্য এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক আচরণ প্রত্যাশা করে। শুক্রবার ইইউর বিবৃতিতে সংস্থাটির মুখপাত্র ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন অ্যাশটন পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটে আদিবাসীদের হত্যা এবং তাদের প্রায় চার শ' ঘর পোড়ানো হয়েছে বলে ইইউ সংবাদ পেয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সেনাসদস্য ও সেনাবাহিনীর শ্রমিকরা অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমরা সচেতন। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনা এবং এতে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ দু্রত, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বাধীনভাবে তদনত্ম করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ। লজ্জাজনক ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা এবং বাংলাদেশের আনত্মর্জাতিক ভাবমূর্তিতে কি প্রভাব পড়তে পারে সে ব্যাপারেও ইইউ সচেতন। বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংশিস্নষ্ট কর্তৃপৰের প্রতি পার্বত্য শানত্মিচুক্তি বাসত্মবায়নে আরও কার্যকর পদপে নেয়ার আহ্বান জনানো হয়। -জনকন্ঠ, ১লা মার্চ, ২০১০।
___________________________________________

ভারতের মানবাঢিকার লংঘনঃ তাদের তথাকথিত এনকাউন্টার। তাদের কাছে মহথরো কি পাবার আশা করে, অন্তত মানবাধিকারের ক্ষেত্রেঃ? একটি ছবি হাজারটার বেশী কথা বলে। আমি আর বাংলা করলাম না, মানবাধিকারীরা ভাল ইংরেজী জানেঃ


From Tehelka Magazine, Vol 6, Issue 31, Dated August 08, 2009

Murder In Plain Sight


In Manipur, death comes easy. In this damning sequence of photos, a local photographer captures the death of a young man, killed in a false encounter by the police in broad daylight, 500 metres from the state assembly. How can a State justify such a war against its own people, asks TERESA REHMAN


1. Chongkham Sanjit, 27, is seen standing in a PCO with the
Manipur Police Commandos adjacent to a pharmacy (marked by an arrow)
in Imphal on July 23



2. Though surrounded by commandos, there
is no obvious resistance from Sanjit
(marked by a red circle)



3. Sanjit is seen calmly
walking away with the heavily armed commandos




4. While a commando reaches for his pistol, Sanjit remains visibly calm. They are standing barely 500 metres from the state assembly




5. Sanjit, known to be a former member of the People’s
Liberation Army, had retired on health grounds. Though
surrounded, he is calm and there seems to be no urgency
or imminent violence in the picture




6. In a sudden turn of events, Sanjit is hustled away roughly
by the commandos



7. Sanjit is dragged by the commandos into the pharmacy. He has been surrounded by commandos for several minutes and is obviously unarmed


8. A few minutes later, commandos drag Sanjit’s
dead body out of the pharmacy



9. Sanjit’s body is thrown into a truck. At no point
while the camera was clicking had he offered any resistance
to the commandos


10. Sanjit’s dead body on the truck. The camera continues to click. The commandos


11. The body of Rabina Devi, a pregnant bystander.
She was killed a few metres away in the police firing
when they chased a fleeing youth



12. Sanjit’s body on a stretcher.His family claims
he had broken his earlier links with the militants
and was leading a normal life

make no attempt to stop the public gaze





___________________________________________

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১:১৪

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: ২৫শে ফেব্রুয়ারীর ঘটনার সাথে যে রাজনীতিবীদরা জড়িত সেটা এখন সবাই অনুমান করতে পারছে। তারা নিজেদের বাঁচানোর জন্য এখন বিডিআর সৈনিকদের বলির পাঠা বানাচ্ছে। আকন্দ যখন টিভিতে বলে তদন্তে রাজনৈতিক কোন সম্পৃকততা পাওয়া যায় নাই তখন জুতা ব্যবহার করতে ইচ্ছা করে।

তবে আসল অপরাধী ধরা পড়া অসম্ভব মনে হচ্ছে।

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:২১

স্তব্ধতা' বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।সরকারের প্রতিবাদটার কথা শুনেছি কিন্তু পড়ার সুযোগ হয়নি।এখন পড়লাম।যাক, দুধ দেয় গরুর একটা লাথি অন্তত সরকার হজম করেনি।

আর মনিপুরের যে ডেমনষ্ট্রেশন দেখালেন, এসব বোধ হয় আমাদের মানবতাবাদীদের চোখে পড়েনা।এই কিলিং এর প্রতিবাদ স্বরূপ আমাদের মানবতাবাদীরা শেখহাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে কেন তার কাছে একটি স্মারক প্রদান করছেনা মাথায় আসছেনা।ভালো থাকুন।

০১ লা মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: ত্রিশোংকু আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনি যা বললেন সেটা একটু খেয়াল করুন।

- আপনি আমার পয়েন্টাই ধরতে পারেন নি। স্যাবোটাজের একটা ধরন হচ্ছে যা করনীয় ইচ্ছে করে তা না করা (willful omission )। NSI, DGFI, ASU (Army Security Unit), FIU (Field Intelligence Unit), FS (BDR Intelligence) কেউই ব্যাপারটা জানতো না-এ সম্ভব নয়।

এবার ৭৫ থেকে এই পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাগুলো স্মরণ করার চেষ্টা করুন। কি পাচ্ছেন ?

প্রত্যক্ষ হত্যাকারী = সেনাসদস্য (জেনালেল টার্ম)
গোয়েন্দা / গোয়েন্দা সংস্থা = সেনাসদস্য
নিহত / ভিকটিম = সেনাসদস্য (বেশীরভাগ)

আমার জানা মতে একমাত্র এনএসআই ছাড়া আপনার মন্তব্যের আর সব গোয়েন্দা সংস্থা আপাদমস্তক সৈনিক / সেনাসদস্য দ্বারা পরিচালিত। এনএসআই'তে সিভিলিয়ান আছে, তবে শীর্ষ কর্মকর্তা সেনাসদস্য। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এবং এরপরের কিছু ঘটনায় বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন। বাকি সব ঘটনায় নিহতদের তালিকায় সেনাসদস্যদেরই দেখা যায়।

হত্যাকারী / ভিকটিম / এমনকি প্রাথমিকভাবে যারা এইসব হত্যাকান্ড প্রতিরোধ করতে পারতো তাদের বেশীরভাগ হলো সেনাসদস্য।

- ত্রিশোংকু, আপনার নিহত সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - কাক কাকের গোশত খায় না। বাংলাদেশের মতো গরীব একটা দেশের জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কাকের সমান উপলব্ধিটুকুও নেই। আফসোস।

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫৫

ত্রিশোনকু বলেছেন:
স্মরণ ছাড়া নীচের কথাটাই শুধু বলেছি যা পরিসংখ্যানগত ভাবে গ্রাহ্যঃ

আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?

গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?

তার আগের দশ বছরে এভাবে কতজন মরেছে?


ওপরের আমার এ কথাটায় যে এরকম প্রতিক্রিয়া আসবে তা আমি বুঝতে পারিনি।
___________________________________________

প্রত্যক্ষ হত্যাকারী = সেনাসদস্য (জেনালেল টার্ম)
গোয়েন্দা / গোয়েন্দা সংস্থা = সেনাসদস্য
নিহত / ভিকটিম = সেনাসদস্য (বেশীরভাগ)

আমার জানা মতে একমাত্র এনএসআই ছাড়া আপনার মন্তব্যের আর সব গোয়েন্দা সংস্থা আপাদমস্তক সৈনিক / সেনাসদস্য দ্বারা পরিচালিত। এনএসআই'তে সিভিলিয়ান আছে, তবে শীর্ষ কর্মকর্তা সেনাসদস্য।


-প্রশাসনিক সত্য।

৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এবং এরপরের কিছু ঘটনায় বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন। বাকি সব ঘটনায় নিহতদের তালিকায় সেনাসদস্যদেরই দেখা যায়।হত্যাকারী / ভিকটিম / এমনকি প্রাথমিকভাবে যারা এইসব হত্যাকান্ড প্রতিরোধ করতে পারতো তাদের বেশীরভাগ হলো সেনাসদস্য।

-ঐতিহাসিক সত্য।

কাক কাকের গোশত খায় না।


-কাক কাকের মাংস খায় কিনা তা গবেষনার বিষয় কিন্তু মানুষ যে মানুষের মাংস খায় তা জানতে একটু পিছিয়ে যাই। এই বাংলায় ছিয়াত্তুরের মন্বান্তরে (১৭৭০ খৃষ্টাব্দে) আমাদের পুর্ব পুরুষেরাই পুর্বপুরুষের মাংস খেয়েছিল।


বাংলাদেশের মতো গরীব একটা দেশের জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কাকের সমান উপলব্ধিটুকুও নেই। আফসোস।


-জনগণের ট্যাক্সের পয়সা শুধু বাহিনীই পরিচালিত হয়না, আরো অনেক খাত আছে যেখানে সরকারী খাতের ব্যায় অশ্ব ডিম্ব ছাড়া কিছুই প্রসব করেনা। কিন্তু প্রতিরক্ষার ব্যায়টাই শুধু আমাদের কারো কারো চোখে পড়ে।

বিডিআর হত্যাযজ্ঞের ওপর একটা পোষ্ট দেবার চেষ্টা করবো, যদি যথেষ্ঠ প্রমান/সুত্র/ভাষ্য যোগাড় করতে পারি।

ততদিনের জন্য আপনার এ ধরনের মন্তব্যগুলো তুলে রাখার জন্যে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

__________________________________________

শুধুমাত্র হতভাগ্য চারজন মানুষের স্মরণেই আমার এই পোষ্ট। অন্য কোনো বিষয়ের ওপর আলোচনার জন্যে নয়।

৩৯| ০১ লা মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

মেটালিফেরাস বলেছেন: @ক্যামেরাম্যান, নেকাব খুলে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪০| ০১ লা মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

রোহান বলেছেন: এমন একটা জঘন্যতম ঘটনাতে আসলে কিছু বলার থাকে না।

৩৮ নাম্বারে ক্যামেরাম্যান ভাইকে ধন্যবাদ। এই একটা জিনিস নিয়ে আক্ষেপ গেলো না, বাংলাদেশের মতো গরীব একটা দেশের জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কাকের সমান উপলব্ধিটুকুও নেই। রাজনীতিবিদদের ক্রীড়ানক হিসাবে এরা খেলবে বলে নিজের ভাইদের এভাবে ঝরে যেতে দিবে? উইলফুল ওমিশন এতোগুলো লোক করে কিভাবে? এই সেনা কর্তাদেরই অনেকে আবার পরে রাজনীতিবিদ হন... তারাই আবার এইসব ঘটনায় নানা হাইকোর্ট দেখান... আফসোস...

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:০৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।


উইলফুল ওমিশন বলতে আমি যা যা বুঝিয়েছি তার মধ্যে একটা হ'ল যে কর্তব্যে গাফিলতির জন্যে এখন পর্যন্ত কোন গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করা হয়নি।

৪১| ০১ লা মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:২২

আমি বিপ্লবী বলেছেন: দেখুন:

www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29104905

www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29106904

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: ...হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু।....

-সুরা বাকারা, আয়াত ২৮৫।

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

একটু বর্ষা... বলেছেন: যার যা প্রাপ সে তাই পেয়েছে ... এতো লাফানোর কিছু নাই ...

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।

আপনার সাথে সবিনয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে বলছি যে যার যা প্রাপ্য তাই যদি সে পেত তাহ'লে ইশ্বরে বিশ্বাসী মানুষদের সংখ্যা অনেক কমে যেত।

৪৩| ০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৫১

দড়াবাজ বলেছেন: রোহান বলেছেন: এমন একটা জঘন্যতম ঘটনাতে আসলে কিছু বলার থাকে না।

৩৮ নাম্বারে ক্যামেরাম্যান ভাইকে ধন্যবাদ। এই একটা জিনিস নিয়ে আক্ষেপ গেলো না, বাংলাদেশের মতো গরীব একটা দেশের জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কাকের সমান উপলব্ধিটুকুও নেই। রাজনীতিবিদদের ক্রীড়ানক হিসাবে এরা খেলবে বলে নিজের ভাইদের এভাবে ঝরে যেতে দিবে? উইলফুল ওমিশন এতোগুলো লোক করে কিভাবে? এই সেনা কর্তাদেরই অনেকে আবার পরে রাজনীতিবিদ হন... তারাই আবার এইসব ঘটনায় নানা হাইকোর্ট দেখান... আফসোস...

