![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
ক্যু কারে কয়, তার রকমফের কেমন তা নিয়ে সমাজে বিস্তর ভিন্নমত আছে। সম্প্রতি একটা টার্ম ইজিপ্ট থিকা আসছে। ডেমোক্র্যাটিক ক্যু। ব্যাপক আইডিয়া। এইটা কি? সামরিক বাহিনী ক্যু কইরা ক্ষমতা নিয়া সব দোষ ঘাড়ে নেয়ার দিন শেষ। এখন আসছে সিভিল আহবানে ক্যু- যারে সুশীলরা বলতেছেন ডেমোক্রাটিক ক্যু। তাইলে জনতার ডাকে ক্যু করা জায়েজ? কত পার্সেন্ট জনতা ডাকলে ক্যু ঠিকাছে কইতে হবে?
সেনাবাহিনীরে এমন ডাকাডাকি সারাবছর বাংলাদেশে চলে। নেত্রীরা প্রায়ই ডাক দেন, হুমকি দেন। দুই পক্ষই তাই সেনাবাহিনী হাতে রাখতে নিজেদের পছন্দ মাফিক প্রমোশন দিয়া সেনাপ্রধান নিয়োগ দেন। এতে সেনাবাহিনীর কি উন্নতি হচ্ছে জানি না। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুতাও যে মিসরের মতো পশ্চিমে বাঁধা সেইটা বোঝা যায়। জাতিসংঘের শান্তি কায়েমের যে ঠিকাদারি সেইটা বন্ধ হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা দেখা দিলে সেনাবাহিনী উল্টা দিকে ঘুইরা যাবে। এখন পর্যন্ত তেমন সম্ভাবনা না থাকায় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী গত তিন বছরে ৫হাজার ৩৫৪কোটি টাকা আয় করে বলে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বয়ানে জানান।
আল্টীমেটাম+ট্রাম্প কার্ডঃ গেল বছর জনৈক ব্রাদার এক সেনা অফিসারের চিঠি ফেইসবুকে ছড়ান। পরে সেনাবাহিনী বলে একটা ক্যুর চেষ্টা ব্যর্থ হইসে। ঐটা তাইলে ক্যু-চেষ্টা, বিপ্লব না। ওয়েল, তাইলে সিপাহি-জনতার বিপ্লব কি? প্রথমে ক্যু এরপরে বিপ্লব, নাকি প্রথমে বিপ্লব এরপরে ক্যু? আমরা যদি ধরেই নেই মিসরের ক্যু হচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনাবাহিনীর অনাকাংক্ষিত হস্তক্ষেপ। তাইলে আমাদের সিপাহি-জনতার বিপ্লবে কত পার্সেন্ট জনমানুষের উপস্থিতি ছিল? মিসরে কত পার্সেন্ট জনমানুষের দাবিতে সেনাবাহিনী (নিঃসন্দেহে আমেরিকার ইশারায়) ৪৮ঘন্টার আল্টীমেটাম দেয়? আমাদের দেশেও এমন ট্রাম্প কার্ড ফেলানোর ইতিহাস আছে। যেখানে সমাজের নিম্নবিত্তদের ব্যবহার কইরা সরকার ফেলানোর কোশেশ করা হয়। একদল এনজিও কর্মী আনে, আরেকদল আনে মাদ্রাসার ছাত্র। দুই দলই এমন কোশেশ করসে। লাভ হয় নাই। সবাইরেই ৫বছর অপেক্ষা করতে হইসে।
তাইলে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো খালেদা জিয়ার ৪৮ঘন্টার আল্টীমেন্টামের পর শাপলা চত্ত্বরে বিশাল জমায়েতকে। হেফাজতের পক্ষ থেকে কি সেনাবাহিনীর সমর্থন চাওয়া হয় নাই? খালেদা জিয়া একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেত্রী। উনি পাচ আসনে প্রতিবার অনায়াসে জয়লাভ করেন। তিনিও যদি সেনা-মদদ চান, আমেরিকার হস্তক্ষেপে 'গণতন্ত্র' কায়েম করতে ওয়াশিংটন টাইমসে পত্র দেন, তাহইলে সেনাবাহিনী কোন দিকে যাবে? জনসমর্থনের দিকে, শাপলার দিকে, নাকি পশ্চিমের দিকে? ধরা যাক, ৫ মে রাতে সেনাবাহিনী ব্যারাক থেকে বের হইয়া আসলো? এরপর? এখনকার মিসরের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার? আরো রক্তপাত, অস্থিরতা, দৈনিক পাইকারি মানুষ হত্যা? এরচেয়ে জনগণের ভোটে ক্ষমতার বদল কি শান্তিপূর্ণ না?
