![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
১. রাস্তায় এক পুলিশ দেয়ালে হিসু করতেছিল।
কাঠিমামা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পকেট থেকে কাচি বের করে জায়গা বরাবর ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং চালানোর ভঙ্গি করলেন।
পুলিশ মানইজ্জ্বত-খান্দান বাচাইতে এক দৌড় দিয়া প্যান্টের ভ্যারাচ্যারা কইরা ফেললো। সাথে সাথে অন্য পুলিশরা কাঠিমামাকে গ্রেফতার কইরা থানায় আনলো।
কাঠিমামাকে থানায় ধরে নিয়া ওসি সাহেব জিগাইলেন "কর্তব্য পালনরত অবস্থায় পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার অপরাধে আপনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে"
কাঠিমামা শুধাইলেন, 'দেয়ালে হিসু করা কি পুলিশের কর্তব্য?'
ওসি সাহেব আরো খেপে "পুলিশের কর্তব্য আপনের কাছে শিখা লাগবে? কাচি দিয়া ইয়ে করতে গেছিলেন কেন?"
কাঠিমামা নির্বিকার "ঐডা আমার লাইসেন্স করা কাচি। আমিতো কিছুই করি নাই। ঘ্যাচাং ঘাচাং করসি, পক্কু কিন্তু কাটি নাই। হেহে"
২. খালেদা জিয়া তাড়াহুড়া করে গুলশান অফিসে ঢুকলেন। আজকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মিটিং- পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে ঠিক করা হবে। মিটিং রুমে ঢুঁকে আরো অবাক হলেন। হাত ঘড়ি দেখলেন, দেয়াল ঘড়ির সাথে মেলালেন। এরপরে মোবাইলের সময় মেলালেন। ব্যাপারটা কি? কেউ নেই কেন? সবাই এত ক্যালাস কেন? নাকি তারিখ ভুল করেছে?
চেয়ারে বসে টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছলেন। এসি অন করতে রিমোট খুজতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন। রিমোট নেই!
ওহ! শিট!দে ডিড ইট এগেইন?
৩. বিকেলে তালবেতাল ক্লাবের আড্ডার মধ্যমনি কাঠিমামাকে ঘিরে সবাই বসেছি। আলাপ হচ্ছে দেশ নিয়ে। মামা সবার কথা শুনে মাথা নাড়ছেন। কোন কিছুই উনার পছন্দ হচ্ছে না। হেফাজতি কথা, শাহবাগী কথা, এর মুন্ডু ফেল অর মুন্ডু ভাঙ্গ, হরতাল- এসব উনার পছন্দ না।
- দেখ বাবা আমি এত সাতে পাঁচে নেই। আমি একজন ১০০% পজিটিভ মানুষ। সবকিছুতেই আমি পজিটিভ। এক সাগর পজিটিভ আধানের সমুদ্র আমাদের মধ্যে বইলে, এক বালতি নেগেটিভ যেই ঢেলে দিক, কিসসু লাভ হবে না। দেশ ঢাকার রিক্সার মতো কাটাকুটি করে এগিয়ে যাবে। আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না।
রোজ কারওয়ান বাজারী পত্রিকার হলুদ সংবাদ পড়ে সবাই বিরক্ত। এরমধ্যে কাঠিমামাও চাপাবাজি শুরু করেছেন। যে লোক সবার পিছে কাঠি দিয়ে বেড়ায়, সে কিনা বলে 'সাতে পাঁচে নেই', "পজিটিভ আধানের সমুদ্র " ?
-তাহলে মামা, এইযে বিএনপির দেড় শো নেতা কর্মীকে জেলে ভরে রাখলো। এটার মধ্যে পজিটিভ কি দেখেন?
মামা গলা খেকারী দিয়ে শুরু করেন।
- বুঝেছিস। ছেলে ছোকরাদের এই এক সমস্যা। সবকিছুতে খারাপটা আগে দেখে। এইযে এতোগুলো মানুষ ধরে নিয়ে গেল সরকার তাদের খাওয়াচ্ছে কে?
- জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে সরকার।
- এয়া। এইতো লাইনে এসেছ। ভাত খেতে পাচ্ছে। সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত এদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। জেলে খুন হলে দায় কার?
- সরকারের।
- তালে পরে, ভেবে দেক। এখন যে কেউ যদি রাস্তায় খুন হয়- তার দায় কে লিবে? সরকার। তাই সরকার নিজেই তাদের কোলে তুলে আদর করতে জেলে ঢুকিয়েছে। শুনলাম দুদুকে নিয়ে টানাটানি করেছে। বেশ বেশ। এরা কিন্তু গুম হতে পরতো। সরকার সেটা করলো না। এইযে গুম না করে গ্রেফতার করলো, সেজন্য শুকরিয়া আদায় করেছিস?
