![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব টেনশনে ছিলাম সারাদিন। শুধু আজকের দিন বললে ভুল হবে, বলা ভালো গত দুই মাসই টেনশনে ছিলাম। রেজাল্ট যেমনই হোক সমস্যা নেই, কিন্তু না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। গত কয়েকদিন প্রায় প্রতি রাতেই সপ্ন দেখেছি, আসলে সপ্ন না বলে দুঃসপ্ন বলাই মনে হয় উচিত। হয়ত পরীক্ষকের ভুলে আমার রেজাল্টই আসেনি অথবা আমি ফেল করেছি অথবা সেটা, যেটা পরে বাস্তবে রুপ নিয়েছিল
। যদিও পরীক্ষা হয়েছিল আমার প্রত্যাশা মতই। পরীক্ষার পর অনেক হিসাব নিকাশ করে দেখলাম, যদিবা পরীক্ষক মহোদয়গন তাঁদের স্ত্রী মহোদয়াদের সাথে ঝগড়া করেও খাতা দেখতে বসেন
, তারপরও আমার শিক্ষক, বাবা-মা’র প্রত্যাশার চাইতে অন্তত পঞ্চাশ নম্বর বেশি পাব। অর্থাৎ বেশ আত্নবিশাসীই ছিলাম আমি। যাই হোক, সকাল থেকে সময় যেন আর কাটছিল না। বিকেলের দিকে আমি নিজেই গেলাম স্কুলে রেজাল্ট জানতে। আমাদের স্কুলটা বাজারের সাথে লাগোয়া। স্কুলে যেতে হলে বাজার পার হতে হয়। বাজারে ঢুকার মুখেই শুনলাম, মানুষ বলাবলি করছে, এবার এই স্কুলে একটাও ষ্টার পায়নি
। মনে হলো গত কয়েক রাতের মত দুঃসপ্ন দেখছি। না শুনার ভান করলাম। গেলাম স্কুলের দিকে। নাহ, ঠিকই শুনেছি। উল্লেখ্য, আমাদের ব্যাচ-ই ফার্স্ট ডিভিশন, ষ্টার, ষ্ট্যান্ড ব্যবস্থার শেষ ব্যাচ। আর আমাদের স্কুলে প্রতিবছর ষ্টার না পেলেও দুই এক বছর পরপরই পেত। যদিও আমার উপর প্রত্যাশাটা একটু বেশিই ছিল। টেস্ট পরীক্ষায় আমার আর সেকেন্ড জনের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র একশ চার নম্বরের (এতে আমার কৃতিত্বের চাইতে বাকীদের ব্যর্থতার অবদান ছিল বেশি)
। দেখলাম স্যারদের মন খারাপ। আমারও যে খারাপ লাগেনি তা না, কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হলে কান্নাকাটি করে বালিশ ভিজিয়ে ফেলা, কিংবা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেওয়া এগুলা আমার দ্বারা হতো না। কিন্তু বাড়ীতে গেলেই তো শুনতে হবে বকা। কি করা যায়। সাইকেল না চালিয়ে হাঁটছিলাম ভাবতে ভাবতে, পেয়েও গেলাম একটা বুদ্ধি
। বাড়ীতে গেলাম মুখটা কাঁদো কাঁদো করে
। গিয়েই রুমে ঢুকে দরজায় খিল। সবাই ভাবছে, আহারে...ছেলে রেজাল্টের দুঃখে নির্বাসন নিল। আর আমি ওদিকে নাক ডেকে ঘুম
। খেলাম না ঐরাতে(খিধায় অবস্থা খারাপ হইয়া গেছিল)
। যাক, রেজাল্ট খারাপ হলো, এখন আমাকে দিয়ে আর কি হবে। ভালো কলেজে চান্স পাব না। গ্রামের কলেজে ভর্তি হয়ে লাভ নেই। তখন আমাদের গ্রামের দিকে একটা খুব প্রচলিত ব্যাপার ছিল। বেশির ভাগই ফেল করত এসএসসি তে(আমাদের সময় ৯২জনের মধ্যে ১৬ জন পাস করছিল)। তারপর জমি বিক্রি করে বিদেশ, মানে সৌদি আরব। দুই বছর পরই দেখতাম, ইয়া একটা ভুড়ি বানিয়ে, গলায় স্বর্নের চেইন ঝুলিয়ে, হাতে সোনার ঘড়ি আর সিগেরেটের প্যাকেট নিয়ে চায়ের দোকানে পা তুলে বসে গল্প করছে নিজের বিরত্বের
। আরো একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, বিশেষ বর্ণের লুঙ্গি আর অবশ্যই নাকের নিচে কুচকুচে কালো গোঁফ। রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় যেহেতু ভালো কলেজ়ে ভর্তি হতে পারবনা, তখন থেকেই আমি মনে মনে স্বপ্ন দেখছিলাম সৌদি আরবে যাওয়ার। ভাবতাম, গোঁফ রাখলে আমাকে কেমন দেখাবে, কিংবা মস্ত ভুড়িতেই বা কেমন লাগবে
