নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
আজকের বিচিত্র পেশার বন্ধুটির নাম সোহাগ, গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। প্রায় বছর আটেক আগে এই ঢাকা শহরে এসে একটা কঠিন অবস্থায় পড়ে যান। অনেক কষ্টে গার্মেন্সে কাজ জুটিয়ে নিলেও কাজের ধরন, বেতন এবং সময় কিছুতেই সামলে উঠতে পারছিলেন না। পনর শত টাকার চাকুরীতে অভারটাইম মিলিয়ে আড়াই হাজার টাকার মত পেতেন তা দিয়ে কিছুতেই চলত না, খাবার খরচ, ঘর ভাড়া, যাতায়ত! এমন সময় এক মাস কাজ করে চাকুরীটা ছেড়ে দেন। এর পর নুতন কিছু কি করা যায় ভাবতে থাকেন, এক সময় এক বড় ভাইকে এই ব্যবসায় দেখে ভাবলেন, তেমন পুঁজির দরকার নেই এবং এই ব্যবসা শুরু করলেন।
হ্যাঁ, এই হচ্ছেন সোহাগ এবং এই হচ্ছে তার ব্যবসা মানে পান সিগারেট চা দোকানে ঘুরে ঘুরে লাইটার মেরামত এবং গ্যাস বিক্রি এবং নুতন লাইটার বিক্রি করেন। তবে যাত্রা পথে নুতন লাইটার কেনার কাষ্টমার পেয়ে যান, তাতে একটু বেশী লাভ হয়।
গত সাত বছর ধরে ঢাকা শহরে এই ব্যবসা করে চলছেন। কোথায় থেকে কাজ শিখলেন, বলতে হেসে দিলেন সোহাগ। জানালেন, এই কাজে আসলে বুদ্ধিই যথেষ্ট। বুদ্ধি থাকলে আপনি নিজেও লাইটার মেরামত করতে পারবেন। দোকানে যে লাইটার গুলো পাওয়া যায়, প্রায় সব গুলোর ধরন ও টেকনিক প্রায় একই। তবে মাঝে মাঝে কিছু আমেরিকা, জার্মানীর লাইটার পাওয়া যায় সেগুলো মেরামত কঠিন এবং পার্টস পাওয়া যায় না। বাকী চায়নিজ সব একই! একটা নষ্ট হলে অন্যটার পার্টস লাগিয়ে ঠিক করে দেয়া যায়। এইকাজে ভাঙ্গা এবং পুরানো লাইটার সব সময়ে যোগাড় করতে হয়! আর গ্যাস তো সিলিন্ডারেই পাওয়া যায়, শুধু মাথার পয়েন্ট দেখে নিতে হয়। লাইটারে আসল হচ্ছে, পাথর, ভাল পাথর হলে অনেক দিন চলে।
সকাল ১০টা থেকে ঢাকার নানান এলাকায় বিকাল বা সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন এবং এতে ৩০০/৪০০ টাকা লাভ হয়, কখনো বেশিও হয়! রুট গুলো নিজেই বানিয়েছেন, এক এক দিন এক এক এলাকায় চলে যান। হেঁটেই বলা চলে ঢাকার প্রায় অলি গলি চিনেছেন।
রাস্তায় চা বিড়ি খেতে পয়সা লাগে না, যাদের দোকানে কাজ করেন তারাই খাইয়ে দেন, চা দোকানদারদের কাছে পরিচিত বলেই। আর দুপুরের খাবার ইচ্ছা মত যে কোন হোটেলে খেয়ে নেন, ইঙ্কাম কম হলে সাধারন রুটি আর ডিম ভাজি খেয়ে থাকেন। সকালের নাস্তা এবং রাতের খাবার বাড্ডার মেসে খেয়ে থাকেন।
বরিশালের জন্য মন কাঁধে, মাঝে মাঝেই বাড়ি যান। বাড়িতে মা বাবা আছেন, তাদের জন্য টাকা পাঠান, এখনো বিয়ে করেন নাই! মাঝে মাঝে হলে বাংলা সিনেমা দেখেন এবং রাতে বাসায় ফিরেন। সপ্তাহে শনিবার বা যে কোন একদিন কাজ করেন না!
তবে সোহাগ জানালেন, এটা আসলে ভাল পেশা নয়, কারো কাছে পরিচয় দেয়া যায় না। মানুষ এই পেশার কথা শুনলে হাসে। আমি পেশা পাল্টানোর কথা বললে জানালেন, সামনে একটা দোকান করার ইচ্ছা আছে এবং টাকা জমাচ্ছেন এখন।
আমি সোহাগের সাফল্য কামনা করি। পরিশ্রম করে যে হাত দুটো খাবার যোগায় তারাই বীর এই দেশের। এদের জন্যই এখনো দেশ আছে, এই মানুষ গুলোর জন্যই আমরা এখনো ভাল আছি।
বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র এই দেশের মানুষ, কত কি বিচিত্র পেশা! তবে সবই জীবিকার টানে!
(সিরিজটা আপনাদের অনেকের ভাল লাগছে জেনে খুশি হচ্ছি, বাংলা ব্লগের লেখায় এখন আর তেমন হিট নেই, হা হা হা। তবে এই সিরিজে হিট সংখ্যা দেখে ভাল লাগছে। সাথে থাকুন নিয়ে আসছি আরো আরো বিচিত্র পেশা এই দেশে, এই বেশে!)
বিচিত্র পেশাঃ ৭
http://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/30002646
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩
নতুন বলেছেন: পরিশ্রম করে যে হাত দুটো খাবার যোগায় তারাই বীর এই দেশের। এদের জন্যই এখনো দেশ আছে, এই মানুষ গুলোর জন্যই আমরা এখনো ভাল আছি।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ নুতন দা।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: বিচিত্র পেশার কাহিনী ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রমানিক ভাই,
আরো আরো নানান বিচিত্র পেশা নিয়ে আসছি, আশা করি সাথেই থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার সিরিজের ভক্ত হয়ে গেলুম
ভাল লাগল ।
ভাল থাকবেন শাহাদাত ভাই ।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সাহাদাত,
এমন একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখার পরে আপনিও হিটের কথা বললেন ! লাথি মারেন হিটের কপালে এবং বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করতে থাকুন ...
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
আব্দল্লাহ আল মুন্নাফ বলেছেন: সাহসী মানুষ।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আমি সোহাগের সাফল্য কামনা করি। পরিশ্রম করে যে হাত দুটো খাবার যোগায় তারাই বীর এই দেশের। এদের জন্যই এখনো দেশ আছে, এই মানুষ গুলোর জন্যই আমরা এখনো ভাল আছি।
সহমত !!!
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা, বিচিত্র পেশা কি শুধু খাবার দাবারে সীমাবদ্ধ থাকবে?
চমৎকার সিরিজ নিঃসন্দেহে।
হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বিচিত্র পেশাঃ ৯
http://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/30003491
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৯
নিলু বলেছেন: লিখে যান
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চলুক আপনার এই অসাধারন সিরিজ ।
১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
মহান অতন্দ্র বলেছেন: Chomotkar sirij. Valo laga
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: সিরিজটা বেশ ভাল লাগছে
++++
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
মন্জুরুল আলম বলেছেন: +++ সিরিজটা আসলেই ভাললাগছে
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
সুমন কর বলেছেন: পড়ে গেলাম।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।