৪৪| ০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৫২

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: কিছুদিন আগে মায়ানমার যা করল তার জবাব হিসেবে বাংলাদেশ যা করছে তার প্রায় সবই সেনাবাহিনী দিয়ে। বাংলাদেশের সিমান্তের অতন্দ্র প্রহরী(!) বিডিআর কিন্তু সিমান্তে গন্ডগোল লাগলে থাকে না। থাকে বিডিআর এর পোশাক পরে সেনাবাহিনী। ঝড় বন্যা এসবে ত্রান কাজেও থাকে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সাথে থাকত না। জঙ্গী ধরা,সন্ত্রাসী ধরার জন্য এত বাহিনী গড়া হল তার প্রায় সবই ছিল সামরিক বাহিনী থেকে নেয়া। আর বাহির থেকে সেনাবাহিনী প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে।
আর খরচের কথা বলা হচ্ছে। এশিয়ায় রেগুলার সেনাবাহিনী আছে এমন দেশ মায়ানমার বাদে সম্ভবত সব দেশের থেকে বাংলাদেশের সামরিক ব্যায়ের অনুপাত কম।
"
রাজনীতিবিদদের ক্রীড়ানক হিসাবে এরা খেলবে বলে নিজের ভাইদের এভাবে ঝরে যেতে দিবে?"

দড়াবাজ ভাইয়ের কথার সাথে একমত।তবে এই কান্ড হইছে সিনিয়র বেইমান অফিসার গুলার কারনে। বাংলাদেশের সিনিয়র আর্মি অফিসার গুলা রাজনৈতিক মদদে প্রমোশন পায় আর এইগুলা থাকে রাজনীতিবিদদের পা চাটা গোলাম। বাংলাদেশে এখন সব কিছুতেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মানে দুর্ণীতি চলতেছে।

তবে সেনাবাহিনীর সাথে ২৫আগস্ট যা করা হল তার একটা সাইড এফেক্ট অবশ্যই আছে। না জানি ভবিষ্যতে আর কোন নৃশংশতা দেখতে পাই।

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫২

ত্রিশোনকু বলেছেন: নির্মোহ প্রজ্ঞাময় বিশ্লেষন।

আপনার সাথে ঐক্যমত্য পোষন করছি।

৪৫| ০২ রা মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৪৫

রোহান বলেছেন: একমত।তবে এই কান্ড হইছে সিনিয়র বেইমান অফিসার গুলার কারনে। বাংলাদেশের সিনিয়র আর্মি অফিসার গুলা রাজনৈতিক মদদে প্রমোশন পায় আর এইগুলা থাকে রাজনীতিবিদদের পা চাটা গোলাম। বাংলাদেশে এখন সব কিছুতেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মানে দুর্ণীতি চলতেছে।
--------------------------------------------------------------------------------
যতদূর মনে হয় সিনিয়র অফিসাররা জুনিয়র থেকেই বড় হয়, রাজনৈতিকভাবে তো আর সরাসরি মেজর জেনারেল কিংবা ব্রিগেডিয়ার র‌্যাংক এ নিয়োগ দেওয়া হয় না... সিনিয়রিটিতে গেলেই সবার বিবেক আবেগ সততা গলাগলি করে জলান্জলি হিসাবে পতিত হয় এটা কেমন হয়ে গেলো তাই না? এখন যদি কেউ দাবী করে এতোবড় একটা প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র হতে গেলে অবশ্যই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হতে হয় তবে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাই তো আর থাকে না তাই না। যদি থিংক ট্যাংক এ থাকা সব সিনিয়র অফিসার মূলত রাজনীতির ক্রীড়ানক হয়েই যায় তাহলে উপরের কমেন্টের সকল ক্রেডিট আদতে তাদের হাত ছাড়া হয়ে যায় তাই না?

তাহলীল ভাই আর্মির সাইড এফেক্টের যেই আশংকা করলেন, সেই এফেক্টটা সময় মতো হলো কাজ হতো? সামনে এফেক্ট হলেই বা কি? হাসিনা সপরিবারে মারা যাবে এই তো? সাথে আরো কিছু পলিটিশিয়ান? তারপর? ক্ষমতায় আর্মি এলে তো সেই পুরানা কামড়া কামড়ি... মোশাররফরে মারলো তারই সহকর্মী, জিয়া আবার তাহেররে ঝুলায় দিলো, সাথে ঝুললো হাজার কয়েক সহকর্মী.... ক্ষমতার স্বাদ বেশীদিন সইলো না... অনেকবারের চেষ্টার পরে আরেক সহকর্মী জিয়ারে ব্রাষ্ট ফায়ারে সিক্ত করলো... সেই সহকর্মী আবার আরেক সহকর্মীর বুলেটের শিকার... এই সবগুলো অফিসারই তো কর্মক্ষেত্রে পরীক্ষিত এবং এক এক জন জুয়েল ছিলো তাই না? এদের কামড়া কামড়ি কি কোনো নীতি কিংবা বোধ এর জন্য? সিম্পল গদির লোভ... সবকিছুই কি পেছন থেকে রাজনীতিবিদরা সুতো টেনে খেলিয়েছে? আর্মির সুতো টানা এতো সোজা হয়ে গেলে সেই আর্মি নিয়ে গর্ব করার কি থাকে?

এসব বলতে কষ্ট হয়... অনেক কষ্ট... কিন্তু কি আর করা...

৪৬| ০২ রা মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২৩

মুকুট বলেছেন: নিজের প্রতি ধিক্কার দেয়া ছাড়া উপায় নাই। দেশের এতগুলো বীর মরলো, তারপরও এটা এখন রাজনীতি মলাটে বন্দি, হায়রে স্বদেশ।

০২ রা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: শুধুমাত্র হতভাগ্য চারজন মানুষের স্মরণেই আমার এই পোষ্ট। অন্য কোনো বিষয়ের ওপর আলোচনার জন্যে নয়।

৪৭| ০২ রা মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫৪

মেরিনার বলেছেন: দেখুন:

www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29108722

০২ রা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৫৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: পড়লাম, ভাল লেগেছে।

মন্তব্য না থাকলেও দুটো মাইনাস দেখলাম।

৪৮| ০২ রা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:২২

সামিউর বলেছেন: ভাইয়া আমি ২৫ আর ২৬ তারিখে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। চোখটা বন্ধ করলেই কর্ণেল গুলজার স্যারের কথা মনে হতো। আমার প্রতিটা দিনই তার কথা মনে হয়। যখন প্রধানমন্ত্রিকে দেখি শান্তি কণ্যা উপাধি দিতে, যখন শুনি গণহত্যা আর নির্যাতনের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে তখন আমার মুখে থুথু আসে। সবকিছুই জানি কিন্তু কিছুই করার ক্ষমতা নাই। নিজের প্রতি খুব করুণা হয়। খুব কষ্ট হচ্ছে।

আমি ক্ষমা চাচ্ছি ভায়েরা। এই গণহত্যার বিচার আমি করতে পারবোনা, দেখেও যেতে পারবোনা। সবাই টাকা খেয়ে চুপ হয়ে গেছে ভাইয়া। আমি শুধু নিরবে চোখের পানিই ফেলতে পারি। শুধু একটাই দোয়া করি আল্লাহ যেন এই প্বথিবীতেই এই ঘটনার বিচার করে। দায়িরা যাতে এরচেয়ে কষ্ট পেয়ে মারা যায়।

০২ রা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: শুধু একটাই দোয়া করি আল্লাহ যেন এই প্বথিবীতেই এই ঘটনার বিচার করে।

-আমিন।

৪৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ২:০৮

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: "যতদূর মনে হয় সিনিয়র অফিসাররা জুনিয়র থেকেই বড় হয়, রাজনৈতিকভাবে তো আর সরাসরি মেজর জেনারেল কিংবা ব্রিগেডিয়ার র‌্যাংক এ নিয়োগ দেওয়া হয় না... সিনিয়রিটিতে গেলেই সবার বিবেক আবেগ সততা গলাগলি করে জলান্জলি হিসাবে পতিত হয় এটা কেমন হয়ে গেলো তাই না? এখন যদি কেউ দাবী করে এতোবড় একটা প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র হতে গেলে অবশ্যই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হতে হয় তবে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাই তো আর থাকে না তাই না।"

রোহান ভাই, সব গাছেই পচা আপেল আছে। তবে প্রবলেম হচ্ছে রাজনীতিবীদরা কেন যেন পচা আপেল ই বেশি পচ্ছন্দ করে। আপনার কি এই ব্যাপারে দ্বিমত আছে?? আর আপনি যদি মনে করেন আপনি কোন রাজনৈতিক দলের ছায়ায় না থেকে বিগ্রেডিয়ার ,মেজর জেনারেল এসব হয়ে যাবেন তাহলে আপনি ভুল জানেন। তবে হয়ত হাতে গোনা ব্যাতিক্রম আছে। আপনার যদি সন্দেহ থাকেই তাহলে আপনি হাসিনার সাথে অফিসারদের যে অডিও টেপ বের হয়েছিল ২৫শে ফেব্রয়ারীর ঘটনার পর সেটা শুনবেন। আপনি সেনাবাহিনীর অফিসারদের মুখ থেকেই সেখানে শুনবেন । যেখানে মইন ইউ এর মত বেইমান জেনারেল হতে পারে যে কিনা তার নিজের সহকর্মীদের একের পর এক মারা যেতে দেখেও কিছু করার জন্য একটা অাঙুলও তুলেনি সেখানে সিনিয়র অফিসাররা অবশ্যই রাজনিতীবিদদের হাতের পুতুল। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মইন কত গুলা অফিসারের চাকরি খেল। আপনি কি মনে করেন এগুলো অন্যদের প্রতি ওয়ার্ণিং ছিল না??
এক মহিলা ক্যাপটেন মইনকে বলছিল স্যার আপনার যদি কিছু করার না থাকে তাহলে আপনি মেয়েদের মত হাতে চুড়ি পরে বাসায় বসে থাকেন। সেই ক্যপটেন এরও চাকরি গেছে। কিন্তু হারামজাদা এটা বুঝে না যে সেদিন পিলখানায় সেও থাকতে পারত এবং মারা গেলে তার জন্য ক্যপটেনটা একি কথা তখন যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন তাকে বলত ।

তাহলে আপনি এখন বুঝেন বাংলাদেশে সৎ অফিসারদের পরিনতি কি হয়। কিছুদিন আগেও পত্রিকায় দিয়েছিল আরও কয়েকজনের চাকরি যাবার খবর। এই লোকগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনিতীবিদদের ধরছিল। তাই চাকরি গেল। এবার আপনি বলেন নেক্সটবার সেনাবাহিনীকে এরকম দায়িত্বদিলে তারা তা কি পালন করবে??? ফেমিলি নিয়ে সবাই ভাবে বুঝলেন ভাই।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা একেকটা পশু। এরা যতদিন না ঠিক হবে ততদিন কিছুই ঠিক হবে না।

৫০| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৩৪

আমি বিপ্লবী বলেছেন: পড়ে দেখুন, ইনশা'আল্লাহ্ ভালো লাগবে:

www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29108771

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১:৫৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: ভাল লেগেছে।

যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্যে সুনদর একটা পোষ্ট।

৫১| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৪০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "পারফিউম দেবে না পান্জাবীতে, জুম্মার সময়, এ্যালকোহল আছে"

এলকোহল পান করা নিষিদ্ধ। সাধারন ব্যবহার কি নিষিদ্ধ। মনে হয় না। শুকর আর এলকোহলের মাঝে পার্থক্য এটা।

০৩ রা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

ত্রিশোনকু বলেছেন: এলকোহল পান করা নিষিদ্ধ। সাধারন ব্যবহার কি নিষিদ্ধ। মনে হয় না।

আপনি সঠিক, তবে আমার তখন সেটা জানা ছিল না।

শুকর আর এলকোহলের মাঝে পার্থক্য এটা।

-শতভাগ সহমত। শুকর গালিজ খায়। আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম, বিরিসিরি (নেত্রকোনা), হালুয়াঘাটে শুকর মারা, মাংস আলাদা করা (শুকরের চামড়া মানুষের চামড়ার মত, গরু ছাগলের মত ছাড়ানো যায় না), রান্না করা খুব কাছ থেকে দেখেছি অনেক বার। রান্না শুরুর আগ পর্যন্ত মনুষ্য বর্জের গন্ধ আসে (যদিও জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্সের শুকরগুলো মাংসতে রূপান্তরিত করার সময় সে গন্ধ পাইনি)।

৫২| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ষড়যন্ত্র, গভীর ষড়যন্ত্র।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১:২৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দেশটির জন্ম লগ্ন থকে তার বিচার এখনো শুরু হয় নি।

৫৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

সমুদ্রের তীরে বলেছেন: আপনাকে একটা অনুরোধ করব- শুধু আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেন-

১. বি.ডি.আর হত্যাকান্ডের দিন সকালে একটি 'এ্যাশ' কালারের গাড়ী বি.ডি.আর হেডকোয়াটার্সে ঢুকেছিল, যেটি ঐদিন রাতে রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় বের করে নিয়ে আসে( এ ঘটনা ঐ সময়ের পেপারে এসেছে।)--- এটি সত্যি কি না?

