![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাক ঠিক ঐ কেটে ফেলা পালকের পাখীর, মত দু-চোখ দিয়ে ঠিকরে বেরোয়, জীবনের প্রতি অথবা জন্মানোয়, প্রবল ঘৃনা
জনগণ হিসেবে আমরা মোটেই আমাদের কর্তব্য পালন করছি না! একটার পর একটা ভুল করে ভুলের পাহাড়ে বসে টেনশন করছি আর কার্ডিওলজিষ্টদের ইনকাম বাড়াচ্ছি। দেশের স্বার্থের কথা ভেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু কর্মকান্ডে আমরা কষ্ট পাচ্ছি ।মূহুর্মহু হরতালে হু-হু করে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছি । অথচ এই কোরাস কান্নাসংগীতে কারও কিছুই আসে যায় না ,বরং এ সংগীতের মূর্ছনায় আমরাই মূর্ছা যাচ্ছি ।যানজটকে আমরা যেমন আপন করে নিয়েছি তেমনি হরতালকেও যদি জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে স্বীকার করে নিতাম তবে কতই না ভাল হতো !
তখন দেশ মাতার ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা আতঙ্কিত হতাম না, রুজির চিন্তায় শরীরটাও কাবু হতো না
আসুন না, নিজেদের মানসিক শান্তির জন্য হরতাল কে ক্ষতিকর না ভেবে হিতকর ভাবি ।লাগাতার বৃষ্টির দিনে একপশলা ঘুম কদুর তেলের মত মাথা ঠান্ডা করে দেয় ।ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ইলিশ খিচুড়ি অমৃতের মতো লাগে ।হয়তাল ছাড়া এসব আনন্দ উপভোগের অবসর কোথায় ?
এখন কাজের চাপে ফ্যামিলিকে সময় দেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।দফায় দফায় বা লাগাতার হরতাল হলেই কেবল সুযোগ মেলে !
অনেক নিন্দুক বলেন যে হরতাল দেশের অর্থনীতির চাকা অচল করে দেয় ,কিন্তু একবারও কি হরতালময় অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনার কথা ভেবেছেন ?এ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় মূর্খ মানুষের বেকারত্ব ঘুচবে । প্রধান হরতাল প্রকৌশলী ,সহকারী পিকেটার বা অতিরিক্ত বোমাবাজ হয়ে তারা দেশের সেবা করতে পারবে ! তাছাড়া হরতাল তো আর আরব্য রজনীর রুপকথার কর্মসূচি না যে এটি পালিত হবে আর গাড়ি ভাঙা হবে না !সৃষ্টির সেরা জীব লাঠালাঠিতে ঠ্যাং না ভাঙলে বা বোমাবাজিতে দুই চারটা না মরলে কি হরতাল জমে !
কাজেই হরতালনির্ভর ইকোনমিক সিষ্টেমে ইটপাটকেল ,বোমা বা কাফনের কাপড় ব্যাবসায়ীদের জন্য রয়েছে সোনালি সম্ভাবনা !
জ্ঞানপাপীরা বলেন ,হরতাল দেশের শিক্ষাব্যাবস্থাকে পঙ্গু করে দয় ,কিন্তু আমরা যদি গোটা শিক্ষব্যাবস্থাটাকেই হরতাম করি ,তাহলে এ সমস্যা আর থাকে না ।
তখন পড়ারেখার বিষয় হবে মিছিল ইন্জিনিয়ারিং ,পাল্টা ধাওয়া টেকনোলজি ,টায়ার বানিং সায়েন্স ইত্যাদি । উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে গবেষণার কোন ক্ষেত্র না থাকলেও এই টপিকগুলোর জন্য এখানে রয়েছে গবেষণার পাকা ময়দান ।
এসব বিষয়ে যেহেতু অযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ,তাই পরিত্যক্ত প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো এই লাইনে হতে পারে দিশারি ।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্রদের কোপাকুপি গোলাগুলির ঘটনা থুতু মারার মতো বিষয় হলেও হরতালময় সমাজে এসব কর্মকান্ড পরিণত হবে শিল্পে । কে কত সুন্দয় করে কোপাতে পারে, কত নিখুঁতভাবে রগ কাটতে পারে ,তা নিয়ে শুরু হয়ে যাবে প্রতিযোগিতা ।
এমন সমাজের সাহিত্য ও সংসস্কৃতিতেও লাগবে হরতালের উষ্ণ ছোঁয়া । যে জন নিশিতে মনের খুশিতে পোড়ায় গাড়ির টায়ার জাতীয় কবিতা লেখা হবে ।
পথর সভ্যতা বনাম হরতাল সভ্যতা টাইপের গবেষণাগ্রন্থ বাজারে আসবে ।
খেলাধুলায় সূচিত হবে বৈচিত্র্য ,শুরু হবে উল্টা দৌড় ,গাড়ি ভাঙচুর প্রতিযোগিতা ।
হরতালের সময় কাল ধোঁয়া বন্ধ হওয়ায় পরিবেশ জানমাল রক্ষয়ও এর রয়েছে অতুলনীয় অবদান !
আসুন , এসব বিবেচনা করে হরতালময় একটি দেশের দাবিতে সোচ্চার হই ।
যেহেতু সরকার ( ইস্যু ) উত্পাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করছে ধা , অন্যদিকে আলোচনার পথ বন্ধ রেখেছে !
সেহেতু মনের সুখ ফিরিয়ে আনতে হরতালময় রাষ্ট্রের বিকল্প নেই ।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৪
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: এ বছরের সবচেয়ে রহমতপুর্ন দিনটি ১৪ই জানুয়ারী
Click This Link
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩০
উদাস কিশোর বলেছেন: ছেঁড়া জুতার শুভেচ্ছা আপনাকে
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
নিজাম বলেছেন: ভালই বলেছেন। মন্দের ভালো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
উদাস কিশোর বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৩
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: আজকে আমাদের ভাবার সময় হয়েছে কে আমাদের আপন,কে পর। কে আমাদের শুভাকাঙ্খী , কে নয়। কে বন্ধু, কে বন্ধু বেশে শত্রু।আমরা সকলেই জানি যে,
আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য ,দলের জন্য করে । সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক। এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।এরা সকলেই এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। সেটা হলো দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চৌ ত্যগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি আওড়াও , জণগন নামক একদল গাধাঁর সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাও । তারই ফল আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার।হরতাল-অবরোধের নামে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস ও বিধ্বস্ত করে দেশবাসীকে কী ফায়দা দেয়া হচ্ছে? দেশ-জাতিকে ক্ষতিগ্রস্তকারী রাজনীতিকদের প্রত্যাখান করুন...[/sb
Click This Link