নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল পাতার কাব্য!

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো

বাঙ্গাল

আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya

বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের সেকেন্ড জমায়েত নিয়া আমার স্ট্যাটাসগুলান

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

মুক্তিযোদ্ধা কোটার বেশুমার অপব্যবহার করায় লোকের মনে যে তীব্র ঘৃনা জন্মাইসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে তার দায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘাড়ে না চাপাইয়া দুই দলের উপরেই চাপানো উচিত। তারাই প্রশাসনে দলীয়করণ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটার এস্তেমাল করে আসছে, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হক মারসে বছর বছর। এখন এদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, ছাগুপনা, ফেলটু ছাত্র বলে তাড়ায়ে দেয়ার ফলাফল হইতেছে মুক্তিযুদ্ধের আরো কিছু শত্রু তৈরী করা। এতে শত্রুশিবিরের হাসি বৃদ্ধিই পাবে, কমবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের যে 'কোটা বাতিলের দাবি' শুনতেছি সেইটা নেহায়েত উত্তেজিত মস্তিষ্কের অবিবেচনাপ্রসূত চিন্তা। তাদের কাছে 'সংস্কার বা পুনির্বিন্যাস' দাবি, 'মুখস্তনির্ভর পরীক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তন' আসলে ভালো হইতো। দেশের সুবিধাবঞ্চিতদের নানান সুযোগ সরকারীভাবে দেয়ার চেষ্টা সব দেশেই আছে। কল্যাণমুখী সব রাষ্ট্রেই তা থাকা উচিত। কিন্তু স্বাধীনতার ৪১বছর পরে ৩০% কোটা দুই তিন লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য জারি রাখা মোটেও যুক্তিসঙ্গত না। পাবলিক সার্ভিস কর্মিশনের পরীক্ষা পদ্ধতি ও সুযোগের বন্টন নিয়ে নিয়মিত গবেষণা ও সংস্কার জরুরি ছিল। সেইটা না করার ফলেই বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত তরুনের মধ্যে ৩০% বিরোধী মনোভাব সংক্রামিত হইসে। সেইটা বাইড়া জেলাকোটা, উপজাতি(এই নামটা পরিবরর্তন করা উচিত) কোটা, নারী কোটা সবকিছুতেই গিয়া পড়সে। সেটা অন্যায় না। বরং এই গণ-অসন্তোষকে যানজটকর ফেলুদের আড্ডা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জমায়েত বলে উড়িয়ে দেয়ার প্রবণতাটি আত্মবিধ্বংসী। বুঝতে হবে, শাহবাগের সব জমায়েত গণভবনের কথা শুনবে না। আর এইটাই শেষ না, আবার আসবে মানুষ এই মোড়ে। যানজট বলে গাড়ির কাচ উচায়া, পুলিশ, দলীয় লাঠিয়াল দিই শাসাইলে এই লড়াই থামানো যাবে না



২. নতুনবার্তা, প্রথমআলো, বিডিনিউজ২৪ কয় কোটা বাতিলের দাবি।

আরটিভি কয় কোটা সংস্কারের দাবি।



সংস্কার হইলে সাথে আছি, বাতিলের দাবি তুললে নাই। 'বঞ্চিত' দের দাবিটা গনদাবিতে পরিণত করতে সব ভার্সিটির অংশগ্রহন জরুরী। নাইলে লাথি দিয়া উঠায়া দেয়াটা খুব সহজ হইয়া যাবে।



৩.মতি ভাই, জাম ছুটসে?



৪. যারা বলতে চান শাহবাগ ছাগুদের দখলে, দাবি আদায় হয়েছে ফিরে যান ঘরে- তাদের জন্য ছফা থেকে ধার করে কইবো, আপনারা "দশ ভাগ প্রগতিশীল, পঞ্চাশ ভাগ সুবিধাবাদী, পনেরো ভাগ কাপুরুষ, পাঁচ ভাগ একেবারে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন"



৫. মাহমুদুর সাহেব শুধু গ্রীন কই গ্রীন কই বইলা চিল্লাইতো।

মতি ভাই খালি যানজট যানজট বইলা চিল্লাইতেছে।

প্রথম আলো আর বিডিনিউজ৪২০ এর সামনে কেউ উল্টা সিধা গাড়ি রাইখা যানজট লাগাইতে পারলে আগামীকাইল ইফতারি ফ্রি



৬. পুনর্বিবেচনা শব্দটা পিএসসি থিকা বাইর হইসে। এতে ৩৪বিসিএসের কলিজায় পানি আসতে পারে কিন্তু আপামর তরুণ জনতার কলিজার আগুন থামে নাই। মনে রাখবেন, পুনর্বিবেচনায় পাশ করার মধ্যে কোন বাহাদুরি নাই। বরং পুরা সিস্টেমকেই চ্যালেঞ্জ করেন।