২. হত্যাকান্ডের পর ঐখানে কিছু গান বেল্ট পাওয়া গিয়েছিল-- তদন্ত কমিটি এখনও বলেনি ঐ গান বেল্ট গুলো কোন দেশের তৈরী এবং কোন দেশের ফোর্স ঐ বেল্ট ব্যবহার করে। ----- আপনি একটু আমাদেরকে এই ব্যাপারটা জানান।

৩. বি.ডি. আর এর পোশাক(যেটি বি.ডি.আর হত্যাকান্ডের সময় ছিল) যখন আগে পরিবর্তন করা, তখন অনেকেই বলেছিল- বি.ডি.আর এর পোশাক আর ভারতীয় সেনা বাহিনীর পোশাক একই( তৎকালীন পেপারে দেখুন)---- এখন আপনি বলুন, এটি সত্যি কিনা---- দুই বাহিনীর পোশাক একই ছিল কিনা?

প্রশ্ন আরো অনেক আছে--------- আগে এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেন।



০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমি দেড় দশকাধিক বছর ধরে অবসরে। আপনার আর আমার জানার মধ্যে খুব একটা তফাৎ থাকার কথা নয়।

আপনার তিনটি প্রশ্নের একটির উত্তরও আমার জানা নেই।

৫৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১৭

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: অনেক কিছুই বলা আছে।
তবু এই রকম মৃত্যু

ভাল লাগে না :(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমার সেটাই ক্থা। যারা মারা যায় তাদের মধ্যে আমার খুব কাছের চারজনকে নিয়ে এই পোষ্ট।

৫৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৭

মেটালিফেরাস বলেছেন: ভাইজান আমার ১৭ নম্বর কমেন্টের যে ভাবে রেগে গেলেন তাতে তো কথা কইতেই ডরাইতেছি!
আপনার রাগের জবাব দিতেছি না। আপনি কইলেন "আর হ্যা, কয়েকবার পরে তারপর লিখতে আসবেন।"
জ্বী ভাইজান কয়েক বার পড়েছি। আমার প্রশ্ন ছিল অফিসাদের সাথে জওয়ানরাও তো মরেছে, তাদের কোন কথা আপনার লেখাই নেই সেইটা নিয়া। তারা ও মনে হয় মুসলমানই ছিল! তাদেরও বউ বাচ্চা আছে। তারা এখন পড়াশুনা দুরে থাক, তিন বেলা খেতেও পায় না।

অন্য অফিসারদের কথা থাক, ৯/২/১০ তারিখের 'কালের কন্ঠে' কর্নেল গুলজারের কীর্তির খবর পড়লাম তা তো শিহরণমূলক!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১:৫০

ত্রিশোনকু বলেছেন: ভাইজান আমার ১৭ নম্বর কমেন্টের যে ভাবে রেগে গেলেন তাতে তো কথা কইতেই ডরাইতেছি!

-আপনার বলার ধরন দেখে তা মনে হচ্ছে না।

জ্বী ভাইজান কয়েক বার পড়েছি। আমার প্রশ্ন ছিল অফিসাদের সাথে জওয়ানরাও তো মরেছে, তাদের কোন কথা আপনার লেখাই নেই সেইটা নিয়া।

৫৪, ৪৬, ৩৮ মন্তব্যগুলো দয়া করে পরে জেনে নিন।

ধন্যবাদ আমার ব্লগে আপনার পদ চারনার জন্যে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ৩:১০

ত্রিশোনকু বলেছেন: অন্য অফিসারদের কথা থাক, ৯/২/১০ তারিখের 'কালের কন্ঠে' কর্নেল গুলজারের কীর্তির খবর পড়লাম তা তো শিহরণমূলক!


-দেখুন, এই হত্যাকান্ডের পর সেনা বাহিনীর একজন মেয়ে অফিসার জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমেদকে বলেছিলেন যে তিনি যেন জেনারেলের পোষাক ত্যাগ করে পরনে শাড়ি ও হাতে চুড়ি পরা শুরু করেন। সেই সাহসী ক্যাপটেন চাকুরী হারিয়েছে। সেই বৃহন্নলা সেনাপ্রধান একমাত্র চাকুরী বর্ধিত করার জন্যে নিজে এ ব্যাপারে কিছুই করে নি। যদিও সাংবিধানিকভাবে বিডিআরের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে তার প্রধানমন্ত্রীর আদেশের কোন প্রয়োজন ছিল না। ৫৭ জন অফিসার, অফিসারদেরকে বাঁচাতে আসা জেসিও ও অন্যান্য জীবনের চেয়ে ঐ ক্লীব, চরম স্বার্থপর, বেজন্মাটির কাছে এক বছরের বেতন , ভাতা ও পদমর্যাদা অনেক ওপরে স্থান পেয়েছে।

সে যেমন ভুমিদস্যু, ঢাকার পরিবেশ ধ্বংসকারী, প্রান্তিক চাষীদের ভিক্ষুকে পরিনতকারীকে সারমেয় শাবককে আমাদের মেরুদন্ডহীনটি জনসমক্ষে আপ্যায়িত করেছিল, সে সোভানের বের করা পত্রিকা আপনি পড়লেন আবার উদ্ধৃতি দিলেন আমার ব্লগে!

আমার বাড়িতে যেমন জেনারেল আমজাদ, যিনি বাংগালী অফিসার হওয়া সত্যেও স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংগালী নিধনে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল তার প্রাণ, সেজান ও আর এফ এল সামগ্রী নিষিদ্ধ, কালের কন্ঠের উদ্ধৃতিও তেমনি নিষিদ্ধ।


নীচের বিষয়গুলো নিয়ে আপনি লিখেছেনঃ

১।এতকাল পরে এসে রোজা লুক্সেমবুর্গের সমাধি নিয়ে বুর্জোয়া জালিয়াতী।

২। MOUNT LIUPAN (মাও সে তুং এর কবিতা)



৩।নিশ্চয়ই একদিন জরাজীর্ণ পৃথিবীটা আমূল বদলে যাবে



ওপরের তিনটি আপনার লেখার বিযয়বস্তর সাথে আপনার কার্যক্রমের অসংগতি অতি দৃষ্টিকটুভাবে লক্ষনীয়।

আপনি চৈনিক, পশ্চিম ইউরোপীয় সর্বহারাদের পক্ষে কলম ধরেন, যে ঢাকা শহরে থাকেন আপনি সে ঢাকা শহরের একবেলা খেয়ে থাকা লোকদের শেষ সম্বল কেড়ে নিয়ে, তাদের বুকের রক্ত দিয়ে যে লোচ্চা সোভান পত্রিকা দেয় সেটা আপনি পড়েন আবার উদ্ধৃতিও দেন। আপনারা আসলেই কোন রকমের অদর্শের ধার ধারেন না। না স্বাধীনতার পক্ষ, না সমাজতন্ত্রের পক্ষ না স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে আপনারা। আপনাদের একটাই স্বার্থ, স্বস্বার্থ, একান্তই ব্যাক্তিগত। আপনারা হলেন সোনার পাথর বাটি, আপনি হলেন নাস্তিক-জামাতি, ফরাৎ মজার ইন দ্য মেকিং।

ব্লগ ত্যাগের আগে তাহলীল আহমেদ চৌধুরীর ৪৯ নম্বর কমেন্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্সন করছি।

৫৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:০৭

মেটালিফেরাস বলেছেন: জনাব, অনেক ধর্য্য সহ বিরাট মন্তব্যের জন্য সালাম নিন। ভেবেছিলাম এই বিষয়ে আর কিছু লিখব না, কিন্তু আপনি অনেক বাহুল্য বলে ফেলেছেন।

বাহুল্য ১। ১১.২৭ মিনিটে করা কমেন্টের উত্তর ১.৫০ মিনিটে দিয়েছেন। এর পর আমার ব্লগ ঘুরে নতুন কিছু মনে পড়ায় আবার লিখেছেন ৩.১০ মিনিটে!(অবশ্য আপনার অন্য পোস্ট ঘুরে দেখলাম এটা আপনার অভ্যেস)

বাহুল্য ২।"সেই বৃহন্নলা সেনাপ্রধান একমাত্র চাকুরী বর্ধিত করার জন্যে নিজে এ ব্যাপারে কিছুই করে নি।"
বৃহন্নলা মানে হিজড়া তাই তো? এই দেখেন, এই কথাটা কিন্তু আপনি ২০০৮ এর ডিসেম্বরের আগে বলতে পারতেন না(যদি সেই সময় পিলখানার ঘটনা ঘটত)। এখন কেন আপনাদের প্রক্তন জেনারেলকে হিজড়া বলতে পারছেন? কারণ তিনি এখন উইদাউট ড্রেস, ম্যাঙ্গো পিপল।

অথচ "সমুদ্রের তীরে"র ৫৩ নং কমেন্টের উত্তর এড়িয়ে গেলেন "আমি দেড় দশকাধিক বছর ধরে অবসরে" বলে!কারণ ঐ উত্তর দিতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যেতে পারে!

বাহুল্য ৩।"ভুমিদস্যু, ঢাকার পরিবেশ ধ্বংসকারী, প্রান্তিক চাষীদের ভিক্ষুকে পরিনতকারীকে সারমেয় শাবককে আমাদের মেরুদন্ডহীনটি জনসমক্ষে আপ্যায়িত করেছিল, সে সোভানের বের করা পত্রিকা আপনি পড়লেন আবার উদ্ধৃতি দিলেন আমার ব্লগে!"

এখানেও আপনি স্ববিরোধী। বাংলাদেশের কোন পত্রিকা মালিকই সাধারণ মানুষ নন। কেউ আপনার ভাষায় ভূমিদস্যু, কেই ইলেক্ট্রনিক কোম্পানীর মালিক, কেউ শিপিং ব্যবসায়ী, কেউ আর্মি অফিসার(লুপ্ত আজকের কাগজ), কেউ শিল্পপতি। এখন বলেন, এই সব ধনিক শ্রেণীর পত্রিকা ছাড়া আর কোন পত্রিকার খবর আপনার মন:পুত?
ইচ্ছা করলে 'সংগ্রাম', 'নয়া দিগন্তু', 'আমার দেশ' ঘেটে দেখতে পারেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের মামলা তো, সব জাতীয় দৈনিকেই পাবেন। আমি কিন্তু খবরটার লিংক দেই নাই!

বাহুল্য ৪।"আপনারা হলেন সোনার পাথর বাটি, আপনি হলেন নাস্তিক-জামাতি, ফরাৎ মজার ইন দ্য মেকিং।"

আস্তে বলেন! আমার ১৭ নং কমেন্টের উত্তরের শেষে যে পি মুন্সীর উদাহরন টেনেছেন তিনি মনে কষ্ট পাবেন। মনে করে দেখেন, এই "ফরাৎ মজার " বলে সিদ্ধার্থ আনন্দর পোস্টে কিন্তু মাফ চেয়েছিলেন সবার কাছে! তাও আবার নিজের দুই নিকে।

কি বলতে কি বলে ফেলেন! আপনার জন্য আসলেই করুনা হয় । ভাল থাকেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৫০

ত্রিশোনকু বলেছেন: আস্তে বলেন! আমার ১৭ নং কমেন্টের উত্তরের শেষে যে পি মুন্সীর উদাহরন টেনেছেন তিনি মনে কষ্ট পাবেন। মনে করে দেখেন, এই "ফরাৎ মজার " বলে সিদ্ধার্থ আনন্দর পোস্টে কিন্তু মাফ চেয়েছিলেন সবার কাছে!

- আমি আরো অন্যান্য স্স্থানেও চেয়েছি। ভুল আমি করিই। হৃদয়ংগম করলে অবশ্যই ক্ষমা চাই। তাপনার সাথে বাদানুবাদে যদি আমি অন্যায় কিছু করেছি বলে মনে করি কখনো অতি অবশ্যি আমি আপনার কাছেও ক্ষমা চাইবো।

তাও আবার নিজের দুই নিকে।

নিক দুটি যে নিজের নয় তা সেখানে খোলাসা করেছি।

এখানেও আপনি স্ববিরোধী। বাংলাদেশের কোন পত্রিকা মালিকই সাধারণ মানুষ নন। কেউ আপনার ভাষায় ভূমিদস্যু, কেই ইলেক্ট্রনিক কোম্পানীর মালিক, কেউ শিপিং ব্যবসায়ী, কেউ আর্মি অফিসার(লুপ্ত আজকের কাগজ), কেউ শিল্পপতি। এখন বলেন, এই সব ধনিক শ্রেণীর পত্রিকা ছাড়া আর কোন পত্রিকার খবর আপনার মন:পুত?

