![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
দেশ থেকে ফেরার পর যার সাথেই দেখা হয়, সবার একই জিজ্ঞাসা। "কেমন দেখলা, দেশের কি অবস্থা?" সবাই জানতে চায়, কেমন আছে বাংলাদেশ।
"জ্বী ভালো।" এটুকু বলে কেটে পরার উপায় নাই। আরো অনেক প্রশ্ন আসে " জিনিসপত্রের দাম কেমন?" " পাবলিকের কি অবস্থা" "রাস্তা ঘাটের উন্নতি হইসে?"
- জ্বী। দাম একটু বার্সে। দিনে ১হাজার টাকা খরচ হওয়া কোন ঘটনা না। পাবলিক আছে ভালোই। ব্যবসা বানিজ্য করতেসে। রাস্তাঘাট আগের মতই। একটা ফ্লায়োভার হইসে নুতুন। উইড়া উইড়া এয়ার্পটে গেলাম। আমার সিএনজির ড্রাইভার হু হা হা হা করে পৈশাচিক হাসি হাসলো রেল ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়। আর কোনো দিন লেভেল ক্রসিংয়ে বসে ঘামতে হবে না।
সবাই খালি ঢাকার খবরটুকুই নেই। ঢাকার বাইরের বাংলাদেশের খবরটা আমিও চেপে যাই। গ্রাম থেকে আসার সময় যে ভ্যানে উঠেছিলাম তার চালক একজন দুর্বল বৃদ্ধ। তার ছেলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন বিক্যাশের মাধ্যমে। এই টাকা দিয়ে আলু আর ভুট্টা চাষ করতেসেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম "ছেলে কি করে?"
-গার্মেন্টসে চাকরি করে।
এই দুর্বল বৃদ্ধ একা না, তার সাথে এমন অনেক ছেলে আছে। যাদের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে মাঝ বয়েসী বাংলাদেশ প্যাডেল মেরে এগিয়ে যাচ্ছে।
-রাজনীতির কি অবস্থা?
ভালো। ডিসেম্বরে বেশ গরম দিল। লাশ পড়ল। বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়কের দাবির কথা বলে, লিগ ততই যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলে জামাতের দিকে আঙ্গুল তুলে। সেই সাথে জামাতি তান্ডব তাদের কাজটা অনেক সোজা করে দিসে। দুইটা আলাদা ইস্যু। দুইটাই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু দুইটা ফলাফল কোনো পক্ষ সঠিকভাবে দিবে না। লিগ মানবে না তত্ত্বাবধায়কের দাবি। আর বিএনপি জামাত করবে না যুদ্ধাপরাধের বিচার। পাবলিকের জন্য এইবার সিদ্ধান্ত নেয়াটা কঠিন।
ডিসেম্বরে আরো দেখলাম বিচারপতির আলাপন-ইমেইল ফাস- অত:পর পদত্যাগ। গণমাধ্যমে ফিসফাস। ঢাক ঢাক গুড় গুড়। এসব নিয়ে আলাপে ট্রাইবুনালের নিষেধাজ্ঞা। আমার মনে হয় দেশে এখন দুইটা জিনিস নিষিদ্ধ। হুমায়ুনের দেয়াল, আর বিচারপতির আলাপ নিয়া প্রশ্ন তুলা। পার্থক্য হইলো, হুমায়ুনের দেয়াল কারো কাছে নাই। আর স্কাইপ আলাপনের ২৫% সবার কাছেই আছে। বিচার নিয়া সরকারী দল যেমন মোটা দাগের কথা বলতেছে, বিরোধী দোল তেমনি পিছলাপিছলি করে মিউ মিউ করে বিচারের বিপক্ষে যাচ্ছে। তবে রায় দিয়েই সমুদ্রজয়ের মত ফুর্তির উপলক্ষ্য তৈরী করতে পারে সরকার। ২০১৩ তেই এমন একটা রাষ্ট্রীয় আনন্দ আয়োজন দেখা যাবে হয়তো। কিন্তু রায়টাই শেষ কথা না। রায়ের পরে আপিল হবে। সাইদী আর কাদের মোল্লা ছাড়া বাকিদের বিচার এই আমলে শেষ হবে কিনা সন্দেহ। আইনমন্ত্রী এই আপিলের সুবিধা থাকাকে বিশ্বের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের ট্রাইবুনালে আছে বলে চাপা মেরে যাচ্ছেন। অথচ রুয়ান্ডা, যুগ্স্লাভিয়া, সিয়েরা লিওন সবখানেই আপিলের ব্যবস্থা আছে। আলগা ভাব নিয়ে মিথ্যা না বলে, কিছু না বলাই ভালো। কারণ এই ট্রাইবুনাল দেশে বিদেশে অনেকেই কড়া নজরে রাখসে। বিশেষ করে আমরিকা। তারা সব সময় যুদ্ধাপরাধীদের ভালো পায়।