ফুটবলঃ ৪-০ থেকে ৫-০ হবার পরে বিরোধীদলের মধ্যে একটা শান্তি ফিরা আসছে। এই শান্তির সাথে সাথে সরকারীদল পরিস্কার বুইঝা গেছে তারা ক্ষমতা হারাইতে যাচ্ছে। ফলে তারা আকাম-কুকাম কিছু কম করবে। হয়তো লিমনে এক পা ফেরত না আসলেও অন্য পা টা নেয়ার জন্য টানাটানি করবে না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্ষমতার ফুটবল খেলায় আমরা বল, রেফারি নাকি চিয়ার গার্ল। আমাদের লাভটা কি? আমাদের লাভ হইতো যদি সরকারের প্রথম বা দ্বিতীয় বছরেই সুষ্ঠুভাবে ঢাকার মেয়র নির্বাচন হইত। সেইটা হইলে সরকার এই শকটা আগে পাইতো। আগেই লাইনে আসতো। কিছু সুশাসনের হাওয়া বাতাস পাইতাম। তা না কইরা তারা ৪মিনিটে ঢাকা দুই টুকরা করলো। টাকা থাকলে নাকি আরো করতেন। এই যে সাইকোটিক বিহ্যাভিয়র সেইটা আমরা দেখলাম গ্রামীন ব্যাংক ১৯টুকরার তোড়জোড়ে। দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্নীতিবাজ মুক্তভাবে ঘুইরা বেড়ায় । অথচ এনবিয়ার দুই বছর তাড়া করলো ড.ইউনূস সাহেবরে। নট ইভেন তারেক জিয়া! যার দূর্নীতির কথা শুনায়া ক্ষমতায় আসলো তারে দিলো ইন্ডিমিনিটি? কেন? তাহইলে কিভাবে দূর্নীতি দমন হবে? আমরা যে মাল্টী পার্টি ফুলক্রিম ডেমোক্রাটিক সিস্টেম চালাই সেইটার সাফল্য নিয়া চিন্তার জরুরত পড়সে। ২২বছর চলে গেছে, প্রতি ৪বছর পরপর আমাদের তত্ত্বাবধায়ক নিয়া ক্যাচাল হয়। পাইকারি হরতাল খুন জখম হয়, যার কোন বিচার নাই। কিন্তু প্রতিটা সরকার তার আগেরটার চেয়ে ব্যর্থ হইতেছে।
সার্ভেঃ জনসমর্থনের একটা সার্ভে করসে পিউ রিসার্চ( গ্লোবাল এটিচ্যুড প্রজেক্ট )। ওরা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ ২০০২ সালে (বিএনপির সেকেন্ড ইয়ার) ২০% জনগণ সরকারের কাজকামে স্যাটিসফাইড ছিল। ২০০৭ সালে আর্মি কাম সুশীল সমাজের শাসনকালে ৭৫% স্যাটিসফাইড ছিল, মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি তখন ৭৬% মালেশিয়ান সন্তুষ্ট ছিল। তখন আমাদের মাইনাস টু খোয়াব চলতেছিল। দেশ পরিস্কার হইয়া যাবে, রাস্তাঘাটে প্রভুহীন হামভি, লেক্সাসের মতো সুশাসন মিলবে। এরপরের বছরের সার্ভে রেজাল্ট দেখলে মাথা নষ্ট হইতে হবে মনে হয়। তাইলে আমরা আর্মি শাসনে আরাম পাই? শুধু বিদেশে আর্মি শাসনে খারাপ লাগে?