। আমার ভাইয়া তখন কলেজে পড়ে। সে একখান ভর্তি গাইড কিনে দিয়ে গেল ঢাকা থেকে, ইয়া মোটা। কিন্তু আমি বইয়ের পাতা খুললেই পাতার মধ্যে যেন দেখতে পেতাম সৌদি আরবের দৃশ্য
। পরে আমাকে জানানো হলো, ঢাকায় একটা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিব, সেটাতে চান্স পেলেই কেবল তোমার পড়ালেখা চলবে, না পেলে সৌদি আরব। আমি যেন আমার সপ্নকে আরও কাছাকাছি দেখতে পেলাম
। প্রিপারেশন নিইনি, চান্স পাব কোত্থেকে? যথাসময়ে গেলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে। দিলাম। বুঝলাম না কেমন হইছে। কিন্ত আবারও দুঃস্বপ্ন
। চান্স পেয়ে গেলাম দূর্ভাগ্যজনক ভাবে!!(পরে অবশ্য বুদ্ধি কইরা ষ্টার পাইয়া গেছিলাম এইচএসসি-তে)
। কিন্তু আমার সৌদি আরবে যাওয়ার স্বপ্ন? আমার সোনার চেইন, আমার ভুড়ি, আমার কুচকুচে কালো গোঁফ? সেই স্বপ্ন পূরণ হলে কবেই বিয়ে শাদী করে মাশাল্লাহ সংসার পেতে ফেলতাম, এতদিনে হয়ত গন্ডা খানেক গলায় ঝুলত। কিন্তু হায়…… এখনো মাঝে মাঝে দীর্ঘশাস ফেলে ভাবি, আমার সৌদি আরবে যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল….
০৬ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:১৮
টুকুমনা বলেছেন: আইচ্ছা, আম্নে যখন কইসেন যামুনা।
আম্নেও ভালা থাকেন
২| ০৬ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:১৫
মুহিব বলেছেন: সৌদি আরবে যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থাকুক।
০৬ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:১৯
টুকুমনা বলেছেন: জে আইচ্ছা
৩| ০৬ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯
শয়তান হন্তারক বলেছেন: কিন্তু আমার সৌদি আরবে যাওয়ার স্বপ্ন? আমার সোনার চেইন, আমার ভুড়ি, আমার কুচকুচে কালো গোঁফ? সেই স্বপ্ন পূরণ হলে কবেই বিয়ে শাদী করে মাশাল্লাহ সংসার পেতে ফেলতাম, এতদিনে হয়ত গন্ডা খানেক গলায় ঝুলত
ভাই খুব-ই হাসলাম কথাটা শুনে।
০৬ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৪০
টুকুমনা বলেছেন: হাসেন, স্বপ্ন ভাঙ্গার কথা শুনলেতো হাসি পাইবোই
৪| ০৬ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৪
জুবায়ের হাসান বলেছেন: ভাই। হজ্জ-ওমরা-জেয়ারতের জন্য সৌদি যাইতে পারেন।
চাকরী করতে সৌদি না যাওয়াই ভালো!
০৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
টুকুমনা বলেছেন: ঠিকই কইসেন
৫| ০৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:২৭
রঙ পেন্সিল বলেছেন: ভাবনার বিষয় হলো.......আপনি এখন আছেন কোথায়!?
০৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
টুকুমনা বলেছেন: আমার স্বপ্ন ভাইঙ্গা খানখান হইয়া গেল, আর আপনি আছে ভাবতাছেন... নারে ভাই, মনের দুঃখ বুঝলেননা
৬| ০৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:২১
রাজামশাই বলেছেন: tor Titkari te Mind korlam
০৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:০৬
টুকুমনা বলেছেন: হে হে হে, মাইন্ড বালা জিনিস, বেশি কইরা করেন
৭| ০৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:২০
পুরাতন বলেছেন: আপনের জন্য সম বেদানা
১০ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:৪০
টুকুমনা বলেছেন: থিঙ্ক্যু থিঙ্ক্যু
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:১৪
প্রশাসন বলেছেন: ভাল ভাল । ঐখানে গিয়া কি করবেন? এই দেশেই ভাল আছেন। ভাল থাকেন।