নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পরাজ্যের ভবঘুরে

আজো ডানা ভাঙ্গা একটি শালিক হৃদয়ের দাবি রাখো..।

টুকুনতারা অগ্নিসরিৎ

টুকুনতারা অগ্নিসরিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেটুক গিরীশ এবং সাত আহাম্মক

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

আমার দাদী ছিলেন অদ্ভুত এক মানুষ। ছিলেন জ্ঞানী এবং ধার্মীক। অসংখ্য কবিতা তাঁর মুখস্ত ছিল। "সোনার তরী" কবিতাটি প্রথম দাদীর মুখেই শুনি। মজার মজার অনেক ছড়া তিনি নাতি-নাতনিদের শুনাতেন। সবাই একসাথে গ্রামের বাড়িতে গেলে তাঁর চেহারার যে ঔজ্জ্বল্য দেখতাম, তা আজো মনে পড়ে।



সবার সেই "বু'জান" আজ আর আমাদের ছড়া-কবিতা শুনান না। আজ আর তাঁর "আদরের বিড়ম্বনা" সইতে হয় না। হঠাৎ খুব মনে পড়ছে দাদীর কথা। আর মনে পড়ছে তাঁর দু'টি ছড়ার কথা। পড়ে দেখুন, ভালো লাগতেও পারে।





#পেটুক গিরীশ

পেটুক গিরিশ পেটুক গিরীশ,

যাচ্ছো কোথায় ধেয়ে?

যাচ্ছি আমি ওদিকখানে

ভোজের গন্ধ পেয়ে।

পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,

তোমার পেটটি ক্যানে মোটা?

কলা খেয়েছি কাঁদি কাঁদি

কাঁঠাল খেয়েছি গোটা।

পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,

কি কি খেতে রুচি?

গরম গরম রসের গোল্লা,

নরম নরম লুচি।

পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,

লেখা পড়া জানো?

অত সত বুঝিনাক

খাবার থাকলে আনো।

পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,

মরণ তোমার নাই?

তুই মর, তোর গুষ্ঠি মরুক,

তোর মুখে পড়ুক ছাই।



#সাত আহাম্মক

আহাম্মক নম্বার এক,

যে ভদ্রলোকের কথায় ধরে ঠ্যাক।

আহাম্মক নম্বর দুই,

যে ঘর ছাই না ধরে টুই*।

আহাম্মক নম্বর তিন,

যে ছোটলোকের লগে করে ঋণ।

আহাম্মক নম্বর চাইর,

যে ঘরের কথা করে বাইর।

আহাম্মক নম্বর পাঁচ,

যে সীমাত লাগায় গাছ।

আহাম্মক নম্বর ছয়,

যে নিজের কথা অন্যের কাছে কয়।

আহাম্মক নম্বর সাতের কথা বলব কি,

যে বাড়ির কাছে বিয়া দেয় ঝি।





*টুই= টুয়া। ঘরের দুই চালের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করার জন্য ত্রিভুজাকৃতির চাল। পংক্তির অর্থ হচ্ছে, যে পুরো ঘর তৈরি করে ফেলেছে অথচ টুয়াই দেয়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.