নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ত্রিভুজ নেটওয়ার্ক

© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ

ত্রিভুজ

[email protected] http://trivuz.com ব্লগিং করে সমাজ পরিবর্তনের ফ্যান্টাসি আর নাই

ত্রিভুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুকুমার রায় সমগ্র .... (১)

০৮ ই মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:২৯

কত বড়

সুকুমার রায়



ছোট্ট সে একরতি ইঁদুরের ছানা,

ফোটে নাই চোখ তার, একেবারে কানা।

ভাঙা এক দেরাজের ঝুলমাখা কোণে,

মার বুকে শুয়ে শুয়ে মার কথা শোনে।



যেই তার চোখ ফোটে সেই দেখে চেয়ে -

দেরাজের ভারি কাঠ চারিদিক ছেয়ে।

চেয়ে বলে, মেলি তার গোল গোল আঁখি -

ওরে বাবা! পৃথিবীটা এত বড় নাকি?



-----------------------

সুকুমার রায়ের বেশ কিছু সুন্দর কবিতা রয়েছে। সেই কবিতাগুলো এখানে সব জড়ো করবো ভাবছি। আমার বইটি খুঁজে পাচ্ছি না... সুতরাং আপনার জানা কবিতাগুলো দিয়ে সাহায্য করলে খুশি হবো.... :)



--------------

সুকুমার রায়ের যে কয়টা কবিতা এখানে আছে

1. কত বড়

2. হরিষে বিষাদ

3. দাঁড়ের কবিতা

4. অসম্ভব নয়

5. আশ্চর্য

6. দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায়

7. হারিয়ে পাওয়া

8. বড়াই

9. বোম্বাগড়ের রাজা

10. বুঝিয়ে বলা

11. গন্ধ বিচার

12. কহ ভাই কহ রে

13. ট্যাঁশ্ গরু

14. কাতুকুতু বুড়ো

15. বিজ্ঞান শিক্ষা

16. মাসি গো মাসি

17. দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম

18. গল্প বলা

19. ভয় পেয়ো না

20. আহ্লাদী

21. শোন শোন গল্প শোন

22. কাঁদুনে

23. আকাশের গায়ে

24. ঢপ ঢপ ঢাক ঢোল

25. পাকাপাকি

26. ভালোরে ভালো

27. সৎপাত্র

28. আবোল তাবোল

29. থিচুড়ি

30. কাঠবুড়ো

31. শব্দকল্পদ্রুম

32. গোঁফ চুরি

33. ও বাবা

34. বাবুরাম সাপুড়ে

35. বিচার

36. কুম্

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৩০

অতিথি বলেছেন: হরিষে বিষাদ
সুকুমার রায়

দেখছে খোকা পঞ্জিকাতে এই বছরে কখন কবে
ছুটির কত খবর লেখে, কিসের ছুটি কদিন হবে।
ঈদ, মহরম, দোল, দেওয়ালি, বড়দিন আর বর্ষশেষে---
ভাবছে যত ফুল্লমুখে, ফুর্তিভরে ফেলছে হেসে।
এমন কালে নীল আকাশে হঠাত্ খ্যাপা মেঘের মতো,
উথলে ছোটে কান্নাধারা ডুবিয়ে তাহার হর্ষ যত।
দকি হল তোর?' সবাই বলে, দকলমটা কি বিঁধল হাতে?'
দজিভে কি তোর দাঁত বসালি?' দকামড়ালো কি ছারপোকাতে?'

প্রশ্ন শুনে কান্না চড়ে, অশ্রু ঝরে দ্বিগুণ বেগে,
পঞ্জিকাটি আছড়ে ফেলে বল্লে কেঁদে আগুন রেগে---
দঈদ পড়েছে জষ্ঠিমাসে গ্রীষ্মে যখন থাকেই ছুটি,
বর্ষশেষ আর দোল তো দেখি রোববারেতেই পড়লো দুটি।
দিনগুলোকে করলে মাটি মিথ্যে পাজি পঞ্জিকাতে---
মুখ ধোব না, ভাত খাব না, ঘুম যাব না আজকে রাতে।'

২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৪

অতিথি বলেছেন: ভালো লাগল। কপিরাইট ঠিক করে লেখো। পরে কিন্তু ফাঁসবা। আর মাঝে মাঝে নিজের কবিতাও ছাড়তে পারো। শুভাকাংখী হিসেবে সাজেশন।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৯

অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ আড্ডবাজ.... আমার কালেকশনে বেশী নাই.... যে কয়টা ওয়েব থেকে পাচ্ছি সেগুলো দিচ্ছি.....
--------------------

দাঁড়ের কবিতা - সুকুমার রায়

চুপ কর্ শোন, শোন, বেয়াকুল হোস্ন্লে
ঠেকে গেছি বাপ্রে কি ভয়ানক প্রশ্নে!
ভেবে ভেবে লিখে লিখে বসে বসে দাঁড়েতে
ঝিম্ঝিম্ টন্টন্ ব্যথা করে হাড়েতে।
এক ছিল দাঁড়িমাঝি্ল দাড়ি তার মস্ত,
দাড়ি দিয়ে দাঁড়ি তার দাঁড়ে খালি ঘষ্তে।
সেই দাঁড়ে একদিন দাঁড়কাক দাঁড়াল,
কাঁকড়ার দাঁড়া দিয়ে দাঁড়ি তারে তাড়াল।
কাক বলে রেগেমেগে, "বাড়াবাড়ি ঐ ত!
না দাঁড়াই দাঁড়ে তবু দাঁড়কাক হই ত?
ভারি তোর দাঁড়িগিরি শোন বলি তবে র্লে
দাঁড় বিনা তুই ব্যাটা দাঁড়ি হোস কবে রে?
পাখা হলে পাখি হয় ব্যাকরণ বিশেষ্লে
কাঁকড়ার দাঁড় আছে, দাঁড়ি নয় কিসে সে?
দ্বারে বসে দারোয়ান, তারে যদি দ্বারী কয়,
দাঁড়ে-বসা যত পাখি সব তবে দাঁড়ি হয়!
দূর দূর! ছাই দাঁড়ি! দাড়ি নিয়ে পাড়ি দে!"
দাঁড়ি বলে, "ব্যাস্ ব্যাস্! ঐখেনে দাঁড়ি দে!"

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪০

আশরাফ রহমান বলেছেন: ত্রিভূজ ভাই, হঠাৎ কবিতা প্রেমী হয়ে গেলেন যে! মাজেজাটা কি? নিজেই এই ময়দানে নামবেন নাকি? সুস্বাগতম।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪১

অতিথি বলেছেন: অসম্ভব নয়! -সুকুমার রায়

এক যে ছিল সাহেব, তাহার
গুণের মধ্যে নাকের বাহার।
তার যে গাধা বাহন, সেটা
যেমন পেটুক তেমনি ঢ্যাঁটা।
ডাইনে বল্লে যায় সে বামে
তিন পা যেতে দুবার থামে ।
চল্তে চল্তে থেকে থেকে
খানায় খন্দে পড়ে বেঁকে।
ব্যাপার দেখে এমি্নতরো
সাহেব বললে সবুর করো্ল
মাম্দোবাজি আমার কাছে?
এ রোগেরও ওষুধ আছে।"
এই না বলে ভীষন েেপ
গাধার পিঠে বস্ল চেপে
মুলোর ঝুটি ঝুলিয়ে নাকে
আর কি গাধা ঝিমিয়ে থাকে?
মুলোর গন্ধে টগবগিয়ে
দৌড়ে চলে লমফ দিয়্লে
যতই ছোটে 'ধরব' ব'লে
ততই মুলো এগিয়ে চলে !
খাবার লোভে উদাস প্রাণে
কেবল ছোটে মুলোর টানে ্ল
ডাইনে বাঁয়ে মুলোর তালে
ফেরেন গাধা নাকের চালে।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩

অতিথি বলেছেন: আরেহ না আশরাফ ভাই... আমি একজন রিটায়ার্ড কবি... আগে বহুত লিখছি.. .... সুকুমার রায়ের কবিতাগুলো খুব মিস করি... এক বন্ধু হটাৎ একটি কবিতা মেইল করেছে.. তাই পুরান সখ চাপছে.... এর আগে মাধবী অনেক কবিতা পোষ্ট করেছিলো.. তবে সে বেশী মজারগুলোর সিরিয়াল ঠিক রাখে নাই.. আমি সেটা করার চেষ্টা করছি...
-------------------------------

আশ্চর্য ! -সুকুমার রায়

নিরীহ কলম, নিরীহ কালি,
নিরীহ কাগজে লিখিল গালি্ল
"বাঁদর বেকুব আজব হাঁদা
বকাট্ ফাজিল অকাট্ গাধা।"
আবার লিখিল কলম ধরি
বচন মিষ্টি, যতন করি্ল
"শান্ত মানিক শিষ্ট সাধু
বাছারে, ধনরে, লক্ষ্মী যাদু।"
মনের কথাটি ছিল যে মনে,
রটিয়া উঠিল খাতার কোণে,
আঁচড়ে আঁকিতে আখর ক'টি
কেহ খুশী, কেহ উঠিল চটি!
রকম রকম কালির টানে
কারো হাসি কারো অশ্রু আনে,
মারে না, ধরে না, হাঁকে না বুলি
লোক হাসে কাঁদে কি দেখি ভুলি?
সাদায় কালোয়া কি খেলা জানে?
ভাবিয়া ভাবিয়া না পাই মানে।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৫