ইলেক্ট্রনিক কোম্পানীর মালিক, শিপিং ব্যবসায়ী, আর্মি অফিসার(অব:)ও শিল্পপতির মধ্যে একটা মৌলিক ও গুণগত পার্থক্য আছে। তা হ'ল টাকা উপার্জনের পথটি। যেহেতু সোভানের পথটিতে নৈতিকতা সম্পুর্নভাবে বিবর্জিত সেহেতু তার পত্রিকাটি বিষবৎ পরিত্যাজ্য। যে সেখানে চাকুরী করে মাসোহারা নেয় বা কলাম লিখে পয়সা নেয় সে অবশ্যি হত দরিদ্রের অভিশাপ মাখা কড়িই পকেটস্থ করে। আপনি যে আমার এ পোষ্টে পত্রিকাটির লিংক দেন নি সে জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।

আমার ১৭ নং কমেন্টের উত্তরের শেষে যে পি মুন্সীর উদাহরন টেনেছেন তিনি মনে কষ্ট পাবেন।

-শতভাগ সহমত। ফরাৎ মঝার থেকে বিটি বেগুনের ওপর বিদ্যার্জন করার চেয়ে অজ্ঞ থাকাটা আমার কাছে শ্রেয় মনে হয়েছিল বলেই ও মন্তব্য করেছিলাম। তবে মন্তব্যটির ভাষা পরিমার্জিত ছিলনা বলেই বিপত্তিটা। এ ব্লগে ফরাৎ মজারের ওপর অরো মন্তব্য করেছি, অত্যন্ত কঠোর ভাবেই করেছি কিন্তু তা শালীনতাকে পেরিয়ে যায়নি।

১১.২৭ মিনিটে করা কমেন্টের উত্তর ১.৫০ মিনিটে দিয়েছেন। এর পর আমার ব্লগ ঘুরে নতুন কিছু মনে পড়ায় আবার লিখেছেন ৩.১০ মিনিটে!(অবশ্য আপনার অন্য পোস্ট ঘুরে দেখলাম এটা আপনার অভ্যেস)

১৭, ৩৯, ৫৫ আর আপনার এই মন্তব্যের মধ্যে একটা গুণগত পার্থক্য আছে।

ও ৩টায় আপনি আমার এ পোষ্টের বিষয়বস্তুগুলোর বাইরে যেয়ে মন্তব্য করেছেন, অযাচিত ভাবে। আর এ পোষ্টটি সম্পূর্ন প্রাসংগিক। আমার কেবলি মনে হচ্ছে আগের ৩টি মন্তব্য অন্য কারো করা এটি আপনার। কিন্তু নিক যে একই।

৫৫ নম্বর মন্তব্যের জবাব দেবার পরই আমার মনে হ'ল যে আপনার উদ্দেশ্যটা কি তা বের করা দরকার। তাই আমি আপনার ব্লগে ঢু মেরে দেখি আপনি সর্বহারাদের একনায়কতন্তের মন্ত্রে দীক্ষিত। আমি অত্যন্ত ব্যাথিত হই এই ভেবে যে যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী হন তাঁদের আদর্শবাদ দৃষ্টান্তমুলাক হয়ে থাকে। একমাত্র ফরাৎ মজার ছাড়া আর কাউকে দেখিনি পল্টি খেতে। মেজর জলিলকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনতাম। তাঁর পল্টি খাওয়াটা ছিল বিশ্বাস প্রসূত, যদিও সমাজতন্ত্র জ্ঞান ছিল তার অগাধ। কমরেড মনি সিংএর পৌরহিত্যেএক বক্তৃতায় (১৯৭৩) তিনি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ধর্ম নিরপেক্ষতা অবশ্যই ধর্মহীনতা!

কাছে থেকে দেখা, কমরেড দবীর উদ্দিন আহমদ (সক্রেটিস), কমরেড আমজাদ হোসেন এখনও আমার আদর্শ, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে নয় আদর্শের প্রতি তাদের অকল্পনীয় নিষ্ঠার জন্যে। বিশাল জোতদার আলতাফ প্রামাণিকের ছেলে তার ছোট বেলা থেকেই বাবার শস্য ভান্ডারের ধান চাল সাধারনে বিলিয়ে দিতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৫ম বর্ষ শেষে, শেষ পরীক্ষার সময় শুধুমাত্র পার্টির নিদেশকে শিরোধার্য করে তিনিপরীক্ষা না দিয়ে সমাজতন্ত্র বাস্তায়নে নেমে পরেন। জীবনের বেশীর ভাগ সময়েই তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলেন। বংগবন্ধ হত্যার পর আন্ডার গ্রাউন্ড থাকা অবস্থায়, বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্য হয়। মরার আগে আগে বেনামে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অনাহারে অর্ধহারে তিনি তাঁর জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়েছেন, কিন্তু তিনি এত বড় জোতদারের ছেলে ছিলেন যে এক্ষনে তাঁর নাতি নাতনীদের কাছে ভাগ হ'তে হ'তে যে সম্পদ বর্তেছে, তা দিয়ে কোন কিছু না করে তারা সচ্ছন্দে জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে। আমার তাই অত্যন্ত কষ্ট হয় যখন দেখি একজন কমিউনিষ্ট ভাবধারার মানুষ হয়েও আদর্শিক ভাবে আপনি অতটা সচেতন নন-বসুন্ধরা আর ট্রান্সকমকে আপনি এক করে ফেলেন।

আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি এত কিছু লিখতামনা আপনার ব্লগে ঘুরে না আসলে।




অথচ "সমুদ্রের তীরে"র ৫৩ নং কমেন্টের উত্তর এড়িয়ে গেলেন "আমি দেড় দশকাধিক বছর ধরে অবসরে" বলে!কারণ ঐ উত্তর দিতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যেতে পারে!

- সমুদ্রের তীরের প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই, সেগুলো শুধুই শোনা এবং পড়া। আর আমাদের প্রাক্তন জেনারেলের ব্যাপারে আমি যা বলেছি তা একটি প্রতিষ্ঠত সত্য।যারা গতবছরের প্রধানমন্ত্রীর দরবারে কথা বলেছিল তাদের ক'জন এখনো সেনা বাহিনীতে কর্মরত তা একটু খুঁজে দেখবার জন্যে অনুরোধ করছি।

বৃহন্নলা মানে হিজড়া তাই তো? এই দেখেন, এই কথাটা কিন্তু আপনি ২০০৮ এর ডিসেম্বরের আগে বলতে পারতেন না(যদি সেই সময় পিলখানার ঘটনা ঘটত)। এখন কেন আপনাদের প্রক্তন জেনারেলকে হিজড়া বলতে পারছেন? কারণ তিনি এখন উইদাউট ড্রেস, ম্যাঙ্গো পিপল।

- আমি বলতে পারতাম কি না তা বলাটা আমার নির্বুদ্ধতাটা হবে। তবে শেখ হাসিনা কিন্তু এখনো মসনদে তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের ওপর প্রাসংগিক ভাবেই আমার বেশ কিছু মন্তব্য এবং একাধিক পোস্ট আছে। আগামী ৩ বছর দশ মাসের আগে ওঁর ম্যাংগো পিপল হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আপনার কাছে যা বাহুল্য আমার কাছে তা অগ্নি পরীক্ষা।
__________________________________________
আপনার এবারের এই মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার ভাল লেগেছে। আগের ৩টিতে বিরক্ত বোধ করেছি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগে সময় দেয়ার জন্যে।

__________________________________________

পাদটিকা: কমরেড দবির আর কমরেড আমজাদ সম্পর্কে কমিউনিষ্ট পার্টির কর্ণধার মন্জুরের কিছু আলোকপাত করতে পারার কথা। গত বছর পাবলিক লাইব্রেরীতে কমরেড আমজাদের ওপর লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় তিনি কিছু বলেছিলেন এ ব্যাপারে।

৫৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:১৮

আবূসামীহা বলেছেন: হায়দার হুসেইনের সাথে সূর মিলিয়ে আমিও প্রতিনিয়ত বলিঃ
"আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার,
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।"

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: অন্তরের অন্তস্থলের কৃতজ্ঞতা।

৫৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:১৮

দীপ দীপ্তি বলেছেন: ছ্যার, আপ্নে দেখি কালের কন্টরে লয়া অনেক কিছু কয়া দেলেন
যেরাম-
সে যেমন ভুমিদস্যু, ঢাকার পরিবেশ ধ্বংসকারী, প্রান্তিক চাষীদের ভিক্ষুকে পরিনতকারীকে সারমেয় শাবককে আমাদের মেরুদন্ডহীনটি জনসমক্ষে আপ্যায়িত করেছিল, সে সোভানের বের করা পত্রিকা আপনি পড়লেন আবার উদ্ধৃতি দিলেন আমার ব্লগে!

আবার ফের আফরার কনসার্টের মিডিয়া পাটনারও বানাইলেন সেই ছোবানের পত্রিকারেই?
বাহবা জানাই। দ্বৈত নীতির জন্য।
পয়লা পেজের হাত বাড়িয়ে দাও ট্যাবে আপনের দেওয়া আফরারে লৈয়া পোস্ট খান অহনতরি জ্বলজ্বল করতেছে। নাকি আপনে এই কনসার্টের আয়োজনের লগে জড়িত নাই?
কালের কন্টের নিউজ

আফ্রার চিকিৎসা সাহায্যার্থে আজ কনসার্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
চার বছরের অবুঝ শিশু আফ্রা দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। সে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। প্রাণপ্রিয় সন্তানের জীবন বাঁচাতে গত দুটি বছর বাবা নিজের সর্বস্ব দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু সাবেক এই ক্যাডেটের পক্ষে মেয়ের দেহে বাসা বাঁধা ঘাতক ব্যাধির ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না।
এককভাবে মেয়ের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে বাবার অপারগতায় আফ্রার চিকিৎসার্থে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে এক জমকালো কনসার্ট। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে তার চিকিৎসার্থে কনসার্টের আয়োজন করেছে ক্যাডেট-৮৪ অ্যাসোসিয়েশন। কনসার্টে গান গাইবেন জনপ্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, হাবিব, বালাম, জুলি ও ন্যান্সি। টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাধারণ ৭০০ টাকা এবং ভিআইপি এক হাজার ৫০০ টাকা। কনসার্টের রেডিও পার্টনার রেডিও টুডে ও প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার কালের কণ্ঠ।

আপনে যখন কুনু মিডিয়ারে গাইল্লাইবেন একটু ভাইবা চিন্তা লয়েন। নইলে দেকবেন আপনে যারে গাইল পারলেন হের সাহাইজ্যই আপনের লইতে হইতেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে তার চিকিৎসার্থে কনসার্টের আয়োজন করেছে ক্যাডেট-৮৪ অ্যাসোসিয়েশন।

-ক্যাডেট-৮৪ এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। চুরাশির ব্যাচ হবে ওরা সম্ভবতঃ, আমার জানা নেই।এই ব্লগে আমার ওটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছিল। আফরার সাহায্যে আপনারা এগিয়ে আসাতে তার চিকিৎসা সময় মত শুরু করা সম্ভব হয়েছে। সবচেয়ে জরুরী সময়ে আপনাদের সাহায্য অত্যন্ত কাজে লেগেছে। এ ব্যাপারে আমি মন্জুরুল হক ও জানার ব্যাক্তিগত উদ্যোগ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। জানার মা তখন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ। তনি হাসপাতালে ছোটাছুটিতে অত্যন্ত ব্যাস্ত। সেই ব্যাস্টতার মাঝেই তিনি এক গভীর রাতে আমার পোষ্টটি স্টিকি করে দেন। সে সময়ে মনজুরের ব্যাক্তিগত উদ্যোগ ও জানার সহযোগিতা ছাড়া অত টাকা যোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

তবে মানুষকে ভুমিহীন করে, সে ভুমিহীনদের হাজার অবোধ শিশুকে অভুক্ত রেখে, সেই টাকা দিয়ে একটি আফরার চিকিৎসা করার অর্থ বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

৫৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫১

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: আটক ছিলাম, তই মন্তব্য করতে দেরি হলো| বেল পাইলাম গত কাল|

আপনি কাদের সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন....???

মৃত মানুষকে শ্রদ্বা জানানো ওদের রক্তেই নাই, মা-বাবাও শিখায় নাই, বাদ দেন ওসব|

ওরা দেশকে ভালবাসে কিন্ত দেশকে রক্ষায় যে সেনা বাহিনী সবার আগে বুক পেতে দিবে তাদেরকে পছন্দ করে না.........!!!!

