নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্তব্য

উদদিন

"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !

উদদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

« মা হতে না পারার অভিশপ্ত ও নির্বংশ হওয়ার কাহিনী  »

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২





আমার মা বলতেন "যে সংসারে কোন মেয়ে নাই সে সংসারে আল্লাহ"র ফেরেস্তা প্রবেশ করে-না" ! মা"র এই কথা থেকে আমি একটা কথা আবিস্কার করেছি "মাতা-পিতার কাছে কোন মেয়ে নাই , নাই কোন ছেলে-ও , তাদের কাছে সবাই হলো সন্তান" ! যে মাতা-পিতা নিজ সন্তানদের "ছেলে" "মেয়ে" বলে আলাদা করে পরিচয় দেন তারা যেন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে নিজ সংসারটাকেই দুই ভাগ করে দিলো এবং তা বর্নবাদীতার সমান অপরাধ !



"এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য ঐ অ-শ্লীল "মায়েরা"ই দ্বায়ী" শিরোনামের নিবন্ধটিতে যে ভুল গুলি আমি করেছি সে ভুলের মাসুল আমি আমার আজকের এই নিবন্ধটিতে তুলে ধরবো ! গড়ে বাংলাশের ৯৯ % মা , ৯৫ % পিতা এবং পৃথিবীর ৮৫ % মা এবং ৭৫ % পিতা জানেন-না "কি-করে "কি-ভাবে অন্যের কাছে , সমাজের কাছে নিজ-নিজ মেয়ে অথবা ছেলেকে পরিচয় করিয়ে দিবেন ? এ হীন-মন্যতা ছিলো সম্ভবত মানব যুগের শুরু থেকেই এবং তা আজকের এই সভ্য যগৎএ-ও একই ভাবে উপস্থিত আছে ! এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই ঃ -শিশু জন্ম দিতে পারলেই মাতা-পিতা হওয়া যায়-না , বা কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালন শেষ হয়ে গেল-না , তার জন্য চাই ত্যাগ শ্বীকার , অনেক ত্যাগ শ্বীকার ! এই ত্যাগ শ্বীকার করতে পারেন নাই বলেই রাজা বাদশা-দের বেগম বা রানী সাহেবা-গন "মা" হতে পারেন নাই , তারা শুধু মা হতে না পারার অপরাধেই অপরাধী নয় , আমার কাছে আজ তারা বংশ নির্বংশ হওয়ার অপরাধে অপরাধী !

আমেরিকার ৭০ % মা , ইউরোপের ৮৫ % মহিলা যে কারনে আজ-ও মা হতে পারেন-নাই , অথচ তারা সবাই এক বা একের অধিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন ! শিশু জন্ম দিয়ে-ও রানী সাহেবা-গন কেন মা হতে পারেন নাই ? তার জবাবে আমি বলবো ; -রানী সাহেবা-গন সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ঠিক কিন্তু কর্ম তারা করেন নাই ! তারা তাদের নিজ স্বার্থ রখ্যায় ব্যাস্ত থাকতেন প্রতিনিয়ত , যৌবনের লোভ-লালসায় সারাখ্যন নিজেকে ব্যাস্ত রেখে সন্তানের প্রতি "মা" এর কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালনে তারা ছিলেন যথেষ্ট কৃপন ও স্বার্থপর , ছিলেন তারা "পাপিষ্ট" এবং খুব"ই দ্রুত "শয়তান" , ফলে দুধ-মা নামে এক নিষ্ঠুর নতুন এক দাস প্রথার ব্যাবস্থা চালু করলেন তারা "রাজ-শক্তির" মাধ্যমে , রাজা ঘোষনা করলেন "দুধ-মা"র সন্ধ্যান চাই , উজির সাহেবরা দুধ-মা খুজে-ও পেল ! কিন্তু কি-ভাবে , "দুধ-মা" কি গাছে ধরে , জমিতে ফলে , না মাছ ধরার জাল দিয়ে নদী থেকে ধরা যায় ? বুকে দুধ আছে এমন সব মহিলা-গন"ই তো "দুধ-মা" হবেন ? এখানে-ও প্রশ্ন আসে চাইলেই কি "দুধ-মা" হওয়া যায় ? যায় না , সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের "বুকে"ই দুধ আছে অথবা সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের মার বুকে"ই তো দুধ আছে সুতরাং তার মার বুকের দুদ-তো সে নিজেই খাবে এবং এটা নব-জাতক শিশুর জন্ম-গত অধিকার ! কিন্তু আজকের মত তখন-ও খমতা"ই ছিলো "অধিকার"!