অতিথি বলেছেন: দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায় -সুকুমার রায়

দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায়
নাচলে লোকের স্বস্তি কোথায়?
এমমি দশাই তার কপালে লেখে।
কথার পাকে মানুষ মেরে
মাকড়জীবী ঐ যে ফেরে,
গড় করি তার অনেক তফাৎ থেকে।

*বিখ্যাত ইংরাজি কবিতার অনুকরণে

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৬

অতিথি বলেছেন: হারিয়ে পাওয়া -সুকুমার রায়

ঠাকুরদাদার চশমা কোথা?
ওরে গুনশা হাবুল ভোঁতা,
দেখ্না হেথা, দেখ্না হেথা্ল খোজ না নিচে গিয়ে।

কই কই কই? কোথায় গেলে?
টেবিল টানো ডেস্কো ঠেল,
ঘরদোর সব উল্টে ফেলে - খোঁচাও লাঠি দিয়ে।

খুজছে মিছে কুজোর পিছে,
জুতোর ফাঁকে, খাটের নিচে,
কেউ বা জোরে পদর্া খিচে ্ল বিছানা দেখে ঝেড়্লে

লাফিয়ে ঘুরে হাফিয়ে ঘেমে
কান্ত সবে পড়ল থেমে,
ঠাকুরদাদা আপনি নেমে আসেন তেড়েমেড়ে।

বলেন রেগে, "চশমাটা কি
ঠ্যাং গজিয়ে ভাগল নাকি
খোঁজার নামে কেবল ফাঁকি ্ল দেখছি আমি এসে!"

যেমন বলা দারুন রোষে
কপাল থেকে অমমি খসে
চশমা পড়ে তক্তপোশে ্ল সবাই ওঠে হেসে!

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৬

আশরাফ রহমান বলেছেন: চালিয়ে যান, আমার কাজে লাগবে কবিতাগুলি।

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৮

অতিথি বলেছেন: বড়াই -সুকুমার রায়

গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাং বেঁধেছেন বাসা,
মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।
রাজার হাতি হাওদা -পিঠে হেলে দুলে আস্লে
বাপরে ব'লে ব্যাং বাবাজি গর্তে ঢোকেন ত্রাসে!
রাজার হাতি মেজাজ ভারি হাজার রকম চাল ;
হঠাৎ রেগে মটাং করে ভাঙল গাছের ডাল।
গাছের মাথায় চড়াই পাখি অবাক হ'য়ে কয়্ল
বাসরে বাস! হাতির গায়ে এমন জোরও হয়!
মুখ বাড়িয়ে ব্যাং বলে, ভাই তাইত তোরে বলি্ল
"আমরা, অথর্াৎ চার-পেয়েরা, এমি্ন ভাবেই চলি"

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৯

অতিথি বলেছেন: একটা ধইন্না পাতাও দিলেন না... মহা কিপ্টুস দেখি আপনে.. :/

---------------------------------

বোম্বাগড়ের রাজা -সুকুমার রায়

কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা্ল
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা?
রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে কেন রানীর দাদা?
কেন সেথায় সর্দি হলে ডিগবাজি খায় লোকে?
জোছ্না রাতে সবাই কেন আলতা মাথায় চোখে?
ওস্তাদেরা লেপ মুড়ি দেয় কেন মাথায় ঘাড়ে?
টাকের পরে পন্ডিতেরা ডাকের টিকিট মারে।
রাত্রে কেন ট্যাঁক্ঘড়িটা ডুবিয়ে রাখে ঘিয়ে।
কেন রাজার বিছ্না পাতে শিরীষ কাগজ দিয়ে?
সভায় কেন চেঁচায় রাজা "হুক্কা হুয়া" বলে?
মন্ত্রী কেন কলসী বাজায় বসে রাজার কোলে?
সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?
কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন রাজার পিসী?
রাজার খুড়ো নাচেন কেন হুঁকোর মালা পরে?
এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পার মোরে?

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫০

অতিথি বলেছেন: বুঝিয়ে বলা -সুকুমার রায়

ও শ্যামাদাস ! আয় ত দেখি ব'স্ তো দেখি এখেনে,
সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব পাঁচ মিনিটে দেখে নে।
জ্বর হয়েছে? মিথ্যে কথা! ওসব তোদের চালাকি্ল
এই যে বাবা চেঁচাচ্ছিলে, শুনতে পাইনি? কালা কি?
মামার ব্যামো? বদ্যি ডাকবি? ডাকিস না হয় বিকেলে;
না হয় আমি বাৎলে দেব বাঁচ্বে মামা কি খেলে।
আজকে তোকে সেই কথাটা বোঝাবই বোঝাব্ল
না বুঝবি ত মগজে তোর গজাল মেরে গোঁজাব।
কোন্ কথাটা? তাও ভুলেছিস্? ছেড়ে দিছিস্ হাওয়াতে?
কি বলছিলেম পরশু রাতে বিষ্টু বোসের দাওয়াতে?
ভুলিস্নি ত বেশ করেছিস, আবার শুনলে িেত কি?
বড় যে তুই পালিয়ে বেড়াস্, মাড়াসনে যে এদিক্ই!
বলছি দাঁড়া, ব্যস্ত কেন? বোস্ তাহলে নিচুতেই্ল
আজকালের এই ছোক্রা গুলোর তর্ সয় না কিছুতেই।
আবার দেখ! বসলি কেন? বই গুলো আন্ নামিয়্লে
তুই থাক্তে মুটের বোঝা বইতে যাব আমি এ?
সাবধানে আন ,ধরছি দাড়া ্ল সেই আমাকেই ঘামালি ্ল
এই খেয়েছে! কোন্ আক্কেলে শব্দকোষটা নামালি?
ঢের হয়েছে! আয় দেখি তুই বোস্ ত দেখি এদিক্লে
ওরে গোপাল ,গোটা কয়েক পান দিতে বল্ খেঁদিকে।
বলছিলাম কি, বস্তুপিন্ড সূক্ষ্ম হতে স্থূলেতে,
অথর্াৎ কিনা লাগছে ঠেলা পঞ্চভূতের মূলেত্লে
গোড়ায় তবে দেখ্তে হবে কোত্থেকে আর কি ক'রে,
রস জমে এই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে।
অথর্াৎ কিনা, এই মনে কর্ রোদ পড়েছে ঘাসেতে,
এই মনে কর্, চাঁদের আলো পড়লো তারি পাশেত্লে
আবার দেখ! এরই মধ্যে হাই তোলবার মানে কি?
আকাশ পানে তাকাস্ খালি, যাচ্ছে কথা কানে কি?
কি বল্লি তুই? এ সব শুধু আবোল তাবোল বকুনি?
বুঝতে হলে মগজ লাগে, ব'লেছিলাম তখুনি।
মগজভরা গোবর তোদের হচ্ছে ঘুঁটে শুকিয়ে,
যায় কি দেওয়া কোন কথা তার ভিতরে ঢুকিয়ে?
ও শ্যামাদাস ! উঠলি কেন? কেবল যে চাস্ পালাতে!
না শুনবি ত মিথ্যে সবাই আসিস্ কেন জ্বালাতে?
তত্ত্বকথা যায় না কানে যতই মরি চেঁচিয়ে ্ল
ইচ্ছে করে ডান্পিটেদের কান মলে দি পেঁচিয়ে।

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১

অতিথি বলেছেন: গন্ধ বিচার -সুকুমার রায়

সিংহাসনে বস্ল রাজা বাজল কাঁসর ঘন্টা,
ছট্ফটিয়ে উঠল কেঁপে মন্ত্রীবুড়োর মনটা।
বললে রাজা, "মন্ত্রী, তোমার জামায় কেন গন্ধ?"
মন্ত্রী বলে, এসেন্স দিছি্ল গন্ধ ত নয় মন্দ।
রাজা বলেন মন্দ ভালো দেখুক শুঁকে বদ্যি,"
বদ্যি বলে, আমার নাকে বেজায় হল সর্দি।
রাজা হাঁকেন , "বোলাও তবে -রাম নারায়ণ পাত্র।
পাত্র বলে, নস্যি নিলাম এনি এইমাত্র্ল
নস্যি দিয়ে বন্ধ যে নাক, গন্ধ কোথায় ঢুকবে?
রাজা বলেন, "কোটাল তবে এগিয়ে এস শুক্বে।
কোটাল বলে, পান খেয়েছি মশলা তাহে কপর্ূর,
গন্ধে তারি মুন্ড আমার এক্কেবারে ভরপুর।
রাজা বলেন,আসুক তবে শের পালোয়ান ভীমসিং,
ভমি বলে "আজ কচ্ছে আমার সমস্ত গা ঝিম্ ঝিম্
রাত্রে আমার বোখার হল, বলছি হুজুর ঠিক বাৎ"্ল
ব'লেই শুল রাজসভাতে চু বুজে চিৎপাত।
রাজার শালা চন্দ্রেকেতু তারেই ধ'রে শেষটা
বল্ল রাজা, তুমিই না হয় কর না ভাই চেষ্টা।
চন্দ্র বলেন, "মারতে চাও ত ডাকাও নাকো জল্লাদ,
গন্ধ শুকে মর্তে হবে এ আবার কি আহাদ?
ছিল হাজির বৃদ্ধ নাজির বয়সটি তার নব্বই,
ভাব্ল মনে, ভয় কেন আর একদিন তো মরবই্ল"
সাহস করে বল্লে বুড়ো মিথ্যে সবাই বকছিস,
শুকতে পারি হুকুম পেলে এবং পেলে বক্শিস,
রাজা বলেন, হাজার টাকা ইনাম পাবে সদ্য,
তাই না শুনে উৎসাহতে উঠ্ল বুড়ো মদ্দ।
জামার পরে নাক ঠেকিয়ে ্ল শুক্ল কত গন্ধ,
রইল অটল, দেখ্ল লোকে বিস্ময়ে বাক্ বন্ধ।
রাজ্য হল জয় জয়কার বাজ্ল কাঁসর ঢক্কা,
বাপ্রে কি তেজ বুড়োর হাড়ে, পায় না সে যে অক্কা!

