![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
পাবলিক রিলিজিওন এন্ড বিলিভ সার্ভে কইরা দেখা উচিত, বাংলাদেশের মুসলিমদের সমস্যাটা কি? এই দেশের ৮৫% মুসলিম ধৈরা নিলেও দেখা যায়, ইসলামী দলের ভোট মোটে ২-৩%! জামাতে ইসলামী ছাড়া নাম না জানা ১২দল আছে নামকাওয়াস্তে। ভোটের বাজারে তাদের জামানত মাইর যায় দেদারসে। সম্প্রতি যাবজ্জীবন প্রাপ্ত জামাতি শীর্ষ নেতা কাদের মোল্লার জামানত গেছিল দুইবার। মহানবী রাসুলুল্লাহ (সা: ) যে ইসলামের শাসনব্যবস্থা কায়েম করসেন যা ইতিহাসের পাতা থিকা মুছা সম্ভব না। ইসলাম পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা মানা ৮৫% মুসলিম ভোট না দিলেও, এই জীবনব্যবস্থা থিকা রাজনৈতিক জীবন আলাদা করতে নারাজ হবেন। তাইলে এই ৮৩% গরু খাওয়া মুসলমানের কমপ্লেক্সটা কি?
- সমস্যা হইলো, তারা ইসলাম বুঝে। ইতিহাসও বুঝে। তাদের ইতিহাস জ্ঞানে ১৯৭১ এ ইসলামের নামে জামা তে(পোষাকে) ইসলামীর বেঈমানি, খুন ধর্ষণ গণহত্যার কথা যেমন ইয়াদ আছে, তেমনি খিলাফত ও কারবালার কথাও আছে। তাই তারা হায়পথেটিকালি ইসলামী শাসনের ছুইড়া না ফেললেও জামাতিদের লাথি দিতে দ্বিধা করে না।
জামা তে ইসলামী কতটা ইসলামিক? এরা আমেরিকান এম্বাসির নেওটা। পাবলিকের গাড়ি পুড়াইলে, জ্যান্ত মানুষ পুড়াইলে এদের দু:ক্ষ নাই। কিন্তু আমেরিকান এম্বাসির গাড়িতে ভুলে ঢিল পরার পর আনুষ্ঠানিক দু:ক্ষ প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। মুসলিম ভাইরা প্যালেস্টাইনে মারা গেলে, ইরাকে মারা গেলে জামাত প্রতিবাদে প্রেস রিলিজ দেয় না। সৌদি থিকা ড্রন হামলা কইরা মুসলিম মারলে তাদের ব্রাদারহুড চাগা দেয় না। তাদের ইসলামিক চেতনা কেবল শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারে উতলা হয়। তাদের সমর্থনে মার্কিন লবির প্রবল চাপ আসে বিচার বন্ধ করার। আবার এই দলের হেড অফিস খোদ পাকিস্তানে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির একমাত্র রিপ্রেসেন্টিটিভ কেন মুক্তিযুদ্ধের ফসল বাংলাদেশে ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাইতেছে? কারণ এই আন্তর্জাতিক চাপ + প্রধান দুইদলের সাথে পর্যায়ক্রমিক রাজনৈতিক সখ্যতা।
এখন আসি আন্তর্জাতিক লেজ বাদ দিলে জামাতকে কতখানি ইসলামিক বলা যায়? বিএনপির ঘাড়ে চইড়া মন্ত্রী পর্যন্ত হইতে পারসে যেই দল, তাদের কাছে দেশের মানুষ কি কি ইসলামিক সার্ভিস পাইল? দেশে কোন হালাল বোর্ড নাই। হারাম ড্রাগের ব্যবহার রুখতেও তাগো তেমন প্রচারণা নাই। ইসলামী ফাউন্ডেশন ইমামদের ট্রেনিংএ কি করানো হয় জানা নাই, কিন্তু সারা দেশে খোতবার কোন গাইডলাইন নাই। হাজার মসজিদের দেশে জুম্মাহ নামাজের খোতবাগুলা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমসাময়িক বিষয় থেকে ১০০মাইল দুরে, শুধু দান খয়রাত কালেকশনের কাজেই অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। শীতকালের ওয়াজ মাহফিলে কোন মাপের ইসলামিক চিন্তার বিতরণ হয় সেইটা ইউটিউবেই দেখা যায়। কাজের কাজ বলতে তীব্র ভারতবিরোধীতা তৈয়ার করতে পারসে। আবার একই সাথে 'দেশ উলু ধ্বনিতে ভরে যাবে' 'গজব নামবে' এইসব ঘৃণার চাষবাস তারা সযন্তে করে গেছে যা প্রকারন্তরে তাদের অনৈসলামিক মনোভাবকেই স্পষ্ট করসে। এত কিছুর পরেও কেন ২% মুসলিম সাপোর্ট দিতেছে, সেইটাও রহস্য
জামাত ব্যাংক, বীমা, কোচিং সেন্টার, পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, সৌদি ফান্ডিংএর স্কুল, মাদ্রাসা ইংরাজি মিডিয়াম মাদ্রাসা বানাইতে ও পরিচালনা করতে এত সফল হইলেও, রাজনৈতিকভাবে পাবলিকের সমর্থন আদায়ে বার্থ......... এই ৮৩% মুসলিম কি এই ব্যর্থতা ইসলামের শাসনব্যবস্থার ঘাড়ে চাপাইয়া পুরা ইসলামের পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা থিকা রাজনৈতিক জীবনকে মাইনাস করতে রাজি হবে?