মামার এই পজিটিভ যুক্তিবানে মনে হচ্ছিল মোজাম্মেল বাবুও আত্মহত্যা করতে আমাদের তালবেতাল ক্লাবে থাকলে।
ভোটকু মুখ খুললো মামাকে একটু তেল দিতেই। আচ্ছা মামা, আপনি এত যুক্তিতর্ক কোথায় শিখলেন?
- এটা সহজাত প্রতিভা। বুঝলি। ফাইনালি দা তালগাছ ইজ মাইন্
৪. আমাগো ইস্কুল পাশ ভার্সিটি গোয়িংদের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে, মাদ্রাসাশিক্ষিত বা টুপি-দাড়ি দেখলেই মধ্যযুগের সাথে মিলাইয়া তাদের ট্রিট করি। হেফাজতের মহড়ায় চিন্তিত সমাজে সবচেয়ে বেশি যেই দাবি আসছে তা হইলো, মধ্যযুগের হুজুরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এমত ধারনাকারীদের তালগাছ শিক্ষিত ভাবা যায়। এনারা তালগাছে উঠে সবাইকে সেখান থেকে মাপেন। কিন্তু নিজের তালগাছের উচ্চতা নিয়ে ভাবেন না। শহরাঞ্চলে কওমী মাদ্রাসা ছাত্ররা কুরবানির সময় ছুরি নিয়া ঘুরলে ভীত হন না, কিন্তু অন্যসময় ১০-১৫জনের দল একসাথে দেখলে মনে করেন এরা বিস্ফোরক জঙ্গি। এই ধারনা ভাংতেও কার্যকর পদক্ষেপ লইতে হবে। আমাদের প্যাকেজ নাটকের নায়করা দাড়িটুপিহীন, নামাজ পড়েন না(নাটকের কাহিনীতে)। নাট্যনির্মাতাদের মধ্যে ফারুকী সাবের সুন্দর দাড়ি, ফ্যাশনেবল টুপিও দেখি। কিন্তু গল্পে উনার নায়করা লুইস, নায়িকারা ক্ষণে ক্ষণে ভিতর-বাহির করেন। বিশেষ বিপদে পড়লে বৃদ্ধা মায়ের কাছে সুরা পৈরা ফু নেন। আচার-ব্যবহারে ইসলামী আদব বলতে 'স্লামাইকুম' পর্যন্ত। এতে সমাজের একটা অংশ শিক্ষিত তরুন বলতে 'স্লামালাইকুম' পর্যন্ত মুসলিম মনে করে। আল্লামা শফি বয়ান করেন, পিএইচডিওয়ালারা, মাস্টার্স করা লোকজন ঠিকমতো আত্তাহিয়াতু পারে না। এই ভুল ধারনার দেয়াল দুই দিক থেকেই ভাঙতে হবে, ধীরে ধীরে।
একে অপরকে 'দিল মে পেয়ার লেকে' আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া পাঠায়া দিলে দেশটা চলবে ক্যামনে? দেশকে ভালবাসা মানে দেশের মানুষকে ভালোবাসা। পাকিস্তানিরা কিন্তু ধরা খাইসিলো ঐখানেই। দেশ বলতে তারা শুধুই জমিনের সীমানা বুইঝা মাটির দখল নিতে চাইসিলো, মাটির উপরের মানুষের দিল জিততে চায় নাই।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
আপনারা বেশ আছেন দাদা। সবকিছুতেই মজা লন। আপনাদের জন্য হানিফ সংকেতের একটা লেখার শিরোনাম: এভরিথিং ইজ নট ইন্টারেস্টিং
নিজে বিদেশে থাকলেও নিকটাত্মীয় নিশ্চয় দেশেই থাকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২
বাঙ্গাল বলেছেন: মজা লইলাম কই দাদা? প্রবাসীদের দেশপ্রেম কি পাপ?
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬
বইয়ের পোকা বলেছেন: পজিটিভ চিন্তা ভাবনা ভালো লাগছে।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
আহসান আরিয়ান বলেছেন: হোয়েন ইট্স নট পসিব্ল টু চেন্জ সামওয়ান, নিড টু চেন্জ দ্যাট সামওয়ান! পজিটিভ্লি!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
দ্রোহী তারুণ্য বলেছেন: ৪ নং প্যারাটা বেশী ভালো হইছে :-)