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১

অতিথি বলেছেন: কহ ভাই কহ রে -সুকুমার রায়

কহ ভাই কহ রে, অ্যাঁকা চোরা শহরে,
বদ্যিরা কেন কেউ আলুভাতে খায় না?
লেখা আছে কাগজে আলু খেলে মগজে
ঘিলু যায় ভেস্তিয়ে বুদ্ধি গজায় না।

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫২

অতিথি বলেছেন: ট্যাঁশ গরু -সুকুমার রায়

ট্যাঁশ্ গরু নয়, আসলেতে পাখি সে;
যার খুশি দেখে এস হারুদের আফিসে।
চোখ দুটি ঢুলু ঢুলু, মুখখান মস্ত,
ফিট্ফাট্ কালোচুলে টেরিকাটা চোস্ত।
তিন্লবাঁকা শিং তার ল্যাজখানি প্যাঁচান্ল
একটুকু ছোঁও যদি, বাপরে কি চ্যাঁচান!
লট্খটে হাড়গোড় খট্খট্ ন'ড়ে যায়,
ধম্কালে ল্যাগ্ব্যাগ্ চমকিয়ে প'ড়ে যায়।
বর্ণিতে রূপ গুণ সাধ্য কি কবিতার,
চেহারার কি বাহার ্ল ঐ দেখ ছবি তার।
ট্যাঁশ্ গরু খাবি খায় ঠ্যাস্ দিয়ে দেয়ালে,
মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলে না জানি কি খেয়ালে ;
মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়,
মাঝে মাঝে কুপোকাৎ দাঁতে দাঁত লেগে যায়।

খায় না সে দানাপানি ্ল ঘাস পাতা বিচালি
খায় না সে ছোলা ছাতু ময়দা কি পিঠালি;
রুচি নাই আমিষেতে, রুচি নাই পায়েসে
সাবানের সুপ আর মোমবাতি খায় সে।
আর কিছু খেলে তার কাশি ওঠে খক্খক্,
সারা গায়ে ঘিন্ ঘিন্ ঠ্যাং কাঁপে ঠক্ ঠক

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৪

অতিথি বলেছেন: কাতুকুতু বুড়ো -সুকুমার রায়

আর যেখানে যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার,
কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবরদার!
সর্বনেশে বৃদ্ধ সে ভাই যেও না তার বাড়ি্ল
কাতুকুতুর কুল্পি খেয়ে ছিঁড়বে পেটের নাড়ি।
কোথায় বাড়ি কেউ জানে না, কোন সড়কের মোড়ে,
একলা পেলে জোর করে ভাই গল্প শোনায় পড়ে।
বিদ্ঘুটে তার গল্পগুলো না জানি কোন্ দেশী,
শুনলে পরে হাসির চেয়ে কান্না আসে বেশী।
না আছে তার মুন্ডু মাথা, না আছে তার মানে,
তবুও তোমায় হাসতে হবে তাকিয়ে বুড়োর পানে।
কেবল যদি গল্প বলে তাও থাকা যায় সয়ে,
গায়ের উপর সুড়সুড়ি দেয় লম্বা পালক লয়ে।
কেবল বলে, " হোঃ হোঃ হোঃ, কেষ্টদাসের পিসি্ল
বেচ্ত খালি কুমড়ো কচু হাঁসের ডিম আর তিসি।
ডিমগুলো সব লম্বা মতন, কুমড়োগুলো বাঁকা,
কচুর গায়ে রঙ-বেরঙের আলপনা সব আঁকা।
অষ্ট প্রহর গাইত পিসি আওয়াজ ক'রে মিহি,
ম্যাও ম্যাও ম্যাও বাকুম বাকুম ভৌ ভৌ ভৌ চীহি।"
এই না বলে কুটুৎ করে চিমটি কাটে ঘাড়ে,
খ্যাংরা মতন আঙুল দিয়ে খোঁচায় পাঁজর হাড়ে।
তোমায় দিয়ে সুড়সুড়ি সে আপনি লুটোপুটি,
যতণ না হাসবে তোমার কিচ্ছুতে নাই ছুটি।

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৪

আশরাফ রহমান বলেছেন: আপনি দেখি কম্পোজ করে নিয়েই মাঠে নেমেছেন। ধন্যবাদ 1000000 টা দিয়ে রাখলাম । প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে নিয়েন। সাথে সর্বোচ্চ নম্বরও দিলাম।

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৮

অতিথি বলেছেন: আরেহ না.. এত কষ্ট করে কে.. ওয়েব থেকে কপি পেষ্ট মারতাছি... তবে বেছে বেছে ভাল কবিতাগুলো রাখছি এই পর্বে.....
-------------------------------

[গাঢ়]বিজ্ঞান শিক্ষা - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আয় তোর মুন্ডুটা দেখি, আয় দেখি 'ফুটোস্কোপ' দিয়ে,
দেখি কত ভেজালের মেকি আছে তোর মগজের ঘিয়ে।
কোন্ দিকে বুদ্ধিটা খোলে, কোন্ দিকে থেকে যায় চাপা;
কতখানি ভস্ ভস্ ঘিলু, কত খানি ঠক্ ঠকে কাপাঁ।
মন তোর কোন্ দেশে থাকে, কেন তুই ভুলে যাস ্ কথা্ল
আয় দেখি কোন্ ফাঁক দিয়ে, মগজেতে ফুটো তোর কোথা।
টোল্ল খাওয়া ছাতাপড়া মাথা, ফাটামত মনে হয় যেন,
আয় দেখি বিশ্লেষ ক'র্লে চোপ রও ভয় পাস কেন ?
কাৎ হয়ে কান ধ'রে দাঁড়া, জিভখানা উল্টিয়ে দেখা,
ভালো ক'রে বুঝে শুনে দেখি্ল বিজ্ঞানে যে রকম লেখা।
মুন্ডুতে ম্যাগনেট ফেলে, বাশঁ দিয়ে 'রিফেকট' করে ,
ইট দিয়ে ভেলসিটি ক'ষে, দেখি মাথা ঘোরে কি না ঘোরে।

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]মাসি গো মাসি -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

মাসি গো মাসি পাচ্ছে হাসি
নিম গাছেতে হচ্ছে শিম্্ল
হাতীর মাথায় ব্যাঙের ছাতা
কাগের বাসায় বগের ডিম্

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৯

সাদিয়া বলেছেন: কেমন আছেন?
এ্রিভুজ ভাই
সুকুমার রায়ের কবিতাতো
এখন আমার কাছে নাই......
দাড়ান,তবুও দেখছি
কোথাও যদি পাই.........
আমি কবিতা তেমন পড়িই না
তবু খুঁজতে যাই...........


২১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ছুট্ছে মোটর ঘটর্ ঘটর্ ছুট্ছে গাড়ী জুড়ি;
ছুট্ছে লোকে নানান্ ঝোকে করছে হুড়োহুড়ি ;
ছুট্ছে কত ক্ষ্যাপার মত পড়্ছে কত চাপা্ল
সাহেব মেম থম্কে থেমে বলছে "মামা! পাপা!"
আমরা তবু তবলা ঠুকে গাচ্ছি কেমন তেড়ে।
"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম! দেড়ে দেড়ে দেড়ে!"
বষর্াকালের বৃষ্টিবাদল রাস্তা জুড়ে কাদা,
ঠান্ডা রাতে সর্দিবাতে মরবি কেন দাদা?
হোক্ না সকাল হোক্ না বিকেল হোক্ না দুপুর বেলা,
থাক না তোমার আফিস যাওয়া থাক্ না কাজের ঠেলা-
এই দেখ না চাদঁ্নি রাতের গান এনেছি কেড়ে,
"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ ! দেড়ে দেড়ে দেড়ে!"
মুখ্যু যারা হচেছ সারা পড়্ছে ব'সে একা ,
কেউ বা দেখ কাঁচুর মাচুর কেউ বা ভ্যাবাচ্যাকা;
কেউ বা ভেবে হদ্দ হল ,মুখটি যেন কালি ;
কেউ বা বসে বোকার মত মুন্ডু নাড়ে খালি।
তার চেয়ে ভাই, ভাবনা ভুলে গাও না গলা ছেড়ে,
"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ !দেড়ে দেড়ে দেড়ে!"
বেজার হয়ে যে যার মত কর্ছ সময় নষ্ট্ল
হাট্ছ কত খাট্ছ কত পাচছ কত কষ্ট!
আসল কথা বুঝছ না যে, করছ না যে চিন্তা,
শুনছ না যে গানের মাঝে তব্লা বাজে ধিনতা?
পাল্লা ধরে গায়ের জোরে গিট্কিরি দাও ঝেড়ে,
"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ !দেড়ে দেড়ে দেড়ে!"