কারনটা কী......???

কারন হলো সেনা বাহিনীর জন্যই সীমানা তুলে দিয়ে করদ রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী হয়ে আজীবন দেশটারে লুট-পাট করার খায়েশ ওদের পূর্ন হচ্ছে না|

সেই যে লুট-পাটের স্বর্নযুগে বীর মুক্তিযোদ্বা মেজর জলিল লুট-পাটে বাধা হয়ে দাড়ালেন সে হতে শুরু.......।

চোরের গুষ্ঠির দেশ প্রেম টনটনে, ওরা দেশ চায় তবে সেনা বাহিনী ছাড়া দেশ চায়.........!!!!!!!!

কোথায় পাবেন এমন আজব দেশ, যে দেশে সেনা বাহিনী নাই.....???

আছে, আছে, সিকিম কত সুখে আছে, ওরাই সিকিম হতে চায়.....!!!!!!!

০৬ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:১৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: সেই যে লুট-পাটের স্বর্নযুগে বীর মুক্তিযোদ্বা মেজর জলিল লুট-পাটে বাধা হয়ে দাড়ালেন সে হতে শুরু.......


একমাত্র মেজর জলিলকে আমি তার আদর্শ চুত্যির জন্যে ছাড় দেই। কারন তিনি যেদিন হাফেজজ্বী হুজুরের কোলে উঠলেন সে দিনের খুব কাছাকাছি সময়ে তার সাথে কথা বলে বুঝতে পারি যে বিশ্বাসে তার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। আমার একটা প্রশের জবাব ই তিনি দিতে পারেন নি-" আপনার ডাকে জীবনপাত করে যারা এ ধরা ছেড়ে চলে গেল, সে সব তাজা প্রানের অভাগা জন্মদাত্রীদের কি জবাব দেবেন?"


আমার দেখা মতে একমাত্র মেজর জলিলই সমাজতন্ত্র হৃয়দে ও মস্তিষ্কে ধারন করেছিলেন। যখন প্রধানমন্ত্রী, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী সংবিধানের এক স্তম্ভ "ধর্ম নিরপেক্ষতা"র বিশ্লেষন দিতে হিমসিম খাচ্ছিলেন তখন এই মেজর জলিল দ্যার্থহীন কন্ঠে ঘোষনা করলেন " ধর্ম নিরপেক্ষতা অবশ্যই ধর্মহীনতা, যে তা বোঝেনা সে মার্কসবাদ লেনিনবাদও বোঝেনা"। মেজর জলিল তখন ছিলেন জাসদেরর একজন সক্রিয় শীর্স স্থানীয় নেতা। শুধু এ কথাটা বলার জন্যে যে তিনি ৯০% জনসমর্থন হারাবেন তা জেনেও সত্যকে সত্য হিসেবেই তিনি তুলে ধরেছিলেন।

আমার প্রশ্নের জবাব না দিতে পারাতেও হয়তোবা তাই আমি এখনো শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরন করি।


আছে, আছে, সিকিম কত সুখে আছে, ওরাই সিকিম হতে চায়.....!!!!!!!


আজেও বলেছি, এখনও বলছি "মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান বিডিআরের মহাপরিচালক থাকাকালীন যে ৩০ জন (সরকারী হিসেব মতে) বি এস এফ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল, ভারত কি তা কখনো ভুলতে পেরেছিল? সেই সদস্যদের পরিচয় কি? ............

দেখুন, জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই। অমি রহমান পিয়ালের পেছনে আপনারা সবাই লাগেন। অকারনে। অমি কিন্তু এ পোষ্টে একটাও মন্তব্য করেনি। সে করেনি কারন সে জ্ঞানী। আমার আপনার মত he is not a half baked আঁতেল। একটা কথায় যদি আমি মুক্তি যুধের ইতিহাসকে বিকৃত করি, ও আমাকে ধরাশায়ী করতে েক মূহূর্ত সময় নেবেনা।

ওর প্রজ্ঞাই ওকে বলে দিচ্ছে যে এ পোষ্ট টি একেবারেই মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা সমর্কিত।

শ্রদ্ধার্ঘ বাহ্য, আমার দু'লাইনের একটি অভিমত যা পরিসংখান গ্রাহ্য, তা যদি এত বিতন্ডার অবতারণা করে, তাহলে সিকিম হতে যে আমাদের আর দেরী নেই তা বোঝার জন্যে কোন বুদ্ধিমানের প্রয়োজন হয় না।

আমাদের সবচে' বড় হতাশা হ'ল যে হয় আমরা গোলাম আজমের সাথে বিবাহিতদের ভোট দেই নয় তো বন্ধুভাবাপন্ন দেশের স্বার্থকে নিজের নাগরিক সার্থে ওপরে স্থান দেই।
-

৬০| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:০০

ত্রিশোনকু বলেছেন: কালের কণ্ঠে আমি আর চাকরীরত না... লজ্জাবনত শহীদ মিনারের আপডেট
Share

Saturday, 27 February 2010 at 14:54

[যেভাবে খেলাটা শেষ হলো তার একটি আপডেট আপনাদের দিচ্ছি। আদতেও শেষ হয়েছে কিনা জানি না, জানি না তাঁরা আমার পদত্যগপত্রটি গহণ করবেন নাকি আমাকে বহিস্কর করবেন! সেটা আমার জন্য জরুরিও না, কী হলো না হলো। আমার দিক থেকে মামলাটা এখানেই শেষ। সেদিন ফেসবুকে লজ্জাবনত শহীদ মিনার কি নীরবে কাঁদে না শিরোনামে ঐ বাতিলকৃত লেখাটা ভূমিকাসমেত ফেসবুকে তুলে দেবার পর আমার অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে দেখা করতে বলে। কিন্তু আমি আর কোনে তাড়না অনুভব করি না। সবমিলিয়ে আগামী রোববার আমার ব্যাপারে অফিস সিদ্ধান্তের দিকে যাবে বলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু আমি সেই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে সম্পাদক বরাবর আমার পদত্যগপত্র পাঠিয়ে দিই। নিচে সেই পদত্যগপত্রটি হুবহু তুলে দিলাম আপনাদের জন্য।]

বরাবর
সম্পাদক
কালের কণ্ঠ, বসুন্ধরা সিটি
পান্থপথ, ঢাকা

বিষয়: চাকরি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার প্রসঙ্গে

সুহৃদ সম্পাদক
গত ২৩ ফেব্র“য়ারি ২০১০, মঙ্গলবার আমি আমার দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারিত সিঙ্গেল কলামটি লিখি এবং সেকশন চিপ সেই লেখাটা ইষৎ সম্পাদনা করে ছাপার অনুমতি দেন। বিকেল ৫টায় আমি লেখাটি ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় মেকআপ করা অবস্থায় দেখে, আমার দিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরি। পরদিন সকালবেলা উঠে কালের কণ্ঠ হাতে নিয়ে আমি দেখে বিষ্মিত হয়ে যাই যে, লেখাটি ছাপা হয়নি। ২৫ ফেব্র“য়ারি ছিলো আমার বিরতির দিন। তাই বৃহস্পতিবার ২৬ ফেব্র“য়ারি আমি অফিসে যাই এবং প্রত্যাশায় থাকি যে, কেন লেখাটি বাদ দেয়া হলো তার সদুত্তর আমি পাব। কিন্তু কোনো সদুত্তর আমি পাইনি। সেকশনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, ‘হাই কমান্ড যেকোনো লেখা বাতিল করবার এখতিয়ার রাখে’। যদিও আমার সেকশন চিপ এই বাতিল হওয়ার প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না বলে আমাকে জানান এবং কেন লেখাটি বাতিল বলে গণ্য হয়েছে সে ব্যাপারে আমাকে কামাল ভাইয়ের কাছে (মোস্তফা কামাল) খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু এই দায়িত্ব আমার না, বিধায় আমি তাঁকে বলি যে, বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চাই না আমি।

কিন্তু যে লেখাটি আমি লিখেছিলাম, তাতে একুশের চেতনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ, সাংবাদিক হিসেবে আমার নৈতিকতা আর পুরুষতান্ত্রিক অবদমনের এই যুগে একজন নারীর হাহাকারের সম্মিলন ছিলো। এমন একটি লেখা কালের কণ্ঠের পাতায় হাজির করতে না পারবার ব্যর্থতাকে সাথে নিয়েও যদি আমি কালের কণ্ঠে কাজ চালিয়ে যেতে থাকি তাহলে আমার বিবেচনায় আমি একুশের চেতনার সাথে, সমাজের সাথে, আমার নিজের সাথে এবং পুরুষতান্ত্রিক অবদমনের শিকার একটি মেয়ের সাথে অন্যায় করে ফেলি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবার।

সুহৃদ সম্পাদক, আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার রাজনৈতিক আদর্শের সাথে পরিপূর্ণ ঐকমত্য পোষণ না করলেও আপনার সততা-নিষ্ঠা-কর্তব্যবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার সেকশনেও আমার সেকশন চিপ-সহ অনেকের স্নেহধন্য হয়েছি আমি। কিন্তু কিছু ব্যক্তি না, আমি অসহায়ত্ব জানান দিচ্ছি একটি ব্যবস্থার প্রতি দিক-নির্দেশ করে যা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক। কীভাবে সেকশন চিপ একটি লেখা ছাপার অনুমোদন দেবার পর তাঁর অজান্তেই তা বাতিল হয়ে যায় আর কীভাবেই বা একজন সংবাদকর্মী জানতে পারেন না ঠিক কী কারণে তার লেখাটি বাতিল হয়ে গেলো সেই প্রশ্ন আমি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির দিকে ছুড়তে চাই না। আমি এই সঙ্কটকে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার সংকট হিসেবে দেখি। আমি নিজে আমার অবস্থান থেকে এই অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রেখে কাজ করে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু সেই চেষ্টায় আমার নিজস্ব সীমাবদ্ধতার কারণে আমি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা নিয়ে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না, কেননা সাংবাদিকতা আমার কাছে যতোটা না চাকরি তার চেয়ে অনেক বেশি করে একটি কমিটমেন্ট। সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি।

সুহৃদ সম্পাদক, কালের কণ্ঠ পত্রিকার মাঝ দিয়েই আমার সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা। জানি না, এমনও হতে পারে, এই পত্রিকার মাঝ দিয়েই আমার সাংবাদিকতা জীবনের সমাপ্তি ঘটে যাচ্ছে। এই পত্রিকার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। ভালোবাসা বলতে সেটা এমন না যে, এখানকার সংকটগুলো আলোচনার বাইরে রাখব, আড়াল করবো। বরং সমালোচনার মাঝ দিয়ে সংকটগুলোকে উন্মোচিত করে তা দূর করাটাই আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করি। তাই যেহেতু এখনও পর্যন্ত আমি কালের কণ্ঠ পরিবারের একজন সদস্য; আমি তাই স্পষ্ট করে বলছি, ব্যক্তিগতভাবে আপনি-সহ আমরা প্রায় সবাই গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষ হলেও আমাদের হাউজে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি আছে। কিন্তু নিজেরা গণতান্ত্রিক না হয়ে দেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালুর পক্ষে আমরা যদি মতামত দিতে থাকি, তাহলে সেটা কেমন দাঁড়ায় সুহৃদ সম্পাদক? আমি বলেছি, আমি লড়াই চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছি, এই ব্যর্থতা একান্তই আমার। কেন লেখাটি বাতিল হলো সেই প্রশ্নের উত্তর শুনতে আমি আপনার দারস্থ হতে পারতাম, আমি সেটাও করিনি। আমার এই ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে আমি আজ থেকে কালের কণ্ঠে আমার নির্ধারিত শিক্ষানবীশ সহ-সম্পাদকের পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

একটি জাতীয় দৈনিকের বিকাশ দেশের মঙ্গল বয়ে আনে। এই বিবেচনায় এবং আমার সাংবাদিকতা জীবনের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং আপনার মতো, আমার সেকশন চিপ শুভ রহমনের মতো এবং এমন আরও কিছু মানুষের সাথে কাজ করতে পারার সৌভাগ্য হয়েছিলো বলে আমি আপনাদের সবার এবং সেইসাথে কালের কণ্ঠের সাফল্য কামনা থেকে কখনও পিছপা হবো না। কালের কণ্ঠের সাফল্য বলতে আমি শুধু তাঁর পাঠকপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়া বুঝি না, বুঝি পত্রিকাটির ক্রমশ গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠা এবং সমস্ত সংবাদকর্মীর স্বাধীন বিকাশের পরিসরটা বেড়ে যাওয়াকে।