ইন্টারেস্টিংলি সবচেয়ে স্যাটিস্ফাইড কান্ট্রি চায়না। একদলীয় বাকশাল নিয়া বিশাল সুখে আছে তারা। সবসময় ৮০%+ সেটিস্ফাইড জনতা! চায়নিজ সরকার পাচ্ছে A+। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের শেষ সুযোগ বইলা জাফর স্যার যে আওয়ামী লীগ সরকারকে A+ দিচ্ছিলেন তারা চার বছর পর পাস মার্কের জন্য কান্নাকাটি করতেছে। বহুদলীয় গনতন্ত্র নিয়া পাকিদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। গত পাচ বছরে <২০%, গত বছর ১০% এর নিচে ছিল সন্তুষ্ট জনতা।
দূর্নীতির কারিশমা: তাইলে সমস্যাটা কি? কেন বহুদল থাকার পরেও দূর্নীতিবাজরা বাইর হইয়া যাইতেছে আর চায়নায় একদল থাকার পরেও দূর্নীতিবাজ ধরা পড়তেছে। আমাদের দুই দলের মধ্যে যে চমৎকার বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই দূর্নীতি সেটা বোঝা যায়। প্রশ্ন থাকে, তাদের দূর্নীতি যদি বোঝাপড়ায় হয় তাহলে কেন এই রাস্তার হাঙ্গামা। নিজেরা একটা কোয়ালিশন করে ফেল্লেই হয়। ওটার একটাই ক্ষতি। কোয়ালিশন করলে লোকে দুই দলরেই একসাথে গালি দিয়ে বিকল্প তালাশ করবে। তখন আর পালানোর পথ থাকবে না। পালানোর পথ খুজতে তাই আমেরিকান এম্বাসিতে দরবেশদের ঘন সমাবেশ হয়। রাজাকারের মাথার বিনিময়ে আবুল, মশিউর, সুরঞ্জিতদের মাথা কেনাবেচা চলে শোনা যায়। এই যদি আসল রূপ হয় তাইলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি? কি থিকা মুক্ত হইলাম আমরা? একই ধরনের দেনদরবারের কথা জয়ের লেখা ২০০৮ সালে আর্টিকেলেও পাওয়া যায়। ওই লেখায় তিনি সেক্যুলার রাষ্ট্রের যে রূপ দেখাইসিলেন তা ভয়ংকর ইসলাম-বিদ্বেষী। সেখানে সে নিজেকে একজন নেগশিয়েটর বলেছিলেন। তারপ্রেক্ষিতেই হয়তো তারেক নির্বাসিত হয়ে মামলার ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যরক্ষা করতে লন্ডনে গেল। আর বিএনপি নির্বাচনে গিয়া ভয়াবহ পরাজয়বরন করলো। আর জনগণ দূর্নীতি দূর করার স্বপ্ন নিয়া ব্যাপক ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার আনলো। এই খোয়াব কি আমরা আর্মী শাসিত মইন-ফখরুদ্দিন আমলেও দেখি নাই? ঘন ঘন এই স্বপ্ন দেখাটা কি জনগণের দোষ নাকি আমাদের নেতৃত্বের কারিশমা? বার বার খোয়াব দেখানোর কারিশমা সবার নাই, স্বীকার করবেন নিশ্চয়ই।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
বাঙ্গাল বলেছেন: লিঙ্ক দিসি ভাই। ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম আপনার গবেষণা পড়লাম। তয় শেষে কি আরও কিছু লেখার ছিলো।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
বাঙ্গাল বলেছেন: নামাজের টাইম হইসে বইলা তাড়াতাড়ি ছাইড়া দিসি। আরেকটু বড় করে লেখবো।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালোই পড়তেছিলাম। শেষ করেন।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
বাঙ্গাল বলেছেন: টেকনিকাল সমস্যা। লেখলাম কিন্তু সব দেখাইতেছে না
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
বাঙ্গাল বলেছেন: কোন এক অদ্ভূত কারণে পুরা লেখা এডিট করতে গেলে দেখাচ্ছে কিন্তু পোষ্ট করলে লেজটা আর দেখাচ্ছে না। পুরাটা ফেইসবুকে পড়তে পারেন এই লিঙ্কে
১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
বাঙ্গাল বলেছেন: http://on.fb.me/15vuddr
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
সাদরিল বলেছেন: পিউ রিসার্চের লিঙ্কটা দিলে ভালো হতো? আমরা যে মাল্টী পার্টি ফুলক্রিম ডেমোক্রাটিক সিস্টেম কথাটি মনে ধরেছে? আর যে প্রশ্নটি করলেন, "এই ক্ষমতার ফুটবল খেলায় আমরা বল, রেফারি নাকি চিয়ার গার্ল"? আমার উত্তর হলো নির্বাচনের সময় আমরা রেফারি, নির্বাচনের আগে দিয়ে চিয়ার গাল আর নির্বাচনের পরে বল।