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:০৫

অতিথি বলেছেন: আরে জোস সাদিয়া
কবিতা নাই কইতাছো কাঁদিয়া
পেয়ে তোমার মন্তব্য
খুঁজে পেলাম গন্তব্য...


------------

[গাঢ়]গল্প বলা -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

"এক যে রাজা" ্ল"থাম না দাদা,
রাজা নয় সে, রাজ পেয়াদা।"
"তার যে মাতুল"- "মাতুল কি সে?
সবাই জানে সে তার পিসে"
"তার ছিল এক ছাগল ছানা"-
"ছাগলের কি গজায় ডানা?"
"একদিন তার ছাতের পরে"।
"ছাত কোথা হে টিনের ঘরে?"
"বাগানের এক উড়ে মালী"
"মালি নয় ত? মেহের আলী"্ল
"মনের সাধে গাইছে বেহাগ"্ল
"বেহাগ তো নয় ? বসন্ত রাগ।"
"থোও না বাপু ঘ্যাচা ঘেচি"্ল
"আচছা বল চুপ করেছি।
"এমন সময় বিছানা ছেড়ে
হঠাৎ মামা আসল তেড়ে,
ধরল সে তার ঝুটির গোড়া"্ল
"কোথায় ঝুটি ? টাক যে ভরা।"
ুহোক না টেকো, তোর তাতে কি?
লক্ষ্মীছাড়া মুখু্য ঢেঁকি।
ধরব ঠেসে টুটির পরে,
পিট্ব তোমার মুন্ডু ধর্লে
কথার উপর কেবল কথা,
এখন বাপু পালাও কোথা?"

২৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:০৬

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]ভয় পেয়ো না -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না-
সত্যি বলছি কুস্তি করে তোমার সঙ্গে পারব না।
মন্টা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগ্টি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না-
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
এস এস গর্তে এস, বাস করে যাও চারটি দিন,
আদর ক'রে শিকেয়ে তুলে রাখব তোমায় রাত্রি দিন।
হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাক্বে না?
মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমায় লাগবে না।
অভয় দিচ্ছি শুন্ছে না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?
বসলে তোমার মুন্ডু চেপে বুঝবে তখন কান্ডটা!
আমি আছি গিনি্ন আছেন, আছে আমার নয় ছেল্লে
সবাই মিলে কাম্ড়ে দেব মিথ্যে অমন ভয় পেলে।

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:০৭

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]আহ্লাদী -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

হাসছি মোরা হাসছি দেখ,হাসছি মোরা আহ্লাদী,
তিন জনেতে জট্লা ক'রে ফোক্লা হাসির পাল্লা দি।
হাসতে হাসতে আসছে দাদা ,আসছি আমি,আসছে ভাই,
হাসছি কেন কেউ জানে না, পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।
ভাবছি মনে, হাসছি কেন? থাকব হাসি ত্যাগ করে ,
ভাবতে গিয়ে ফিকফিকিয়ে ফেলছি হেসে ফ্যাক ক'রে ।
পাচ্ছে হাসি চাপতে গিয়ে ,পাচেছ হাসি চোখ বুজে,
পাচ্ছে হাসি চিমটি কেটে নাকের ভিতর নোখ গুজে।
হাসছি দেখে চাঁদের কলা জোলার মাকু জেলের দাঁড়
নৌকা ফানুস পিপড়ে মানুষ রেলের গাড়ী তেলের ভাঁড়।
পড়তে গিয়ে ফেলছি হেসে 'ক খ গ' আর শ্লেট দেখে-
উঠছে হাসি ভস্ভসিয়ে সোডার মতন পেট থেকে।

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:০৮

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]শোন শোন গল্প শোন -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

শোন শোন গল্প শোন, 'এক যে ছিল গুরু'
এই আমার গল্প হল শুরু।
'যদু আর বংশীধর যমজ ভাই তারা'্ল
এই আমার গল্প হল সারা।

২৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:০৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]কাঁদুনে -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ছিঁচ্ কাঁদুনে মিচকে যারা শস্তা কেঁদে নাম কেনে,
ঘ্যাঙায় শুধু ঘ্যানর্ ঘ্যানর্ ঘ্যান্ঘ্যানে আর প্যান্প্যান্লে
কুঁকিয়ে কাঁদে খিদের সময়, ফুঁপিয়ে কাঁদে ধম্কালে,
কিম্বা হঠাৎ লাগলে ব্যথা, কিম্বা ভয়ে চমকালে;
অল্পে হাসে অল্পে কাঁদে কান্না থামায় অল্পেতেই ,
মায়ের আদর দুধের বোতল কিম্বা দিদির গল্পেতেই্ল
তারেই বলি মিথ্যে কাঁদন; আসল কান্না শুন্বে কে?
অবাক হবে থম্কে রবে সেই কাঁদনের গুণ দেখে!
নন্দঘোষের পাশের বাড়ী বুথ্ সাহেবের বাচ্চাটার
কান্না খানা শুনলে বলি কান্না বটে সাচ্চা তার ।
কাঁদ্বে না সে যখন তখন, রাখ্বে কেবল রাগ পুষে,
কাঁদ্বে যখন খেয়াল হবে খুন-কাঁদুনে রাুসে!
নাইক কারণ নাইক বিচার মাঝরাতে কি ভোরবেলা,
হঠাৎ শুনি অর্থবিহিন আকাশ-ফাটন জোর গলা।
হাঁক্ড়ে ছোটে কান্না, যেমন জোয়ার বেগে নদীর বান,
বাপ মা বসেন হতাশ হয়ে, শব্দ শুনে বধির কান।
বাস্রে সে কি লোহার গলা? এক মিনিটও শান্তি নেই?
কাঁদন ঝরে শ্রাবণ ধারে, ান্ত দেবার নামটি নেই!
ঝুম্ ঝুমি দাও, পুতুল নাচাও, মিষ্টি খাওয়াও একশোবার,
বাতাস কর, চাপড়ে ধর , ফুটবে নাকো হাস্য তার।
কান্নাভরে উল্টে পড়ে কান্না ঝরে নাক দিয়ে,
গিল্তে চাহে দালানবাড়ী হাঁ খানি তার হাঁক্ দিয়ে।
ভুত- ভাগান শব্দে লোকে ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছাড়্লে
কান্নাশুনে ধন্যি বলি বুথ্ সাহেবের বাচ্চারে।

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১০

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]আকাশের গায়ে -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আকাশের গায়ে কিবা রামধনু খেলে,
দেখে চেয়ে কত লোক সব কাজ ফেলে;
তাই দেখে খুঁৎ-ধরা বুড়ো কয় চটে,
দেখছ কি, এই রং পাকা নয় মোটে

২৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১২

অতিথি বলেছেন: ত্রিভুজ, ভালো লাগলো কবিতা গুলো পড়ে।

২৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১২

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]পাকাপাকি -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আম পাকে বৈশাখে, কুল পাকে ফাগুনে,
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।
রোদে জলে টিকে রঙ পাকা কই তাহারে।
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে।
হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে!
কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টন্টন্্ল
কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠ্ন ঠন্
রাঁধুনী বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।
দুহাতে পাকালে গোফঁ তবু নাহি পাকে সে।


আমার খুব প্রিয় কবিতা ছিলো এটা... বইয়ে ছিলো.. কোন ক্লাসে মনে নাই

৩০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৩

অতিথি বলেছেন: আহসান হাবিবের কবিতা দিটে পারবেন?
কিংবা এমন কোনো সাইট যেখানে আহসান হাবিবের অনেক কবিতা পাওয়া যাবে?

৩১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৪

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]ভালরে ভাল -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

দাদা গো! দেখ্ছি ভেবে অনেক দূর্ল
এই দুনিয়ার সকল ভাল,
আসল ভাল নকল ভাল,
সস্তা ভাল দামীও ভাল,
তুমিও ভাল আমিও ভাল,
হেথায় গানের ছন্দ ভাল,
হেথায় ফুলের গন্ধ ভাল,
মেঘ-মাখানো আকাশ ভাল,
ঢেউ- জাগানো বাতাস ভাল,
গ্রীষ্ম ভাল বষর্া ভাল,
ময়লা ভাল ফরসা ভাল,
পোলাও ভাল কোমর্া ভাল,
মাছপটোলের দোলমা ভাল,
কাঁচাও ভাল পাকাও ভাল,
সোজাও ভাল বাঁকাও ভাল,
কাঁসিও ভাল ঢাকও ভাল,
টিকিও ভাল টাক্ও ভাল,
ঠেলার গাড়ী ঠেলতে ভাল,
খাস্তা লুচি বেলতে ভাল,
গিট্কিরি গান শুনতে ভাল,
শিমুল তুলো ধুনতে ভাল,
ঠান্ডা জলে নাইতে ভাল।
কিন্তু সবার চাইতে ভাল্ল
পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড়।

৩২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৫

অতিথি বলেছেন: আহসান আরেকদিন ধ্রপদী... আজ সুকুমার চলুক...