সুহৃদ সম্পাদক, আমি আবার উল্লেখ করছি যে, সাংবাদিকতা আমার কাছে শুধুমাত্র একটা চাকরি না, একটা কমিটমেন্ট। আমি সেই কমিটমেন্ট জারি রাখবার ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে আজ থেকে আমার সকল দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।



বাধন অধিকারী
শিক্ষানবীশ সহ-সম্পাদক (গতকাল পর্যন্ত)
সম্পাদনা বিভাগ
কালের কণ্ঠ, পান্থপথ, ঢাকা

পুনশ্চ: আপনার বুঝবার সুবির্ধার্থে আমি আমার বাতিল হয়ে যাওয়া লেখাটি সংযুক্তি আকারে দিয়ে দিচ্ছি।


অনুলিপি প্রেরিত হলো:
শুভ রহমান (সেকশন চিপ), সম্পাদনা বিভাগ
অমিত হাবিব (এক্সিকিউটিভ এডিটর)
মুস্তাফিজ শফি (প্লান এডিটর)
Updated last Saturday · Report Note
Shaherin Arafat and 26 others like this.
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@TAMAL... Ei Tomal, ki bolo eisob, hmm? amito emon-e, taina! Dekha hobe re bondhu.. khub druto..!
27 February at 18:15
Shakil Hasan
Shakil Hasan
badhan da apni ogontantrik gonomadhomke naria dicen.apnake sadhubad janai........
27 February at 18:29
বারবাক barbaq
বারবাক barbaq
ছি বাধন, ব্যাপারটা ওভাবে কেনো দেখছেন!
আমার মনে হয় সম্বোধনের কারণে একটা "দূর দূর ভাব" তৈরি হয়েছে আমার মন্তব্যে। এখন থেকে আর 'আপনি' লিখবো না। একেবারে 'তুই'-এ উঠে যাবো। চলবে?

...আমি আছি ভালোই। একদম একলা যতোটা ভালো থাকা যায়। খুব শিগগিরই কিছুদিনের জন্য দেশে যবো- এজন্য ইদানীং একটু বেশি ভালো আছি।
27 February at 18:39
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Tutul bhai..Eta ki aaj prothom bolchhi je apni aamake ontoto ei 'apni' sombodhon theke mukti din! Tui bolleto aaro bhalo, aaro kachher mone hobe! Deshe ashen, dekha hobe...! Golpo hobe onek. Se porjonto bhalo thaken.
27 February at 18:45
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Shakil... apnar jannyao onek shuvo-kamona Shakil.. Bhalo thakben..
27 February at 18:48
Monirul Haque Feroz
Monirul Haque Feroz
আপনার সততা ও সাহসী সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা জানাই....
27 February at 19:20
Shaherin Arafat
Shaherin Arafat
বাধন,
আমি আপনাকে আপনি জয়েন করার পর পরই এই কথাটা বলেছিলাম-- "আপনি কি আদৌ নিজের মত করে কাজ করতে পারবেন???"
আমি চাইছিলাম আমার কথাটা যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়, কিন্তু এই সিস্টেম তা হতে দিল না।।
আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।।
তবে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বোধ হাজারো গুণ বেড়ে গেছে আমার।।... See more
একজন সত্যিকারের মানুষই এরকম করতে পারে, সবাই না!!!

এটাই শেষ নয়, সবে মাত্র শুরু........
শুভ কামনা ভবিষ্যত বিপ্লবের জন্য।।

কল করছি, প্লিজ রিসিভ করেন।।
27 February at 19:40
Rumana C Ahsan
Rumana C Ahsan
BURJUA...HIGH COMMEND ER KACHEY... SHOTTAI UTKRISTO PROTIBAD!....
27 February at 19:42
Faisal Hasan Sondhy
Faisal Hasan Sondhy
sadhubad janay apnar sahosi siddhantoke.
27 February at 20:06
Fatama Sultana Suvra
Fatama Sultana Suvra
"সুহৃদ সম্পাদক, আমি আবার উল্লেখ করছি যে, সাংবাদিকতা আমার কাছে শুধুমাত্র একটা চাকরি না, একটা কমিটমেন্ট। আমি সেই কমিটমেন্ট জারি রাখবার ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে আজ থেকে আমার সকল দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।"...বাঁধন বাছাইয়ের মরীচিকার প্রতি এই প্রতিরোধ জোরালো হোক। সংহতি।
27 February at 20:23
Sohel Khondoker
Sohel Khondoker
একজন সাংবাদিক হিসেবে এই পত্রিকা অফিসের অনেক আগোছালো অবস্থানের কথা আমার জানা আছে। সেখানে এখন গ্রুপিংয়ে ভরপুর। বিশেষ করে যায়যায়দিন থেকে একটি গ্রুপের কিছু অংশ সেখানে যোগ দেয়ার পরে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে পত্রিকাটি। নিয়ম-শৃঙ্খলার বালাই নেই। যেটা পাঠক টের পায়না। কিন্তু এভাবে একটি মিডিয়া চলতে পারেনা। এর ভবিষ্যত যে খুব একটা উজ্জল নয় সেটা আমি প্রথম দিকেই বুঝেছি।
আর আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন এদের প্রায় প্রত্যেকের সাথে কাজ করার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি এদেরকে খুব ভাল করেই চিনি এরা কেমন প্রকৃতির লোক। কিন্তু তার বর্ণনা এখানে দিতে চাইনা নিজেও সাংবাদিক বিধায়।

তবে আপনি যেটা করেছেন সেটা ঠিক করেছেন। আমি আপনার সততা ও সাহসী সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই।
... See more
অপেক্ষায় থাকেন- আপনার প্রতিভার মূল্যায়ন হবেই। আমি আপনার পাশে আছি। আপনার এই সাহসিকতা আমি অন্যান্য মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
27 February at 20:27
Misbahur Rahman
Misbahur Rahman
বল বীর চির উন্নত মম শির " ভাল -------------------খুব ভাল @ Badhon
27 February at 20:29
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Shohel bhai... apnake dhonnobaad janachchhi Shohl bhai. Songe ektu jukto korte chaichhi je, aalada kore Kaler Kantho naamer ei pottrikatir biruddhe kingba jader naam ullekh korechhi tader biruddhe aamar kono ovijog nei, ami ovijukto korechhi ekta systemke, ja gonotantrik na! Ami jototuku jani, aamader sob media-house gulo-e churanto orthe ... See moreogonotantrik, aami vetor theke dekhini, tai aamar dharona vul-o hote pare, tobe ami aabaro sposto kore bolchhi Kaler Kantho niye aamar aalada kono asha-o chhilo na, aalada kono khov-o nei!
27 February at 20:36
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
Rumana apu, Sondhy bhai, Suvra apu ebong Mishba bhai--- suvechchha janben
27 February at 20:37
Sohel Khondoker
Sohel Khondoker
বাধন আপনার ব্যথাটা আমি বুঝতে পেরেছি।
আমি মিডিয়ায় যুক্ত আছি ১৮ বছর হলো। কাজেই কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় তা মোটামুটি হলেও বুঝতে আমার কষ্ট হয়না।
কিন্তু আমি প্রতিবাদীদের পছন্দ করি। আর আপনিও সেই প্রতিবাদের একটি প্রতিক হয়ে আজ এই পোস্টটি দিয়েছেন বলেই আপনার পাশে এসে দাড়িয়েছি। "যেখানে অন্যায়, সেখানে প্রতিবাদ" এটা যারা দল-মত বা ব্যক্তির উপরে থেকে দেশের জন্য করে তাদেরকে আমি সব সময় আমার হৃদয়ে আসন দেই। আপনার আসনটিও ওইখানেই। আমার দ্বারা আপনার উপকার ছাড়া অন্যকিছুর সম্ভাবনা নেই বন্ধু ১০০% কমিটমেন্ট করছি।
27 February at 20:45
Sharif A. Kafi
Sharif A. Kafi
আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে আমার কোন মন্তব্য নাই। Badhan..my hats off to you...cheers!
27 February at 20:46
Shahed Sadruddin
Shahed Sadruddin
Badhan, bishoy ta jeney ami shotti obak hoini - karon amar toma k niey ei rokom ekta chinta chilo. Asholey ei shob luterader poishai chola kagoj ey shatota niey kaj kora shomvob noy bolei amar money hoy. Tumi ja koreso (resign diey) - ta thiki korecho - CONGRATULATION!. Nijer bibek er kachey porishkar thakar aanondoi alada. Kichu takar jonno noshto... See more golami kono shagbadik er shova paina - shikkha vaban er duniporaion keranider shova pai. Kintu j proshno ta amar mathai ghurpak khachchey ta holo, amader char pasher ei shomosto prothishthan gulo jodi ei vabei choltey thakey - tobe mukto chinta lalon ey utshahi o shatotai aasthashil manushjon er sheshabodhi ki hobey? ------- 'DHORA JABENA, CHOA JABENA, BOLA JABENA KOTHA, ROKTO DIEY PELAM SHALA EMON SHADHINOTA'
27 February at 20:48
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Kafi bhai... Gota bishshei somvoboto corporate media ogonotantrik, aalada kore aamader desh k dosh die ki lav! Hahahaha!

Apnar hats off aamake lojja dilo j! Apni aamar kachhe onek sroddha korar moto manush, ami ekhono jibon-jogoter jotil ghurnigulote sishushikkha nichchhi, doa rakhben Kafi bhai, sarata jibon jeno protibaad kore, matha uchu kore bachte pari, dekha hobe, montobber jannya kritoggota janben....
27 February at 20:54
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Shahed bhai... Shahed bhai, khub joruri bishoy er obotarona korechhen, j, eivabey cholbe kina eisob protisthan! Ami kintu aamar resign letter-eo bolechhi j ami baaktigotovabe ogonotantrikotaar biruddhe lorai korbar pokkhe. Taar maane, sobai aamar moto chakri chhere ber hoye ashuk protibaad kore, eta aamar chaowa noy, ami chai, oi corporate media-... See moretei biddroho hock, gonotontrer jannya lorai hock! Ei protisthangulor jobabdihita joruri, ja ta kore jabe, eta hoy na! Bhalo thakben Shahed bhai, katha hobe, bhalobasha janben......................
27 February at 21:00
Nripo Anup
Nripo Anup
Badhan,

apnar shidhanta ke shadhubaad janai abong tar shathe eo mone kori je, ati kono potrika'r ekok koushol noe. Je kono Daily news paper er charitroi e rokom, jatei tar gha lage tai tara batil kore bina proshne. apnar ei note-er madhhome sposhto 'Kaler Kantha' er rajnoitik obosthan, kintu onno potrika ki er theke shadhushulav obosthane thake? ... See moreAr jadi theke thake tobe tader charitro ki, katotuku vinno ebong tara kader kotha bole. bibidho proshno shamne chole ashe. ami muloto shei shob proshno er govire dhukte chachhi apnake niye.