এখন আসি অন্যান্য ধর্মের কথায়। জামাত যেখানে মাত্র ২% ভোট নিয়া ব্যাপক দাপটে দুই দলের সাথে জোট গড়ার জন্য বিবেচ্য হয়, সেইখানে ১৫% হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ ধর্মের লোকে কেন একত্রিত হইয়া রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতেছে না? নাকি করার সাহস পাইতেসে না মৌলবাদীদেরভয়ে? সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দুদের ভোট ব্যাংক হিসাবে আওয়ামী লীগের কাছে নিজেদের নিরাপদ মনে করলেও সম্প্রতি রামুর ঘটনায় লীগ-বিএনপি-জামাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পুলিশ সেনাবাহিনী প্রশাসনের নিরবতা, বিশ্বজিতের খুনের চার্জশিট দুর্বল করতে সরকারের স্পষ্ট মদদ তাদের নুতুন করে ভাবাবে। এখন না থাকলেও যদি ১০-১৫ বছর পরে হিন্দু সমাজ বা হিন্দু একতা পার্টি ৫% ভোট নিয়ে কোন জোট গঠন করে রাজনৈতিকভাবে দেশ গঠনে সরাসরি অংশ নেয়- নিজেদের কমিউনিটির জন্য স্কুল কলেজ ব্যাংক খোলে তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা না। গণতন্ত্রের মূল স্পিরিটের সাথে তা সাংঘর্ষিক না।
দেশের মানুষ তাইলে কি চায়? দেশের মানুষ কি চায় সেইটা ঢাকাই বুদ্ধিজীবী সমাজ কারওয়ান বাজারে সারারাত টেবিল চাপড়ায়েও সঠিকভাবে বলতে পারবে না। সারা দেশ দুরে থাক, শুধু শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বরে কত পার্সেন্ট ধর্মীয় রাজনীতির বিলোপ চান আর কতজন জামাতে ইসলামীর রাজনীতির নিষিদ্ধকরণ চান সেইটা বলতে পারবেন না। আওয়ামী লিগ আর ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের যেমন পার্থক্য আছে, তেমন জামাতে ইসলামী, ইসলামী রাজনীতি ও ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যেও পার্থক্য আছে। শাহবাগে অরাজনৈতিক সহবস্থান থাকলেও দেশের স্বার্থেই প্রজন্ম চত্ত্বরকে রাজনৈতিক চিন্তা মাথায় আনতে হবে। তাই একটা গণভোট কইরা দেশবাসীর ধর্মীয় রাজনীতির ব্যাপারে মতামত জানার প্রয়োজন দেখতেছি। ইত্যবসরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকুক। প্রতিটা রায়ে ১৯৭১ সালে জামাতে ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠনের পাপের ইতিহাস আরো স্পষ্ট হইতে থাক। আগামী নির্বাচনেই জামাত তাদের বিদেশি মনিবদের একটি অলাভজনক ইনভেস্টমেন্টে পরিনত হবে। ব্যক্তির বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতাকারী দলের রাজনৈতিক মৃত্যু এখন কোন ডাক্তার ঠেকাইতে পারবে না।
বাঙ্গাল
১০ জানুয়ারি ২০১৩
পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি সিরিজের অন্যান্য লেখা
ডেভিলস এডভোকেট ফরহাদ মাজহারঃপলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি-৯
বাচ্চু রাজাকার বাড়িত নাই: পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি-৮
আমি তোমাদেরই লোক: পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি-৫
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বাঙ্গাল বলেছেন: ইসলামের সাথে জামাতের কানেকশন কাইটা দিলেই তারা ধর্মের অপব্যবহার করতে পারবে না। সেই চেষ্টা থেকেই লেখা। আবার ধর্মীয় সহঅবস্থানটাও জরুরী। কোনো ভাবেই যেন ডিভাইড এন্ড রুল করতে না পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
দন্ডিত বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্মে বিশ্বাসী না, তাই ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে আমার ধারনা নেতিবাচক।
তবে আপনার যুক্তিগুলো বেশ ভাল। ম্যাস পিপলের ভালো আপাতত হয়ত আপনার লাইনে চিন্তা করেই আনা সম্ভব।
ভালো লাগল।