------------------------

[গাঢ়]সৎপাত্র -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

শুন্তে পেলুম পোস্তা গিয়্লে
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?
গঙ্গারামকে পাত্র পেলে?
জান্তে চাও সে কেমন ছেলে?
মন্দ নয়, সে পাত্র ভাল্ল
রঙ যদিও বেজায় কালো;
তার উপরে মুখের গঠন
অনেকটা ঠিক প্যাঁচার মতন।
বিদ্যে বুদ্ধি? বল্ছি মশাই্ল
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়!
উনিশটি বার ম্যাট্টিকে সে
ঘায়েল হ'য়ে থামল শেষে।
বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়্ল
কষ্টে- সৃষ্টে দিন চলে যায়।
মানুষ ত নয় ভাইগুলো তার্ল
একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
আরেকটি সে তৈরি ছেলে,
জাল করে নোট গেছেন জেলে।
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায়।
গঙ্গারাম ত কেবল ভোগে
পিলের জ্বর আর পান্ডু রোগে।
কিন্তু তারা উচ্চ ঘর,
কংসরাজের বংশধর!
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কি যেন হয়ে গঙ্গারামের ।
যাহোক্, এবার পাত্র পেলে,
এমন কি আর মন্দ ছেলে?

৩৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৬

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]আবোল তাবোল -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আয়রে ভোলা খেয়াল - খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।
আয় যেখানে খ্যাপার গানে
নাইকো মনে নাইকো সুর।
আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায়
মন ভেসে যায় কোন্ সুদূর।
আয় খ্যাপা-মন ঘুচিয়ে বাঁধন
জাগিয়ে নাচন তাধি্ন ধিন্ ,
আয় বেয়াড়া সৃষ্টিছাড়া
নিয়মহারা হিসাব্হীন।
আজগুবি চাল্ বেঠিক বেতাল
মাতবি মাতাল রঙ্গেত্লে
আয়রে তবে ভুলের ভাবে
অসম্ভবের ছন্দেতে।

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৭

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]খিচুড়ি - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেলে "হাঁসজারু" কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপ্লে "বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।"
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা ্ল
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লঙ্কা?
ছাগলের পেটে ছিল না জানি কি ফন্দি,
চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি!
জিরাফের সাধ নাই মাঠে ঘাটে ঘুরিতে,
ফড়িঙের ঢং ধরি, সেও চায় উড়িতে।
গরু বলে, আমারেও ধরিলো কি ও রোগে?
মোর পিছে লাগে কেন হতভাগা মোরগে?
হাতিমির দশা দেখ , ্ল তিমি ভাবে জলে যাই,
হাতি বলে , "এই বেলা জঙ্গলে চল ভাই"।
সিংহের শিং নেই , এই তার কষ্ট্ল
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট।

৩৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১৮

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]কাঠবুড়ো -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

হাঁড়ি নিয়ে দাড়িমুখো কে যেন কে বৃদ্ধ,
রোদে বসে চেটে খায় ভিজে কাঠ সিদ্ধ।
মাথা নেড়ে গান করে গুন গুন সংগীত্ল
ভাব দেখে মনে হয় না জানি কি পন্ডিত!

বিড়্ বিড়্ কি যে বকে নাহি তার অর্থ-
"আকাশেতে ঝূল ঝোলে, কাঠে তাই গর্ত।"
টেকো মাথা তেতে ওঠে গায়ে ছোটে ঘর্ম
রেগে বলে , "কেবা বোঝে এ সবের মর্ম?

আরে মোলো, গাধাগুলো একেবারে অন্ধ,
বোঝেনাকো কোন কিছু খালি করে দ্বন্ধ।
কোন্ কাঠে কত রস জানে নাকো তত্ত্ব্ল
একাদশী রাতে কেন কাঠে হয় গর্ত?"

আশে পাশে হিজি বিজি আঁকে কত অঙ্ক্ল
ফাটা কাঠ ফুটো কাঠ হিসাব অসংখ্য;
কোন ফুটো খেতে ভাল, কোনটা বা মন্দ,
কোন্ কোন্ ফাটলের কি রকম গন্ধ।

কাঠে কাঠে ঠুকে করে ঠকাঠক শব্দ,
বলে, "জানি কোন্ কাঠ কিসে হয় জব্দ।
কাঠকুটো ঘেঁটেঘুঁটে জানি আমি পষ্ট,
এ কাঠের বজ্জাতি কিসে হয় নষ্ট।

কোন্ কাঠ পোষ মানে, কোন্ কাঠ শান্ত,
কোন্ কাঠ টিম্টিমে, কোন্টা বা জ্যান্ত।
কোন কাঠে জ্ঞান নাই মিথ্যা কি সত্য,
আমি জানি কোন্ কাঠে কেন থাকে গর্ত।"

৩৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]শব্দ কল্প দু্রম্-সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম্ দ্রাম্, শুনে লাগে খট্কা্ল
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা!
শাঁই শাঁই পন্পন্ ভয়ে কান্ বন্ধ্ল
ওই বুঝি ছুটে যায় সে-ফুলের গন্ধ?
হুড়মুড় ধুপ্ধাপ্ল ওকি শুনি ভাই রে!
দেখ্ছ না হিম পড়ে ্ল যেওনাকো বাইরে।
চুপ্ চুপ্ ঐ শোন! ঝুপ্ঝাপ্ ঝ-পাস্!
চাঁদ বুঝি ডুবে গেলে?্ল গব্ গব্ গবা-স!
খঁ্যাশ্ খঁ্যাশ্ ঘঁ্যাচ্ ঘঁ্যাচ্, রাত কাটে ঐরে!
দুড়্ দাড়্ চুরমার ্ল ঘুম ভাঙে কই রে!
ঘর্ঘর ভন্ভন্ ঘোরে কত চিন্তা!
কত মন নাচে শোন্্ল ধেই ধেই ধিন্তা!
ঠুংঠাং ঢংঢং, কত ব্যথা বাজে র্লে
ফট্ফট্ বুুক ফাটে তাই মাঝে মাঝে রে!
হৈ হৈ মার্ মার্, বাপ্ বাপ্ চীৎকার্ল
মালকোঁচা মারে বুঝি? সারে পড়্ এইবার।

৩৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৬

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]গোঁফচুরি -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

হেড্ আফিসের বড় বাবু লোকটি বড় শান্ত,
তার যে এমন মাথায় ব্যামো কেউ কখনো জান্ত?
দিব্যি ছিলেন খোস্মেজাজে চেয়ারখানি চেপে,
একলা ব'সে ঝিম্ঝিমিয়ে হঠাৎ গেলেন েেপ!
আৎঁকে উঠে হাতে পা ছুঁড়ে চোখ্টি ক'রে গোল
হঠাৎ বলেন, "গেলুম গেলুম, আমায় ধ'রে তোল"!
তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে , কেউ বা হাঁকে পুলিশ,
কেউবা বলে, "কাম্ড়ে দেবে সাবধানেতে তুলিস।
ব্যস্ত সবাই এদিক ওদিক কর্ছে ঘোরাঘুরি্ল
বাবু হাঁকেন, "ওরে আমার গোঁফ গিয়েছে চুরি"।
গোঁফ্ হারান! আজব কথা ! তাও কি হয় সত্যি?
গোফ জোড়া ত তেমনি আছে, কমেনি এক রত্তি!
সবাই তাঁরে বুঝিয়ে বলে, সামন্ ধে;'রে আয়না,
মোটেও গোঁফ হয়নি চুরি, কনো তা হয় না।

রেগে আগুন তেলে রেগুন, তেড়ে বলেন তিনি,
"কারো কথার ধার ধারিনে, সব ব্যাটাকেই চিনি।
নোংরা ছাঁটা খ্যাংরা ঝাঁটা বিচ্ছিরি আর ময়লা,
এমন গোফ ত রাখ্তে জানি শ্যামবাবুদের গয়লা।
এ গোঁফ যদি আমার বলিস কর্ব তোদের জবাই"্ল
এই না ব'লে জরিমানা কল্লেন তিনি সবায়।
ভীষণ রেগে বিষম খেয়ে দিলেন লিখে খাতায়্ল
"কাউকে বেশি লাই দিতে নেই, সবাই চড়ে মাথায়।
আফিসের এই বাঁদরগুলো, মাথায় খালি গোবর
গোঁফ জোড়া যে কোথায় গেলে কেউ রাখে না খবর।
ইচ্ছে করে এই ব্যাটাদের গোঁফ ধরে খুব নাচি,
মুখু্যগুলোর মুন্ড ধ'রে কোদাল দিয়ে চাঁচি।
গোঁফকে বলে তোমার আমার ্ল গোঁফ কি কারো কেনা?
গোঁফের আমি গোফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।"

৩৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৬

অতিথি বলেছেন:

[গাঢ়]ও বাবা ! -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

পড়তে বসে মুখের পরে কাগজ খানি থুয়ে
রমেশ ভায়া ঘুমোয় পড়ে আরাম করে শুয়ে।
শুনছ নাকি ঘড়র ঘড়র নাক ডাকার ধুম?
সখ যে বড় বেজায় দেখি দিনের বেলায় ঘুম!
বাতাস পোরা এই যে থলি দেখছ আমার হাতে,
দুড়ম করে পিটলে পরে শব্দ হবে তাতে।
রমেশ ভায়া আতকে উঠে পড়বে কুপোকাৎ
লাগাও তবে ্লধুম ধাড়াক্কা ! ক্যাবাৎ! ক্যাবাৎ!
ও বাবারে এ কেরে ভাই ! মারবে নাকি চাটি?
আমি ভাবছি রমেশ বুঝি ! সব করেছে মাটি!
আবার দেখ চোখ পাকিয়ে আসছে আমায় তেড়ে,
আর কেন ভাই ? দৌড়ে পালাই , প্রানের আশা ছেড়ে!