dhannobaad... shwachha decision nebar janno.
27 February at 21:00
Kiirtee Nasha
Kiirtee Nasha
আমাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা যেমন ঠুনকো তেমনি করে বহুজাতিক ও কর্পোরেপ হাউজগুলো আমাদের ব্যাক্তিত্বকে এভাবে অবদমিত করে যা আমাদেরকে ভীষণ ভাবে আঘাত করে। সংবাদ মাধ্যম যতটা গলাবাজি করে ভিতরগত চিত্র কত ভয়াবহ তা আপনার এর মাধ্যমে প্রমানিত হল। দুঃখ আমি আপনাকে জানাব না কারণ এটাই বাস্তবতা বলে আমি মনেকরি। একই সাথে আমি চাই ভেঙ্গে পড়ুক এইসব জঞ্জাল। জয়তু
27 February at 21:02
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Nipro... Apnake onek dhonnobaad ei katha bolbaar jannya. Kintu dekhun, uporer kichhu montobbe ami bolechhi, sob corporate media-e ek. R media niye porbaar kaale, chhattro jibone corporate media'r chorittro niye prochur lekha aami likhechhi, apnake porbaar amontron.........
27 February at 21:04
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Shohel bhai.. apni aamake bhul bujhben na pls! ami manush k sottru bibechona korina Shohel bhai, r apni pashe dariechhen, shottru vabbo keno, ei aalapta public aalap, keo jeno na vabe, ami Kaler Kantho-kei sudhu dosharop korte boshechhi, se karonei aami oi kathagulo sposto kore bolechhi.. jogajog hobe... bhalo thakben..
27 February at 21:10
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@kiirtee... suvechchha o bhalobasha janben...
27 February at 21:10
Deloar Jalali
Deloar Jalali
thanks badhan.
27 February at 21:47
Sohel Khondoker
Sohel Khondoker
@ Badhan
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি মনে হয় আপনাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। বিধায় আপনিই বরং আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি চীরদিন আপনার পাশে আছি এবং থাকব সত্য ও বিবেকের তাড়নায়।
27 February at 22:30
Ahsanul Huq
Ahsanul Huq
অবশেষে বাঁধন, বাঁধন-হারা। আশঙ্কা করেছিলাম আগেই। সেই কন্ঠরোধের অপচেষ্টা, দুঃখজনক। শুভকামনা রইল বন্ধুর প্রতি।
27 February at 22:32
Mjafor Hosain
Mjafor Hosain
ভাইয়া, আপনার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই; সত্যের পথে সকলের এভাবেই চলা উচিৎ! আপনি আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বহুগুনে বৃদ্ধি পেল। ভালো থাকবেন। আপনার পথ চলা মসৃন হোক--এই কামনা থাকল।
27 February at 23:16
Mir Mosharrof Hossain
Mir Mosharrof Hossain
onek din por monta ektu valo holo.....keno holo bekkha korte parbona....tobe bhalo lagche
27 February at 23:43
Rabbani Choudhury
Rabbani Choudhury
Badhton da, Apni Ato Sohojey Podotyag deya amar dristitey bhalo money hoy ni. Sob Potrikatey e erokom gotey karon Okhaney onek sartho thakey. Apnar Protibader Jonno apnar mediar anek darkar. Apnar Sot Manosikotakey Sadhibad janai, kintu ota onekta chele Manushi hishebe o Money Kori. Anek Shekhar achey. Asoley Nijer Potrika chara kotao 100% nijer ... See moremoto korey chintar protofolon gotatey parben na. Kazi Nazrul tekhey Ajker Gaffar Chowdhury sobar i akoy abosthay portey hoyechey. Amar Bactigoto anek aviggota achey, tai mon kharaf korben na. Arikom aro anek avoggotai lav korben.
28 February at 01:04
Sahaj Manush
Sahaj Manush
eta khubei satti je gota media-r systemtai aj baro beshi protikriashil hoea gese. er jonne jato na daie oi media gulo tar cheye beshi daea asole media gulor corporate satta. oi sattai asole badho koreekjon sangbadik ke attohatta korte. ekjon sangbadiker attohatta holo satti kothata na bolte para.
samoyta asole natun kore kharap hooi nai, kharapei ... See moresilo, just ekhon tar nanamukhi bisforon hosse matro.
ei protibad sudhu ekhanei simito thakbe jodi na kono sacheton songbad kormi tar konthosor bikea na dea rukhe darai. ami mone kori eta suchona hoea gelo. dharabahik droher fole songbadpotro pabe tar gonotontro.
dekha hobei eksathe badhan......beshi dur noi r sei din........
28 February at 02:30
Rabbani Choudhury
Rabbani Choudhury
koto sangabdik sangoton achey kintu kew ai attacharer biruddey kotha bole na. Shudu Bangladesh noy somgro bishey i sangbadikra puro sotto boltey parchen na. Iraq judder somoy Mirrorer sangbadik chakri hariyechen, BBC sangbadikra chakri cherechen/hariyechen, shudu sotto bolar jonno + sotto na boltey parar jonno. Badhan Da dukko amader sokoler. Takey... See more heart and soul support kori, kintu na kheye morte o pochondo korina. Je potrikay kaj korben sekhaney na likley i ba ki. Dekhun na anno potrikay, kintu ora o chorer chorey mustus bhai.
28 February at 06:18
Mou Modhubontee
Mou Modhubontee
eivabei suzogyo konthrodh hoye ase bar bar ...kichu manush keboli hochot khay ..ar ekdin dom atke uthle beche ney emon poth ja konodinoi kamona koreni ..shuvo houk tomaar agamir poth chola ...
28 February at 08:29
Goonjohn Chowdhury
Goonjohn Chowdhury
"...কালের কণ্ঠ পত্রিকার মাঝ দিয়েই আমার সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা। জানি না, এমনও হতে পারে, এই পত্রিকার মাঝ দিয়েই আমার সাংবাদিকতা জীবনের সমাপ্তি ঘটে যাচ্ছে।..." সব মন্তব্যের রাস্তা তো তুমিই বন্ধ করে দিয়েছো বাঁধন। এই যে তোমার উপলব্ধি- এ থেকেই পরিস্কার আমাদের সংবাদপত্রগুলো তথা আপামর সংবাদ-মাধ্যমের চরিত্র ও চালচিত্র! বাঁধন, তুমি নিজেই আশংকা প্রকাশ করেছো, ... See moreসততা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে আমাদের তথাকথিত "আংশিক নয় পুরো সত্য" প্রকাশের ধ্বজাধারী সংবাদ মাধ্যমে চাকরি করা যাবে কিনা- তারপরও চাকরিটা তুমি ছেড়ে দিয়েছো। সামনাসামনি থাকলে আমি তোমার সামনে উঠে দাঁড়াতাম যাকে বলে 'স্ট্যান্ডিং ওভেশন'।

এই স্পিরিটটা খুব দরকারি। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে, আমারও জীবনের প্রথম চাকরি সংবাদপত্রেই ছিলো, একটা পাক্ষিক পত্রিকায়। বিনোদনপ্রধান সেই পত্রিকায় আমার কাজ ছিলো চলতি রাজনীতি নিয়ে লেখা। যাই হোক, আমার সাথে খুব ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সংগীত তারকার। সম্পাদক সেটাকে "ক্যাশ" করতে চান এইভাবে- তার নামে আমাকে মিথ্যা কিছু গসিপ লিখতে হবে, যাতে করে পত্রিকার কাটতি বাড়ে, নয়তো সেই তারকা যেসব পণ্যের মডেল হয়েছেন, সেগুলোর বিজ্ঞাপন তাকেই জোগাড় করে দিতে হবে! আমি এক কথায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। মাত্র চার হাজার টাকা বেতনের চাকরি, সেই টাকাও হাতে পেতাম ভেঙ্গে ভেঙ্গে। সেটাও চলে গেলে অনেক বড় বিপদে পড়তে হয়েছিলো। আশ্রিত থেকেছি পরিচিত বা বন্ধুদের ওপর অনেকদিন। কিন্তু আপোষ করিনি, সেই পত্রিকাটি থেকেই আরো অনেকবার ডাক পড়েছিলো, যাইনি। এবং এই আপোষ না করার স্বভাব ছাড়িনি বলে আজ পর্যন্ত কোনও চাকরিতে পুরো একটা বছর কাটাতে পারিনি।

এই বাজারে চাকরি ছেড়ে দেয়া বা বেকার জীবনকে স্বেচ্ছায় বেছে নেয়া যে কী ভয়াবহ সাহসিকতার কাজ, তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। তোমার লেখা পড়তে ভালো লাগে, এবার মানুষ হিসেবেও তোমার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। যথাশিঘ্র তোমার অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন আসুক- এই কামনা করি।
28 February at 09:50
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Goonjon da... aaami r kichhu bolbo na, apnar sathe ekatto onuvob korchhi... dada, bhalo thakus
28 February at 10:06
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Parimal da... dada, ami house policy bujhi, apnader moto committed journalism korini baastobe, kintu academic bo0jhaporaay ta jani. Kono asha nie na, jibikaar taronatei ekhane kaaj niechhilam,vebechhilam jototuku pari. Charki chhaRATA AAMAR PROTIBAAD, OGONOTANTRIK BEBOSTHAPONA NIE, AMI CHAINI, EI POTTRIKA SOMAJTONTRO KORUK, CHEYECHHI EKTU DEMOCRATIC HOCK, SETAO HOYNI, R AMIO PROTIBAAD JARI RAKHTE PARINI, EI BERTHOTA AAMAR. aMI SEI DAAYBODDHOTA SHIKAR KOREI RESIGN KORECHHI....
28 February at 10:11
Shafi Sumodro
Shafi Sumodro
Sabbash badhon da. Arokom Du-shahosh onekai dakhate pare na. ani biswas kori akjon Sadhincata manush kokhono bogoler nica EEt capia rakhta pare na. apnio aposh koren nai thunko manoshikotar proti. apnak Lal Salam.
28 February at 13:01
Jishu Mohammad
Jishu Mohammad
lal salam.
28 February at 15:15
Salim Reza Newton
Salim Reza Newton
অভিনন্দন, বাধন!

আমরা যারা তোমাকে চিনি, বাধন, তারা অবাক হবো না। চাকরির চেয়ে বড় জিনিসও তুমি সিদ্ধান্ত নিলে প্রত্যাখ্যান করতে পারবে তাতে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।

সিদ্ধান্ত তোমার। প্রতিবাদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সালাম জানাই। ... See more

"কালের কণ্ঠ" পত্রিকা কি এ বিষয়ে কিছু বলবে? সম্পাদকের ইমেইল ঠিকানা এখানে দিয়ে দাও। আমরা সবাই তাকে ইমেইল করি, জিজ্ঞেস করি।

"মাধ্যম" বা এই ধরনের রিপোর্টিং বিষয়ক জার্নালে পারলে একটু লিখ। সবাই জানুক।

অনেক ভালোবাসা জেনো।
মন শক্ত রেখো।
আমাদের যেতে হবে বহু দূর ...
28 February at 16:53
Maruf Babu
Maruf Babu
bondhu ami jeta'k vul bolchilam phn'a. hok tobu dorkar chilo, acheO. thanks bondhu.. chole aay taratari notun kore vabte hobe amader, kaj korte hobe. valo thakis, dekha hobe.
28 February at 19:30
Mahfuz Ullah Babu
Mahfuz Ullah Babu
"প্রতিবাদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সালাম জানাই। "
সাহসী সাংবাদিকতা জীবনে তোমার সাফল্য কামনা করি বন্ধু।
28 February at 20:30
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
Shafi, Mahfuz ebong Shafi bhai, dhonnobaad!
28 February at 21:59
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
@Newton bhai... Maddhom ei lekhata dharon korte parbe na, keno parbe na, seta ami samnasamni apnake janabo, khub druto Rajshahi ashchhi...
Abed bhai email-e onovvosto. onar phn number ami apnake dichchhi email-e message kore, ekhane dichchhi na, kenona uni 'public fugure' oneke nishok disturbed korbar jannya phn korte pare. R aamar char masher ... See moreoviggota (jeta ami tuke rekhechhi), aamar resign letter eobong ekti prostabona nie pray 2forma jinish darabe. Apni bhumica likhlei kebol ami ota prokash korbo ekhon... Missing youy!
28 February at 22:14
Zohaer Ibna Kalim
Zohaer Ibna Kalim
badhn... ami sudhu bollam -egiye jao.
28 February at 22:51
Asaduzzaman Jewel
Asaduzzaman Jewel
যে লেখার জন্য চাকরি ছেড়ে দিলেন সে লেখাটা কি আমরা পড়তে পারবো না দাদা? আমাদের সেৌজন্যে ফেইসবুকে ছেপে দিন....
Mon at 01:25
Badhan Adhikari
Badhan Adhikari
SOBAR UDDESHSHE BOLCHHI, EKHANE PARIMAL MAJUMDAR EKTA COMMENT KORECHHILO, TAAR NICHE AMI UTTOR KORECHHI JETA EKHONO BIDDOMAAN, KONO EK OGGATO KARONE UNI ONAR COMMENT TA WITHDRAW KORE NIYECHHEN. eTI OGOTANTRIK, AMI TIBBRO PROTIBAAD KORCHHI...........
Mon at 18:04
Shiblee Noman
Shiblee Noman
badhan, tomar siddhanto niye kono comment korte chai na. shudhu etuku bolte chai, hoyto aami kaler kanthe chakri korle tomar ei lekhata shudhu-i porte partam! ebong tarpor aami je porechhi- sei promantao kothao hajir korar chesta theke biroto thaktam! ebhabei aamra 'free & democratic'!
Mon at 19:59
Swadhin Sen
Swadhin Sen
Abhinandan..
Tues at 01:11
Md Ariful Islam Sumon
Md Ariful Islam Sumon
great dada.......wish u all the best
Tues at 14:46
Ashik Sarwar
Ashik Sarwar
Listen ur thoughts and follow ur ideology...best of luck..
Yesterday at 12:17
Badhan Adhikari: কালের কণ্ঠে আমি আর চাকরীরত না... লজ্জাবনত শহীদ মিনারের আপডেট

৬১| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২২

লালসালু বলেছেন: চোখে পানি চলে এসেছে

০৬ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:২৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: আসারই কথা।

৬২| ০৬ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:২৪

আশীফ এন্তাজ রবি বলেছেন: প্রিয় ত্রিশোনকু, বিডিআর বিদ্রোহ(?) নিয়ে আমি একটি ছোট্ট লেখা লিখেছিলাম। কোন বিশ্লেষণ নয়, কোন চুলচেরা গবেষণা নয়, কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নয়, জাস্ট কয়েকজন মানুষের অকাল মৃত্যু নিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস মূলক লেখা। যারা মারা গেছেন, প্রথমত তারা মানুষ, দ্বিতীয়ত তারা আর্মি অফিসার। আমিও প্রথমত একজন মানুষ , দ্বিতীয়ত একজন ব্লগার। একজন মানুষ হিসেবে কিছু অকাল প্রয়াত মানুষদের নির্দোষ স্মরণ।


লেখায় কে কি কমেন্ট করলো তা নিয়ে আমি ভাবিত নই, কখনোই ছিলাম না। কিন্তু তবুও আমি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম, একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‌হুমমম । মেজাজ ঠিক রাখতে পারলাম না, লিখতাম হুমমম চোদাচ্ছ কেন ? এরপর যে কাজটি করলাম, সে কাজটি করতে আমার খানিকটা সময় লাগলো। তাকে ব্লক করলাম। মোটামুটি দীর্ঘকাল যাবতই ব্লগিং করি, কিন্তু কখনও কাউকে ব্লক করিনি। সময়টা সেই কারণেই লেগেছিল।

সুহৃদ ত্রিশোনকু, আমি আপনার পুত্রসম। তারচে' বড় কথা একজন সহ ব্লগার। বয়সের ব্যাপক ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও এই যে আমার আপনার সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের জোরে বিনয়ের সাথে বলছি, ওদের সাখে তর্কে জড়িয়ে সময় নষ্ট নাইবা করলেন। কী লাভ তাতে?


