![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল শুভেন্দুরা চলে গেছে ।
পুরোনো বাড়ি ফেলে চমৎকার
ঘোড়ার গাড়িতে করে-
পেছনে তাকায়নি একবার ।
ও,ওর ভাই আর ছোট বোন সিন্ধু, যাকে
ছোটবেলায় একবার বিষ্ণুদের কবিতায়
অলংকার বোঝাতে গিয়ে পেরিয়ে গিয়েছিলো ঘন্টাতিনেক
বাবা মাকে সঙ্গে করে চলে গেলো,
আমাদের ফেলে ঢাকার গলিতে, পুরোনো ঠিকানায় ।
তারপর যেন বহুকাল পর আজ ভোরে
খিড়কি পেরুয়ে ঢুকলাম সেই ঘরে -
লনে হেঁটেছি কত, কত হাত ধরে টেনেছি
শাড়ি ধরে চিৎকার করে পিসীর ,-
যিনি সবার পিসী ছিলেন আমাদের,
মাত্র তেরোতে পরেছিলেন বিধবার শাড়ি ।
ধূলোবালিতে ভরা বাথরুমে মগ পড়ে আছে
ভাঙ্গা একখানা, একগোছা চুল জমে আছে ।
আর দুদিন বাদেই ধূলো পড়ে যাবে আমাদের
বুকে, ঝাপসা হবে সবকিছু । কোলকাতায় গেলে
শুভেন্দুর মা হয়তো বলবেন, তোমার নাম
টুটুল না মিতুল জেনো বাবা ।
আমি দুঃখিত স্বরে বলবো, আমি তৈয়ব ।
সিন্ধুর ঘরে একটা ছোট ছড়ার খাতা
খাতার উপরে লেখা ‘বিষু দেব’।
একটা চিরকুট ছেড়া। চিরকুটে লেখা, তৈয়ব
কাল নবগোপাল ........। আর পড়া যায় না ।
আমি জানি, কোলকাতায় শ’ কয়েক
চিঠি লিখলেও আর আসবেনা শুভেন্দুর
চিরকুট ।
বড্ড শক্ত ওদের গেটটা খুলে বাইরে
আসলাম। পা টানতে টানতে বাসায়
এসে মনে হলো, পকেটে চিরকুটটা বড়
ঠোকরাচ্ছে এখনও ।
আমি ঢাকায়ই রয়ে গেলাম ।
©somewhere in net ltd.