![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা রাতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কা‘বার
হাতীমে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের শেষভাগে জিবরীল
(আঃ) আল্লাহর নির্দেশ মতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-
... এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বোরাকের
পিঠে আরোহন করিয়ে বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল
মুক্বাদ্দাসে নিয়ে যান।
সেখানে পৌঁছে তিনি বোরাক্বটিকে একটি পাথরের
সাথে বেঁধে বায়তুল মুক্বাদ্দাসে দু’ রাক‘আত ছালাত
আদায় করেন।
অতঃপর তাঁর নিকট ঊর্ধ্বলোকে ভ্রমণের বিশেষ
বাহন উপস্থিত করা হয়। মতান্তরে ঐ বোরাক্বের
মাধ্যমে জিবরীল (আঃ) তাঁকে মহান আল্লাহর
সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ পর্যন্ত
নিয়ে যান। পথিমধ্যে প্রথম আসমানেআদম (আঃ),
দ্বিতীয় আসমানে ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা (আঃ), তৃতীয়
আসমানে ইউসুফ (আঃ), চতুর্থ আসমানে ইদ্রীস
(আঃ), পঞ্চম আসমানে হারূণ (আঃ), ষষ্ঠ
আসমানে মূসা (আঃ) এবং সপ্ত আসমানে মুসলিম
জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ
ও পরিচয় হয়।
অতঃপর জান্নাত-জাহান্ন াম ও ‘বায়তুল মা‘মূর’
পরিদর্শন করেন। সিদরাতুল
মুনতাহা পৌঁছে জিবরীল (আঃ) তাঁকে তথায়
একা রেখে চলে যান। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-
কে ‘রফরফ’ বাহন আরশে মু‘আল্লাকা পর্যন্ত
পৌঁছে দেয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে এক
টুকরা মেঘ আচ্ছাদিত করে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) সিজদায় লুটিয়ে পড়েন।
এসময় মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার অতীব
নিকটে আসেন এবং তাঁর দিকে ঝুকে পড়েন। এ সময়
উভয়ের মাঝে দূরত্ব ছিল দুই ধনুক বা দুই গজেরও
কম। তখন আল্লাহ তাঁকে অহী করেন-
‘অতঃপর নিকটবর্তী হ’ল এবং ঝুলে গেল। তখন দুই
ধনুকের ব্যবধান ছিল বা তারও কম। তখন আল্লাহ
স্বীয় বান্দার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করার
তা করলেন’ (নাজম ৮-১০) ।
আল্লাহ পাক উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য ৫০ ওয়াক্ত
ছালাত ফরয করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
উপর থেকে মেঘমালা সরে গেলে তিনি জিবরীল
(আঃ)-এর সাথে দুনিয়াতে ফিরে আসার জন্য
রওনা দিলেন। পথিমধ্যে ষষ্ঠ আসমানে মূসা (আঃ)
তাঁকে মি‘রাজের প্রাপ্তি ও প্রত্যাদেশ
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
তাঁকে ৫০ ওয়াক্ত ছালাতের কথা বলেন।
মূসা (আঃ) তাঁকে পুনরায় আল্লাহর নিকট
ফিরে গিয়ে ছালাতের পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য
পরামর্শ দিলেন। মূসা (আঃ)-এর পীড়াপীড়িতে রাসূল
(ছাঃ) কয়েকবার আল্লাহর নিকট যান এবং ছালাতের
ওয়াক্তের পরিমাণ হ্রাস করার অনুরোধ করেন।
ফলে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহে ৫০ ওয়াক্ত
ছালাতকে কমাতে কমাতে ৫ওয়াক্ত করেদেন, যা ৫০
ওয়াক্তের ফযীলতের সমান।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বচক্ষে জান্নাত, জাহান্নাম,
বায়তুল মা‘মূর, মাকামে মাহমূদ, হাউযে কাওছার
ইত্যাদি পরিদর্শন করে বায়তুল
মুক্বাদ্দাসে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন
আসমানে যে সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের
সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল তারাও তাঁর সাথে বায়তুল
মুক্বাদ্দাসে অবতরণ করেন। অতঃপর
তিনি আম্বিয়ায়ে কেরামকে সাথে নিয়ে সেখানে দু’রাক
ছালাতের ইমামতি করেন। (কারো মতে সেটি ছিল
ফজরের ছালাত)।
ছালাত শেষে তাঁকে জাহান্নামের দারোগা ‘মালেক’
ফেরেশতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াহয়। অতঃপর
বোরাক্বে আরোহন করে অন্ধকার থাকাঅবস্থায়
তিনি পুনরায় মক্কায় নিজ গৃহে ফিরে আসেন।
[[ বেস্ত সময়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ]]
©somewhere in net ltd.