এই অমঙ্গলময় দেশে বলতে কারও মঙ্গলকামনা করাও পাপ। তবুও বলি, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।



০৬ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: যারা মারা গেছেন, প্রথমত তারা মানুষ,


-শুধুমাত্র তাদের স্মৃতির সম্মানেই আমার এই পোষ্ট। শুধু বক্তব্য শেষে তিন লাইনের একটা জিজ্ঞাস্য ছিল:

আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?

গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?

তার আগের দশ বছরে এভাবে কতজন মরেছে?


এই প্রশ্নটি ছিল পরিসংখ্যান গ্রাহ্য একটি জিজ্ঞাসা। মতামতের, ভাবের সাংঘর্ষিক অবস্থানের কোন স্থান নেই এখানে। মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান যখন বিডিআর প্রধান, তখন বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ৩০টি বিএসএফের লাশ পড়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে। পরে জেনারেল ফজলু চাকুরীচ্যুত হন এ কারনেই।

আসলে আমি যা যা বলেছি তার সত্যতা যাচাই করা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রের পক্ষেও সম্ভব।

সুহৃদ ত্রিশোনকু, আমি আপনার পুত্রসম।

-আমার মা আর আমার বয়সের যে ব্যাবধান আমার সাথে আমার কনিষ্ঠ অনুজের ব্যাবধান তার চেয়ে ৩ বছরেরও বেশী। আমি তাই সব সময়ই প্রজন্ম ব্যাবধান নিয়ে ত্রিশোঙ্কু অবস্থায় থাকি।

আমার জেষ্ঠতম বন্ধু আমারই অংকন শিক্ষক (১৯৬৪-৬৬) প্রাতঃ স্মরনীয় মোস্তফা মনোয়ার (৭০+), কনিষ্ঠটি আমার কনিষ্ঠ সন্তানের সহপাঠি (১৩)। এদের সাথে যখন আড্ডা দেই আমি সব সময়ই আমার বয়স ভুলে যাই।

তারচে' বড় কথা একজন সহ ব্লগার।বয়সের ব্যাপক ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও এই যে আমার আপনার সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের জোরে বিনয়ের সাথে বলছি, ওদের সাখে তর্কে জড়িয়ে সময় নষ্ট নাইবা করলেন। কী লাভ তাতে?

-আমি দেশ প্রেমিক নই-স্বপ্রেমিক (Narcissistic). কিন্তু দেশের মাটির প্রতি একটা দায় থেকে যায় আমাদের সবারই। দলীয় আনুগাত্যের খাতিরে সে দায় অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এব্যাপারে যে সময়টা আমি ব্যয় করি আমি মনে করি তা অত্যন্ত অর্থবহ। অর্থনৈতিক ভাবে আমি যদি আরেকটু স্বাধীন হতাম, তাইলে আমি সময় আরো বেশী দিতাম এ বিষয়ে।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এই মহিলার এই কষ্টটাকে আমি যদি উপুর করে আকাশের উপর ঢেলে দেই, তাহলে গোটা আকাশ জুড়ে থাকবে- কেবল কান্না আর কান্না। এই শোক, এই কষ্ট ধারণ করার জন্য গোটা একটা আকাশও যথেষ্ট নয়।

আজ রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ছিলনা। প্রধানমন্ত্রীও যানটি বনানীর গোরস্থানে ফুল দিতে


কিছু কিছু কথা অসমাপ্তই রাখা শ্রেয়।

প্রচন্ড ভার বোধ হচ্ছে আপনার অত্যন্ত জোড়ালো, ছোট্ট লেখাটা পড়ে। হে ইশ্বর! এমন ভার আমাকে দিওনা যা বহন করতে আমি অক্ষম।

যে অফিসারটির কথা আপনি আপনার ব্লগে লিখেছেন, সে সম্ভবত: মেজর হুমায়ুন হায়দার, পিএস সি।

ভাল থাকবেন। আপনাদের সাহচার্য্ই আমার অনুপ্রেরণা।

৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:২৬

মেরিনার বলেছেন: কষ্ট করে আবার দেখুন:

www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29110847

০৬ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমার সবই তো দখল করে নিয়েছো:
আমার খবরের কাগজগুলোর পাতাগুলো
আমার শহরের চিকা মারার দেয়ালগুলো
আমার সমুদ্র-বন-জঙ্গল-পাহাড়-প্রান্তর সব ৷

আমার সবই তো দখল করে নিয়েছো:
আমার বই বা পত্রিকার রঙ্গিন পাতাগুলো,
আমার আধুনিক টিভির প্রশস্ত পর্দাগুলো,
আমার বসার ঘরের নিজস্ব দেয়ালগুলো ৷


-সর্বাংশে সহমত।

৬৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ট্রয়লাস অফ দ্য সী বলেছেন: আজকের গরম খবর। না পড়লে মিস করবেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৯:১৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: ?

৬৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সমুদ্রের তীরে বলেছেন: .......................................................
তোমাদের হারিয়ে আমরা শোকার্ত-ব্যথিত,
আমাদের বুকের প্রতিটি শিরা-উপশিরা আজ অশান্ত,
কিন্তু আমাদের হাত-পা বাধা, আমরা কিছুই করতে পারছিনা---
.....................................................
ঠিক সেই ২৫শে ফেব্রুয়ারীর মতো, যে দিন ওরা তোমাদের....
....................................................................
.........................................................................
.............................................................................

ক্ষমা করো আমাদের, আমাদের অক্ষমতার জন্য।

...............................................................
আর তোমাদের রেখে যাওয়া সেই সীমান্তে
এখন বর্গীরা নিয়মিত হানা দেয়।
..................................

সেই ২৫শে ফেব্রুয়ারীর মতো-----
আমরা কিছুই করতে পারছিনা, আমাদের হাত-পা যে বাধা।
..........................................................................
.........................................................................
তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও।

০৯ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: আর তোমাদের রেখে যাওয়া সেই সীমান্তে
এখন বর্গীরা নিয়মিত হানা দেয়,

আর তোমাদের রেখে যাওয়া সেই সীমান্তে
এখন বর্গীরা নিয়মিত হানা দেয়,

আর তোমাদের রেখে যাওয়া সেই সীমান্তে
এখন বর্গীরা নিয়মিত হানা দেয়।

৬৬| ১২ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:৩১

প্রবাসী রনি বলেছেন: ওদের আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি, ...................

১২ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমিন।

৬৭| ১২ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৮

কালপুরুষ বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়ছি। দুদিন ছুটি।

আপনাকে পরশু থেকে মোবাইলে পাচ্ছিনা। অন্য কোন নম্বর থাকলে আমাকে কল করুন। জরুরী দরকার ছিল।

ভাল থাকুন।

১২ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: বাম হাতের কব্জি , বাম পজরেরর তিনটি হাড্ডি ভেংগে আপাতত বিছানায়। কব্জির ফোলা না কমলে হাতের অপারেশন সম্ভব নয়। টেলিফোন কমপিউটার নিষিদ্ধ।

কন্যার সহায়তায় লুকিয়ে লিখছি।

স্ত্রী ও দুই পুত্র বাইরে।

আপনি এক্ষুনি ইমিইল করলে জবাব দিতে পারবো।

১৩ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০১

ত্রিশোনকু বলেছেন: কথা হ'ল আপনার সাথে। ভাল বুঝিনি।

ইমেইলে বিস্তারিত জানন।

৬৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

কালপুরুষ বলেছেন:
ওহ্ মাই পড!! হঠাৎ করে এই অবস্থা কি করে হলো? তাইতো আপনাকে পাচ্ছিনা।

আপনার ই-মেইল আইডি দিন। আমার লাস্ট পোস্টে দিয়ে দিন। লেখার পর মুছে ফেলবো।

তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। শুভ কামনা রইলো।

১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: [email protected]. No need to delete.

৬৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:১০

কালপুরুষ বলেছেন: আপনার প্রোফাইলে মেইল আইডি পেয়েছি। যদিও আমার হটমেইল নেই। ইয়াহু থেকে পাঠাবো।

১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২০

ত্রিশোনকু বলেছেন: পেয়েছি, ধন্যবাদ।

৭০| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৯

আমি বিপ্লবী বলেছেন: পড়ুন:

www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29116088

১৪ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: পড়লাম। অত্যন্ত দুঃখ জনক।

৭১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৮

স্বপ্নরাজ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট । প্রিয়তে। যারা মারা গেল তাদের দেশপ্রেম পরীক্ষিত । লাভ হলো কার , জানে সবাই। বিডিআর কেন বদলি করা হলো , বোঝা যায় সহজেই। কিন্তু এই দেশে দেশদ্রোহী মীরজাফরদেরই জয় হয় সবসময় তাদের আন্ডা- বাচ্চায় ভরা দেশ। এই সব অফিসারদের দুর্ভাগ্য তারা দেশপ্রেমিক ছিলেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: অন্তরের অন্তস্থলের কৃতজ্ঞতা।

৭২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৩

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: আটক ছিলাম, তই মন্তব্য করতে দেরি হলো| বেল পাইলাম গত কাল|

আপনি কাদের সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন....???

মৃত মানুষকে শ্রদ্বা জানানো ওদের রক্তেই নাই, মা-বাবাও শিখায় নাই, বাদ দেন ওসব|

ওরা দেশকে ভালবাসে কিন্ত দেশকে রক্ষায় যে সেনা বাহিনী সবার আগে বুক পেতে দিবে তাদেরকে পছন্দ করে না.........!!!!

কারনটা কী......???

কারন হলো সেনা বাহিনীর জন্যই সীমানা তুলে দিয়ে করদ রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী হয়ে আজীবন দেশটারে লুট-পাট করার খায়েশ ওদের পূর্ন হচ্ছে না|

সেই যে লুট-পাটের স্বর্নযুগে বীর মুক্তিযোদ্বা মেজর জলিল লুট-পাটে বাধা হয়ে দাড়ালেন সে হতে শুরু.......।

চোরের গুষ্ঠির দেশ প্রেম টনটনে, ওরা দেশ চায় তবে সেনা বাহিনী ছাড়া দেশ চায়.........!!!!!!!!

কোথায় পাবেন এমন আজব দেশ, যে দেশে সেনা বাহিনী নাই.....???

আছে, আছে, সিকিম কত সুখে আছে, ওরাই সিকিম হতে চায়.....!!!!!!




















সহমত





১৯ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৪

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: দেশের জন্য ভালোবাসা নেই যতটুকু দরকার

১৯ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের যা আছে তার ছিঁটেঁ ফোঁটাও নেই।

৭৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৫

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: ওরা দেশকে ভালবাসে কিন্ত দেশকে রক্ষায় যে সেনা বাহিনী সবার আগে বুক পেতে দিবে তাদেরকে পছন্দ করে না

১৯ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২০

ত্রিশোনকু বলেছেন: সবাই নয়, কেউ কেউ।

৭৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

র হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট! প্লাস++++++

Bangladesh travel information

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.