বর্তমানের মতই রাজাদের আমলে-ও আল্লাহ"র ফেরেস্তা-গন-ও খমতাধরদের হয়ে"ই সব কাজ করতো , বর্তমানে যেমন করছে ফেরেস্তা-গন খমতা দখল কারীদের দফাদারী ! তাই উজির সাহেবরা কখন-ও পয়সা দিয়ে কিনে , কখন-ও জোর করে আবার কখন-ও নব-জাতকদের খুন করে রাজার সন্তানদের জন্য "দুধ-মা"র ব্যাবস্থা করতো , করা হতো ! পাপ বাপকে-ও ছাড়ে-না , আজকের পাপীদের-ও যেমন ছাড়বে-না ! রাজা-বাদশাহ দের বংশ-পরিচয় আজ কোথায় ? খুজে পান কোথাও কোন রাজ-পরিবারের বংশধর ( রাজ-পরিবারের বংশধর বলতে আমি সেই যুগের রাজ-পরিবারদের কথা বলছি যারা গনতন্ত্রের উর্ধে ছিলেন , যেমন ; - "ফেরাউন" "রোমান সম্রাজ্য" , « ক্লিওপেট্রা » « ভার্সাই রেভুলেশন-পূর্ব ফ্রাঁন্সের রাজ-পরিবার , ইত্যাদি ইত্যাদি ! বর্তমানে যাঁরা বা যে রাজ-পরিবার-গন আছেন তাঁদের কথা বলছি-না , কারন তাঁরা গনতন্ত্রের উপর বিশ্বাষ রেখে খমতার নামে তাসের সিংহাসনে বসে আছেন , তার পর-ও যদি লেবার পার্টি খমতায় আসে তা"হলে তাদের সেই তাসের সিংহাসন-ও চুড়মাড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে , যেমন ; লেবার পার্টি থেকে আসা বৃটিনের সাবেক প্রধান মন্ত্রী "টনি ব্লেলের" রাজ পরিবারকে "ইনকাম-টেক্স" দেয়ার জন্য বাদ্য করতে চেয়েছিলো , তার মধ্যে উল্যেখযোগ্য "রানী এলিজাবেত-২"

সহ "হলান্ড , "বেলজিয়াম , "ডেনমার্ক , "সুইডেন , "স্পেন দেশ সমুহ ) ? আছে কোথা-ও কোন জীবিত সেই আলালের ঘড়ের দুলালদের কোন খোজ-খবর ? এমন-কি ফ্রাঁন্সের সেই শক্তী-ধর রাজা লুই-কেত্রোজ ( রাজা - ১৪ ) , যিনি দাবী করতেন সূর্যের সাথে কথা বলেন সেই "সূর্য-রাজা"র-ও কোন বংশধরের সংবাদ ? নাই , যদি-ও সেই-সব দুলালদের কোন অপরাধ ছিলো-না , তারা হয়েছিলো মাতা-পিতার অপরাধে অপরাধী , মাতা-পিতার অভিশপ্ত জীবনের কারনে তাদের নিঃস্পাপ জীবন-ও হয়ে উঠেছিলো অভিশপ্ত , হয়েছে আজ তারা বিলুপ্ত ! বিলুপ্ত রাজ-পরিবার , বিলুপ্ত আজ রাজ-পরিবারের বংশধর ! এই গেল মা হতে না পারার অভিশপ্ত ও নির্বংশ হওয়ার কাহিনী ।





কথায় বলে "যুগের সাথে সব পাল্টে যায়" , আসলে কি কথাটা সত্য ? মোটে-ও কথাটা সত্য নয় ! "যুগের সাথে রূপ পাল্টায়" , মূল বিষয়টার কোন পরিবর্তন হয়-না , বাস্তব একটা প্রশ্ন করছি এবং তার জবাব আমি দিয়ে লেখা শেষ করবো , রাজা বাদশা বা রানী সাহেবা-গনদের আমলে যে নিষ্ঠুরতা ছিলো তা থেকে এখন কি কোন অংশে নিষ্ঠুরতার পরিমান কমেছে ? কমে নাই বরং বেড়েছে , যেমন আমরা বলি "দাশ-প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে" , আসলে কি আজ আর দাশ-প্রথা নাই ? অবশ্বই আছে , শুধু ব্যাবস্থার রূপ পাল্টিয়েছে অথবা পরিবর্তন ঘটেছে ! আগে দাশ-দাশী একেবারে কিনে নেয়া হতো আর এখন ঘন্টা দিন বা মাসিক হিসাবে নিয়োগ করি ( কি-ভাবে করা হয় সে বিষয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো ) , তেমনি ভাবেই রানী সাহেবা-গন দের সন্তান লালন-পালন ব্যাবস্থাটার-ও রূপ পাল্টিয়েছে অথবা পরিবর্তন ঘটেছে যা আজ আমরা দেখতে পাই আমেরিকার ৭০ % মা , ইউরোপের ৮৫ % মহিলাদের মধ্যে ,