'ভাল ছেলের' নালিশ -সুকুমার রায়

মাগো! প্রসনটা দুষ্টু এমন! খাচ্ছিল সে পরোটা
গুড় মাখিয়ে আরাম ক'রে বসে ্ল
আমায় দেখে একটা দিল ,নয়কো তাও বড়টা,
দুইখানা সেই আপনি খেল ক'ষে!
তাইতে আমি কান ধরে তার একটুখানি পেঁচিয়ে
কিল মেরেছি 'হ্যাংলা ছেলে' বল্লে
অমনি কিনা মিথ্যা করে ষাঁড়ের মত চেচিয়ে
গেল সে তার মায়ের কাছে চলে!
মাগো! এমনিধারা শয়তানি তার, খেলতে গেলাম দুপুরে,
বলল এখন খেলতে আমার মানা ্ল
ঘন্টাখানেক পরেই দেখি দিব্যি ছাতের উপরে
ওড়াচ্ছে তার সবুজ ঘুড়ি খানা।
তাইতে আমি দৌড়ে গিয়ে ঢিল মেরে আর খুচিঁয়ে
ঘুড়ির পেটে দিলাম করে ফুটো্ল
আবার দেখ বুক ফুলিয়ে সটান মাথা উচিয়ে
আনছে কিনে নতুন ঘুড়ি দুটো!

৩৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৮

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]বাবুরাম সাপুড়ে -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

বাবুরাম সাপুড়ে,
কোথা যাস্ বাপুরে?
আয় বাবা দেখে যা,
দুটো সাপ রেখে যা!
যে সাপের চোখ্ নেই,
শিং নেই নোখ্ নেই,
ছোটে না কি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁস্ ফোঁস্,
মারে নাকো ঢুঁশ্ঢাঁশ,
নেই কোন উৎপাত,
খায় শুধু দুধ ভাত্ল
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আনত?
তেড়ে মেরে ডান্ডা
করে দিই ঠান্ডা।

৪০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৮

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]বিচার - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ইঁদুর দেখে মাম্দো ককুর বল্লে তেড়ে হেঁক্লে
"বলব কি আর, বড়ই খুশি হলেম তোরে দেখে।
আজকে আমার কাজ কিছু নেই, সময় আছে মেলা,
আয় না খেলি দুইজনাতে মোকদ্দমা খেলা ।
তুই হবি চোর তোর নামেতে করব নালিশ ওুজু"্ল
"জজ্ কে হবে?" বল্লে ইঁদুর ,বিষম ভয়ে জুজু,
"কোথায় উকিল প্যায়দা পুলিশ , বিচার কিসে হবে?"
মাম্দো বলে "তাও জানিসনে ? শোন বলে দেই তবে!
আমিই হব উকিল হাকিম , আমিই হব জুরি,
কান ধরে তোর বলব ব্যাটা , ফের করেছিস চুরি?
সটান দেব ফাসির হুকুম অমনি একেবার্লে
বুঝবি তখন চোর বাছাধন বিচার বলে কারে।"

৪১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]কুমড়ো পটাশ - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

(যদি) কুম্ড়োপটাশ নাচ্লে
খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ;
চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে;
চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমূলার গাছে।

(যদি) কু্ম্ড়োপটাশ কাঁদ্লে
খবরদার! খবরদার! বসবে না কেউ ছাদে।
উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধেঃ
বেহাগ সুরে গাইবে খালি রাধে কৃষ্ণ রাধে'।

(যদি) কু্ম্ড়োপটাশ হাস্লে
থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে;
ঝাপসা গলায় ফার্সি ক'বে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে;
তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে!

(যদি) কুম্ড়োপটাশ ছোট্লে
সবাই যেন তড়বড়িয়ে জানলা বেয়ে ওঠে;
হুঁকোর জলে আলতা গুলে লাগায় গালে ঠোঁটে;
ভুলেও যেন আকাশ পানে তাকায় না কেউ মোটে!

(যদি) কুমড়োপটাশ ডাক্লে
সবাই যেন শামলা এঁটে গামলা চড়ে থাকে;
ছেঁচকি শাকের ঘন্ট বেটে মাথায় মলম মাখে;
শক্ত ইঁটের তপ্ত ঝামা ঘষতে থাকে নাকে!

তুচ্ছ ভেবে এ-সব কথা করছে যারা হেলা,
কু্ম্ড়োপটাশ জানতে পেলে বুঝবে তখন ঠেলা।
দেখবে তখন কোন্ কথাটি কেমন করে ফেলে,
আমায় তখন দোষ দিও না, আগেই রাখি বলে।

৪২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]প্যাঁচা আর প্যাঁচানি -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

প্যাঁচা কয় প্যাঁচানি,
খাসা তোর চ্যাঁচানি!
শুনে শুনে আন্মন
নাচে মোর প্রাণমন!
মাজা-গলা চাঁচা সুর
আহাদে ভরপুর!
গলা-চেরা গমকে
গাছ পালা চমকে,
সুরে সুরে কত পঁ্যাচ
গিট্কিরি ক্যাঁ্চকঁ্াচ!
যত ভয় যত দুখ
দুরু দুরু ধু্ক্ ধুক্,
তোর গানে পেঁচি রে
সব ভূলে গেছি র্লে
চাঁদ মুখে মিঠে গান
শুনে ঝরে দু'নয়ান।

৪৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৩১

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]চোর ধরা -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আর ছি ছি! রাম রাম! ব'লো না হে ব'লো না্ল
চলছে যা জুয়াচুরি , নাহি তার তুলনা।
যেই আমি দেই ঘুম টিফিনের আগেতে,
ভয়ানক ক'মে যায় খাবারের ভাগেতে ।
রোজ দেখি খেয়ে গেছে, জানিনেকো কারা স্লে
কালকে যা হ'য়ে গেল ডাকাতির বাড়া সে!
পাঁচ খানা কাট্লেট্, লুচি তিন গন্ডা,
গোটা দুই জিবে গজা ,গুটি দুই মন্ডা,
আরো কত ছিল পাতে আলু ভাজা ঘুঙ্নি্ল
ঘুম থেকে উঠে দেখি পাতখানা শুন্যি!
তাই আজ েেপ গেছি্লকত আর পার্ব ?
এতদিন স'য়ে স'য়ে এই বারে মারব।
খাড়া আছি সারাদিন হুসিয়ার পাহারা ,
দেখে নেব রোজ রোজ খেয়ে যায় কাহারা।
রামু হও দামু হও , ও পাড়ার ঘোষ বোস্ল
যেই হও এই বারে থেমে যাবে ফোঁস্ ফোঁস্।
খাট্বে না জারিজুরি আঁট্বে না মার প্যাঁচ্,
যারে পাব ঘাড়ে ধ'রে কেটে দেব ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ্
এই দেখ ঢাল নিয়ে খাড়া আছি আড়ালে,
এই বারে টের পাবে মুন্ডুটা বাড়ালে।
রোজ বলি "সাবধান" কানে তবু যায় না?
ঠেলাখানা বুঝবি ত এইবারে আয় না!

৪৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪০

অতিথি বলেছেন: তাহসিন, আমি আমার প্রিয়গুলো বেছে বেছে প্রথমে রাখছি.. আমার পোষ্ট করা শেষ হলে তোমারগুলো পোষ্ট কইরো.... অগ্রিম থ্যাংকু..

