নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল পাতার কাব্য!

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো

বাঙ্গাল

আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya

বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকাই বুদ্ধিজীবি সমাজের জলপাই কমপ্লেক্স

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

সেনাবাহিনীকে একবার ঝাপি থিকা বাইর কইরাই আবার সুড়ুত কইরা লুকয়ে ফেলে সরকার। কি প্রমাণ করতে চায় তারা? কিছুই হয় নাই? এত বাড়ি মন্দির ট্রেন লোকালয় পুইড়া যাওনের পরেও প্রধানমন্ত্রী নিরোর মত বাঁশি ফুকেন 'মাত্র কটা লাশ'। অন্তত ২০ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন কইরা জামাতি হামলা থামানোর কথা বললে যদি আপনাদের ঠুনকো গণতন্ত্র হুমকির মুখে পইড়া যায়, তাইলে বলবো এই বিপদজনক সেনাবাহিনীর গায়ে 'হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার' স্টিকার লাগায়া বঙ্গোপসাগরে ফেলায়ে দিয়া আসেন। তত্ত্বাবধায়ক আসলে পূজা দিবেন আর ক্ষমতায় আসলে রাশিয়ান খেলনা কিনে দিয়ে মন যোগাবেন- এই নীতি নিয়া জনগনের টাকা দিয়া হাতি পুইষা কি করবেন?





ক্ষনে ক্ষনে হোয়াইট হাউজের ওবামা এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে পিটিশন পাঠানোর সিন্ড্রম দেখা দিসে। নুতুন পিটিশনঃ হিন্দু কমিউনিটির নিরাপত্তা দিতে হোয়াইট হাউজের নিকট পিটিশন। জামাতিরা হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলা করলে প্রথমে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব তা থামানো। সেইটা তারা পারতেছে না। থানাতেই বইসা থাকতে পারতেছে না হামলার চোটে। তাইলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পত্র দেন। উনি ৪০০ কোটি টাকা দিয়া ফার্মাস ব্যাংকের লাইসেন্স পাইছেন, কাজেকর্মে মন নাই, মাঝে মাঝেই মিটিঙে ঘুমায় পড়েন। ঠিকাছে উনারে বাদ দেন। দেশের একজন প্রবল জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আছেন। উনার কাছে পত্র দেন। উনার ক্ষমতা আছে শক্তিশালী সেনাবাহিনী দিয়া নিরাপত্তা দেয়ার। রাশান সাবমেরিন, বোমারু বিমান, মিসাইল কেনা হচ্ছে ১ বিলিয়ন রাষ্ট্রীয় টাকায়। ২বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি সরকারী ব্যয়ে যে দক্ষ সেনাবাহিনী আমরা পুষি তার কাজ কি শুধু কুচকাওয়াজ করে ১৬ ডিসেম্বর সালাম দেয়া?

- ঢাকাই বুদ্ধিজীবি সমাজ তেড়ে আসবে সেনাবাহিনী নামানোর প্রস্তাবে। ' আরে আরে, গণতন্ত্র বরবাদ হয়ে যাবে'



হাহ! এই সেনাবাহিনীর নাম মুখে নিলে তত্ত্বাবধায়ক আমলে টক শোতে আগায় পাছায় দুইবার দেশপ্রেমিক বলতেন, খেয়াল আছে? আজকে সেই সেনাবাহিনী গণতন্ত্র 'চমৎকার' করে দিবে এমন ভয়ে বসে বসে দেশের ধ্বংস দেখতেছেন। আবার সেই সেনাবাহিনী শক্তিশালী করতে পায়ে পুজা দেন পাবলিকের কোটি কোটি টাকা। মিয়া, ভন্ডামিটা ছাড়েন। আপনাদের ওই বিলিয়ন ডলার গ্রামের মানুষের ক্ষুধা, দারিদ্র দূর করে শিক্ষায় ব্যয় করলে আজকে চান্দে সাঈদী খোমা মোবারক দেইখা গ্রুপ হ্যালুসিনেশনে ভুগতো না। রাস্তায় নাইমা থানা জ্বালাইতো না জামাতি উস্কানিতে। ঢাকায় বইসা কবিতা লেইখা দেশপ্রেম চাগায়ে, কলকাতায় বইসা গান বাইন্ধা জাতীয়তাবাদ বুঝাইতে আইসেন না। পারলে সরকারী খরচে মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিক করেন। আপনারা শাহবাগে ইমরান সাবের সরকারের নেত্রীত্বে যে জনতা তারেই খাটি বাংলাদেশি আর গ্রামের ধর্মান্ধ জনতারে জামাতি বইলা দ্বিধাবিভক্ত করেন কোন আক্কেলে। গ্রামের মানুষ কি মুক্তিযুদ্ধ করে নাই? পারলে জামাতের গোড়ায় কোপ দেন। জনতারে সাথে পাইতে প্রচারনা চালান। শুধু ঢাকার জনতা না, ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের জনতা। এরপরে জামাত নিষিদ্ধ করেন। হাতিরঝিলে হাওয়া খাইয়া যে গণতন্ত্র ফুইলা ফাইপা উঠে, গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তার গায়ে আগুন দিতে দ্বিধা করবে না। মনে রাইখেন।