এমন কি আমাদের বাংলদেশে-ও শুরু হয়েছে বেশ কয়েক যুগ আগেই এবং যে কারনে আজ-ও তারা মা হতে পারছেন-না , পারেন-নাই "মা" হতে ! কেন পারেন নাই "মা" হতে , তার কারন কর্তব্য এবং দ্বায়িত্বের মধ্যে যে মূল বিষয়টা আছে তার কোন পরিবর্তন হয়-নাই ! শুধু "যুগের সাথে রূপের পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র , তা-ছারা নতুন কিছুই হয় নাই ! বাজারে আজ অনেক কিছুই পাওয়া যায় ,

পাওয়া যায় মায়ের দুধের বিকল্প অনেক কিছুই , তাই এখন আর "দুধ মা" কিনতে হয় না বটে কিন্তু মা থেকে সন্তান আলাদা করার ব্যাবস্থা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে , বৃদ্ধি পেয়েছে মা থেকে সন্তান আলাদা করার কারন সমূহ-ও , তার মধ্যে সর্ব-প্রধান হলো "ক্যারিয়ার", তারপর আছে চাকুরী , পড়া-লেখা এবং বসের মন জয় করাতো আর ভুলা যায়-না ? বাংলাদেশে কাজের মেয়ের অভাব নাই , পাওয়া-ও যায় বেশ সস্তায় , কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপে এতো সস্তায় কাজের মেয়ে পাওয়া সম্ভব নয় , একটা কাজের মেয়ে রাখা মানে "নিন্মতম বেতন" অর্থাৎ আমি যে হারে "নিন্মতম বেতন" পাবো সে হারেই আমার কাজের মেয়েকে-ও বেতন দিতে হবে , তার মানে "পকেট টু পকেট" , যা কামাবো তা"ই দিয়ে দিতে হবে ! তা"হলে আমার সংসার চলবে কি করে ? আমার সংসার ঠিক"ই চলবে ! চলবে মানে ? ঘুষ খেয়ে ? কিন্তু এ-সব দেশে তো সন্মানীয়-ঘুষের ব্যাবস্থা নাই ? ঘুষের ব্যাবস্থা নাই ঠিক কিন্তু অন্য রকম ব্যাবস্থা আছে , তা হলো সঙ্গ-বদ্ধ ভাবে বাচ্চা রাখার ব্যাবস্থা , সরকারী , বে-সরকারী , এমন কি পারিবারিক ভাবে , যার যার সমর্থ অনুযায়ী নিজ শিশু ভাড়া রাখার ব্যাবস্থা করবেন বা করা যায় এবং এ-ভাবেই চলছে আমাদের আধুনিক সমাজ দেশ এবং পৃথিবী ! তা"হলে "যুগের সাথে সব পাল্টে যায়" বা গেল কোথায় ? কোন কিছুই পাল্টে যায় নাই , পাল্টিয়েছে শুধু রূপ ! কিন্তু নিষ্ঠুরতা বেড়েছে যান্ত্রীক ভাবে , আগে কিনা হতো দুধ-মা , সন্তান থাকতো চোখের সামনে আর এখন মেয়ে হোক ছেলে হোক দৃষ্টির আড়াল করে ঘড় থেকে বের করে দেয়া হয় ! সন্তানদের বয়স ১৮ বছর হলে তো স্থায়ী ভাবেই বাড়ী ছাড়া করে দেয়া হয় যদি-ও কোন খাদ্য সংস্থার ব্যাবস্থা করার কোন সমর্থ না থাকে নিজের"ই জন্ম দেয়া সন্তানদের ! তার ফল-ও হয় অত্যান্ত ভয়াবহ !

পিতা-মাতার কাছ থেকে বিতারিত হওয়া ঐ সব সন্তান এক সময় নিজ পায়ে দাড়ায় প্রতিষ্টিত হয় সমাজে দেশে কিন্তু রাখে-না কোন খোজ-খবর সেই বর্বর পিতা-মাতার । এক দিন দমকল বাহিনী এসে সেই নিষ্ঠুর পিতা অথবা মাতার শুকনো লাশ বের করেন খালি ঘড় থেকে , কে-জানে কবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে ? অথবা পাড়া প্রতিবেশী পুলিশ কে ফোন করেছে পাশের বাড়ী থেকে আসা "পচা-গন্ধ" পেয়ে ! তাই আমি বলেছি শিশু জন্ম দিতে পারলেই মাতা-পিতা হওয়া যায়-না , শুধু বুকের দুধ খাওয়ালেই "মা" এর কর্তব্য এবং দ্বায়িত্ব পালন শেষ হয়ে গেল-না বা মা হওয়া যায়-না , তার জন্য চাই ত্যাগ শ্বীকার , অনেক ত্যাগ শ্বীকার ! তা"ই বা কি-করে সম্ভব ? আজ-কাল তো মা-দের কাছ থেকে সন্তান কে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগটাই কেড়ে নিয়েছি "অন-লাইনের" মাধ্যমে !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.