পুনর্বিবেচনা তারাই সঠিকভাবে করতে পারে যাদের বিবেচনার সক্ষমতা আছে। যারা স্বাধীনতার ৪০বছর পরে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা দিয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছাড়ে তাদের বিবেচনার উপরে আমার ভরসা নাই। সুতরাং অবস্থান ধইরা রাখেন। দাবিটা সারাদেশের ছড়ানোর জন্য আরেকটু সময়ের দরকার। অকুপাই শাহবাগ



৭. শাহবাগের সেকেন্ড জমায়েতকে মেইনস্ট্রীম মিডিয়া পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, চাকুরীপ্রার্থীদের অবস্থান বলে আন্ডারমাইন করার সকল কায়দা কসরত শুরু করসে। এই জমায়েত কি বাংলাদেশের তরুণদের জমায়েত না? আমিতো দেখতেসি এনারা বয়সে মেধায় সবদিক থিকাই তরুণ। প্রাইভেটে জব করা, পাব্লিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কি এই দাবির সাথে একাত্ম না? ৬৪হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের মফস্বল গ্রামের পোলারা কি এই দাবির সাথে একমত না? নাকি গ্রামের পোলার গালি না খাইলে তাগো তরুণ বলতে বাংলা একাডেমি মানা করসে?



৮. মুক্তিযোদ্ধারা কি কোটা চাইসে? তারা চাইসে রাজাকারের বিচার। সেইটা করেন। আমেরিকান এম্বাসিতে দরবেশ পাঠানি বন্ধ কইরা রায় দেন গোলাম আযমের।

সাড়ে ৪১ বছর পার হইয়া গেছে দেশ স্বাধীন হওয়ার। মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বিক্রিটা থামান। মান্ধাতা আমলের ৩০% কোটা আর কতদিন রাখবেন? সময় আসছে পরিবর্তনের। কোটার ভিড় কমাইয়া মেধাবীদের(মুখস্থ মেধাবী না, প্রকৃত মেধাবী) একটু দম ফেলার সুযোগ দেন। নাইলে আর মুক্তি আসলো কই?



৯. শাহবাগের সেকেন্ড জমায়েতের সাথেও সংহতি প্রকাশ করতেসি।আপ্নারা লাইনে থাকলে সমর্থনও লাইনে থাকবে।

কোটা রাখার দরকার আছে, কিন্তু সেইটা রিভাইজ করতে হবে।৪০ বছর পর কেন রিভাইজ হবে না? দশ বছর পর পর নিজে থেকেই পরিবর্তন করা উচিত।

আজাইরা প্রশ্ন মুখস্ত করার পরীক্ষা সিস্টেমটাও আমার অপছন্দ ‪#‎BCS‬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

সোজা আঙ্গুল বলেছেন: নিজের কোন যোগ্যতা না থাকলো। বাপ-দাদার যোগ্যতায় একখান চাকরী বাগাইলাম আর সেইটাই আপনাদের নজরে আগে পড়লো ???
বাপ-দাদার কর্মগুণে চাকরীখান পাইয়া ধরারে সরা জ্ঞান করি। বুক ফুলাইয়া চিৎ হয়ে হাঁটি। একবার দিলোতো বদলী করে। বদলী করলে কী হবে, বাবা'র সার্টিফিকেটটার মওকায় বদলী ঠেকাইয়া বহাল তবিয়তে আছি। এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ?
অহন পূর্বেরচে' আরোও বেশি "ডোন্ট কেয়ার" ভাব নিয়া চলি। অফিস প্রধান সহ সবাই বুঝে গেছে আমার বাবার সার্টিফিকেটখান কী জিনিস !!!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮

বাঙ্গাল বলেছেন: সেটা ক্ষমতার অপব্যবহার। সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা নয়

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১

সাদরিল বলেছেন: প্রথম আলো আর বিডিনিউজ৪২০ এর সামনে কেউ উল্টা সিধা গাড়ি রাইখা যানজট লাগাইতে পারলে আগামীকাইল ইফতারি ফ্রি

একটা জিনিষ খেয়াল করেছেন কি ভাই? যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ শুরু হয়েছিলো শাহবাগে তখনো একশ্রেণির মিডিয়ার মূল ফোকাস ছিলো ট্রাফিক জ্যাম।এখন কোটাবিরোধী আন্দোলনকেও ফোকাস না করে ফোকাস করা হচ্ছে ট্রাফিক জ্যামকে।

লেখায় প্লাস রইলো বরাবরের মতো

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

বাঙ্গাল বলেছেন: দুইডার একি চরিত্র। সামনে তারা চেয়ারের সাথে সাথে চরিত্র বদল করবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.