নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চার দেয়াল . . . .ঘর অন্ধকার . . .গুনগুন কথা বলি . . . .আমি আর আমার ভাঙ্গা গিটার . . .

উদাস কিশোর

নির্বাক ঠিক ঐ কেটে ফেলা পালকের পাখীর, মত দু-চোখ দিয়ে ঠিকরে বেরোয়, জীবনের প্রতি অথবা জন্মানোয়, প্রবল ঘৃনা

উদাস কিশোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রায়ত "পপ গুরু আজম খান" এর ৬৪ তম জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ফুলেল শুভেচ্ছা ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

আজম খান

একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী গায়ক। তাঁর পুরো নাম "মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান"। তাঁকে বাংলাদেশের পপও ব্যান্ড সঙ্গীতের একজন অগ্রপথিক ব্যান্ড গুরু হিসেবে গণ্য করা হয় । আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে -বাংলাদেশ (রেল লাইনের ঐ বস্তিতে) ,ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি । সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায়সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন ।



♣ (জন্ম: ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০; মৃত্যু: ৫ই জুন, ২০১১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ( সিএমএইচ), ঢাকা)





আজম খান ১৯৫০ সালে আজিমপুরেজন্ম গ্রহণ করেন । তার বাবার নাম "মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান", মা "জোবেদা খাতুন"। সেখানে তারা ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন। তার বাবা ছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চিকিত্সক ছিলেন। তার তিন ভাই ও এক বোন ছিল। বড় ভাই "সাইদ খান" (সরকারি চাকরিজীবী), মেজো ভাই "আলম খান" (সুরকার), ছোট ভাই "লিয়াকত আলী খান" (মুক্তিযোদ্ধা) এবং ছোট বোন "শামীমা আক্তার খানম"। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলেবেবিতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান। এরপর থেকে সেখানে বসতি তাদের। সেখানে তিনি কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলেপ্রাইমারিতে এসে ভর্তি হন। তারপর ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলেবাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজথেকে বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায় আর অগ্রসর হতে পারেননি ।

১৯৬৯সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন । তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীরসক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীতপ্রচার করেন । ১৯৭১ সালে আজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন । বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি । ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান। আগরতলার পথে সঙ্গী হন তার দুই বন্ধু। এসময় তার লক্ষ্য ছিল সেক্টর ২ এ খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধে যোগদান করা। আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তার গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণ যোগাতো। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে। যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কুমিল্লায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সমুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন। কুমিল্লার সালদায়প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি পুণরায় আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ। আর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলত যাত্রাবাড়ি- গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত " অপারেশান তিতাস"। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন হোটেল), হোটেল পূর্বাণী' রগ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশীরা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তার বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীতে তার শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়। আজম খান তার সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিত করেন ।



♣ গায়ক আজম খানঃ

আজম খানের কর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ষাটের দশকের শুরুতে। ১৯৭১ সালের পর তার ব্যান্ড উচ্চারণএবং আখন্দ ( লাকী আখন্দও হ্যাপী আখন্দ) ভাতৃদ্বয় দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে সেই অনুষ্ঠানের এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রেওচার কালেমা সাক্ষী দেবেগান দু'টি সরাসরি প্রচার হলো প্রচার হলো। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দু'টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল। ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাংলাদেশ (রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন। তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজেরসাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার গানজীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে! তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক !





১৯৮১ সালের ১৪ই জানুয়ারি ঢাকার মাদারটেকে তিনি "সাহেদা বেগম" কে বিয়ে করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। তার এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম "ইমা খান" এবং দ্বিতীয় সন্তানের "হৃদয় খান" এবং তৃতীয় সন্তানের নাম "অরণী খান"। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবনযাপন তার। আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। এছাড়া আছেন চার ভাই ও এক বোন ।



♣ মৃত্যুঃ

পপসম্রাট আজম খান দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধির সাথে লড়াই করে ৫ই জুন, ২০১১ইং তারিখ, রবিবারসকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিটে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।





আজ তার ৬৪ তম জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা. . . ও ফুলেল শুভেচ্ছা ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

গান পাগলা বলেছেন: গুরু তোমায় মনে পড়ে,,,,,, অতৃপ্ত সব অনুভবে......


গুরুর সেই মন মাতানো গান

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ গান পাগলা ।
ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা নিরন্তন

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

সুমন কর বলেছেন: উনার ৬৪ তম জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা. . . ও ফুলেল শুভেচ্ছা ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকু ।
শুভ কামনা

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট কিশোর ।


গুরুর জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫

উদাস কিশোর বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ ।
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই :)
কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকুন :)

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আমি যারে চাই রে..
সে থাকে মোরই অন্তরে
আমি তারে পেয়েও হারাইরে..
আমি তারে পেয়েও হারাইরে..
গুরুর জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৭

উদাস কিশোর বলেছেন: গুরুর সৃষ্টি গুলোই আমাদের মনে করিয়ে দেবে তার কথা ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
অনেক ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা নিরন্তন

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৪

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ।।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৯

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা.

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২২

সানড্যান্স বলেছেন: ুলবানু-আকলিমা, কেউ তাকে ফেরাতে পারল না!!
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ!
প্রাণবন্ত হচ্ছে ব্লগ দেখা যাচ্ছে!!

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

উদাস কিশোর বলেছেন: মৃত্যু স্বাদ একদিন সবাইকেই গ্রহন করতে হবে । তখন ফেরাবার কেউই থাকবে না ।
ধন্যবাদ , কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকুন

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাড়ীর পাশেই চিটাগাং হোটেলের ছাদ অনেক গানের সুতিকাভূমি।।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা নিরন্তন

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা.....

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা নিরন্তন . . . . . . .

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুরুর জন্যে ভালোবাসা।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন
শুভ কামনা

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গুরুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৯

উদাস কিশোর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন সব সময় ।
অনেক শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.