----------------------

[গাঢ়]ছায়া বাজি - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আজগুবি নয়, আজগুবি নয়,সত্যি কারের কথা ্ল
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যাথা।
ছায়া ধারার ব্যবসা করি তাও জাননা বুঝি?
রোদের ছায়া, চাঁদের ছায়া, হরেক রকম পুঁজি!
শিশির ভেজা সদ্য ছায়া, সকাল বেলায় তাজা,
গ্রীষ্মকালে শুক্নো ছায়া ভীষণ রোদে ভাজা।
চিলগুলো যায় দুপুরে বেলায় আকাশ পথে ঘরে
ফাঁদ ফেলে তার ছায়ার উপর খাঁচায় রাখি পুরে।
কাগের ছায়া বগের ছায়া দেখছি কত ঘেঁট্লে
হাল্কা মেঘের পানসে ছায়া তাও দেখ্ছি চেটে।
কেউ জানে না এ সব কথা কেউ বোঝে না কিছু,
কেউ ঘোরে না আমার মত ছায়ার পিছু পিছু।
তোমরা ভাব গাছের ছায়া অম্নি লুটায় ভূয়ে,
অম্নি শুধু ঘুমায় বুঝি শান্ত মতন শুয়ে;
আসল ব্যাপার জান্বে যদি আমার কথা শোনো,
বলছি যা তা সত্যি কথা,সন্দেহ নাই কোনো।
কেউ যবে তার রয় না কাছে ,দেখতে নাহি পায়
গাছের ছায়া ফুটফুটিয়ে এদিক ওদিক চায়।
সেই সময়ে গুড় গুড়িয়ে পিছন হ'তে এসে
ধামায় চেপে ধপাস্ করে ধরবে তারে ঠেসে।
পাৎলা ছায়া ফোকলা ছায়া,ছায়া গভীরকালো্ল
গাছের চেয়ে গাছের ছায়া সব রকমেই ভালো।
গাছ গাছালি শেকড় বাকল মিথ্যে সবাই গেলে,
বাপরে বলে পালায় ব্যামো ছায়ার ওষুধ খেলে।
নিমের ছায়া ঝিঙের ছায়া তিক্ত ছায়ার পাক,
যেই খাবে ভাই অঘোর ঘুমে ডাক্বে তাহার নাক।
চাঁদের আলোয় পেঁপের ছায়া ধরতে যদি পার,
শুঁকালে পরে সর্দিকাশি থাকবে না আর কারো।
আমড়া গাছের নোংরা ছায়া কামড়ে যদি খায়
ল্যাংড়া লোকের ঠ্যাং গজবে সন্দেহ নাই তায়।
আষাঢ় মাসের বাদ্লা দিনে বাঁচতে যদি চাও,
তেঁতুল তলার তপ্ত ছায়া হপ্তা তিনেক খাও।
মৌয়া গাছের মিষ্টি ছায়া ব্লটিং দিয়ে শুষে
ধুয়ে মুছে সাবানেতে রাখছি ঘরে পুষে!
পাক্কা নতুন টাটকা ওষুধ এক্কেবারে দিশ্লি
দাম করেছি সস্তা বড়, চোদ্দ আনা শিশি।

৪৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪২

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]কি মুস্কিল -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

সব লিখেছে এই কেতাবে দুনিয়ার সব খবর যত,
সরকারী সব অফিস খানার কোন্ সাহেবের কদর কত।
কেমন ক'রে চাটনি বানায়, কেমন ক'রে পোলাও করে,
হরেক্ রকম মুষ্টিযোগের বিধান লিখ্ছে ফলাও করে ,
সাবান কালি দাঁতের মাজন বানাবার সময় সব কায়দাকেতা,
পূজা পর্াবণ তিথির হিসাব শ্রাদ্ববিধি লিখ্ছে হেথা ।
সব লিখেছে, কেবল দেখ পাচিছনেকো লেখা কোথায়্ল
পাগ্লা ষাঁড়ে কর্লে তাড়া কেমন করে ঠেকাব তায় !

৪৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]হুঁকোমুখো হ্যাংলা -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ী তার বাঙলা
মুখে তার হাসি নাই ,দেখেছ?
নাই তার মানে কি? কেউ তাহা জানে কি?
কেউ কভু তার কাছে থেকেছ?

শ্যামাদাস মামা তার আপিঙের থানাদার ,
আর তার কেউ নাই এছাড়া্ল
তাই বুঝি একা সে মুখ খানা ফ্যাকাশে,
ব'সে আছে কাঁদ ্লকাঁদ বেচারা?

থ্প থ্প পায়ে সে নাচ্ত যে আয়েসে,
গাল ভরা ছিল তার ফুর্তি,
গাইত সে সারাদিন 'সারে গামা টিম্টিম্,
আহাদে গদ-গদ মূর্তি!
এই তো সে দুপু'রে বসে ওই উপরে,
খাচ্ছিল কাঁচকলা চট্ক্লে
ওর মাঝে হল কি? মামা তার মোলো কি?
অথবা কি ঠ্যাং গেল মট্কে?

হুঁকো মুখো হেঁকে কয়, আরে দূর, তা তো নয়,
দেখ্ছ না কি রকম চিন্তা?
মাছি মারা ফন্দি এ যত ভাবি মন দিয়্লে
ভেবে ভেবে কেটে যায় দিনটা।

বসে যদি ডাইনে, লেখে মোর আইন্লে
এই ল্যাজে মাছি মারি এস্ত;
বামে যদি বসে তাও, নাহি আমি পিছপাও,
এই ল্যাজে আছে তার অস্ত্র!

যদি দেখি কোন পাজি বসে ঠিক মাঝামাঝি,
কি যে করি ভেবে নাহি পাইর্লে
ভেবে দেখ একি দায়, কোন্ ল্যাজে মারি তায়
দুটি বই ল্যাজ মোর নাই রে!

৪৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৪

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]হাতুড়ে -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

একবার দেখে যাও ডাক্তারি কেরামৎ্ল
কাটা ছেঁড়া ভাঙা চেরা চট্পট মেরামৎ
কয়েছেন গুরু মোর, "শোন শোন বৎস,
কাগজের রোগী কেটে আগে কর মক্স"
উৎসাহে কি না হয়? কি না হয় চেষ্টায়?
অভ্যাসে চটপট্ হাত পাকে শেষটায়।
খেটে খুটে জল হ'ল শরীরের রক্ত্ল
শিখে দেখি বিদ্যেটা নয় কিছু শক্ত।
কাটা ছেঁড়া ঠুক্ ঠাক। কত দেখ যন্ত্র,
ভেঙে চুরে জুড়ে দেই তারও জানি মন্ত্র
চোখ বুজে চটপট বড় বড় মুর্তি,
যত কাটি ঘ্যাঁ্ ঘঁ্যাস্ তত বাড়ে ফুর্তি।
ঠ্যাং- কাটা গলাকাটা কত কাটা হস্ত,
শিরিষের আঠা দিয়ে জুড়ে দেয় চোস্ত।
এইবারে বলি তাই, রোগী চাই জ্যান্ত্ল
ওরে ভোলা, গোটাছয় রোগী ধরে আন্ত!

গেঁটেবাতে ভুগে মরে ও পাড়ার নন্দী,
কিছুতেই সারাবে না এই তার ফন্দি্ল
একদিন এনে তারে এইখানে ভুলিয়ে,
গেটেঁবাত ঘেঁটে- ঘুঁটে সব দেব ঘুলিয়ে।
কার কানে কট্মট্ কার নাকে সর্দি,
এস, এস, ভয় কিসে? আমি আছি বদ্যি।
শুয়ে কে রে? ঠ্যাং-ভাঙা? ধরে আন্ এখেন্লে
স্ত্রুপ্ দিয়ে এঁটে দিব কি রকম দেখেনে।
গলা ফোলা কাঁদ কেন? দাঁতে বুঝি বেদনা?
এস এস ঠুকে দেই্ল আর মিছে কেঁদ না,
এই পাশে গোটা দুই, ওই পাশে তিনট্লে
দাঁতগুলো টেনে দেখি্ল কোথা গেল চি্মটে?
ছেলে হও, বুড়ো হও, অন্ধ কি পঙ্গু,
মোর কাছে ভেদ নাই, কলেরা কি ডেঙ্গু্ল
কালাজ্বর, পালাজ্বর, পুরানো কি টাটকা,
হাতুড়ির একঘায়ে একেবারে আট্কা!

৪৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৫

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]রামগরুড়ের ছানা -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
"হাসব্ না্লনা, না ্লনা"।
সদাই মরে এাসে ্ল ঐ বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিট্মিটিয়ে
তাকায় আশে পাশে।
ঘুম নাহি তার চোখে আপনি বকে বকে
আপনারে কয় , "হা'সিস যদি
মারব কিন্তু তোকে!'
যায় না বনের কাছে , কিম্বা গাছে গাছে ,
দখিন হাওয়ার সুড়সুড়িতে
হাসিয়ে ফেলে পাছে!
সোয়াস্তি নেই মনে ্ল মেঘের কোণে কোণে
হাসির বাসপ উঠ্ছে ফেঁপে
কান পেতে তাই শোনে।
ঝোপের ধারে ধারে রাতের অন্ধকারে
জোনাক্ জ্বলে আলোর তালে
হাসির ঠারে ঠারে ।
হাসতে হাসতে যারা হচ্ছে কেবল সারা
রামগরুড়ের লাগছে ব্যথা
বুঝছে না কি তারা?
রামগরুড়ের বাসা ধমক দিয়ে ঠাসা,
হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়
নিষেধ সেথায় হাসা।

৪৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৬

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]লড়াই - ক্ষ্যাপা ঃ সুকুমার রায়[/গাঢ়]

