নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট!

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

উপরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট! এই কথাটা কে বা কেন লিখিয়াছিলেন তা জানিতে পারিলে ভাল হইত। কিন্তু তাহা জানিবার কোন ব্যবস্থা আর নাই। কারন ধারনা করি, যিনি এই কথা মালা লিখিয়াছেন তিনি হয়ত আর এই দুনিয়াতে নেই, উপরওয়ালার ডাকে হয়ত সাড়া দিয়া, সেখানেই কবিতা মালা রচনা করিতেছেন!



এদিকে এই ছন্দ খুব ছোট বেলা হইতেই শুনিয়া আসিতেছি, ঢাকা শহরে বসবাস করার নিমির্ত্তে এই কথা টুকু স্কুল জীবনে প্রথম শুনিয়াছি বলে মনে পড়িতেছে! আমার এক মুক্তিযোদ্ধা মামা ছিলেন, আমরা উনাকে হায়দার মামা বলিয়া দাকিতাম, তিনি খুবই সুদর্শন এবং স্মার্ট ছিলেন, বুদ্ধিমান ছিলেন, সাথে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেশ নামডাক করিয়াছিলেন। তিনি ততকালে আমাদের বাসায় নিয়মিত আসিতেন। সাদা জুতা, সাদা মোজা, সাদা প্যান্ট (বেল্ট পরতেন না), সাদা শার্ট পরে তিনি আমাদের বাসায় প্রায় প্রতি শুক্রবারে আসতেন, দুপুরের খাবার খাইয়া আমাদের সাথে আড্ডাবাজী করিয়া সন্ধ্যায় তিনি ফিরিয়া যাইতেন।



আমার বাবার শালা বলে বাবার সাথে খুব রঙ তামাশা করিতেন। অন্যদিকে আমাদেরকেও তিনি খুব আদর করতেন, আমরাও উনাকে পছন্দ করিতাম। মামা বলতে আমরা ছোট বেলায় উনাকেই বুঝিতাম।



বেশ কিছু দিন ধরিয়া তিনি আর আসেন না, লোক মুখে বাবা জানিতে পারিলেন, তিনি বিবাহ করিয়াছেন এবং তার বিবাহিত স্ত্রী সিনেমায় এক্ট্রা হিসাবে কাজ করেন (আগের দিনে বাংলা সিনেমার গানে সখি হিসাবে এমন মেয়েরা কাজ করিত)। বাবা খুব রাগিয়া গেলেন!



কিছুদিন পর তিনি একবার আমাদের বাসায় আসিলে বাবা রাগিয়া গিয়া বলেন, তুমি উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট! পাশের রুমে আম্মাকে হাসিতে দেখিয়াছিলাম। সদরঘাট জায়গাটা চিন্তে পারলেও তখনো এই জায়গা ভ্রমনে বের হই নাই।



পরবর্তি কালে ম্যাট্রিক পাশ দেবার পর আমি ও বন্ধু সেলিম (বর্তমান ব্যাংকক প্রবাসী) পুরাতন ঢাকা চিনিবার জন্য বহুবার সরঘাট গিয়েছি, তখন এই সদরঘাট বিস্তারিত জানিয়া বুঝিতে পারিয়া ছিলাম, কেন মানুষ এই ছন্দ ব্যবহার করিয়া থাকে!



বহুদিন পর এখন এই ছন্দ বার বার মনে পড়ে, কারন এখন দেখিতেছি যে, দেশের বেশিরভাগ মানুষই আমার সেই হায়দার মামার মত হইয়া ফিয়াছে! প্রতারনা, মিথ্যা, লজ্জাহীনতা, চুরি সহ সব কিছু মিলিয়ে যত বাজে গুণ আঁচে সবই এখন আমাদের চরিত্রগত হইয়াছে।



কাজে কাজেই বলিতে ইচ্ছা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারী পুরুষই 'উপরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট'!



আশা করি বুঝাইতে পারিয়াছি! একমত না হইলে অন্য রাস্তায় গিয়া মুড়ি খান! আমি নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝিতে পারিতেছি! :P

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহাহা! দারুন বলেছেন ভাই!

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ভালবাসা ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.