শাহবাগী সরকার কি আমাদের সরকারের কাছে কোন দাবি জোড়ালো ভাবে তোলার ক্ষমতা রাখে? রাখে না। হচ্ছে- করছি- করবো- হয়ে যাবে- দিচ্ছি- কচ্ছি সিরিজ চলতেছে সরকারের জামাত নিষিদ্ধকরণের প্রশ্নে।



“জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রীর আগাম বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা জোক দিয়ে শেষ করি-



এক লোক হোটেল গিয়ে বিশাল হম্বিতম্বি শুরু করসে " এইসব কি? ভাতের মধ্যে চুল কেন? তোদের ম্যানেজারকে ডাক। আমি ক্ষেপলে কিন্তু ভালো হবে না। তাড়াতাড়ি ডাক"

হোটেল বয় গিয়ে বললো "কি করবেন স্যার?"



- সেদিন যেটা করেছিলাম। সেটা করবো। যা ম্যানেজারকে ডাক।

ম্যানেজার চিল্লাফাল্লা শুইনা তেড়ে আসলো "কি করবেন আপনি, ঠিক কইরা বলেন।"

অবস্থা বেগতিক দেখে ভদ্রলোক ঠান্ডা সুরে বললেন "না মানে সেদিন যা করেছিলাম সেটাই করবো। বিল দিয়ে গুয়ামড়ি চিবাতে চিবাতে বাসায় যাব"



আমাদের শাহবাগী নেতা ইমরানের হইসে সেই অবস্থা। বিচারের দাবির আন্দোলনে তেনা পেচাইতে পেচাইতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেলুন মোমবাতি আগরবাতি পোড়ানোর পরে উনি 'মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করার আলটিমেটাম দিলেন'.... ২৪ ঘন্টা আলটিমেটাম পার হবার পরে আলটিমেটাম বাড়াইলেন। আলটিমেটাম বাড়ানোর পরে কঠোর কর্মসূচির অংশ হিসাবে সিদ্ধান্ত দিলেন, 'গুস্সা হনেকি কেয়া হে, মখাজির কাছে আমি চিট্টী দিব'





আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, এই জলপাই কমপ্লেক্স ঢাকাই বুদ্ধিজীবীদের মত হেফাজতিদের মধ্যেও আছে। হেফাজতের অফিশিয়াল পেইজ থেকেও সেনাবাহিনীকে তাদের পক্ষে টানার চেষ্টা করা হয়, ক্যু করতে আহবান জানানো হয়। রাষ্ট্র খুন গুম করলে ড়েব পুলিশকে যে সমালোচনা করা হয়, সেনাবাহিনীকে তার তিল মাত্র করা হয় না। অথচ সবাই জানে বড় অপারেশনের পেছনের মাথাগুলো সবই সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীর প্রতি এই ভক্তি ও ভয়ের উৎস কি জিয়া-এরশাদ-মঈনের কঠোর শাসন? এই অতিরিক্ত ভক্তি ও ভয়ের কারণেই কি প্রধানমন্ত্রী তার শেষ ট্রাম্পকার্ড হিসেবে তুলে রাখেন আর্মিকে?