ওই আমাদের পাগলা জগাই, নিত্যি হেথায় আসে;
আপন মনে গুন্ গুনিয়ে মুচ্কি হাসি হাসে ।
চলতে গিয়ে হঠাৎ যেন ধমক লেগে থামে;
তড়াক্ করে লাফ দিয়ে যায় ডাইনে থেকে বামে।
ভীষন রোখে হাত গুটিয়ে সামলে নিয়ে কোচাঁ ;
"এইয়ো" বলে ক্ষ্যাপার মতো শুন্যে মারে খোচাঁ ।
চেঁচিয়ে বলে ,"ফাদঁ পেতেছ ? জগাই কি তায় পড়ে?
সাত জামর্ান ,জগাই একা ,তবুও জগাই লড়ে।"
উৎসাহেতে গরম হয়ে তিড়িং বিড়িং নাচে,
কখনও যায় সামনে তেড়ে , কখনও যায় পাছে।
এলোপাতাড়ি ছাতার বাড়ি ধুপুস ধাপুস্ কত!
চক্ষু বুজে কায়দা খেলায় চর্কি বাজির মত।
লাফের চোটে হাঁপিয়ে ওঠে গায়েতে ঘাম ঝরে,
দুড়ুম ক'রে মাটির পরে লম্বা হয়ে পড়ে।
হাত পা ছুঁড়ে চেঁচায় খালি চোখ্টি ক'রে ঘোলা,
"জগাই মেলো হঠাৎ খেয়ে কামানের এক গোলা"!
এই না বলে মিনিট খানেক ছট্ফটিয়ে খুব,
মড়ার মত শক্ত হ'য়ে এক্কেবারে চুপ !
তার পরেতে সটান্ বসে চুলকে খানিক মাথা,
পকেট থেকে বার করে তার হিসেব লেখার খাতা।
লিখলে তাতে ্ল"শোনরে জগাই , ভীষন লড়াই হলো
পাচ ব্যাটাকে খতম করে জগাই দাদা মোলো।"

৫০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৭

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]একুশে আইন -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

শিবঠাকুরের আপন দেশে ,
আইন কানুন সর্ব নেশে!
কেউ যদি যায় পিছলে প'ড়ে,
প্যাযদা এসে পাক্ড়ে ধরে ,
কাজির কাছে হয় বিচার ্ল
একুশ টাকা দন্ড তার।
সেথায় সন্ধে ছটার আগে
হাঁচতে হলে টিকিট লাগে
হাঁচলে পরে বিন্ টিকিটে
দম্দমাদম্ লাগায় পিঠে ,
কোটাল এসে নস্যি ঝাড়্লে
একুশ দফা হাচিয়ে মারে

৫১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৮

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]ন্যাড়া বেলতলায় যায় ক'বার -সুকুমার রায়[/গাঢ়]

রোদে রাঙা ইঁটের পাঁজা, তার উপরে বস্ল রাজা্ল
ঠোঙাভরা বাদাম ভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিল্ছে না।
গায়ে আঁটা গরম জামা, পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা;
রাজা বলে, "বৃষ্টি নামা ্ল নইলে কিচ্ছু মিলছে না"।
থাকে সারা দুপুর ধ'রে, ব'সে ব'সে চুপটি করে,
হাঁড়িপানা মুখটি ক'রে আঁকড়ে ধরে শ্লেটটুকু;
ঘেমে ঘেমে উঠছে ভিজে, ভ্যাবাচ্যাকা একলা নিজে,
হিজিবিজি লিখ্ছে কি যে বুঝ্ছে না কেউ একটুকু।

ঝাঁঝা রোদ আকাশ জুড়ে, মাথাটার ঝাঁঝ্রা ফুঁড়ে,
মগজেতে নাচ্ছে ঘুরে রক্তগুলো ঝন্র ঝনঃ
ঠাঠা-পড়া দুপুৃর দিনে, রাজা বলে "আর বাঁচিনে,
ছুটে আন্ বরফ কিনে ্ল ক'চ্ছে কেমন গা ছন্ছন্।
সবে বলে, "হায় কি হল! রাজা বুঝি ভেবেই মোলো।
ওগো রাজা মুখ্টি খোল্ল কওনা ইহার কারণ কি?
রাঙামুখ পান্সে যেন, তেলে ভাজা আম্সি হেন,
রাজা এত ঘাম্ছে কেন ্ল শুনতে মোদের বারণ কি"?

রাজা বলে, "কেইবা শোনে যে কথাটা ঘুরছে মনে,
মগজের নানান্ কোণে ্ল আন্ছি টেনে বাইরে তায়;
সে কথাটি বলছি শোন, যতই ভাব যতই গোন,
নাহি তার জবাব কোন কুলকিনারা নাইরে হায়।
লেখা আছে পুথিঁর পাতে,"নেড়া যায় বেলতলাতে",
নাহি কোনো সন্ধ তাতে - কিন্তু প্রশ্ন করার যায়?
এ কথাটা এদ্দিনেও পারে নিকো বঝতে কেও,
লেখে নিকো পুস্তকেও, দিচ্ছে না কেউ জবাব তায়।

লাখোবার যায় যদি সে, যাওয়া তার ঠেকায় কিসে?
ভেবে তাই পাইনে দিশে নাই কি কিচ্ছু উপায় তার?
এ কথাটা যেমি্ন বলা, রোগা এক ভিস্তিওলা
টিপ্ ক'রে বাড়িয়ে গলা প্রমান করল দু পায় তাঁর।
হেসে বলে, "আজ্ঞে সে কি?, এতে আর গোল হবে কি?
নেড়াকে তো নিত্যি দেখি আপন চোখে পরিষকার্ল
আমাদেরি বেলতলা যে, নেড়া সেথা খেলতে আসে
হরে দরে হয়তো মাসে নিদেন পক্ষে পঁিচশ বার"।

৫২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৯

অতিথি বলেছেন: [গাঢ়]সাবধান - সুকুমার রায়[/গাঢ়]

আরে আরে, ওকি কর প্যালারাম বিশ্বাস?
ফোঁস্ ফোঁস্ অত জোরে ফেলোনাকো নিশ্বাস।
জানোনা কি সে বছর ওপাড়ার ভূতোনাথ,
নিশ্বাস নিতে গিয়ে হয়েছিল কুপোকাৎ?
হাঁপ ছাড় হঁ্যাস্ফ্যাঁস্ ও রকম হাঁ কর্লে
মুখে যদি ঢুকে বসে পোকা মাছি মাকড়ে?
বিপিনের খুড়ো হয় বুড়ো সেই হল' রায়,
মাছি খেয়ে পাঁচ মাস ভুগেছিল কলেরায়।
তাই বলি্লসাবধান! ক'রোনাকো ধুপ্ধাপ্,
টিপি টিপি পায় পায় চলে যাও চুপ্ চাপ্।
চেয়োনাকো আগে পিছে, যেয়োনাকো ডাইনে
সাবধানে বাঁচে লোকে , ্লএই লেখে আইনে।
পড়েছ ত কথা মালা ? কে যেন সে কি করে
পথে যেতে পড়ে গেল পাতকো'র ভিতরে ?
ভালো কথা ্ল আর যেন সকালে কি দুপুরে ,
নেয়োনাকো কোনো দিন ঘোষেদের পুকুরে,
এরকম মোটা েেদহে কি যে হবে কোন্ দিন,
কথাটাকে ভেবে দেখ কি রকম সঙ্গিন!
চটো কেন? হয় নয় কে বা জানে পষ্ট,
যদি কিছু হ'য়ে পড়ে পাবে শেষে কষ্ট।
মিছিমিছি ঘ্যান্ ঘ্যান্ কেন কর তক্ক?
শিখেছ জ্যাঠামো খালি, ইঁচরেতে পক্ক ,
মানবে না কোন কথা চলা ফেরা আহারে ,
একদিন টের পাবে ঠেলা কয় কাহারে ।
রমেশের মেঝ মামা সেও ছিল সেয়না,
যত বলি ভালো কথা কানে কিছু নেয়না
শেষকালে একদিন চানি্নর বাজারে
প'ড়ে গেল গাড়ি চাপা রাস্তার মাঝারে!

৫৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৪

অতিথি বলেছেন: আমার খুব প্রিয় কবিতাগুলো পোষ্ট করলাম.... ওয়েবে কবিতাগুলো ছিলো.. তবে এখানে একসাথে রাখলাম যাতে কম কষ্টে পড়তে পারি।

[গাঢ়]কৃতজ্ঞতা স্বীকার:[/গাঢ়]
ব্লগের মাধবীকে (অনেক দিন আগে অনেকগুলো কবিতা বিচ্ছিন্নভাবে পোষ্ট করার জন্য)
হযবরল ([link|http://www.stat.wisc.edu/~deepayan/Bengali/WebPage/Archive/Sukumar/Poetry/AbolTabol/archive.bn.html|myKygvi Kv

৫৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৭

আশরাফ রহমান বলেছেন: শেষ হলে বলবেন;সেভ করে রাখবো। আর পারলে ওয়েবসাইটের এড্রেসটা দিবেন।

৫৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৭

আজামাত বাগাটভ বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিভুজ। একসাথে অনেকগুলো কবিতা পেয়ে গেলাম।

৫৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৫:৩২

অতিথি বলেছেন: বিশাল ব্যাপার। আপনি পারেনও।

৫৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৩

অতিথি বলেছেন: হইলোটা তি তোমার আজ
কাব্য দিয়া করলা সয়লাব..

একটা না দুইটা না...
মুহুমুহু কাব্যা দিলা উপহার

৫৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অতিথি বলেছেন: আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব।

৫৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১১:৪৪

অতিথি বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম।

৬০| ০৯ ই মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:৫৯

শাহানা বলেছেন: সুকুমার রায়ের কবিতা তো ভালো লাগেই। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে তার গল্প "পাগলা দাশু"

৬১| ০৯ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:২৮

অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে....

শাহানা আপুর জন্য পাগলা দাশুটা খুঁজছি.. পেলেই পোষ্টাবে.. :)

৬২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৭

হাম্বা বলেছেন: ***

৬৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

তপ্ত সীসা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.