নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
[অনেক দিন ধরে ভাবছি, বিচিত্র পেশা নিয়ে একটা সিরিজ লিখবো। পথে ঘাটে হাঁটতে গেলে সাধারণত এই ধরনের পেশার মানুষের দেখা মিলে। এই বিচিত্র পেশার মানুষদের সাথে আমি কথা বলে আনন্দ পাই, তাদের ছবি তুলি মোবাইলে। ভাবছি এই মানুষ গুলোকে অনলাইনের পাতায় নিয়ে আসবো। তবে কিছু ভুল করছি, অনেকের নাম, মোবাইল বা ঠিকানা রাখা সম্ভব হলেও তা করতে পারি নাই।]
আজকের বিচিত্র পেশার মানুষটার নাম মোঃ রুবেল মিয়া। তিনি রাস্তার ধারে চোখের সামনে এক ধরনের বিশেষ ভাজিয়া বিক্রি করে থাকেন এবং বিশেষ করে শীতের সন্ধ্যায় তার এই ভাঁজিয়া (তিনি একটা নাম বলেছেন, তা আমি এই সময়ে মনে করতে পারছি না) অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। রামপুরা, মধুবাগ, মগবাজার এলাকাতে তিনি ঘুরে ঘুরে এই ভাঁজিয়া বিক্রি করে থাকেন।
বেশ কয়েকদিন আগে রুবেলের সাথে কথা হয়েছিল। আমাকে দেখলে বেশ সন্মান করে, আমি অনেক আগে একবার খেয়েছিলাম, ভাল লেগেছিল। তার এই ভাজিয়ার বিশেষত্ব হল, তিন পদের ডাল বাটা, নানান পদের মশলা (মশলা গুলো আমাকে বলে দিয়েছে, কিন্তু আমি প্রকাশ করছি না। হা হা হা), লবন এবং ভাঁজার আগে ছোট চিংড়ি গায়ে লাগিয়ে নিয়ে থাকেন। কখনো চিংড়ি বেটেও দিয়ে থাকেন।
দুই সাইজের ভাঁজিয়া থাকে, একটা ছোট এবং একটা বড়। ছোট সাইজের দাম ৫ টাকা, বড় সাইজের দাম ১০ টাকা। দিনে ৭০০/৮০০ টাকার বা এর বেশী টাকার ভাঁজিয়া বিক্রি করা যায় বলে জানালেন। সন্ধ্যা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সময়ে বিক্রি বেশী হয়। তবে বাসা থেকে যা কাই বানিয়ে নিয়ে আসেন তা শেষ হলে গেলেই বিক্রি বন্ধ করে চলে যান।
গত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করে আসছেন। টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়ি থেকে এক সময় এই ঢাকা শহরে উঠে আসেন এবং শহরে যখন হাবু ডুবু খাচ্ছিলেন তখন দুই বন্ধু মিলে এই অভিনব ভাঁজিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এখনো দুই বন্ধু আলাদা করে দুই এলাকাতে এই ভাঁজিয়া বিক্রি করেন তবে থাকেন দুই বন্ধু একই এলাকাতে। রুবেল বিবাহিত এবং এক মেয়ের পিতা, খুশি মনে জানালেন তিনি ভাল আছেন। যেহেতু সকালে বাসায় থাকেন, সেই সময়েই তিনি নিজে এবং স্ত্রীর হেল্পে ভাজিয়ার কাই বানিয়ে থাকেন।
তবে ব্যবসার গাড়িটা যদি একটু গ্লাস দিয়ে ঘেরা দিতে পারতেন তবে খাবার গুলো আরো বেশী নিরাপদ হত। এখন খাবার খোলা রাখতে হয় বলে খাবারে কিছুটা ধুলাবালু পড়ে বলে অনেক কাষ্টমার খেতে চান না। খাদ্যে কোন ভেজাল দেন না, এক দিনের তেল অন্যদিনে ব্যবহার করেন না তাই কম তেলে সময় নিয়ে ভাঁজিয়া ভেঁজে তুলে থাকেন।
বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র এই দেশের মানুষ, কত কি বিচিত্র পেশা! তবে সবই জীবিকার টানে!
বিচিত্র পেশাঃ ১
http://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/29997495
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ নুতন ভাই।
আমার কাছে অনেক আছে, আশা করি আপনাদের সামনে হাজির করতে পারবো।
সামুতে একটা সিরিজ চালাবো ভাবছিলাম, এটা দিয়েই সেই আশা পুরন হবে বলে মনে করছি!
শুভেচ্ছা।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
সুমন কর বলেছেন: কখনো খাইনি।
সাথে আছি।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চালায়া যান সাথে আছি।
পোস্টে+++++++++++
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: ভাজিয়ার রেসিপি দেন ভাইয়া
মজার সিরিজ। ভালো লাগলো।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: সিরিজটি বেশ মজার । ভাল লেগেছে । আরও লিখুন ।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
পাজল্ড ডক বলেছেন: খেয়েছিলাম একবার তেমন ভালো লাগেনি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩০
নতুন বলেছেন: জটিল সিরিজ.... চালিয়ে যান... ১০০ পুরা করুন...
++