সারা দেশে অসংখ্য পোস্টার। বিএনপির পোস্টারে তারেক- খালেদা- জিয়াউর রহমান। আর লীগের গুলাতে শেখ মুজিব আর হাসিনা। কিছু কিছু পোষ্টারে জয়। বিএনপির পোস্টার গুলার কিছু পরিবর্তন হইসে। বছর খানেক আগের পোস্টারে শুধুই খালেদা জিয়া আর জিয়ার রহমান ছিল। এখন জিয়া ছোট হয়ে এক কোনায় চলে গেছে। আর তারেক জিয়া বড় হয়ে গেছে। দুনিয়ার আর কোনো দেশে রাজনীতিবিদরা এত জনপ্রিয় না। কোথাও এত পোস্টারও দেখা যাবে না রাজীনীতিবিদদের। পোস্টার না দেখে মনের খবর নিলে জানা যায়, পাবলিক রাজীনীতিবিদদের সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করে। তাই কি? যদি ঘৃণাই করবে তাহলে কেন রাজনীতিবিদের কথায় অপর পক্ষের উপর যান বাজি রেখে ঝাপায়ে পড়বে? কেন নেতার চুরির সাফাই গাইবে? হয়ত এটা আমাদের ডিয়েনএ তেই আছে।
২০১২ সালকে কিভাবে মনে রাখবেন? পদ্মা সেতু নিয়ে দুদক-ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক কচলাকচলির বছর, হলামার্কের সাড়ে চার হাজার কোটি দুর্নীতি কিংবা শেয়ার বাজারে দু দিন পর পর ভাংচুরের বছর। আমরা হয়তো ভুলে যেতে চাইবো গার্মেন্টসে শতাধিক পুড়ে যাওয়া নাম পরিচয়হীন শ্রমিকের কথা, ভুলে যেতে চাইবো শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশের আক্রমনে মারা যাওয়া বেওয়ারিশ শিক্ষকের কথা, যার মূল্য সাহেবের তিন পেয়ে কুকুরের এক ঠ্যাঙ্গের সমান। ভুলে যেতে পারেন সাগর রুনির কথা, কারন ৩২৫দিন পেরিয়ে গেছে। ভুলতে পারেন বিশ্বজিতের কথা।
আমি মনে রাখতে চাই অন্য এক বাংলাদেশকে। ঢাকা থেকে সাইকেল চালিয়ে যে দুই ভাই নীলফামারীতে গিয়েছিল ঈদ করতে, তারাই আসল বাংলাদেশের প্রতীক। সামনে অনেক পথ জেনেও যারা দু-চাকার সাইকেল নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। মালেশিয়ার অগ্রনী রেমিটেন্সের সামনে লাইনে দাঁড়ানো শ্রমিকরা ৮০০ রিঙ্গিতের ৫০০রিঙ্গিত দেশে পাঠাচ্ছে, তারাই বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের পোস্টার যখন অস্ট্রেলিয়ান কোন ছেলের রুমে শোভা পায়, তখন সাকিব নিজেই বাংলাদেশ।
২০১৩ আমাদের জন্য আরেকটা ভালো বছর হতে পারে, যদি ইলেকশন নিয়ে কোন ঘাপলা না হয়।
---------------------------------------------
পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি-১
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: একনজরে বাংলাদেশ++++++
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: এত ভালো অবস্থায় বাংলাদেশরে আমিও দেখবার পারিনাই।
কাছাকাছি সময়ে আপনি যতটুকু ভাল দেখতে পারছেন!
বাই দা বাই,পাত্রীদের বাজারের কি অবস্থা?
কোন ফয়সালা কর্তার্ছেন?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
বাঙ্গাল বলেছেন: পিরিতির বাজার ভালো না
পিরিতির বাজার আর শেয়ার মার্র্কেটটা ছাড়া বাংলাদেশের সব বাজারের অবস্থা ভালো
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
আসফি আজাদ বলেছেন: যদি ইলেকশন নিয়ে কোন ঘাপলা না হয় !!!
কি বুঝেন? ঘাপলা হৈব?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২
বাঙ্গাল বলেছেন: হুম। তাইত দেখতেসি
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ভাল লেখছেন