ক্ষনে ক্ষনে ক্যু হচ্ছে হবে বলে শিক্ষিত সমাজে রব উঠছে গতবছর থেকেই। কিন্তু এই ক্যুয়ের দেখা আজো পেলাম না। দেশের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের বোঝা উচিৎ যে সেনাবাহিনীর অবস্থান অনেক উচ্চে। দেশের কাদামাটিতে তাদের পায়ে ধরে টানলেও নামানো যায় না। বিদেশের গ্রীন সিগন্যাল লাগে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেছেন: ভাই আপনার কনসেপ্ট ঠিক আছে। ঢাকা মানেই বাংলাদেশ না। মিডিয়া মোবাইল ফোনের যুগে তো আরো না। জামাতের বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে সাড়াদেশের মানুষকে সাথে নিয়েই নিতে হবে। ঢাকার লোকজনকে তা কে বোঝাবে? তারা নিজস্ব স্বর্গে বসবাস করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

বাঙ্গাল বলেছেন: সমকাল পত্রিকায় আজকে মহামান্য কহেন লিখসে "যুদ্ধটা যত বেশি সামাজিক হবে, প্রতিরোধও তত শক্ত হবে"। এই সামাজ কোন সমাজ? ঢাকা, মফস্বল আর ফেইসবুক সমাজ? টক শোতে যত এম্পিদের গলা ফুলাইতে দেখি, তারা এলাকায় গিয়া এই সামাজিক আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন না কেন? এটিএন বাংলার টিভি ক্যামেরা গ্রামে পৌঁছাবে না সেজন্য? দেখায়া দেখায়া মুক্তিযুদ্ধ করন লাগবে?

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: আলটিমেটাম বাড়ানোর পরে কঠোর কর্মসূচির অংশ হিসাবে সিদ্ধান্ত দিলেন, 'গুস্সা হনেকি কেয়া হে, মখাজির কাছে আমি চিট্টী দিব' "

এ ধরণে কথা আপনি কোথায় পেলেন ?

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

বাঙ্গাল বলেছেন: ব্যাপক তেড়ে ফুড়ে গিয়ে মখা সাবরে পত্র দিসে। দেয় নাই?

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

রাতেরপথিক বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ন সহমত প্রকাশ করছি।

"অন্তত ২০ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন কইরা জামাতি হামলা থামানোর কথা বললে যদি আপনাদের ঠুনকো গণতন্ত্র হুমকির মুখে পইড়া যায়, তাইলে বলবো এই বিপদজনক সেনাবাহিনীর গায়ে 'হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার' স্টিকার লাগায়া বঙ্গোপসাগরে ফেলায়ে দিয়া আসেন।"

তবে আপসুসের বিষয় হইল গিয়া আমার সহমতে কিছুই যায় আসে না যাদের সহমত প্রকাশ করা দরকার তাদের হয়ত এই বোধটাও কোনদিন জন্ম নিবে না।

মডুদের কাছে অনুরোধ থাকবে পোষ্টটিকে স্টিকি করার।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

শ।মসীর বলেছেন: অন্তত ২০ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন কইরা জামাতি হামলা থামানোর কথা বললে যদি আপনাদের ঠুনকো গণতন্ত্র হুমকির মুখে পইড়া যায়, তাইলে বলবো এই বিপদজনক সেনাবাহিনীর গায়ে 'হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার' স্টিকার লাগায়া বঙ্গোপসাগরে ফেলায়ে দিয়া আসেন।


সেনাবাহিনী হইল যে গিয়া ভাসুর, সবসময় এদের নাম মুখে নিতে নাই, দাম্পত্য কলহের চূড়ান্তে এনাদেরকে দরকার কলহ থামাইয়া সংসার টিকানোর জন্য ।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: এরা কি মনে করে দেশের সব সমস্যার মূলে জামায়াতের অস্তিত্ব নাকি নিজেদের অপকর্ম সামাল দিতে না পারা?

যদি জামাতকেই সমস্যা মনে করতো তাহলে অন্তত একবার জনগণের কথা ভেবে জামায়াতের অস্তিত্ব বিনাশে কার্যকর পদক্ষেপ নিতো

৬| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
হাতিরঝিলে হাওয়া খাইয়া যে গণতন্ত্র ফুইলা ফাইপা উঠে, গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তার গায়ে আগুন দিতে দ্বিধা করবে না। মনে রাইখেন।হাতিরঝিলে হাওয়া খাইয়া যে গণতন্ত্র ফুইলা ফাইপা উঠে, গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তার গায়ে আগুন দিতে দ্বিধা করবে না।

মনে রাইখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.